আরও রক্ত চাই - প্রথম পরিচ্ছদ
রহস্যের গন্ধ পেলে কে আর স্থির থাকতে পারে বলুন তো !!
ভয়, ভূত আর রক্ত যখন মাখামাখি তখন ভয় কে হারিয়ে ভূতকে অবিশ্বাস করে রক্তের সাথে রক্তিম হতে সবাই চাই। শেষে পরিণাম বারবার ভালো না হলেও, মৃত্যু্র থেকে ইচ্ছাশক্তির জোর অনেক বেশি থাকে।
কি বলছি বুঝতে পারছেন না, তাই তো !! চলুন শুরুর থেকে শুরু করি।
তখন আমার বয়স বাইশ কি তেইশ বোধ হয়। পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকতে হয়। দু'মাসে একবার বাড়ি এসে সপ্তাখানিক বাড়িতে থাকি। আর সেই পুরানো অভ্যাসটা বিকেলে পটল আর পেঁচার সাথে ঘুরতে যাওয়া।
আচ্ছা, পটল আর পেঁচাকে চিনতে পেরেছেন তো !! পটল মানে অভিজিৎ আর পেঁচা মানে কমলেশ। আরে মশাই, এখনও চিনতে পারেননি !! ঐ 'পোড়ো বাড়ির রহস্য' উদঘাটনে যারা আমার সঙ্গে ছিল, তাদের কথা বলছি।
-- কি রে পেঁচা, পটল এখনও এলো না কেন রে !! সাড়ে চারটে এক জায়গায় হওয়ার কথা ছিল।
-- বাদ দে। ও তো আগাগোড়ায় লেট। এ আর নতুন কি !! বল তোর দিনকাল কেমন যাচ্ছে ?
-- এই চলছে, কোনো রকমে .......
-- আচ্ছা, গ্রাজুয়েশন তো শেষের পথে, এরপর কি করবি কিছু ঠিক করলি !!
-- এইটা সবচেয়ে সমস্যাকর প্রশ্ন, প্রতিটি বেকার ছেলের কাছে।
ঐ যে 'আসছেন, তিনি আসছেন', এতক্ষণে সময় হলো। কুড়ি মিনিট লেট .....
পটল 'সরি' বলতে বলতে তাড়াতাড়ি আসলেন। হাতে একটা খবরের কাগজ। আনন্দবাজার বোধ হয়।
আমিই প্রথম পটলকে জিজ্ঞাসা করলাম, " কি ব্যপার !! এত দেরি কেন ?"
-- আর বলিস না, এই কাগজটা খুঁজতে গিয়ে লেট হয়ে গেল। একটা খবর দেখে আলাদা করে রেখেছিলাম, কি মা ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরোনো কাগজের মধ্যে রেখে দিয়েছিল।
আমি আর পেঁচা প্রায় দু'জন একসাথেই বলে উঠলাম, "কি খবর !!"
বলব বলব তবে তার আগে বল তো অগ্নি, "নতুন প্রেম করছিস, কিন্তু আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে হয়নি কেন ?"
আমি হাসতে হাসতে বললাম, " প্রেম আর আমি !!"
পটল আর পেঁচা ভ্রু কুঁচকালে আমি তাড়াতাড়ি বললাম, " আমার আর প্রেমের মাঝে দূরত্ব লক্ষ যোজন। ঈশ্বর বলেছেন, প্রেম করার থেকে একাকিত্ব বেশি আরামপ্রদ আর আমি এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।"
আমি জানি, পটল আর পেঁচা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় জেনেই আমি বিষয়টাকে ঘুরিয়ে বললাম, " এসব বাদ দে, বল কি খবর দেখলি, যা আমাদের দেখানোর প্রয়োজন হলো !!"
পটল কাগজটা খুলে জোরে জোরে হেডলাইনটা বললো, "রহস্যজনক মৃত্যু নাকি ভূতের উপদ্রব"
আমি আর পেঁচা অবাক হয়েই বললাম, " সবটা পড় তো, শুনি !!"
চলছে .....
