পোড়ো বাড়ির রহস্য - পর্ব - ১১
পর্ব - ১১
...........পুতুল আর স্পিকার'টা রেখেছিল কে এবং কেন ??
এই প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজতে খুব বেশি ভাবতে হল না। পোড়ো বাড়িটাকে আরও ভয়াবহ আর ভৌতিক করে তোলায় ছিল খুনির একমাত্র লক্ষ্য। আর সেজন্যই বোধ হয়, এই মতলব করেছিল। এতদিনে হয়ত খুনি জানতে পেরে গিয়েছে যে গত অমাবস্যার রাতে ঐ পোড়ো বাড়িতে উনি বাদে আরও একজন ছিল। তার কারণ বিশেষত, আমরা পুতুল আর স্পিকার নিয়ে এসেছিলাম। তাহলে, খুনি সজাক হয়ে যাইনি তো !! তাহলে তো সমস্যা হয়ে যাবে। এটা ভাবতেই যেন সারা শরীরে একটা শিহরণ খেলে গেল। এত পরিশ্রম, এত চেষ্টা সব বৃথা হবে না তো !! এখনও বিষয়টা পুলিশ'কে জানানো হয়নি। কথা দিয়েছিলাম, রহস্য সমাধান করেই জানাবো, তাহলে ......... । এসব যত ভাবছি, ততই যেন বুকের ধরপাকড় বেড়েই চলছে।
পরের দিন সকাল বেলা, দেখা করলাম পটল আর পেঁচার সাথে। ওরা দুজনেই খুব চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে। আর সেটাই স্বাভাবিক।
পটল আমার দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করলো, " কিছু ভাবলি, অগ্নি ! "
আমি মৃদু ঘাড় নেড়ে জানালাম, "এখনও তেমন কিছু ভেবে উঠতেই পারিনি। "
পেঁচা ভয়ে ভয়ে আমার কাছে যেন একপ্রকার মিনতি করেই বললো, " ভাই কিছু একটা কর। এখানে আমাদের জীবনের প্রশ্ন ! "
পটল ওর সম্মতি জানিয়ে বললো, " হ্যাঁ, ভাই।"
আমি ওদের আশ্বাস দিয়ে বললাম, " চিন্তা করতে হবে না। একটা কিছু উপায় বের করবোই। "
তারপর তিনজনেই তিনজনের মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলাম। হয়ত তিনজনের ভাবনা একই সুতোয় গাঁথা। মুখের সেই চিরকালীন হাসির রেখার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না কারও মুখে। 'চিন্তা' নামক বস্তুটা এমনই হয় বুঝি ! প্রত্যেকটি মানুষের খাওয়া, ঘুম সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাকে একাকিত্বের সংঙ্গা বোঝায়। তাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, জীবনের অপর নাম সমস্যা। তোমার জীবনের সমস্যার সমাধান একমাত্র তোমাকেই করতে হবে। যেকোনো মুহুর্তে, যে কোনো পরিস্থিতিতে।
আমি সেই একাকিত্বের রেশ কাটাতে বললাম, " এইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবি, নাকি ওখানে গিয়ে বসবি। দূরে একটা বেঞ্চের দিকে নির্দেশ দিয়েই বললাম কথাটি।
তিনজনেই সেখানে গিয়ে বসলাম।
পেঁচা জিজ্ঞাসা করলো, " আমরা কীভাবে বুঝবো, খুনি আবার কবে ওখানে আসবে?" পটল তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, " গভীর রাতে। " আমি সঙ্গে সঙ্গে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়লাম, " তাই তো। এটা ভাবাই হয়নি। গভীর রাত মানে গভীর অন্ধকার রাত। আর সেটা একদিনেই সম্ভব। অমাবস্যার দিন।" পেঁচা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বললো, " তার মানে আগামী অমাবস্যাতে ! "
আমি বললাম, "হ্যাঁ। তবে একটা সমস্যা আছে । "
চলছে .......
...........পুতুল আর স্পিকার'টা রেখেছিল কে এবং কেন ??
