পোড়ো বাড়ির রহস্য - পর্ব - ৯
পর্ব - ৯
...................বাকিটা বলার জন্য প্রস্তুত হলেন।
জ্যেঠু পুনরায় ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বলতে শুরু করলেন, "শশীভূষণ সরকার ছোটো ছেলেকে এর মধ্যে মামার বাড়ি কলকাতায় পাঠিয়ে দেই। বড়ো ছেলে উনাদের সঙ্গেই থাকতেন। সেইজন্য ছোটো ছেলেকে আমরা খুব একটা দেখিনি। শশীভূষণ সরকারের ভাইয়ের নাম ছিল রবিভূষণ সরকার। রবিভূষণ সরকার ঐ দেশে ছোটোখাটো সরকারি চাকরি করলেও এদেশে এসে শূন্য হাতে বসে থাকতে হয়েছিল। রবিভূষণ কাকুর একটা পাঁচ বছরের মেয়ে ছিল, তার নাম সম্ভাবত ছিল সুকন্যা সরকার।"
এই পর্যন্ত বলার পর জ্যেঠু একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন।
আমি লক্ষ্য করলাম জ্যেঠু বারবার কোনো বিশেষ একটা কথা বলার আগে থেমে যাচ্ছেন। কথাটা কি !
জ্যেঠু এবার দুঃখময় স্মৃতিভরা কন্ঠে বললেন, " একদিন সকালবেলা ব্রেকফাস্ট করে বিদ্যালয় যায়। সবাই অন্য পাঁচটা দিনের মতোই চলছিল। হাসি, খুশি ওই বাড়িটার আবহাওয়ার সাথে সবসময় যেন ওতোপ্রতোভাবে মিশে থাকত। কিন্তু হঠাৎ কখন যে ঐ বাড়িটার উপর কালো মেঘ এসে জমা হল কেউ বুঝতেও পারিনি। সেইদিন দুপুরবেলা বিদ্যালয় শেষে শশীভূষণ বাবু একা একা হেঁটে ফিরছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও বাড়ি এসে পৌচ্ছান নি। রাস্তাটি মিনিট তিরিশের ছিল। বাড়ির সবাই যথারীতি চিন্তায় পড়ে যাই। মানুষ'টা গেলো, তা গেলো কোথায় ? এমন তো কখনও করেন না। অবশেষে খোঁজ করতে পাঠানো হল রবিভূষণ বাবু'কে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেও আর বাড়ি ফেরেন নি। পুলিশের জানানো হয়েছিল, কিন্তু সেসময় রাজনৈতিক মহড়া এতটা ছিল যে পুলিশের এসব ব্যপারে কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। প্রায় একদিন পর চারিদিকে খোঁজা খুঁজির করে দুই ভাইয়ের ছেঁড়া, পচা গলা দেহ একটা নদীর ধারে পাওয়া যাই। শরীরে প্রথমে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছিল। তারপর শিয়াল কুকুরের ........... "
জ্যেঠু বলতে বলতে থেমে গেলেন। আর বলতে পারলেন না। তার কন্ঠ শুনে মনে হচ্ছিল তার চোখের জল থেমে নেই, বাঁধাহীন ভাবে ঝরে পড়ছে।
কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ। সত্যি ঘটনা শুনলে কারোর ভালো লাগার কথা নয়। সবাই মনমরা হয়ে রইল। চারিদিকে এতটাই নিস্তব্ধতা যে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছিল না।
সেই থমথমে নিস্তব্ধতা কাটিয়ে পটল, জ্যেঠুকে বললো, " জ্যেঠু, তারপর কি হয়েছিল ?"
জ্যেঠু আবার পুনরায় বলতে শুরু করলেন, " তারপর .... তারপর মৃত্যু নির্মাণ হয়েছিল ঐ বাড়িতে সেদিন......."
পরের দিন সকালবেলা বাড়ি থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায়, আমরা প্রতিবেশীরা সবাই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সবাই ঝুলছে পাখা থেকেথেকে, কেউ বা উপরের রড থেকে। সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
চলছে ...........
