পোড়ো বাড়ির রহস্য - পর্ব - ৪
পর্ব - ৪
.......... ভয়ে আমার সারা শরীর শিউরে উঠল।
তারপর দেখলাম সে আমার দিকে মুখ বাড়িয়ে আমার নাম ধরে ডাকছে।
---"অগ্নি ওঠ , সময় হয়ে গেছে। আর কত ঘুমাবি ?"
---"কে কে ?? "
বলে আমি লাফিয়ে উঠলাম। কিছুক্ষণ তথমথ খেয়ে গেলাম। তারপর দেখলাম আমার সামনে দাঁড়িয়ে পটল আর পেঁচা। আমি তাড়াতাড়ি হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি পাঁচটা বেজে গেছে।
পটল হাসতে হাসতে বললো, "ওহে সাহসী, সারারাত ঘুমিয়ে ছিলে নাকি ! "
আমি ইতস্তত করে বললাম, " না না , রাত তিনটে, সাড়ে তিন'টে নাগাদ ...... "
পেঁচা হঠাৎ বলে উঠল, " কি বল, চুপ করলি কেন ?? "
আমি আনমনেই বললাম, " এক মিনিট, আমার সাথে একটু উপরে চল। "
পটল বলল, "কেন? উপরে কি ? "
আমি বললাম, " আমি সারারাত কি করেছি সেটা ক্যামেরা'য় দেখতে পাবি। হয়ত খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারবি না। এখন আমার সাথে আয়। "
আমরা তিনজনে আবার উপরে গেলাম। গিয়ে দেখি উত্তর দিকের ঘরের দরজা খোলা। আমি তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখি কয়েক ফোঁটা টাটকা রক্তের ফোঁটা। আমার সারা শরীর থেকে শিহরণ খেলে গেল। কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
পটল হঠাৎ জোরে বলে উঠল, "এখানে খুন হয়েছে, গতকাল রাতেই।"
পেঁচা নীচে আসতে আসতে ব্যস্ততার সাথে বললো, "আমাদের এখনি পুলিশের কাছে যাওয়া উচিত।"
আমি বললাম, " দাঁড়া , সবসময় নিয়ম মানতে গেলে হয় না। পুলিশের কাছে যাব তো বটেই তবে এখন নয়।"
পেঁচা বললো, " এখন নয় কেন? "
আমি বললাম, " এখন গেলে পুলিশ আমাকেই লকাবে রাখবে। যেহেতু গতকাল আমি এখানেই ছিলাম। "
পটল জিজ্ঞাসু চোখে বললো, "তাহলে কি করবি ?"
আমি একটু ভেবে নিয়ে বললাম, "চল,প্রথমে ভিডিও'টা দেখি।"
আমরা তিনজনে ক্যামেরা'র কাছে গেলাম। পটল ভিডিও'টা অন করল। গতকাল রাতের মুটামুটি সব ঘটনা'য় ক্যামেরা'য় ধরা পড়েছে। কিন্তু রাত ২:৩৪ মিনিটে ক্যামেরা অটোমেটিক অফ হয়ে যায়। সেজন্য রাতে আমি ঘুমানোর পর যে ঠিক কি হয়েছিল সেটা কেউ জানে না।
পটল আবার বললো, "তবুও একবার পুলিশে'র কাছে যাওয়া উচিত। পুলিশ'কে সবটা বলা উচিত।" আমি বললাম, "সেটা আমিও জানি তবে এক্ষেত্রে আমি দায়ি হয়ে যাব। সেজন্য অন্তত আমার জন্য তোদের'কে আমি অনুরোধ করছি প্লিজ পুলিশের কাছে যাস না। "
কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে পেঁচা বললো, " আচ্ছা, আমরা এই মুহুর্তে পুলিশের কাছে যাব না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় ঠিকই, তবে এক্ষেত্রে সবাই অগ্নি'কেই দোষারোপ করবে। সেই সঙ্গে আমরা জড়িয়ে যাব কারণ আমরাই ওকে এখানে আসতে বলেছিলাম। "
পটল এবার শান্ত স্বরে বললো, " আচ্ছা, তাহলে থাক। বিষয়টা ছেড়ে দে। পুলিশ জানানোর প্রয়োজন নেই। "
আমি বললাম, " বিষয়টা এক্কেবারে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।এখানে খুন আজ থেকে নয়, অনেকদিন আগে থেকেই হচ্ছে। তবে ঠিক কবে থেকে হচ্ছে বলতে পারব না। একটু থেমে আমি আবার বলতে শুরু করলাম, " গতকাল রাতে আমি যখন প্রথম ঐ ঘরটাই যাই তখন রক্তের ফোঁটা দেখেছিলাম। সেটা আদেও রক্ত কিনা তখন নিশ্চিত ছিলাম না। এছাড়াও একটা পায়ের ছাপও দেখেছিলাম।"
এতক্ষণে আমি এটুকু বুঝতে পেরেছি যে আমি যে সম্পূর্ণ নির্দোষ সেটা আমাকেই প্রমাণ করতে হবে কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব !!