এই প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজতে খুব বেশি ভাবতে হল না। পোড়ো বাড়িটাকে আরও ভয়াবহ আর ভৌতিক করে তোলায় ছিল খুনির একমাত্র লক্ষ্য। আর সেজন্যই বোধ হয়, এই মতলব করেছিল। এতদিনে হয়ত খুনি জানতে পেরে গিয়েছে যে গত অমাবস্যার রাতে ঐ পোড়ো বাড়িতে উনি বাদে আরও একজন ছিল। তার কারণ বিশেষত, আমরা পুতুল আর স্পিকার নিয়ে এসেছিলাম। তাহলে, খুনি সজাক হয়ে যাইনি তো !! তাহলে তো সমস্যা হয়ে যাবে। এটা ভাবতেই যেন সারা শরীরে একটা শিহরণ খেলে গেল। এত পরিশ্রম, এত চেষ্টা সব বৃথা হবে না তো !! এখনও বিষয়টা পুলিশ'কে জানানো হয়নি। কথা দিয়েছিলাম, রহস্য সমাধান করেই জানাবো, তাহলে ......... । এসব যত ভাবছি, ততই যেন বুকের ধরপাকড় বেড়েই চলছে।
পরের দিন সকাল বেলা, দেখা করলাম পটল আর পেঁচার সাথে। ওরা দুজনেই খুব চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে। আর সেটাই স্বাভাবিক।
পটল আমার দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করলো, " কিছু ভাবলি, অগ্নি ! "
আমি মৃদু ঘাড় নেড়ে জানালাম, "এখনও তেমন কিছু ভেবে উঠতেই পারিনি। "
পেঁচা ভয়ে ভয়ে আমার কাছে যেন একপ্রকার মিনতি করেই বললো, " ভাই কিছু একটা কর। এখানে আমাদের জীবনের প্রশ্ন ! "
পটল ওর সম্মতি জানিয়ে বললো, " হ্যাঁ, ভাই।"
আমি ওদের আশ্বাস দিয়ে বললাম, " চিন্তা করতে হবে না। একটা কিছু উপায় বের করবোই। "
তারপর তিনজনেই তিনজনের মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলাম। হয়ত তিনজনের ভাবনা একই সুতোয় গাঁথা। মুখের সেই চিরকালীন হাসির রেখার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না কারও মুখে। 'চিন্তা' নামক বস্তুটা এমনই হয় বুঝি ! প্রত্যেকটি মানুষের খাওয়া, ঘুম সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাকে একাকিত্বের সংঙ্গা বোঝায়। তাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, জীবনের অপর নাম সমস্যা। তোমার জীবনের সমস্যার সমাধান একমাত্র তোমাকেই করতে হবে। যেকোনো মুহুর্তে, যে কোনো পরিস্থিতিতে।
আমি সেই একাকিত্বের রেশ কাটাতে বললাম, " এইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবি, নাকি ওখানে গিয়ে বসবি। দূরে একটা বেঞ্চের দিকে নির্দেশ দিয়েই বললাম কথাটি।
তিনজনেই সেখানে গিয়ে বসলাম।
পেঁচা জিজ্ঞাসা করলো, " আমরা কীভাবে বুঝবো, খুনি আবার কবে ওখানে আসবে?" পটল তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, " গভীর রাতে। " আমি সঙ্গে সঙ্গে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়লাম, " তাই তো। এটা ভাবাই হয়নি। গভীর রাত মানে গভীর অন্ধকার রাত। আর সেটা একদিনেই সম্ভব। অমাবস্যার দিন।" পেঁচা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বললো, " তার মানে আগামী অমাবস্যাতে ! "
আমি বললাম, "হ্যাঁ। তবে একটা সমস্যা আছে । "
চলছে .......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২০/০১/২০২২পড়া চলছে...
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০১/২০২২নাইস
-
ফয়জুল মহী ১৬/০১/২০২২অনুপম প্রকাশ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০১/২০২২পড়তে থাকি।