পোড়ো বাড়ির রহস্য - পর্ব - ১৩
পর্ব - ১৩
.........................ঘুম থেকে উঠে বাকিটা বলবো।
যখন চোখ খুললাম। তখন প্রায় একটা বাজে। জানি না, এতক্ষণে ইনস্পেক্টর কি করছেন। যাই হোক, পটল আর পেঁচা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, মনে হয় আজ আর আসবে না। আমি তখন হাসির সুরেই বললাম,
"হাল ছেড়ো না বন্ধু আমার
বিশ্বাস রাখো মনে
খুনির সাথে দেখা হবেই
রাত তিনটের পরে।"
পটল জিজ্ঞাসার সুরেই বললো, " তুই কীভাবে জানলি যে খুনি তিনটের সময় আসবে ?" আমি হাসতে হাসতে বললাম, " আগের দিন ২:৩৪ মিনিটে ক্যামেরা অফ হয়ে গিয়েছিল অটোমেটিক। তাহলে খুনি নিশ্চয়ই তার পরেই এসেছিল। বুঝলে বন্ধু !" পেঁচা বললো, " সে তো বুঝলাম। কিন্তু আজ পুতুল রাখা নেই ? " আমি বললাম, " হয়ত রাখেনি। এতদিনে জায়গাটা তো এমনিতেই ভূতের আস্তানা বলে পরিচিত হয়েছে। সেজন্যেই হয়ত রাখেনি। তবে যাই হোক, তোরা আজ ভূতের ভয় পাচ্ছিস না, এটাই ভালো লাগছে।"
আমরা ফিসফিস করে গল্প করছি, ঠিক এমন সময় খড়খড় শব্দে আমরা তিন জনেই সজাগ হয়ে গেলাম। মনে হয়, ওদিকে ইনস্পেক্টরও সজাগ হয়েছেন। মনে হয় কেউ আসছেন এদিকে, সঙ্গে বোধ হয় ভারি কিছু আছে। এতটাই অন্ধকার যেন কিছুই দেখা যাচ্ছে। আমি তবুও অন্ধকার ভেদ করে দেখার চেষ্টা করছি। দেখলাম, কেউ একজন এলো, সেই পোড়ো বাড়ির সামনে। সঙ্গে আরও একজন। তবে তাকে ধরে নিয়ে আসছেন। মুখগুলো বড্ড অস্পষ্ট। শুধু কালো ছায়া থেকেই ধারনা করতে হচ্ছে। ধীরে ধীরে ঐ ব্যক্তিটি অন্য একটা ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে উপরে উঠছেন। ধীরে ধীরে এক ধাপ, দু ধাপ, তিন ধাপ ..... ।
আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমিও খুনির পিছু নিলাম। আমার পিছনে ইনস্পেক্টর কৌশিক সিকদার, পটল আর পেঁচা। খুব ধীরে ধীরে আমরাও খুনির সাথে উপরে উঠলাম। দেখলাম, খুনি খুব কষ্ট করেই অন্য দেহ'টিকে উপরে নিয়ে এলো তারপর সেই ঘরে ঢুকলো যে ঘরে আগেও খুন হয়েছে। আমি দরজার বাইরে থেকে সবকিছু দেখছি। আমরা সামনে মুখোমুখি, দরজার অন্য দিকে ইনস্পেক্টর। দরজা প্রায় বন্ধ। দেখলাম,খুনি ঐ ব্যক্তিটিকে যিনি সম্ভবত অজ্ঞান অবস্থায় আছেন, উনাকে একটা চেয়ারে বসালেন। তারপর হ্যারিকেনটা দেওয়াল থেকে নামালেন। তারপর দেশলাই দিয়ে ধরালেন। টেবিলের উপর রাখলেন, আলোর জ্যোতি খুব স্পষ্ট নয়। কারণ হ্যারিকেনের কাচে কালি পড়েছে, যেটা পরিষ্কার করা হয়নি বহুদিন। সেজন্য কিছুটা আলো ছড়ালেও। সবটুকু স্পষ্ট নয়। মুখ বোঝা যাচ্ছে না।
ঐ অজ্ঞান ব্যক্তিটির ঘাড় একদিকে কাত হওয়া থেকে নিশ্চিত হলাম উনি অজ্ঞান আছেন। যদি মৃত হত তাহলে এত কষ্ট করে উপরে নিয়ে আসতো না।
তারপর, খুনি ঐ অজ্ঞান ব্যক্তিটির দিকে তাকালেন, কিছুটা দৃড়, কিছুটা ভারী, কিছুটা আবেগ আর কিছুটা আফসোস মেশানো কন্ঠে বললেন, " কাকে বিশ্বাস করি বল তো ! বন্ধু, আত্মিয় কাকে বিশ্বাস করবো। সবাই তো বেইমান। স্বার্থপর।"
চলছে ..........
