ভালো থাকিস
"দেখ ভাই, আজ যদি তুই ফোন না করিস, তাহলে আমি করবো!" বলতে বলতে সৌরভ স্মার্ট ফোন ওপেন করে তৃষাকে ফোন করলো। দেবা বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সৌরভ শুনলো না। ফোন করতেই ওপাশে বেজে উঠলো, 'ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে...'
আজ থেকে প্রায় বছর চারেক আগে দেবাকর বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হয়েছিল প্রেমডালি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেখানেই দেখা হয় সৌরভের সাথে। ধীরে ধীরে যেন খুব কাছের একটা বন্ধু হয়ে উঠেছিল সৌরভ, এক কথায় বলা যেতে পারে সুখ দুঃখের অংশীদার। একই ডিপার্টমেন্টে লাজুক প্রিয় দেবা'র একজন বান্ধবীও জুটে যাই, নাম তৃষা। হ্যাঁ, ও বান্ধবীই ছিল, সেই তোমাদের so called 'just friend'. কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ তো বলেছিলেন যে একটা ছেলে ও একটা মেয়ের মধ্যে কখনও বন্ধুত্ব হতে পারে না। একটা ছেলে ও একটা মেয়ে কাছাকাছি থাকলে তারা প্রেমে পড়বেই। আর এই কথাটাই হল দেবা'র প্রেমের সূত্রপাত। দেবা শয়নে স্বপনে ভাবতে লাগলো তৃষার কথা। মনে মনে ভাবল 'ও তৃষাকে ভালোবেসে ফেলেছে' কিন্তু কাউকে বললো না। ক্লাসে বারবার তৃষার দিকে ফিরেই যেন ভাবনায় ডুবে থাকত। কেমিস্ট্রি ক্লাসে কোন ইলেকট্রন কোন নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘুরলো তাতে দেবা'র বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ও শুধু এটুকু জানে, ও ইলেকট্রন আর ওর নিউক্লিয়াস তৃষা।
যার মন সবসময় প্রেম প্রেম গন্ধে বিভোর সে তো সবার মধ্যেই প্রেমের আবহ পাবে এটাই স্বাভাবিক। দেবা এবার সৌরভের পিছনে পড়ে খুঁজে বের করলো, সৌরভ নাকি মধুমিতা'র প্রেমে পড়েছে। ঠিক তখনই হলো সমস্যা। সৌরভ ঠিক বুঝলো, 'চোরের মন পুলিশ পুলিশ'। সৌরভ দেবা'কে কিছু না বলে চুপচাপ দেবার কাজকর্ম আর চোখের মুখের দিকে নজর রাখলো। যে ছেলেটা পড়াশোনার বাইরে কথা বলত না, আজ তার মুখে প্রেম কথাটা শুনে বেশ রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিল সৌরভ।
অবশেষে বুঝলো আসল রহস্য। বুঝে শুনেই ঠিক জায়গায় কোপটা মারলো সৌরভ। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে বলল, " তৃষা দিন দিন যেন খুব অহংকারী হয়ে যাচ্ছে। তাই না দেবা ?
এরপর আর সারা রাস্তা জুড়ে একটাও কথা বলতে হয়নি সৌরভ'কে। তৃষার প্রশংসায় দেবা পঞ্চমুখ।
তারপর আর দেরি কিসের !!
প্রোপোজ থেকে রিজেকশন খুব দ্রুত ঘটেছিল। তবুও রিজেকশনে দেবা'র কাতর অনুরোধে হোক আর তৃষার ইচ্ছায় হোক বন্ধুত্ব দুজনই টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
তারপর প্রায় দুজনে গল্প করত এবং এটার গভীরতা এতটাই বেশি ছিল যে দেবা একপ্রকার বিশ্বাস করেই ফেলেছিল যে তৃষা ওকে ভালোবাসে। তারপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এলো। ঈশ্বরের ইচ্ছায় দুজনেই ভালো নম্বর পেলো। কলেজে উঠলো কিন্তু দুজনের দুটি কলেজ,দেবা ফিজিক্স অনার্স আর তৃষা জেলারেল সায়েন্স। তৃষা একদিন হঠাৎ দেবা'কে এস এম এস করলো, "তুই আমাকে সত্যি ভালোবাসিস ?"
