পোড়ো বাড়ির রহস্য - পর্ব - ১০
পর্ব - ১০
.......................সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
আবার কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ।
আমার মনে মনে ভাবতে লাগলাম, তাহলে কি এমন হয়েছিল যার জন্য সবাই একইরকম ভাবে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল ! কিন্তু আবার ভাবলাম, এটা যে আত্মহত্যা সেটা তো নিশ্চিত নই। এসব নানান ভাবনায় আমি ডুবে যাচ্ছি ঠিক এমন সময় পটল বললো, " জ্যেঠু, সবাই এমনভাবে কেন আত্মহত্যা করলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যাইনি ?"
জ্যেঠু শুধু দেখলাম, আস্তে আস্তে মাথা দুলিয়ে জানিয়ে দিলেন, না, সে বিষয়ে কিছুই জানা যাইনি।
আমরা তিন বন্ধু একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও কোনো বাক্যালাপ করতে পারলাম না। আরও কিছুটা সময় চুপচাপ থাকার পর, পেঁচা নড়ে চড়ে বসে জ্যেঠু'কে জিজ্ঞাসা করলো, " এই জন্যই কি এই বাড়িটাকে পোড়ো বাড়ি বলা হয় !" পটল তৎক্ষণাৎ বললো, " এজন্য এটা ভূতেদের আস্তানা হয়েছিল। "
আমি আবার জ্যেঠু'কে জিজ্ঞাসা করলাম, " আচ্ছা, শশীভূষণ সরকারের বড়ো ছেলে যে কিনা কলকাতায় মামার বাড়িতে থাকতো, সে কি বাড়ি ফিরেছিল ?" জ্যেঠু সেই ভাঙা ভাঙা কন্ঠে কিছু আবেগ মিশিয়ে বললেন, " শোনা যাই, সে নাকি , সামনের পুকুরের জলে ডুবে মারা গিয়েছিল, কিন্তু মৃতদেহ পাওয়া যাইনি। এই নিয়ে সামান্য চাঞ্চল্য ছড়ালেও কিছুদিনের মধ্যেই মানুষজনের ব্যস্ততায় সব ঢাকা পড়ে গিয়েছিল।"
এই পর্যন্ত বলে জ্যেঠু থামলেন। কিছুক্ষণ অন্ধকার ভেদ করে আকাশের দিকে একটানা তাকিয়ে বললেন, " আজ তোরা যা। আবার অন্য কোনোদিন আসিস। "
জ্যেঠুর এতবার থামার আর অন্যমনস্কতা থেকে আমার মনে হল উনি একটা অস্বস্তি অনুভব করছেন বা হয়ত একটা চিন্তা তাকে ব্যাপকভাবে গ্রাস করেছে।
আমরা তিন বন্ধু উঠলাম। যেতে যেতে একটা কথায় মনে হচ্ছিল, যদি আগের দিন শেষের দিকে যদি না ঘুমিয়ে পড়তাম তাহলে হয়ত একটা প্রান যেত না।
আমরা পথে আর কোনো কথা বললাম না। যে যার বাড়ি চলে গেলাম।
বাড়িতে গিয়ে পড়তে বসলাম। কিন্তু কিছুতেই পড়ায় মন বসলো না। টেবিল লম্ফের দিকে একটানা তাকিয়ে আছি, ভাবনাগুলো এলোমেলো ভাবে মাথায় ঘুরছি। কোন কাজটা আগে করব, কিভাবে শুরু করব, পরবর্তীত পদক্ষেপ কি হবে ??
অনেক ভেবেচিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। ঠিক যেভাবে এই ঘটনার সাথে আমি জড়িয়ে পড়েছিলেন, ঠিক সেই পর ধরেই সমাধানের চেষ্টা করব। সেজন্য মনে মনে আদ্যোপান্ত স্মরণ করতে থাকলাম। বেশ কিছুসময় ভেবনা শেষে মনে মনে একটা সমাধানের পথ খুঁজে পেলাম। কিন্তু সে পথে একটা প্রশ্ন এসে বাধার সৃষ্টি করলো। তাহলে ঐ পুতুল আর স্পিকার'টা রেখেছিল কে এবং কেন ??
চলছে ....
