ফিলিংস
তৃষা তুই অভিরূপ'কে এত ঘৃণা করিস কেন ?
"এসব কি বলছিস শ্রেয়া ! আমি ওকে ঘৃণা করব কেন ?" বলতে বলতে তৃষা একটু জোরে হেঁটে শ্রেয়ার আগে চলল। পিছন থেকে শ্রেয়া একটু দ্রুত হেঁটে ওর পাশে এসে বললো, " কিন্তু তুই তো ওকে ভালোবাসিস না !!" তৃষা কোনো উত্তর দিল। চুপ করে থাকলো। কিছুক্ষণ পর শ্রেয়া আবার বললো, " তুই হয়ত জানিস না ও তোকে কতটা ভালোবাসে। আমার কাছে, নীলের কাছে ফোন করে খোঁজ নেয় তুই কেমন আছিস, কি করছিস ইত্যাদি ইত্যাদি। তোর থেকে এত দূরে থেকেও ও কিন্তু তোকে ভুলে যাইনি। বরং ওর ভালোবাসা দ্বিগুণ হয়েছে বারবার।" কথাগুলো শ্রেয়া এতটাই তাড়াতাড়ি বললো যে তৃষা কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারলো না। শ্রেয়া থামলে এবার তৃষা বললো, " কিন্তু ওর প্রতি আমার কোনো ফিলিংসই আসে না। হ্যাঁ, আমি ওকে পছন্দ করি। এই পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু ওকে ভালোবাসতে পারবো না।" শ্রেয়া পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে বললো, " কিন্তু কেন ? ভালোই যখন বাসবি না তাহলে প্রথমে ওকে ভালোবাসার সুযোগটুকু দিয়েছিলি কেন ?"
তৃষা চুপ করলো। এ প্রশ্নের উত্তর ওর কাছে আছে কিন্তু ওর সবচেয়ে কাছের বান্ধবী শ্রেয়াও যখন ওর দিকে আঙুল তুলছে তখন ওর বিবেক যেন আরও দূর্বল হয়ে না পড়ে তাই চুপ করাটাই সঠিক।
হ্যাঁ, তৃষা হয়ত সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু কি করত সেসময় ও। অভিরূপ যে ওর সবচেয়ে কাছের একজন বন্ধু। তৃষা তো ওকে প্রথম দিনই বারণ করেছিল। প্রায় বছর চার আগে যেদিন অভি তৃষাকে প্রথম প্রোপোজাল দিয়েছিল সেদিনই তৃষা তো স্রেফ জানিয়ে দিয়েছিল অভিকে, " আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না। শুধু তোকে নয়, কাউকেও......"। অভিরূপ তো সেসময় ওকে বুঝতেই চাইনি। প্রচন্ড জেদি ছিল ছেলেটা। সবশেষে তো একদিন বলেছিলো, " ঠিক আছে। তুই আমাকে ভালো না বাসলেও আমি তোকে ভালোবাসব। ভালোবাসাটা তো কোনো অপরাধ নয়। আর তাছাড়া ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার জন্য তো তোকে ভালোবাসিনি। ভালোবেসেছি বলেই ভালোবাসব আজীবন।" তারপর আবার ওরা বন্ধুর মতোই মিশেছিলো। এর মধ্যে সত্যিই কি তৃষার কোনো ভুল ছিল !! সত্যিই কি তৃষার দিকে আঙুল তোলা যায় !! তৃষা নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলো। ও প্রতিবার সেটাই করে। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়, শুধুমাত্র নিজের বিবেকের কথাই শোনে।
হঠাৎ'ই শ্রেয়া জোরে ধাক্কা দিয়ে বললো, " জানতাম এ প্রশ্নের উত্তর তোর কাছে নেই। কিন্তু একটা কথা কি জানিস তৃষা , ভালোবাসা পেতে গেলে ভাগ্য লাগে। সবাই ভালোবাসা পাই না। একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই আজও মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে। কারও থেকে ভালোবাসা পেলে কখনও দূরে সরিয়ে দিতে নেই, তৃষা। " এবার তৃষা একটু জোরেই বললো, " তাহলে তুই বলতে চাইছিস আমাকে যারা যারা আজ পর্যন্ত ভালোবেসেছিল তাদের সবাইকে আমার ভালোবাসা উচিত !!"
