স্যাক্রিফাইস
"তোমাকে একদিন বলেছি না, যে জিনিস যেখান থেকে নেবে সেটা সেখানেই রাখবে।" টিভির রিমোটটা খুঁজতে খুঁজতে নবনীতা দেবী কমলেশ বাবুকে বললেন। বই থেকে মাথা তুলে কমলেশ বাবু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, " ঐ তো বালিশটার নীচে বোধ হয়। একটু নিয়ে নাও প্লিজ। " এর পর নবনীতার কথাটা যে কি সেটা কমলেশ আজ বাইশ বছর ধরে শুনে আসছে। বালীশটা তুলে রিমোটটা নিতে নিতে নবনীতা বললেন,"তোমায় নিয়ে আর পারা গেল না। " সানসাইনের এগারো নম্বর রুমে্ কমলেশ আর নবনীতার এই ক্ষণস্থায়ী গন্ডগোল মাঝে মাঝে মাত্রাতিরিক্ত রূপও নেয় বটে। সন্ধ্যার পর বাংলা হোক বা হিন্দি সিরিয়াল দেখে না এমন বাঙালি প্রাপ্ত বয়স্ক ভদ্র মহিলা খুব কমই আছেন বাংলা জুড়ে। টিভি দেখতে দেখতে নবনীতা দেবী বললেন, কাল বাজার থেকে ফেরার পথে অল্প করে চিংড়ি আনবে তো, চন্দ্রা দি একটা ছোটো লাউ দিয়েছেন। লাউ চিংড়ি অনেকদিন খাওয়া হয়নি। কমলেশ বাবু 'অর্পিতা সরকারের প্রিয় পঁচিশ' থেকে মাথা না তুলেই বললেন,"তা মন্দ বলোনি। অবশ্য আনবো।" এভাবেই সামান্য মুখ বলাবলি ধীরে ধীরে বদলে যায় মেঘলা আকাশ থেকে পরিষ্কার আকাশে। হঠাৎ ই সানসাইনের বারো নম্বর রুম থেকে ভেসে আসলো একটা কাচ ভাঙার আওয়াজ সঙ্গে অস্পষ্ট চিৎকার। "এটা কোনো রান্না হল ,মানুষে খায় ! কতবার বলেছি একটা কাজের লোক রাখি,তাও রাখতে দেবে না ইত্যাদি ইত্যাদি " গ্লাস ভাঙা বা অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙার আওয়াজের সাথে সাথে এই কথাগুলো ভেসে আসছে আশেপাশের রুমগুলোতে। নবনীতা দেবী জানেন এই কন্ঠটা টা রুদ্রনীলের এমনকি রুদ্রনীলের স্ত্রী শ্রাবনী কেন কাজের লোক রাখতে চায় না সেটাও নবনীতা জানেন। রুদ্রনীল একজন বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্যাশ অ্যাকাউন্টেড আর শ্রাবনী গৃহবধূ। তাদের জোটের সংসারের আয় খুব বেশি নয়। যেহেতু শ্রাবনী নিজে আয় করেন না সেজন্য সে একদম চায় না এই সামান্য আয়ের মধ্যে কাজের মাসি রেখে নিজে শুয়ে বসে কাটাতে।
নবদম্পতি রুদ্রনীল ও শ্রাবনীর প্রতিশ্রুতির বয়স এক বছর মতো হলো। সেই উপলক্ষেই স্বামীকে অবাক করে দিতে স্বামীকে না জানিয়েই ইউটিউব দেখে বিরিয়ানি করেছিলো শ্রাবনী। ভেবেছিল , রুদ্রনীল খুব খুশি হবে তার হঠাৎ আয়োজনে, কিন্তু হলোটা হীতে বিপরীত।
নবনীতা দেবী ইতিমধ্যেই টিভিটা বন্ধ করেছেন। কমলেশ বাবু তখনও প্রীয় পঁচিশেই নিমগ্ন। নবনীতা দেবী এক পা দু পা করে এগিয়ে যাচ্ছেন আর ভাবছেন রুম বারোতে যাবেন কিনা। পিছন থেকে কমলেশ বাবু হাতটা ধরে বললেন, "চলো, আমিও তোমার সঙ্গে যাই।" বারো নম্বর রুমের দরজার কাছে আসতেই নবনীতা দেবী আর কমলেশ বাবু শুনতে পেলেন একটা চাঁপা কান্নার আওয়াজ। কমলেশ বাবু দরজায় করাঘাত করতেই দরজা খুলে গেল। ভিতরে ঢুকে দেখলেন, একটু দূরে মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছেন রুদ্রনীল আর তার থেকে আরও কিছুটা দূরে শ্রাবনী। নবনীতা দেবী শ্রাবনীর পাশে দাঁড়ালেন। ওর চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে, রুদ্রনীল ওর গায়ে হাত দিয়েছে। সারাটা ঘর জুড়ে ভাঙা চোরা জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। কমলেশ বাবু