আরও রক্ত চাই - দ্বিতীয় পরিচ্ছদ
দ্বিতীয় পরিচ্ছদ
এ বড়ো খবর লাইন ধরে ধরে পড়ে শোনাতে পারব না। আমি জিস্ট করে বলছি, সেটাই শোন।
আমি আর পেঁচা ঘাড় নেড়ে বললাম, " ঠিক আছে। সেটাই বল।"
"কয়েকদিন আগে শিমূল তলা জমিদার বাড়িতে একটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বাভাবিক মৃতদেহ হলে কথা হত না। এর মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। সেটা কোনো খুন নয়, কারণ সেই দেহে খুনের লেশমাত্র নেই। কিন্তু সমস্ত দেহ রক্তশূন্য। যেন হাড়ের গায়ে শুধু চামড়া জড়িয়ে আছে।"
পটল কে থামিয়ে আমি বললাম, " রক্ত চোষা ভ্যাম্পায়ার নয় তো ! ছোটোবেলায় পড়েছিলাম বোধ হয়, ভ্যাম্পায়ার নাকি মানুষ হোক বা কোনো প্রাণী দেহের বিশেষ অংশে ছোট্ট ছিদ্র করে দেহের সমস্ত রক্ত চুষে নেই। "
পটল ডানদিক-বাঁমদিক ঘাড় নাড়িয়ে বলল, " এমন কিছু তো লেখা নেই এখানে ...." পটল'কে থামিয়ে পেঁচা বললো, " আচ্ছা, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে ?"
সঙ্গে সঙ্গে পটল বলল," হ্যাঁ, এইটা সবচেয়ে আশ্চার্যের কথা। পুলিশ পুরো জায়গাটা তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছু উদ্ধার করতে পারেনি।"
পেঁচা বললো, " এটা ঠিক কবে'র ঘটনা ?"
পটল আনন্দবাজারের উপরের দিকে তাকিয়ে বললো, "২২শে নভেম্বর অর্থাৎ ... " একটু ভেবে আবার বললো, " প্রায় চার মাস আগের ঘটনা। "
তাড়াতাড়ি আমি বললাম, " আচ্ছা, এই চার মাসে এমন ধরণের কোনো মৃতদেহ আর পাওয়া গিয়েছে ?"
পটল আবার ঘাড় নাড়িয়ে বলল, " তারপর আর এমন ধরণের ঘটনার কথা শোনা যাইনি বা কাগজে তো দেইনি। অতঃপর পুলিশের সিদ্ধান্ত এটা বোধ হয় কোনো খুন নয় বরং এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন না খেতে পেয়ে মারা গেছে। যদিও এক্ষেত্রে কিছু প্রশ্নের মাথাচাড়া দিলেও পুলিশ সেগুলো সুন্দর করে এড়িয়ে গিয়ে কেস ক্লোসড করে দিয়েছে।"
পেঁচা মৃদু হেসে বললো, " এটাই তো ওরা পারে। সব শালা রাজনীতির পোষা কুকুর আর রাজনীতি টাও তেমন শিক্ষা, দীক্ষা থেকে ভিক্ষা সব কিছুতেই ওদের হাত। যত্তসব, ভালো লাগে না।
আমি তাড়াতাড়ি ওকে চুপ করিয়ে বললাম, " এ ভাই ! চুপ কর। মাথা ঠান্ডা রাখ। "
পেঁচা আরও কিছু বলতে চাইছিল কিন্তু আমি পটলের দিকে ফিরে বললাম, "এই শিমূল তলা জমিদার বাড়িটা ঠিক কোথায় ?"
পটল একটু হেসে বললো, " একদম সহজ করে বললে, আমার মামার বাড়ি থেকে এক মাইলের মধ্যে।"
আমি সামান্য বিরক্ত হয়েই বললাম, " সেই বনজঙ্গলের মধ্যের অজপাড়াগাঁ ! তোর বাবা যে কি করে তোর মায়ের সন্ধান পেয়েছিল কে জানে !"
পটলের মুখে একটা হাসির রেখা, তারপর বললো, " কলেজ প্রেম ছিল। " সঙ্গে সঙ্গে পেঁচা একটু হেসে বললো, " আর তুই কলেজে উঠে একটা মেয়ের দিকে চোখ তুলে দেখলি না পর্যন্ত।"
এবার কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ। সবাই সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
আমিই সেই মিষ্টি নিরাবতা ভেঙে পটল'কে বললাম, "যেতে তো এক ঘন্টা লাগবে, তাই না ?" পটল সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লে আমি আবার বললাম, " তোর মামার বাড়ি তিনজনের তিনদিন থাকার ব্যবস্থা হবে ?"
চলছে ......
