সে তো অভিমানিনী
জানি না, কেমন আছো, কোথায় আছো, কি করো! না...... আজ আর কিছুই জানি না। তবে..... জানতে চাওয়ার আগ্রহটা ঠিক আগের মতোই আছে। আজও কখনও তোমার কথা মনে আসতেই বারবার বলতে ইচ্ছে হয়, আমি তোমায় ভালোবাসি। হ্যাঁ, আজ বছর তিনেক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও মনে হয়, আরও একবার তোমায় প্রোপোজ করি সেই প্রথমবারের মতো। সেই প্রথমবার যেমন টিউশন শেষে তোমার হাতে দু'পাতা লম্বা একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলাম, বাড়িতে গিয়ে পড়ে রাতে জানিয়ে দিস, মনে হয় সুযোগটা যদি আরও একবার পেতাম তাহলে আরও একটু চিঠিটা বড়ো করতাম, ভীড় করত আরও কিছু অনুভূতি। তোমার দিকের সম্মতিটা একটু দূর্বল থাকলেও আমার রেগুলার টুকরো টুকরো কবিতারা তোমার কেমিষ্ট্রি বইয়ের ভাঁজে জায়গা খুঁজে নিয়েছিল। রাত একটা মানেই তখন যেন অনেক আবেগ প্রবণ ছিল সেসময়টা, তোমার অনেকগুলো এস এম এস এর উত্তর আমি ষাটটা শব্দে দেওয়ার চেষ্টা করতাম কারণ ষাট টা শব্দে এক টাকা করে কাটত। জানো, এসব কারণগুলো আজ আমার কাছে নিছক পাগলামী বলে মনে হয় যা আমাকে দুঃখের মাঝে মৃদু হাসতে সাহায্য করে। না সেসময়টা পড়াশোনা ঠিক কতটা করতাম জানি না, তবে ভালোবাসা টা অনেকখানি সময় চেয়ে নিয়েছিল আমার থেকে। তোমার একখানি সাদাকালো ছবি আমার কাছে আজও আছে, ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। ছবিটা আমার বন্ধু হয়ে গেছে আজ, তোমার কথা মনে পড়লে ও আমাকে সব ভুলিয়ে দেয় ক্ষণিকের জন্য।
আচ্ছা, তুমি কি আজও আগের মতো জোরে সাইকেল চালাও, আজও কি তোমার বাড়ির কাছের সেই মোড়টার কাছে এলে আমার কথা মনে পড়ে যেখানে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম। কিন্তু, আজও আমি ঐ রাস্তায় অপেক্ষাকে খুঁজে পাই। আজও আমি সেই সাইবার ক্যাফেতে বসি, যেখানে তুমি মাঝে মাঝে আসতে, আমাদের দেখা হত। জানো, আমি শুধু তোমার জন্য ওখানে যেতাম। আচ্ছা, আজও কি তুমি কারোর সাথে মন খুলে কথা বলো, যেটা তুমি আমার সাথে বলতে, মনের সব কথা এক নিমেষে বলতে চাওয়ার অভ্যাসটা কি আজও আছে ? হয়ত তুমি জানো না, এখনও তোমার প্রতিটি জন্মদিনে আমি তোমার জন্য কবিতা লিখি।
আচ্ছা, কাউকে কি ভালোবাসলে তাকে ভালোবাসি বলতেই হয় ! দূর্বলতা ভালোবাসার স্বরূপ হতে পারে না ! আমি জানি না, ভালোবাসা কাকে বলে, তবে আমার মনে হয়, দু' জনের ভালো থাকাটা, ভালো চাওয়াটা একপ্রকার ভালোবাসা। আর আজ বছর তিনেক পর চাতকের মতো অপেক্ষাকে বলে ভালোবাসা। যেখানে কোনো চাওয়া, পাওয়া থাকে না, শুধু থেকে যাই প্রতিশ্রুতি আর বিশ্বাস।
আমার ভালোবাসা তুমি বুঝতে না, এ আমি বিশ্বাস করি না, তুমি ঠিকই বুঝতে, শুধু ধরা দিতে না। হয়ত তুমিও আমাকে ভালোবাসতে ... তা না হলে তুমি আমাকে এতটা আপন করেছিলে কেন !