.......................সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
আবার কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ।
আমার মনে মনে ভাবতে লাগলাম, তাহলে কি এমন হয়েছিল যার জন্য সবাই একইরকম ভাবে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল ! কিন্তু আবার ভাবলাম, এটা যে আত্মহত্যা সেটা তো নিশ্চিত নই। এসব নানান ভাবনায় আমি ডুবে যাচ্ছি ঠিক এমন সময় পটল বললো, " জ্যেঠু, সবাই এমনভাবে কেন আত্মহত্যা করলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যাইনি ?"
জ্যেঠু শুধু দেখলাম, আস্তে আস্তে মাথা দুলিয়ে জানিয়ে দিলেন, না, সে বিষয়ে কিছুই জানা যাইনি।
আমরা তিন বন্ধু একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেও কোনো বাক্যালাপ করতে পারলাম না। আরও কিছুটা সময় চুপচাপ থাকার পর, পেঁচা নড়ে চড়ে বসে জ্যেঠু'কে জিজ্ঞাসা করলো, " এই জন্যই কি এই বাড়িটাকে পোড়ো বাড়ি বলা হয় !" পটল তৎক্ষণাৎ বললো, " এজন্য এটা ভূতেদের আস্তানা হয়েছিল। "
আমি আবার জ্যেঠু'কে জিজ্ঞাসা করলাম, " আচ্ছা, শশীভূষণ সরকারের বড়ো ছেলে যে কিনা কলকাতায় মামার বাড়িতে থাকতো, সে কি বাড়ি ফিরেছিল ?" জ্যেঠু সেই ভাঙা ভাঙা কন্ঠে কিছু আবেগ মিশিয়ে বললেন, " শোনা যাই, সে নাকি , সামনের পুকুরের জলে ডুবে মারা গিয়েছিল, কিন্তু মৃতদেহ পাওয়া যাইনি। এই নিয়ে সামান্য চাঞ্চল্য ছড়ালেও কিছুদিনের মধ্যেই মানুষজনের ব্যস্ততায় সব ঢাকা পড়ে গিয়েছিল।"
এই পর্যন্ত বলে জ্যেঠু থামলেন। কিছুক্ষণ অন্ধকার ভেদ করে আকাশের দিকে একটানা তাকিয়ে বললেন, " আজ তোরা যা। আবার অন্য কোনোদিন আসিস। "
জ্যেঠুর এতবার থামার আর অন্যমনস্কতা থেকে আমার মনে হল উনি একটা অস্বস্তি অনুভব করছেন বা হয়ত একটা চিন্তা তাকে ব্যাপকভাবে গ্রাস করেছে।
আমরা তিন বন্ধু উঠলাম। যেতে যেতে একটা কথায় মনে হচ্ছিল, যদি আগের দিন শেষের দিকে যদি না ঘুমিয়ে পড়তাম তাহলে হয়ত একটা প্রান যেত না।
আমরা পথে আর কোনো কথা বললাম না। যে যার বাড়ি চলে গেলাম।
বাড়িতে গিয়ে পড়তে বসলাম। কিন্তু কিছুতেই পড়ায় মন বসলো না। টেবিল লম্ফের দিকে একটানা তাকিয়ে আছি, ভাবনাগুলো এলোমেলো ভাবে মাথায় ঘুরছি। কোন কাজটা আগে করব, কিভাবে শুরু করব, পরবর্তীত পদক্ষেপ কি হবে ??
অনেক ভেবেচিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। ঠিক যেভাবে এই ঘটনার সাথে আমি জড়িয়ে পড়েছিলেন, ঠিক সেই পর ধরেই সমাধানের চেষ্টা করব। সেজন্য মনে মনে আদ্যোপান্ত স্মরণ করতে থাকলাম। বেশ কিছুসময় ভেবনা শেষে মনে মনে একটা সমাধানের পথ খুঁজে পেলাম। কিন্তু সে পথে একটা প্রশ্ন এসে বাধার সৃষ্টি করলো। তাহলে ঐ পুতুল আর স্পিকার'টা রেখেছিল কে এবং কেন ??
চলছে ....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২০/০১/২০২২নায়ককেই করতে হবে রহস্য উদঘাটন, এমনি মনে হচ্ছে।।
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৩/০১/২০২২ভাল লাগল
-
মোঃজাকিরুল চৌধুরী ১৩/০১/২০২২Nc
-
ফয়জুল মহী ১২/০১/২০২২সুন্দর উপস্থাপন,
ধন্যবাদ কবি।