এ বড়ো খবর লাইন ধরে ধরে পড়ে শোনাতে পারব না। আমি জিস্ট করে বলছি, সেটাই শোন।
আমি আর পেঁচা ঘাড় নেড়ে বললাম, " ঠিক আছে। সেটাই বল।"
"কয়েকদিন আগে শিমূল তলা জমিদার বাড়িতে একটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বাভাবিক মৃতদেহ হলে কথা হত না। এর মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। সেটা কোনো খুন নয়, কারণ সেই দেহে খুনের লেশমাত্র নেই। কিন্তু সমস্ত দেহ রক্তশূন্য। যেন হাড়ের গায়ে শুধু চামড়া জড়িয়ে আছে।"
পটল কে থামিয়ে আমি বললাম, " রক্ত চোষা ভ্যাম্পায়ার নয় তো ! ছোটোবেলায় পড়েছিলাম বোধ হয়, ভ্যাম্পায়ার নাকি মানুষ হোক বা কোনো প্রাণী দেহের বিশেষ অংশে ছোট্ট ছিদ্র করে দেহের সমস্ত রক্ত চুষে নেই। "
পটল ডানদিক-বাঁমদিক ঘাড় নাড়িয়ে বলল, " এমন কিছু তো লেখা নেই এখানে ...." পটল'কে থামিয়ে পেঁচা বললো, " আচ্ছা, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে ?"
সঙ্গে সঙ্গে পটল বলল," হ্যাঁ, এইটা সবচেয়ে আশ্চার্যের কথা। পুলিশ পুরো জায়গাটা তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছু উদ্ধার করতে পারেনি।"
পেঁচা বললো, " এটা ঠিক কবে'র ঘটনা ?"
পটল আনন্দবাজারের উপরের দিকে তাকিয়ে বললো, "২২শে নভেম্বর অর্থাৎ ... " একটু ভেবে আবার বললো, " প্রায় চার মাস আগের ঘটনা। "
তাড়াতাড়ি আমি বললাম, " আচ্ছা, এই চার মাসে এমন ধরণের কোনো মৃতদেহ আর পাওয়া গিয়েছে ?"
পটল আবার ঘাড় নাড়িয়ে বলল, " তারপর আর এমন ধরণের ঘটনার কথা শোনা যাইনি বা কাগজে তো দেইনি। অতঃপর পুলিশের সিদ্ধান্ত এটা বোধ হয় কোনো খুন নয় বরং এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন না খেতে পেয়ে মারা গেছে। যদিও এক্ষেত্রে কিছু প্রশ্নের মাথাচাড়া দিলেও পুলিশ সেগুলো সুন্দর করে এড়িয়ে গিয়ে কেস ক্লোসড করে দিয়েছে।"
পেঁচা মৃদু হেসে বললো, " এটাই তো ওরা পারে। সব শালা রাজনীতির পোষা কুকুর আর রাজনীতি টাও তেমন শিক্ষা, দীক্ষা থেকে ভিক্ষা সব কিছুতেই ওদের হাত। যত্তসব, ভালো লাগে না।
আমি তাড়াতাড়ি ওকে চুপ করিয়ে বললাম, " এ ভাই ! চুপ কর। মাথা ঠান্ডা রাখ। "
পেঁচা আরও কিছু বলতে চাইছিল কিন্তু আমি পটলের দিকে ফিরে বললাম, "এই শিমূল তলা জমিদার বাড়িটা ঠিক কোথায় ?"
পটল একটু হেসে বললো, " একদম সহজ করে বললে, আমার মামার বাড়ি থেকে এক মাইলের মধ্যে।"
আমি সামান্য বিরক্ত হয়েই বললাম, " সেই বনজঙ্গলের মধ্যের অজপাড়াগাঁ ! তোর বাবা যে কি করে তোর মায়ের সন্ধান পেয়েছিল কে জানে !"
পটলের মুখে একটা হাসির রেখা, তারপর বললো, " কলেজ প্রেম ছিল। " সঙ্গে সঙ্গে পেঁচা একটু হেসে বললো, " আর তুই কলেজে উঠে একটা মেয়ের দিকে চোখ তুলে দেখলি না পর্যন্ত।"
এবার কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ। সবাই সবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
আমিই সেই মিষ্টি নিরাবতা ভেঙে পটল'কে বললাম, "যেতে তো এক ঘন্টা লাগবে, তাই না ?" পটল সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লে আমি আবার বললাম, " তোর মামার বাড়ি তিনজনের তিনদিন থাকার ব্যবস্থা হবে ?"
চলছে ......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এ কে সুমন ০১/০৫/২০২৩অপেক্ষায় রইলাম।
-
অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী ৩০/০৪/২০২৩Nice
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ২৬/০৪/২০২৩ভালো লাগলো, আগামীর আগ্রহ রইল ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/০৪/২০২৩চলবে।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০৪/২০২৩সুন্দর লেখনী