প্রতিটি সম্পর্কের শেষে বিরহ থাকাটা কি খুব প্রয়োজন ! আজও নিজেকে খুব অসহায় লাগে যখন মনে পড়ে তোমার সাথে আমার শেষ কথপোকথন । দোষটা হয়ত আমারই ছিল। আচ্ছা, ভালোবাসার মানুষের সাথে কি কখনও কি আড্ডা, ঠাট্টা ইয়ার্কি কিছুই মারতে নেই ? যে মানুষটা জীবনের থেকেও বেশি দামী তাকে নিয়ে ঠিক কতটা সিরিয়াস হতে হয় ! আমার মনে হয়, একটা ভালোবাসায় দু'জনকে দুজনের বোঝাটা সবার আগে দরকার ! আমি সবসময় আমার জীবনে তোমার সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। তাই শেষ দিন যখন তুমি দু'জনের মাঝের দূরত্বের দৈর্ঘ্যটা পরিমাপ করতে চাইলে আমি বারণ করিনি। ভেবেছিলাম, তুমি ফিরে আসবে আমাকে সব মাধ্যম থেকে ব্লক করবে না। কিন্তু কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই সবকিছু উলোট পালট হয়ে গিয়েছিল। আমি সেদিন সারারাত কেঁদেছিলাম, ভেবেছিলাম তুমি ফিরে আসবে ! এমনকি বহুবার সবকিছু ভুলে তোমাকে সরি বলেছি। না সেদিনও তুমি একটুও পেছন ফিরে দেখো নি, ফিরলে দেখতে পেতে একটা ছেলে বন্দি হয়ে আছে অপেক্ষার কারাগারে। আজও সে অপেক্ষা করে আছে, তুমি ফিরবে ! তাকে আনব্লক করে একটাই sms করবে, 'কেমন আছো !'
হয়ত আমাদের জীবনের গল্পে এভাবেই প্রতিটি ভালোবাসা থেকে বিরহ একটা উপন্যাসের উপখ্যান হয়েই রয়ে যাই। শুধু দুই প্রান্তের দুটি মানুষের মনের ভাবটা প্রকাশ করার মাধ্যমটা আজও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিছুটা পাগলামী সত্যি খুব দরকার ছিল সেদিন যেটা না হলে স্মৃতিগুলো এতটা মধুর হত না। আজও যখন তোকে ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে দেখি, তখন খুব মিস্ করি । যখনই তোর সাথে অন্য কারোর ছবি দেখি, তখন খুব হিংসে হয়, রাগ হয়। জানি না কেন, তোকে আজও আগের মতোই ভালোবাসি। ভালো থাকিস সবসময়।
সমাপ্ত
আচ্ছা, তুমি কি আজও আগের মতো জোরে সাইকেল চালাও, আজও কি তোমার বাড়ির কাছের সেই মোড়টার কাছে এলে আমার কথা মনে পড়ে যেখানে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম। কিন্তু, আজও আমি ঐ রাস্তায় অপেক্ষাকে খুঁজে পাই। আজও আমি সেই সাইবার ক্যাফেতে বসি, যেখানে তুমি মাঝে মাঝে আসতে, আমাদের দেখা হত। জানো, আমি শুধু তোমার জন্য ওখানে যেতাম। আচ্ছা, আজও কি তুমি কারোর সাথে মন খুলে কথা বলো, যেটা তুমি আমার সাথে বলতে, মনের সব কথা এক নিমেষে বলতে চাওয়ার অভ্যাসটা কি আজও আছে ? হয়ত তুমি জানো না, এখনও তোমার প্রতিটি জন্মদিনে আমি তোমার জন্য কবিতা লিখি।
আচ্ছা, কাউকে কি ভালোবাসলে তাকে ভালোবাসি বলতেই হয় ! দূর্বলতা ভালোবাসার স্বরূপ হতে পারে না ! আমি জানি না, ভালোবাসা কাকে বলে, তবে আমার মনে হয়, দু' জনের ভালো থাকাটা, ভালো চাওয়াটা একপ্রকার ভালোবাসা। আর আজ বছর তিনেক পর চাতকের মতো অপেক্ষাকে বলে ভালোবাসা। যেখানে কোনো চাওয়া, পাওয়া থাকে না, শুধু থেকে যাই প্রতিশ্রুতি আর বিশ্বাস।
আমার ভালোবাসা তুমি বুঝতে না, এ আমি বিশ্বাস করি না, তুমি ঠিকই বুঝতে, শুধু ধরা দিতে না। হয়ত তুমিও আমাকে ভালোবাসতে ... তা না হলে তুমি আমাকে এতটা আপন করেছিলে কেন !