রুদ্রনীলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, বললেন," তোমরা শুনেছি একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলে এটাই কি সঠিক ভালোবাসার নমুনা। যেখানে তুমি স্যাক্রিফাইস করতেই জানো না.... ।" রুদ্রনীল রেগে গিয়ে বললেন," থাক, আপনাকে আর জ্ঞান দিতে হবে না।" এবার নবনীতা দেবী মুখ খুললেন। বললেন, " এই ছেলে, তুমি এখনও বড়োদের প্রয়োজনীয় সম্মান টুকু দিতে জানো না দেখছি। তুমি জানো, শ্রাবনী তোমার খুশির জন্য কি কি করে ! ও নিজে রান্না করতে পারে না বলে, আমার কাছ থেকে শুনে নিয়ে রান্না করে যাতে তুমি খুশি হও। আজ তোমাকে অবাক করে দিতে সম্পূর্ণ নিজে রান্না করেছে, আজ তোমাদের বিবাহ বার্ষিকী, তুমি ভুলে গেলেও ও কিন্তু ঠিক মনে রেখেছে।" এই সঙ্গে অনেকগুলো কথা বলে একটু হাঁফ ছাড়লেন নবনীতা দেবী। তারপর আবার বললেন," আগে নিজের স্ত্রীকে বুঝতে শেখো। ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তগুলোকে ভাগ করে নিতে শেখো। তবেই একদিন প্রকৃত স্বামী হতে পারবে।" রুদ্রনীল একটা অস্বস্থি প্রকাশ করছে দেখে নবনীতা দেবী স্বামীকে নিয়ে বেরিয়ে আসলেন ঘর থেকে।
এর বেশ কিছুদিন পর
একদিন রবিবারের বিকালে আবার সানসাইনের এগারো নম্বর রুমে ঘটল এক অঘটন। না তবে কোনো ভাঙা চোরার আওয়াজ কারোর কাজে বিঘ্ন ঘটায় নি বরং তাদের আজকের গন্ডোগোল পাল্টে দিল দুটো মানুষের ভাবনা চিন্তার নকশা। তাদের স্যাক্রিফাইস নামক যে ভিত্তি বিয়ের বাইশ বছর ধরে বজায় ছিল, তা আজ যেন একটা দোষারোপের মিথ্যা ভারে ভেঙে পড়লো। হ্যাঁ একটা দোষারোপ, যেখানে একটু সময়ের দরকার এটা বুঝতে যে সবটাই ভীত্তিহীন। কমলেশ বাবু বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিল নবনীতা দেবীকে, মেয়ের সাংসারিক জীবন সুখী নয় সেটার জন্য কমলেশ বাবু নিজে দায়ি নয়, এমনকি নবনীতা দেবীও দায়ি নয় বরং এভাবে মেয়ের অসুখী জীবনের দায়ভার কাউকেই দেওয়া যায় না। কিন্তু নবনীতা দেবী সেকথা মানতে নারাজ। তার মতে কমলেশ বাবুই একমাত্র দায়ী। শেষ পর্যন্ত , নবনীতা দেবী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর সব শান্ত।
কমলেশ বাবু একা বসে আছেন। সামনে খোলা আছে 'প্রিয় পঁচিশ' এর 'অগোছালো সংসার'।কয়েক লাইন পড়েই তিনি আর পড়তে পারলেন না। একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন বইটির দিকে। চোখ থেকে জল গড়িয়ে আসছে, নিজের অজান্তেই।
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল। কমলেশ বাবু ভাবলেন তার নবনীতা বোধ হয়। কিন্তু দরজা খুলতেই দেখেন সামনে রুদ্রনীল। বললেন, " ভিতরে আসতে পারি !" কমলেশ বাবু কিছু না বলেই চলে যেতে দেখে রুদ্রনীল ভিতরে প্রবেশ করলেন। তারপর বললেন," কি ব্যাপার ! ক'দিন আগে আমাকে তো খুব সাক্রিফাইস নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছিলেন আজ আপনার চোখে জল কেন , কমলেশ বাবু ! বাইশ বছরের স্যাক্রিফাইস এর ফলেই কি আপনার স্ত্রী ঘর ছাড়া। ইত্যাদি। কমলেশ বাবু কিছু চুপ করে থেকে বললেন, " ও ফিরে আসবেই, আমার বিশ্বাস, আমার বাইশ বছরের স্যাক্রিফাইস সেটাই বলছে। রুদ্রনীল একটু কেশে গলাটা পরিস্কার করে বললেন," হুম। আমিও সেটাই দেখতে চাই।" রুদ্রনীল আর কমলেশ মুখোমুখি বসে ছিল। রুদ্রনীল বললেন, আপনার স্ত্রীর চলে