দেবা সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই দিল, " হ্যাঁ, একদম।" সঙ্গে লাভ ইমোজি।
দেবা নিশ্চয় তার পরের কথার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তৃষা লিখলো, " তুই আমাকে ভুলে যা, আমার আর তোর দুজনের পথ আলাদা। এছাড়াও আমরা সমবয়সী। তাই এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।"
সত্যি বলতে দেবার ভাবতে ইচ্ছেই করছিল না। কার দোষ, কেন এমন সিদ্ধান্ত ! কিন্তু ভালোবাসার খাতিরেই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক যেহেতু দেবা তৃষার সব সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মেনে নিয়েছে, তাই সেদিনও শেষ ভালোবাসাটুকুও বিশ্বাসের সাথেই সমর্পণ করেছিল। তৃষার WhatsApp ডিপি সেদিনই শেষবার দেখেছিল দেবা। ওর about এর ও শেষবার দেখেছিল, লেখা ছিল, 'গলির কোণে, তোমার মনে অপেক্ষারাও যদি বীজ বোনে, আমার জন্য এনে দিও একটা গোলাপ' পরের লাইনটি যোগ করে সেদিন থেকেই আজও দেবার একই WhatsApp about আছে, 'গলির কোণে, তোমার মনে অপেক্ষারাও যদি বীজ বোনে, আমার জন্য এনে দিও একটা গোলাপ,প্রিয় আজ এখানেই বন্ধ হোক আমাদের বার্তালাপ।'
আজ দেবা সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। সৌরভেরও অন্য কলেজ তাই দেখা হয়নি বহুদিন হল। সময়ের স্রোতে কথাগুলোও যেন ভেসে গেছে সব। আজ যেন সেইসব বন্ধুদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে মনে হয়। দেবা জানে না আজ কোন বন্ধু কোন কলেজে থাকে, কোথায় থাকে। মাঝে মাঝে ভাবে ফোন করে খোঁজ নেবে কিন্তু পরে আর 'সময়', ভুল বললাম বোধ হয়, 'ইচ্ছে' হয়ে ওঠে না।
আজ সকালেই দেবা মেস থেকে বাড়ি ফিরেছে। দুদিন থেকে আবার চলে যাবে। তাই বিকেলবেলাটা পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য রেখেছে দেবা।
সৌরভকে আজ তৃষার বিষয়ে সব কথা বলেছে দেবা। সৌরভ জানত তবে সবটা নয়। তৃষার সাথে দেবার কথা হয়নি আজ একটা বছরেও বেশি। আসলে কেমন করে যেন দূরত্ব তৈরি হয়েছে দুজনেরই। আজ তৃষাকে ফোন করতে যেন দেবার কোনো একটা অজ্ঞাত কারণে অস্বস্তি হয়। কিন্তু দেবা এটা উপলব্ধি করে যে তৃষাকে ও অনেক বেশি ভালোবাসে। মাঝে মাঝে ভাবে ফোন করে খোঁজ নি, কিন্তু পারে না। কেন পারে না, সেটা দেবার অজানা।
---"হ্যালো, তৃষা কি করছিস ?"
---"বল সৌরভ, এই তো ঘুম থেকে উঠলাম।"
--- দেখ, তোর সাথে কে কথা বলতে চাই।
বলেই ফোনটা সৌরভ দেবার হাতে দিয়ে দিল। ফোনের ওপারে তৃষা বারবার বলছে, "কে ? কে কথা বলতে চাই সৌরভ ?"
দেবা বার দুয়েক ঢোক গিলে বললো, " হ্যালো তৃষা, আমি দেবা বলছি।"
--- ওহ্ ! বল দেবা ।
--- কেমন আছিস !
--- এই চলছে কোনোরকমে। এখন মেসে থাকি, আজ সকালেই ফিরেছি, তাই সৌরভের সাথে দেখা করতে এলাম।
--- ওহ্।
একটু দুজনেই চুপ থেকে তৃষা বললো, "ভালো কথা, আমি তোর সবকটি লেখায় পড়েছি। খুব সুন্দর লিখিস তুই। আমার খুব ভালো লাগে। ভাবি ফেসবুকে কমেন্ট করবো কিন্তু সে আর হয়ে ওঠে না।"
--- বেশ! মাঝে মধ্যে একটু আধটু স্মৃতিচারণা করি আর কি !! আরও একটা লেখা চলছে, শেষ হলেই ফেবুতে পোস্ট করবো পড়ে জানাস। কেমন হলো !
মিনিট দশেক কথা বলার পর দেবা আর তৃষা দুজনই বুঝলো তাদের স্টক শেষ। 'ভালো থাকিস' বলার সময় এসেছে।
কেন জানে না দেবা, আজ মনটা বড্ড ফুরফুরে লাগছে। হতে পারে তৃষার সাথে কথা বলে বা ভালো একজনকে পাঠক হিসেবে পেয়ে বা হতে পারে 'দীর্ঘদিন পুকুরে থাকা মাছটি আবার নদীর সন্ধান পেয়েছে' বলে.........