আমি তো সে কথা বলিনি।
তোর কথার অর্থ তো এটাই দাঁড়ায়।
শ্রেয়া একটু মৃদ্যু হাসলো। তারপর বললো, " আজ পর্যন্ত তোকে যারা যারা ভালোবেসেছিল একটু খোঁজ নিয়ে দেখিস তো আজও তারা সবাই তোকে ভালোবাসে কিনা !!"
তৃষা এবারও চুপ করলো কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর তার কাছে নেই।
শ্রেয়া আবার বললো, " কিছু কিছু ছেলে থাকে যারা মেয়েদের ব্যবহার করতে চাই বলেই ভালোবাসে আর কিছু ছেলে থাকে যারা ভালোবাসার জন্যই ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসার মূল্য একটা জীবনের থেকে বেশি না হলেও এক্কেবারে খুব কমও নয়। এরকম মানুষের থেকে ভালোবাসা যারা পাই তারাই সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান তৃষা।"
"কিন্তু...... " তৃষা কিছু বলতে যাওয়ার আগেই শ্রেয়া বললো, " এসব কোনো কথাই অভি আমাকে বলতে বারণ করেছিল কিন্তু আমি ছেলেটার প্রতিটি শব্দের মধ্যে তোর প্রতি ওর ভালোবাসা দেখেছি। এ ভালোবাসা কখনও মিথ্যে হতে পারে না তৃষা, কখনও না।
কিছুক্ষণ সবাই চুপ। কলেজের গ্রাউন্ডে দুজনে একটা গাছের ছায়ায় বেঞ্চিতে বসলো। তারপর তৃষা বললো, " ও আমাকে ভালোবাসে এটা ওর পছন্দ। তার মানে তো এটা নয় যে আমাকেও ওকে ভালোবাসতে হবে। আমার পছন্দ তো আলাদা হতেই পারে।"
শ্রেয়া অন্যদিকে ফিরে বললো, " আমি কখন বললাম, যে তোকে ভালোবাসতেই হবে।"
আবার সবাই চুপ। তারপর শ্রেয়া বললো, " চল তোকে একটা গল্প শোনাই। একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটা ছেলেটাকে পছন্দ করে কিন্তু ভালোবাসে না এমনকি যোগাযোগও নেই। একদিন ছেলেটা হঠাৎ কারোর থেকে শুনলো যে মেয়েটি নাকি গায়ক খুব ভালোবাসে। মানে ও চাই ওর বয়ফ্রেন্ড একজন গায়ক হোক। কিন্তু ছেলেটা তো গানই গাইতে পারে না। তখন সে ঠিক করলো, গান গাইতে পারে না তাতে কি হয়েছে, গান লিখতে তো পারে। তারপর থেকে নতুন একটা যাত্রা, গান লেখা। বেশ অনেকগুলো লিখেছে কিন্তু একটাও মনের মতো হয়নি। তারপর হঠাৎ একদিন রাতে সে একটা গান লিখে ফেলল। কয়েকদিনের মধ্যে ভালো সিঙ্গার দ্বারা গাইয়ে গানটি রিলিজ করলো। কিন্তু এতকিছুর পরেও ছেলেটা জানে না, সে কি চায়, কেমন এমন করলো !!"
তৃষা আর শ্রেয়ার দিকে ফিরলো না। তৃষার চোখের কোণায় জল চিক চিক করছে। তৃষার মনে পড়লো,সে কথাটা বলেছিল কোনো একদিন যে, সে তাকেই ভালোবাসবে যে একজন গায়ক। তৃষা তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে বললো, " আমার জন্যই তাহলে অভি একটা গান লিখতে পারলো। নাম ডাক হচ্ছে। ভালোবাসা পেলে কি সেটা হত !!
শ্রেয়া একটা হাঁফ ছেড়ে বললো, " কিন্তু ও তো এইভাবে নিজের মনকে হারিয়ে সুনামকে অর্জন করতে চাইনি। এটা ওর জেতা নয়, এটা ওর হার। আর একটা কথা, ফিলিংস আনতে গেলে যোগাযোগ রাখতে হয়, ভালোবাসতে হয়।
চল আজ উঠি। বাড়ি ফিরবি তো !!"