যাওয়ার কারণ আপনার বাইশ বছরের ভালোবাসা কি বলছে ? কমলেশ বাবু একটু হেসে বললেন, " উত্তরটা পিছনে তাকালেই পেয়ে যাবে।" রুদ্রনীল পিছনে ঘুরে দেখলেন, নবনীতা দেবী ঘরে ঢুকে সোজা তার দিকেই আসছেন। রুদ্রনীলের কাছে এসে নবনীতা দেবী বললেন," চলে যাওয়ার কারণ জানতে চাও। জেনে রেখো এটাও একটা স্যাক্রিফাইস। আমি কিছুক্ষনের জন্য চলে না গেলে গন্ডগোল আরও বড়ো আকার ধারণ করতে পারতো। এসব তোমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ ভালোবাসার গায়ে যে মানুষটা হাত তোলে সে কখনও আত্মত্যাগী হতে পারে না। ভালোবাসা পেতে গেলে আগে ভালোবাসা বুঝতে হয়।" রুদ্রনীল একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। নবনীতা দেবী , কমলেশ বাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি ওর সাথে একটু গল্প করতে থাকো , আমি ততক্ষনে তিন কাপ চা নিয়ে আসি।
শুভজিৎ -এর কলমে
#ছোটোগল্প
নবদম্পতি রুদ্রনীল ও শ্রাবনীর প্রতিশ্রুতির বয়স এক বছর মতো হলো। সেই উপলক্ষেই স্বামীকে অবাক করে দিতে স্বামীকে না জানিয়েই ইউটিউব দেখে বিরিয়ানি করেছিলো শ্রাবনী। ভেবেছিল , রুদ্রনীল খুব খুশি হবে তার হঠাৎ আয়োজনে, কিন্তু হলোটা হীতে বিপরীত।
নবনীতা দেবী ইতিমধ্যেই টিভিটা বন্ধ করেছেন। কমলেশ বাবু তখনও প্রীয় পঁচিশেই নিমগ্ন। নবনীতা দেবী এক পা দু পা করে এগিয়ে যাচ্ছেন আর ভাবছেন রুম বারোতে যাবেন কিনা। পিছন থেকে কমলেশ বাবু হাতটা ধরে বললেন, "চলো, আমিও তোমার সঙ্গে যাই।" বারো নম্বর রুমের দরজার কাছে আসতেই নবনীতা দেবী আর কমলেশ বাবু শুনতে পেলেন একটা চাঁপা কান্নার আওয়াজ। কমলেশ বাবু দরজায় করাঘাত করতেই দরজা খুলে গেল। ভিতরে ঢুকে দেখলেন, একটু দূরে মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছেন রুদ্রনীল আর তার থেকে আরও কিছুটা দূরে শ্রাবনী। নবনীতা দেবী শ্রাবনীর পাশে দাঁড়ালেন। ওর চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে, রুদ্রনীল ওর গায়ে হাত দিয়েছে। সারাটা ঘর জুড়ে ভাঙা চোরা জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। কমলেশ বাবু রুদ্রনীলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, বললেন," তোমরা শুনেছি একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলে এটাই কি সঠিক ভালোবাসার নমুনা। যেখানে তুমি স্যাক্রিফাইস করতেই জানো না.... ।" রুদ্রনীল রেগে গিয়ে বললেন," থাক, আপনাকে আর জ্ঞান দিতে হবে না।" এবার নবনীতা দেবী মুখ খুললেন। বললেন, " এই ছেলে, তুমি এখনও বড়োদের প্রয়োজনীয় সম্মান টুকু দিতে জানো না দেখছি। তুমি জানো, শ্রাবনী তোমার খুশির জন্য কি কি করে ! ও নিজে রান্না করতে পারে না বলে, আমার কাছ থেকে শুনে নিয়ে রান্না করে যাতে তুমি খুশি হও। আজ তোমাকে অবাক করে দিতে সম্পূর্ণ নিজে রান্না করেছে, আজ তোমাদের বিবাহ বার্ষিকী, তুমি ভুলে গেলেও ও কিন্তু ঠিক মনে রেখেছে।" এই সঙ্গে অনেকগুলো কথা বলে একটু হাঁফ ছাড়লেন নবনীতা দেবী। তারপর আবার বললেন," আগে নিজের স্ত্রীকে বুঝতে শেখো। ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তগুলোকে ভাগ করে নিতে শেখো। তবেই একদিন প্রকৃত স্বামী হতে পারবে।" রুদ্রনীল একটা অস্বস্থি প্রকাশ করছে দেখে নবনীতা দেবী স্বামীকে নিয়ে বেরিয়ে আসলেন ঘর থেকে।
