www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পোড়ো বাড়ির রহস্য - পর্ব - ১২

পর্ব - ১২

.....................তবে একটা সমস্যা আছে । "

পটল সন্দেহ ভরা গভীর চোখে বললো, " আবার কি সমস্যা !!"
আমি বললাম, " খুনি হয়ত এতদিনে জানতে পেরে গিয়েছে, খুনের দিন ঘটনাস্থলে সে ছাড়াও আমি ছিলাম। তাই সে আগামী অমাবস্যাতে নাও তো আসতে পারে !!" পটল বললো, " তাহলে তো প্রতিদিন গিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু বাড়ি থেকে থাকতে দেবে ??" আমি বললাম, " তাছাড়া খুনির মোটিভ কি খুনের পিছনে ?" পটল একটু ভেবে বললো, " হয়ত বাড়িটার প্রতি লোভ, যেহেতু বাড়িটার অবস্থান ও পরিবেশটা খুব সুন্দর।" আমি বললাম, " সেটা একটা সময় ছিল, এখন বাড়িটা তো তোদের ভূতের আস্তাকুঁড়ে হয়ে গিয়েছে। এখনও কারও লোভ থাকতে পারে ?" পটল যেন আনমনেই বললো, " সেটাও তো যথেষ্ট ভাবনার বিষয়।"

পেঁচা মুখটা বাংলা পাঁচের মতো করেই বললো, " তাহলে উপায় ?" আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, " একটা উপায় আছে, এই রহস্য সমাধানের। আর একজন মানুষ আছেন যিনি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।" হালকা আশার রেখা মুখে ফুটিয়ে পটল বললো, " সেই মানুষটা যে খুনি সেটা বুঝলাম কিন্তু উপায়টা কি !"
আমি বললাম, " আগামী অমাবস্যা হতে আর কতদিন বাকি ?" পেঁচা কি সব হিসেব করেই বললো, " আর তিন দিন বাকি।" আমি মৃদু হেসে বললাম, " আচ্ছা "।

বিকেলের দিকে আমি ইনস্পেক্টর কৌশিক সিকদারের সঙ্গে দেখা করলাম। সমগ্র বিষয়'টা তাকে জানালাম না। যে টুকু বললে আমাদের নিজেদের উপরে কোনো দোষারোপ হবে না, সেটুকুই বললাম। যদিও এটুকু স্বার্থপরতা বা তোমরা যাকে বলো 'বেইমানি', আমাকে করতেই হলো।

পরের দিন সকালে আমি পটল আর পেঁচা কে ডেকে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সব ভালো করে বুঝিয়ে দিলাম। আর তারপর যেমন কথা তেমনি কাজ।

আমরা পরের অমাবস্যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর যথারীতি সেই দিন আসলো। যদিও এর মধ্যে পটল একটা প্রশ্ন আমাকে করেছিল যে আমি কীভাবে নিশ্চিত হলাম যে, খুনি আগামী অমাবস্যাতেই পোড়ো বাড়িতে আসবে। কিন্তু আমি ওর প্রশ্নের উত্তর ইচ্ছাকৃতভাবেই দেইনি।

যাই হোক, সন্ধ্যে থেকেই আমাদের পোড়ো বাড়ির উপর নজর রাখতে শুরু করলাম। যদিও আমি কিছুটা হলেও নিশ্চিত ছিলাম যে খুনি রাত আড়াই টের পরেই আসবে। আর সেজন্যই আমি সন্ধ্যে থেকে একটু চোখ বুজিয়ে নিলাম।
না ....! আজ আমি একা নেই। সঙ্গে আছে পটল আর পেঁচা। আর ইনস্পেক্টর কৌশিক সিকদার আমাদের ঠিক বিপরীত দিকে। আমরা কবরস্থানের দিকে ছিলাম আর ইনস্পেক্টর শ্মশানের দিকটাই ছিলেন।

একটু ঘুমিয়ে নেব তবে তার আগে তোমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা জানিয়ে রাখি। আজ মাকে বলে এসেছি। বাবাকেও বলেছি। জ্যাঠামশায় বাড়িতে নেই আজ তাই উনাকে সম্পূর্ণ বিষয়টা জানাতে পারিনি। আর দিদিভাই - এর অফিস থেকে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই দিদিভাইও পুরো বিষয়টা জানে না। এবার ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম থেকে উঠে বাকিটা বলবো।

চলছে ........
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ২২৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/০১/২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • একনিষ্ঠ অনুগত ২০/০১/২০২২
    আছি এখনও...
  • পড়তে থাকি।
 
Quantcast