.........................ঘুম থেকে উঠে বাকিটা বলবো।
যখন চোখ খুললাম। তখন প্রায় একটা বাজে। জানি না, এতক্ষণে ইনস্পেক্টর কি করছেন। যাই হোক, পটল আর পেঁচা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, মনে হয় আজ আর আসবে না। আমি তখন হাসির সুরেই বললাম,
"হাল ছেড়ো না বন্ধু আমার
বিশ্বাস রাখো মনে
খুনির সাথে দেখা হবেই
রাত তিনটের পরে।"
পটল জিজ্ঞাসার সুরেই বললো, " তুই কীভাবে জানলি যে খুনি তিনটের সময় আসবে ?" আমি হাসতে হাসতে বললাম, " আগের দিন ২:৩৪ মিনিটে ক্যামেরা অফ হয়ে গিয়েছিল অটোমেটিক। তাহলে খুনি নিশ্চয়ই তার পরেই এসেছিল। বুঝলে বন্ধু !" পেঁচা বললো, " সে তো বুঝলাম। কিন্তু আজ পুতুল রাখা নেই ? " আমি বললাম, " হয়ত রাখেনি। এতদিনে জায়গাটা তো এমনিতেই ভূতের আস্তানা বলে পরিচিত হয়েছে। সেজন্যেই হয়ত রাখেনি। তবে যাই হোক, তোরা আজ ভূতের ভয় পাচ্ছিস না, এটাই ভালো লাগছে।"
আমরা ফিসফিস করে গল্প করছি, ঠিক এমন সময় খড়খড় শব্দে আমরা তিন জনেই সজাগ হয়ে গেলাম। মনে হয়, ওদিকে ইনস্পেক্টরও সজাগ হয়েছেন। মনে হয় কেউ আসছেন এদিকে, সঙ্গে বোধ হয় ভারি কিছু আছে। এতটাই অন্ধকার যেন কিছুই দেখা যাচ্ছে। আমি তবুও অন্ধকার ভেদ করে দেখার চেষ্টা করছি। দেখলাম, কেউ একজন এলো, সেই পোড়ো বাড়ির সামনে। সঙ্গে আরও একজন। তবে তাকে ধরে নিয়ে আসছেন। মুখগুলো বড্ড অস্পষ্ট। শুধু কালো ছায়া থেকেই ধারনা করতে হচ্ছে। ধীরে ধীরে ঐ ব্যক্তিটি অন্য একটা ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে উপরে উঠছেন। ধীরে ধীরে এক ধাপ, দু ধাপ, তিন ধাপ ..... ।
আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমিও খুনির পিছু নিলাম। আমার পিছনে ইনস্পেক্টর কৌশিক সিকদার, পটল আর পেঁচা। খুব ধীরে ধীরে আমরাও খুনির সাথে উপরে উঠলাম। দেখলাম, খুনি খুব কষ্ট করেই অন্য দেহ'টিকে উপরে নিয়ে এলো তারপর সেই ঘরে ঢুকলো যে ঘরে আগেও খুন হয়েছে। আমি দরজার বাইরে থেকে সবকিছু দেখছি। আমরা সামনে মুখোমুখি, দরজার অন্য দিকে ইনস্পেক্টর। দরজা প্রায় বন্ধ। দেখলাম,খুনি ঐ ব্যক্তিটিকে যিনি সম্ভবত অজ্ঞান অবস্থায় আছেন, উনাকে একটা চেয়ারে বসালেন। তারপর হ্যারিকেনটা দেওয়াল থেকে নামালেন। তারপর দেশলাই দিয়ে ধরালেন। টেবিলের উপর রাখলেন, আলোর জ্যোতি খুব স্পষ্ট নয়। কারণ হ্যারিকেনের কাচে কালি পড়েছে, যেটা পরিষ্কার করা হয়নি বহুদিন। সেজন্য কিছুটা আলো ছড়ালেও। সবটুকু স্পষ্ট নয়। মুখ বোঝা যাচ্ছে না।
ঐ অজ্ঞান ব্যক্তিটির ঘাড় একদিকে কাত হওয়া থেকে নিশ্চিত হলাম উনি অজ্ঞান আছেন। যদি মৃত হত তাহলে এত কষ্ট করে উপরে নিয়ে আসতো না।
তারপর, খুনি ঐ অজ্ঞান ব্যক্তিটির দিকে তাকালেন, কিছুটা দৃড়, কিছুটা ভারী, কিছুটা আবেগ আর কিছুটা আফসোস মেশানো কন্ঠে বললেন, " কাকে বিশ্বাস করি বল তো ! বন্ধু, আত্মিয় কাকে বিশ্বাস করবো। সবাই তো বেইমান। স্বার্থপর।"
চলছে ..........
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২০/০১/২০২২অবশেষে দেখা হল...
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৯/০১/২০২২বেশ।
-
ফয়জুল মহী ১৮/০১/২০২২বাহ্ বেশ লিখেছেন.
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০১/২০২২পড়তে ভাল লাগছে।