সমাপ্ত
আজ থেকে প্রায় বছর চারেক আগে দেবাকর বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হয়েছিল প্রেমডালি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেখানেই দেখা হয় সৌরভের সাথে। ধীরে ধীরে যেন খুব কাছের একটা বন্ধু হয়ে উঠেছিল সৌরভ, এক কথায় বলা যেতে পারে সুখ দুঃখের অংশীদার। একই ডিপার্টমেন্টে লাজুক প্রিয় দেবা'র একজন বান্ধবীও জুটে যাই, নাম তৃষা। হ্যাঁ, ও বান্ধবীই ছিল, সেই তোমাদের so called 'just friend'. কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ তো বলেছিলেন যে একটা ছেলে ও একটা মেয়ের মধ্যে কখনও বন্ধুত্ব হতে পারে না। একটা ছেলে ও একটা মেয়ে কাছাকাছি থাকলে তারা প্রেমে পড়বেই। আর এই কথাটাই হল দেবা'র প্রেমের সূত্রপাত। দেবা শয়নে স্বপনে ভাবতে লাগলো তৃষার কথা। মনে মনে ভাবল 'ও তৃষাকে ভালোবেসে ফেলেছে' কিন্তু কাউকে বললো না। ক্লাসে বারবার তৃষার দিকে ফিরেই যেন ভাবনায় ডুবে থাকত। কেমিস্ট্রি ক্লাসে কোন ইলেকট্রন কোন নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘুরলো তাতে দেবা'র বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ও শুধু এটুকু জানে, ও ইলেকট্রন আর ওর নিউক্লিয়াস তৃষা।
যার মন সবসময় প্রেম প্রেম গন্ধে বিভোর সে তো সবার মধ্যেই প্রেমের আবহ পাবে এটাই স্বাভাবিক। দেবা এবার সৌরভের পিছনে পড়ে খুঁজে বের করলো, সৌরভ নাকি মধুমিতা'র প্রেমে পড়েছে। ঠিক তখনই হলো সমস্যা। সৌরভ ঠিক বুঝলো, 'চোরের মন পুলিশ পুলিশ'। সৌরভ দেবা'কে কিছু না বলে চুপচাপ দেবার কাজকর্ম আর চোখের মুখের দিকে নজর রাখলো। যে ছেলেটা পড়াশোনার বাইরে কথা বলত না, আজ তার মুখে প্রেম কথাটা শুনে বেশ রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিল সৌরভ।
অবশেষে বুঝলো আসল রহস্য। বুঝে শুনেই ঠিক জায়গায় কোপটা মারলো সৌরভ। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে বলল, " তৃষা দিন দিন যেন খুব অহংকারী হয়ে যাচ্ছে। তাই না দেবা ?
এরপর আর সারা রাস্তা জুড়ে একটাও কথা বলতে হয়নি সৌরভ'কে। তৃষার প্রশংসায় দেবা পঞ্চমুখ।
তারপর আর দেরি কিসের !!
প্রোপোজ থেকে রিজেকশন খুব দ্রুত ঘটেছিল। তবুও রিজেকশনে দেবা'র কাতর অনুরোধে হোক আর তৃষার ইচ্ছায় হোক বন্ধুত্ব দুজনই টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
তারপর প্রায় দুজনে গল্প করত এবং এটার গভীরতা এতটাই বেশি ছিল যে দেবা একপ্রকার বিশ্বাস করেই ফেলেছিল যে তৃষা ওকে ভালোবাসে। তারপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এলো। ঈশ্বরের ইচ্ছায় দুজনেই ভালো নম্বর পেলো। কলেজে উঠলো কিন্তু দুজনের দুটি কলেজ,দেবা ফিজিক্স অনার্স আর তৃষা জেলারেল সায়েন্স। তৃষা একদিন হঠাৎ দেবা'কে এস এম এস করলো, "তুই আমাকে সত্যি ভালোবাসিস ?"