তৃষা অস্পষ্ট স্বরে বললো, " হ্যাঁ, চল।"
সমান্ত
"এসব কি বলছিস শ্রেয়া ! আমি ওকে ঘৃণা করব কেন ?" বলতে বলতে তৃষা একটু জোরে হেঁটে শ্রেয়ার আগে চলল। পিছন থেকে শ্রেয়া একটু দ্রুত হেঁটে ওর পাশে এসে বললো, " কিন্তু তুই তো ওকে ভালোবাসিস না !!" তৃষা কোনো উত্তর দিল। চুপ করে থাকলো। কিছুক্ষণ পর শ্রেয়া আবার বললো, " তুই হয়ত জানিস না ও তোকে কতটা ভালোবাসে। আমার কাছে, নীলের কাছে ফোন করে খোঁজ নেয় তুই কেমন আছিস, কি করছিস ইত্যাদি ইত্যাদি। তোর থেকে এত দূরে থেকেও ও কিন্তু তোকে ভুলে যাইনি। বরং ওর ভালোবাসা দ্বিগুণ হয়েছে বারবার।" কথাগুলো শ্রেয়া এতটাই তাড়াতাড়ি বললো যে তৃষা কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারলো না। শ্রেয়া থামলে এবার তৃষা বললো, " কিন্তু ওর প্রতি আমার কোনো ফিলিংসই আসে না। হ্যাঁ, আমি ওকে পছন্দ করি। এই পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু ওকে ভালোবাসতে পারবো না।" শ্রেয়া পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে বললো, " কিন্তু কেন ? ভালোই যখন বাসবি না তাহলে প্রথমে ওকে ভালোবাসার সুযোগটুকু দিয়েছিলি কেন ?"
তৃষা চুপ করলো। এ প্রশ্নের উত্তর ওর কাছে আছে কিন্তু ওর সবচেয়ে কাছের বান্ধবী শ্রেয়াও যখন ওর দিকে আঙুল তুলছে তখন ওর বিবেক যেন আরও দূর্বল হয়ে না পড়ে তাই চুপ করাটাই সঠিক।
হ্যাঁ, তৃষা হয়ত সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু কি করত সেসময় ও। অভিরূপ যে ওর সবচেয়ে কাছের একজন বন্ধু। তৃষা তো ওকে প্রথম দিনই বারণ করেছিল। প্রায় বছর চার আগে যেদিন অভি তৃষাকে প্রথম প্রোপোজাল দিয়েছিল সেদিনই তৃষা তো স্রেফ জানিয়ে দিয়েছিল অভিকে, " আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না। শুধু তোকে নয়, কাউকেও......"। অভিরূপ তো সেসময় ওকে বুঝতেই চাইনি। প্রচন্ড জেদি ছিল ছেলেটা। সবশেষে তো একদিন বলেছিলো, " ঠিক আছে। তুই আমাকে ভালো না বাসলেও আমি তোকে ভালোবাসব। ভালোবাসাটা তো কোনো অপরাধ নয়। আর তাছাড়া ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার জন্য তো তোকে ভালোবাসিনি। ভালোবেসেছি বলেই ভালোবাসব আজীবন।" তারপর আবার ওরা বন্ধুর মতোই মিশেছিলো। এর মধ্যে সত্যিই কি তৃষার কোনো ভুল ছিল !! সত্যিই কি তৃষার দিকে আঙুল তোলা যায় !! তৃষা নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলো। ও প্রতিবার সেটাই করে। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়, শুধুমাত্র নিজের বিবেকের কথাই শোনে।
হঠাৎ'ই শ্রেয়া জোরে ধাক্কা দিয়ে বললো, " জানতাম এ প্রশ্নের উত্তর তোর কাছে নেই। কিন্তু একটা কথা কি জানিস তৃষা , ভালোবাসা পেতে গেলে ভাগ্য লাগে। সবাই ভালোবাসা পাই না। একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই আজও মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে। কারও থেকে ভালোবাসা পেলে কখনও দূরে সরিয়ে দিতে নেই, তৃষা। " এবার তৃষা একটু জোরেই বললো, " তাহলে তুই বলতে চাইছিস আমাকে যারা যারা আজ পর্যন্ত ভালোবেসেছিল তাদের সবাইকে আমার ভালোবাসা উচিত !!"
আমি তো সে কথা বলিনি।
তোর কথার অর্থ তো এটাই দাঁড়ায়।
শ্রেয়া একটু মৃদ্যু হাসলো। তারপর বললো, " আজ পর্যন্ত তোকে যারা যারা ভালোবেসেছিল একটু খোঁজ নিয়ে দেখিস তো আজও তারা সবাই তোকে ভালোবাসে কিনা !!"