এর বেশ কিছুদিন পর
একদিন রবিবারের বিকালে আবার সানসাইনের এগারো নম্বর রুমে ঘটল এক অঘটন। না তবে কোনো ভাঙা চোরার আওয়াজ কারোর কাজে বিঘ্ন ঘটায় নি বরং তাদের আজকের গন্ডোগোল পাল্টে দিল দুটো মানুষের ভাবনা চিন্তার নকশা। তাদের স্যাক্রিফাইস নামক যে ভিত্তি বিয়ের বাইশ বছর ধরে বজায় ছিল, তা আজ যেন একটা দোষারোপের মিথ্যা ভারে ভেঙে পড়লো। হ্যাঁ একটা দোষারোপ, যেখানে একটু সময়ের দরকার এটা বুঝতে যে সবটাই ভীত্তিহীন। কমলেশ বাবু বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিল নবনীতা দেবীকে, মেয়ের সাংসারিক জীবন সুখী নয় সেটার জন্য কমলেশ বাবু নিজে দায়ি নয়, এমনকি নবনীতা দেবীও দায়ি নয় বরং এভাবে মেয়ের অসুখী জীবনের দায়ভার কাউকেই দেওয়া যায় না। কিন্তু নবনীতা দেবী সেকথা মানতে নারাজ। তার মতে কমলেশ বাবুই একমাত্র দায়ী। শেষ পর্যন্ত , নবনীতা দেবী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর সব শান্ত।
কমলেশ বাবু একা বসে আছেন। সামনে খোলা আছে 'প্রিয় পঁচিশ' এর 'অগোছালো সংসার'।কয়েক লাইন পড়েই তিনি আর পড়তে পারলেন না। একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন বইটির দিকে। চোখ থেকে জল গড়িয়ে আসছে, নিজের অজান্তেই।
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল। কমলেশ বাবু ভাবলেন তার নবনীতা বোধ হয়। কিন্তু দরজা খুলতেই দেখেন সামনে রুদ্রনীল। বললেন, " ভিতরে আসতে পারি !" কমলেশ বাবু কিছু না বলেই চলে যেতে দেখে রুদ্রনীল ভিতরে প্রবেশ করলেন। তারপর বললেন," কি ব্যাপার ! ক'দিন আগে আমাকে তো খুব সাক্রিফাইস নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছিলেন আজ আপনার চোখে জল কেন , কমলেশ বাবু ! বাইশ বছরের স্যাক্রিফাইস এর ফলেই কি আপনার স্ত্রী ঘর ছাড়া। ইত্যাদি। কমলেশ বাবু কিছু চুপ করে থেকে বললেন, " ও ফিরে আসবেই, আমার বিশ্বাস, আমার বাইশ বছরের স্যাক্রিফাইস সেটাই বলছে। রুদ্রনীল একটু কেশে গলাটা পরিস্কার করে বললেন," হুম। আমিও সেটাই দেখতে চাই।" রুদ্রনীল আর কমলেশ মুখোমুখি বসে ছিল। রুদ্রনীল বললেন, আপনার স্ত্রীর চলে যাওয়ার কারণ আপনার বাইশ বছরের ভালোবাসা কি বলছে ? কমলেশ বাবু একটু হেসে বললেন, " উত্তরটা পিছনে তাকালেই পেয়ে যাবে।" রুদ্রনীল পিছনে ঘুরে দেখলেন, নবনীতা দেবী ঘরে ঢুকে সোজা তার দিকেই আসছেন। রুদ্রনীলের কাছে এসে নবনীতা দেবী বললেন," চলে যাওয়ার কারণ জানতে চাও। জেনে রেখো এটাও একটা স্যাক্রিফাইস। আমি কিছুক্ষনের জন্য চলে না গেলে গন্ডগোল আরও বড়ো আকার ধারণ করতে পারতো। এসব তোমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ ভালোবাসার গায়ে যে মানুষটা হাত তোলে সে কখনও আত্মত্যাগী হতে পারে না। ভালোবাসা পেতে গেলে আগে ভালোবাসা বুঝতে হয়।" রুদ্রনীল একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। নবনীতা দেবী , কমলেশ বাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি ওর সাথে একটু গল্প করতে থাকো , আমি ততক্ষনে তিন কাপ চা নিয়ে আসি।
শুভজিৎ -এর কলমে
#ছোটোগল্প
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহিন আলম সরকার ২৩/০৮/২০২২দারুণ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৭/০৮/২০২২বেশ।