...................বাকিটা বলার জন্য প্রস্তুত হলেন।
জ্যেঠু পুনরায় ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বলতে শুরু করলেন, "শশীভূষণ সরকার ছোটো ছেলেকে এর মধ্যে মামার বাড়ি কলকাতায় পাঠিয়ে দেই। বড়ো ছেলে উনাদের সঙ্গেই থাকতেন। সেইজন্য ছোটো ছেলেকে আমরা খুব একটা দেখিনি। শশীভূষণ সরকারের ভাইয়ের নাম ছিল রবিভূষণ সরকার। রবিভূষণ সরকার ঐ দেশে ছোটোখাটো সরকারি চাকরি করলেও এদেশে এসে শূন্য হাতে বসে থাকতে হয়েছিল। রবিভূষণ কাকুর একটা পাঁচ বছরের মেয়ে ছিল, তার নাম সম্ভাবত ছিল সুকন্যা সরকার।"
এই পর্যন্ত বলার পর জ্যেঠু একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন।
আমি লক্ষ্য করলাম জ্যেঠু বারবার কোনো বিশেষ একটা কথা বলার আগে থেমে যাচ্ছেন। কথাটা কি !
জ্যেঠু এবার দুঃখময় স্মৃতিভরা কন্ঠে বললেন, " একদিন সকালবেলা ব্রেকফাস্ট করে বিদ্যালয় যায়। সবাই অন্য পাঁচটা দিনের মতোই চলছিল। হাসি, খুশি ওই বাড়িটার আবহাওয়ার সাথে সবসময় যেন ওতোপ্রতোভাবে মিশে থাকত। কিন্তু হঠাৎ কখন যে ঐ বাড়িটার উপর কালো মেঘ এসে জমা হল কেউ বুঝতেও পারিনি। সেইদিন দুপুরবেলা বিদ্যালয় শেষে শশীভূষণ বাবু একা একা হেঁটে ফিরছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও বাড়ি এসে পৌচ্ছান নি। রাস্তাটি মিনিট তিরিশের ছিল। বাড়ির সবাই যথারীতি চিন্তায় পড়ে যাই। মানুষ'টা গেলো, তা গেলো কোথায় ? এমন তো কখনও করেন না। অবশেষে খোঁজ করতে পাঠানো হল রবিভূষণ বাবু'কে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেও আর বাড়ি ফেরেন নি। পুলিশের জানানো হয়েছিল, কিন্তু সেসময় রাজনৈতিক মহড়া এতটা ছিল যে পুলিশের এসব ব্যপারে কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। প্রায় একদিন পর চারিদিকে খোঁজা খুঁজির করে দুই ভাইয়ের ছেঁড়া, পচা গলা দেহ একটা নদীর ধারে পাওয়া যাই। শরীরে প্রথমে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছিল। তারপর শিয়াল কুকুরের ........... "
জ্যেঠু বলতে বলতে থেমে গেলেন। আর বলতে পারলেন না। তার কন্ঠ শুনে মনে হচ্ছিল তার চোখের জল থেমে নেই, বাঁধাহীন ভাবে ঝরে পড়ছে।
কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ। সত্যি ঘটনা শুনলে কারোর ভালো লাগার কথা নয়। সবাই মনমরা হয়ে রইল। চারিদিকে এতটাই নিস্তব্ধতা যে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছিল না।
সেই থমথমে নিস্তব্ধতা কাটিয়ে পটল, জ্যেঠুকে বললো, " জ্যেঠু, তারপর কি হয়েছিল ?"
জ্যেঠু আবার পুনরায় বলতে শুরু করলেন, " তারপর .... তারপর মৃত্যু নির্মাণ হয়েছিল ঐ বাড়িতে সেদিন......."
পরের দিন সকালবেলা বাড়ি থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায়, আমরা প্রতিবেশীরা সবাই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সবাই ঝুলছে পাখা থেকেথেকে, কেউ বা উপরের রড থেকে। সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
চলছে ...........
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৩/০৮/২০২৩বেশ চমৎকার
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২০/০১/২০২২জেঠু মশাইয়ের গল্প বলতে বলতে আবেগী হয়ে যাওয়া ইঙ্গিত দেয় হয় জেঠু খুব ভালো মানুষ নয়ত লেখক চরিত্রটিকে অতিরঞ্জিত করেছেন। দেখা যাক, কাহিনীই বলে দেবে আসল রহস্য।