তৃষা এবারও চুপ করলো কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তর তার কাছে নেই।
শ্রেয়া আবার বললো, " কিছু কিছু ছেলে থাকে যারা মেয়েদের ব্যবহার করতে চাই বলেই ভালোবাসে আর কিছু ছেলে থাকে যারা ভালোবাসার জন্যই ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসার মূল্য একটা জীবনের থেকে বেশি না হলেও এক্কেবারে খুব কমও নয়। এরকম মানুষের থেকে ভালোবাসা যারা পাই তারাই সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান তৃষা।"
"কিন্তু...... " তৃষা কিছু বলতে যাওয়ার আগেই শ্রেয়া বললো, " এসব কোনো কথাই অভি আমাকে বলতে বারণ করেছিল কিন্তু আমি ছেলেটার প্রতিটি শব্দের মধ্যে তোর প্রতি ওর ভালোবাসা দেখেছি। এ ভালোবাসা কখনও মিথ্যে হতে পারে না তৃষা, কখনও না।
কিছুক্ষণ সবাই চুপ। কলেজের গ্রাউন্ডে দুজনে একটা গাছের ছায়ায় বেঞ্চিতে বসলো। তারপর তৃষা বললো, " ও আমাকে ভালোবাসে এটা ওর পছন্দ। তার মানে তো এটা নয় যে আমাকেও ওকে ভালোবাসতে হবে। আমার পছন্দ তো আলাদা হতেই পারে।"
শ্রেয়া অন্যদিকে ফিরে বললো, " আমি কখন বললাম, যে তোকে ভালোবাসতেই হবে।"
আবার সবাই চুপ। তারপর শ্রেয়া বললো, " চল তোকে একটা গল্প শোনাই। একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটা ছেলেটাকে পছন্দ করে কিন্তু ভালোবাসে না এমনকি যোগাযোগও নেই। একদিন ছেলেটা হঠাৎ কারোর থেকে শুনলো যে মেয়েটি নাকি গায়ক খুব ভালোবাসে। মানে ও চাই ওর বয়ফ্রেন্ড একজন গায়ক হোক। কিন্তু ছেলেটা তো গানই গাইতে পারে না। তখন সে ঠিক করলো, গান গাইতে পারে না তাতে কি হয়েছে, গান লিখতে তো পারে। তারপর থেকে নতুন একটা যাত্রা, গান লেখা। বেশ অনেকগুলো লিখেছে কিন্তু একটাও মনের মতো হয়নি। তারপর হঠাৎ একদিন রাতে সে একটা গান লিখে ফেলল। কয়েকদিনের মধ্যে ভালো সিঙ্গার দ্বারা গাইয়ে গানটি রিলিজ করলো। কিন্তু এতকিছুর পরেও ছেলেটা জানে না, সে কি চায়, কেমন এমন করলো !!"
তৃষা আর শ্রেয়ার দিকে ফিরলো না। তৃষার চোখের কোণায় জল চিক চিক করছে। তৃষার মনে পড়লো,সে কথাটা বলেছিল কোনো একদিন যে, সে তাকেই ভালোবাসবে যে একজন গায়ক। তৃষা তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে বললো, " আমার জন্যই তাহলে অভি একটা গান লিখতে পারলো। নাম ডাক হচ্ছে। ভালোবাসা পেলে কি সেটা হত !!
শ্রেয়া একটা হাঁফ ছেড়ে বললো, " কিন্তু ও তো এইভাবে নিজের মনকে হারিয়ে সুনামকে অর্জন করতে চাইনি। এটা ওর জেতা নয়, এটা ওর হার। আর একটা কথা, ফিলিংস আনতে গেলে যোগাযোগ রাখতে হয়, ভালোবাসতে হয়।
চল আজ উঠি। বাড়ি ফিরবি তো !!"
তৃষা অস্পষ্ট স্বরে বললো, " হ্যাঁ, চল।"
সমান্ত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এ কে সুমন ০১/০৫/২০২৩বেশ হয়েছে।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০৪/২০২৩ভালো লেখা।
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ১০/০৪/২০২৩ভালো লেগেছে !
-
ফয়জুল মহী ২৪/০৩/২০২৩অনিন্দ্য সুন্দর উপস্থাপন।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৪/০৩/২০২৩বেশ।