ভয়, ভূত আর রক্ত যখন মাখামাখি তখন ভয় কে হারিয়ে ভূতকে অবিশ্বাস করে রক্তের সাথে রক্তিম হতে সবাই চাই। শেষে পরিণাম বারবার ভালো না হলেও, মৃত্যু্র থেকে ইচ্ছাশক্তির জোর অনেক বেশি থাকে।
কি বলছি বুঝতে পারছেন না, তাই তো !! চলুন শুরুর থেকে শুরু করি।
তখন আমার বয়স বাইশ কি তেইশ বোধ হয়। পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকতে হয়। দু'মাসে একবার বাড়ি এসে সপ্তাখানিক বাড়িতে থাকি। আর সেই পুরানো অভ্যাসটা বিকেলে পটল আর পেঁচার সাথে ঘুরতে যাওয়া।
আচ্ছা, পটল আর পেঁচাকে চিনতে পেরেছেন তো !! পটল মানে অভিজিৎ আর পেঁচা মানে কমলেশ। আরে মশাই, এখনও চিনতে পারেননি !! ঐ 'পোড়ো বাড়ির রহস্য' উদঘাটনে যারা আমার সঙ্গে ছিল, তাদের কথা বলছি।
-- কি রে পেঁচা, পটল এখনও এলো না কেন রে !! সাড়ে চারটে এক জায়গায় হওয়ার কথা ছিল।
-- বাদ দে। ও তো আগাগোড়ায় লেট। এ আর নতুন কি !! বল তোর দিনকাল কেমন যাচ্ছে ?
-- এই চলছে, কোনো রকমে .......
-- আচ্ছা, গ্রাজুয়েশন তো শেষের পথে, এরপর কি করবি কিছু ঠিক করলি !!
-- এইটা সবচেয়ে সমস্যাকর প্রশ্ন, প্রতিটি বেকার ছেলের কাছে।
ঐ যে 'আসছেন, তিনি আসছেন', এতক্ষণে সময় হলো। কুড়ি মিনিট লেট .....
পটল 'সরি' বলতে বলতে তাড়াতাড়ি আসলেন। হাতে একটা খবরের কাগজ। আনন্দবাজার বোধ হয়।
আমিই প্রথম পটলকে জিজ্ঞাসা করলাম, " কি ব্যপার !! এত দেরি কেন ?"
-- আর বলিস না, এই কাগজটা খুঁজতে গিয়ে লেট হয়ে গেল। একটা খবর দেখে আলাদা করে রেখেছিলাম, কি মা ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরোনো কাগজের মধ্যে রেখে দিয়েছিল।
আমি আর পেঁচা প্রায় দু'জন একসাথেই বলে উঠলাম, "কি খবর !!"
বলব বলব তবে তার আগে বল তো অগ্নি, "নতুন প্রেম করছিস, কিন্তু আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে হয়নি কেন ?"
আমি হাসতে হাসতে বললাম, " প্রেম আর আমি !!"
পটল আর পেঁচা ভ্রু কুঁচকালে আমি তাড়াতাড়ি বললাম, " আমার আর প্রেমের মাঝে দূরত্ব লক্ষ যোজন। ঈশ্বর বলেছেন, প্রেম করার থেকে একাকিত্ব বেশি আরামপ্রদ আর আমি এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।"
আমি জানি, পটল আর পেঁচা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় জেনেই আমি বিষয়টাকে ঘুরিয়ে বললাম, " এসব বাদ দে, বল কি খবর দেখলি, যা আমাদের দেখানোর প্রয়োজন হলো !!"
পটল কাগজটা খুলে জোরে জোরে হেডলাইনটা বললো, "রহস্যজনক মৃত্যু নাকি ভূতের উপদ্রব"
আমি আর পেঁচা অবাক হয়েই বললাম, " সবটা পড় তো, শুনি !!"
চলছে .....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০৪/২০২৩অনবদ্য লেখনী।
-
তরুন ইউসুফ ১২/০৩/২০২৩বেশ
-
ফয়জুল মহী ১১/০৩/২০২৩চমৎকার লিখেছেন।