দেবা সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই দিল, " হ্যাঁ, একদম।" সঙ্গে লাভ ইমোজি।
দেবা নিশ্চয় তার পরের কথার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তৃষা লিখলো, " তুই আমাকে ভুলে যা, আমার আর তোর দুজনের পথ আলাদা। এছাড়াও আমরা সমবয়সী। তাই এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।"
সত্যি বলতে দেবার ভাবতে ইচ্ছেই করছিল না। কার দোষ, কেন এমন সিদ্ধান্ত ! কিন্তু ভালোবাসার খাতিরেই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক যেহেতু দেবা তৃষার সব সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মেনে নিয়েছে, তাই সেদিনও শেষ ভালোবাসাটুকুও বিশ্বাসের সাথেই সমর্পণ করেছিল। তৃষার WhatsApp ডিপি সেদিনই শেষবার দেখেছিল দেবা। ওর about এর ও শেষবার দেখেছিল, লেখা ছিল, 'গলির কোণে, তোমার মনে অপেক্ষারাও যদি বীজ বোনে, আমার জন্য এনে দিও একটা গোলাপ' পরের লাইনটি যোগ করে সেদিন থেকেই আজও দেবার একই WhatsApp about আছে, 'গলির কোণে, তোমার মনে অপেক্ষারাও যদি বীজ বোনে, আমার জন্য এনে দিও একটা গোলাপ,প্রিয় আজ এখানেই বন্ধ হোক আমাদের বার্তালাপ।'
আজ দেবা সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। সৌরভেরও অন্য কলেজ তাই দেখা হয়নি বহুদিন হল। সময়ের স্রোতে কথাগুলোও যেন ভেসে গেছে সব। আজ যেন সেইসব বন্ধুদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে মনে হয়। দেবা জানে না আজ কোন বন্ধু কোন কলেজে থাকে, কোথায় থাকে। মাঝে মাঝে ভাবে ফোন করে খোঁজ নেবে কিন্তু পরে আর 'সময়', ভুল বললাম বোধ হয়, 'ইচ্ছে' হয়ে ওঠে না।
আজ সকালেই দেবা মেস থেকে বাড়ি ফিরেছে। দুদিন থেকে আবার চলে যাবে। তাই বিকেলবেলাটা পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য রেখেছে দেবা।
সৌরভকে আজ তৃষার বিষয়ে সব কথা বলেছে দেবা। সৌরভ জানত তবে সবটা নয়। তৃষার সাথে দেবার কথা হয়নি আজ একটা বছরেও বেশি। আসলে কেমন করে যেন দূরত্ব তৈরি হয়েছে দুজনেরই। আজ তৃষাকে ফোন করতে যেন দেবার কোনো একটা অজ্ঞাত কারণে অস্বস্তি হয়। কিন্তু দেবা এটা উপলব্ধি করে যে তৃষাকে ও অনেক বেশি ভালোবাসে। মাঝে মাঝে ভাবে ফোন করে খোঁজ নি, কিন্তু পারে না। কেন পারে না, সেটা দেবার অজানা।
---"হ্যালো, তৃষা কি করছিস ?"
---"বল সৌরভ, এই তো ঘুম থেকে উঠলাম।"
--- দেখ, তোর সাথে কে কথা বলতে চাই।
বলেই ফোনটা সৌরভ দেবার হাতে দিয়ে দিল। ফোনের ওপারে তৃষা বারবার বলছে, "কে ? কে কথা বলতে চাই সৌরভ ?"
দেবা বার দুয়েক ঢোক গিলে বললো, " হ্যালো তৃষা, আমি দেবা বলছি।"
--- ওহ্ ! বল দেবা ।
--- কেমন আছিস !
--- এই চলছে কোনোরকমে। এখন মেসে থাকি, আজ সকালেই ফিরেছি, তাই সৌরভের সাথে দেখা করতে এলাম।
--- ওহ্।
একটু দুজনেই চুপ থেকে তৃষা বললো, "ভালো কথা, আমি তোর সবকটি লেখায় পড়েছি। খুব সুন্দর লিখিস তুই। আমার খুব ভালো লাগে। ভাবি ফেসবুকে কমেন্ট করবো কিন্তু সে আর হয়ে ওঠে না।"
--- বেশ! মাঝে মধ্যে একটু আধটু স্মৃতিচারণা করি আর কি !! আরও একটা লেখা চলছে, শেষ হলেই ফেবুতে পোস্ট করবো পড়ে জানাস। কেমন হলো !
মিনিট দশেক কথা বলার পর দেবা আর তৃষা দুজনই বুঝলো তাদের স্টক শেষ। 'ভালো থাকিস' বলার সময় এসেছে।
কেন জানে না দেবা, আজ মনটা বড্ড ফুরফুরে লাগছে। হতে পারে তৃষার সাথে কথা বলে বা ভালো একজনকে পাঠক হিসেবে পেয়ে বা হতে পারে 'দীর্ঘদিন পুকুরে থাকা মাছটি আবার নদীর সন্ধান পেয়েছে' বলে.........
সমাপ্ত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১১/০৩/২০২৩সৌরভের সুন্দর বন্ধুত্ব আর দেবা ও তৃষ্ণার একটা অপরিষ্ফুট প্রেমের পবিত্র কাহিনী খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে । ভাল লাগলো লেখা, শুভেচ্ছা জানবেন ।
-
দীপঙ্কর বেরা ০৬/০৩/২০২৩ভাল লাগল।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/০৩/২০২৩সুন্দর গল্প
-
তরুন ইউসুফ ০৫/০৩/২০২৩চমৎকার
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৩/২০২৩লেখা খুব ভালো লাগলো।