প্রতিটি সম্পর্কের শেষে বিরহ থাকাটা কি খুব প্রয়োজন ! আজও নিজেকে খুব অসহায় লাগে যখন মনে পড়ে তোমার সাথে আমার শেষ কথপোকথন । দোষটা হয়ত আমারই ছিল। আচ্ছা, ভালোবাসার মানুষের সাথে কি কখনও কি আড্ডা, ঠাট্টা ইয়ার্কি কিছুই মারতে নেই ? যে মানুষটা জীবনের থেকেও বেশি দামী তাকে নিয়ে ঠিক কতটা সিরিয়াস হতে হয় ! আমার মনে হয়, একটা ভালোবাসায় দু'জনকে দুজনের বোঝাটা সবার আগে দরকার ! আমি সবসময় আমার জীবনে তোমার সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। তাই শেষ দিন যখন তুমি দু'জনের মাঝের দূরত্বের দৈর্ঘ্যটা পরিমাপ করতে চাইলে আমি বারণ করিনি। ভেবেছিলাম, তুমি ফিরে আসবে আমাকে সব মাধ্যম থেকে ব্লক করবে না। কিন্তু কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই সবকিছু উলোট পালট হয়ে গিয়েছিল। আমি সেদিন সারারাত কেঁদেছিলাম, ভেবেছিলাম তুমি ফিরে আসবে ! এমনকি বহুবার সবকিছু ভুলে তোমাকে সরি বলেছি। না সেদিনও তুমি একটুও পেছন ফিরে দেখো নি, ফিরলে দেখতে পেতে একটা ছেলে বন্দি হয়ে আছে অপেক্ষার কারাগারে। আজও সে অপেক্ষা করে আছে, তুমি ফিরবে ! তাকে আনব্লক করে একটাই sms করবে, 'কেমন আছো !'
হয়ত আমাদের জীবনের গল্পে এভাবেই প্রতিটি ভালোবাসা থেকে বিরহ একটা উপন্যাসের উপখ্যান হয়েই রয়ে যাই। শুধু দুই প্রান্তের দুটি মানুষের মনের ভাবটা প্রকাশ করার মাধ্যমটা আজও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিছুটা পাগলামী সত্যি খুব দরকার ছিল সেদিন যেটা না হলে স্মৃতিগুলো এতটা মধুর হত না। আজও যখন তোকে ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে দেখি, তখন খুব মিস্ করি । যখনই তোর সাথে অন্য কারোর ছবি দেখি, তখন খুব হিংসে হয়, রাগ হয়। জানি না কেন, তোকে আজও আগের মতোই ভালোবাসি। ভালো থাকিস সবসময়।
সমাপ্ত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইমরান ইমন ০৯/০১/২০২৩বিশ্বাস হারিয়ে যায়, ভালোবাসা থাকুক। সুন্দর।
-
মীর মামুন হোসেন ৩০/১২/২০২২দারুণ
-
ফয়জুল মহী ২৯/১২/২০২২ভীষণ মুগ্ধ হলাম।