চলছে .............
.......... ভয়ে আমার সারা শরীর শিউরে উঠল।
তারপর দেখলাম সে আমার দিকে মুখ বাড়িয়ে আমার নাম ধরে ডাকছে।
---"অগ্নি ওঠ , সময় হয়ে গেছে। আর কত ঘুমাবি ?"
---"কে কে ?? "
বলে আমি লাফিয়ে উঠলাম। কিছুক্ষণ তথমথ খেয়ে গেলাম। তারপর দেখলাম আমার সামনে দাঁড়িয়ে পটল আর পেঁচা। আমি তাড়াতাড়ি হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি পাঁচটা বেজে গেছে।
পটল হাসতে হাসতে বললো, "ওহে সাহসী, সারারাত ঘুমিয়ে ছিলে নাকি ! "
আমি ইতস্তত করে বললাম, " না না , রাত তিনটে, সাড়ে তিন'টে নাগাদ ...... "
পেঁচা হঠাৎ বলে উঠল, " কি বল, চুপ করলি কেন ?? "
আমি আনমনেই বললাম, " এক মিনিট, আমার সাথে একটু উপরে চল। "
পটল বলল, "কেন? উপরে কি ? "
আমি বললাম, " আমি সারারাত কি করেছি সেটা ক্যামেরা'য় দেখতে পাবি। হয়ত খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারবি না। এখন আমার সাথে আয়। "
আমরা তিনজনে আবার উপরে গেলাম। গিয়ে দেখি উত্তর দিকের ঘরের দরজা খোলা। আমি তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখি কয়েক ফোঁটা টাটকা রক্তের ফোঁটা। আমার সারা শরীর থেকে শিহরণ খেলে গেল। কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
পটল হঠাৎ জোরে বলে উঠল, "এখানে খুন হয়েছে, গতকাল রাতেই।"
পেঁচা নীচে আসতে আসতে ব্যস্ততার সাথে বললো, "আমাদের এখনি পুলিশের কাছে যাওয়া উচিত।"
আমি বললাম, " দাঁড়া , সবসময় নিয়ম মানতে গেলে হয় না। পুলিশের কাছে যাব তো বটেই তবে এখন নয়।"
পেঁচা বললো, " এখন নয় কেন? "
আমি বললাম, " এখন গেলে পুলিশ আমাকেই লকাবে রাখবে। যেহেতু গতকাল আমি এখানেই ছিলাম। "
পটল জিজ্ঞাসু চোখে বললো, "তাহলে কি করবি ?"
আমি একটু ভেবে নিয়ে বললাম, "চল,প্রথমে ভিডিও'টা দেখি।"
আমরা তিনজনে ক্যামেরা'র কাছে গেলাম। পটল ভিডিও'টা অন করল। গতকাল রাতের মুটামুটি সব ঘটনা'য় ক্যামেরা'য় ধরা পড়েছে। কিন্তু রাত ২:৩৪ মিনিটে ক্যামেরা অটোমেটিক অফ হয়ে যায়। সেজন্য রাতে আমি ঘুমানোর পর যে ঠিক কি হয়েছিল সেটা কেউ জানে না।
পটল আবার বললো, "তবুও একবার পুলিশে'র কাছে যাওয়া উচিত। পুলিশ'কে সবটা বলা উচিত।" আমি বললাম, "সেটা আমিও জানি তবে এক্ষেত্রে আমি দায়ি হয়ে যাব। সেজন্য অন্তত আমার জন্য তোদের'কে আমি অনুরোধ করছি প্লিজ পুলিশের কাছে যাস না। "
কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে পেঁচা বললো, " আচ্ছা, আমরা এই মুহুর্তে পুলিশের কাছে যাব না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় ঠিকই, তবে এক্ষেত্রে সবাই অগ্নি'কেই দোষারোপ করবে। সেই সঙ্গে আমরা জড়িয়ে যাব কারণ আমরাই ওকে এখানে আসতে বলেছিলাম। "
পটল এবার শান্ত স্বরে বললো, " আচ্ছা, তাহলে থাক। বিষয়টা ছেড়ে দে। পুলিশ জানানোর প্রয়োজন নেই। "
আমি বললাম, " বিষয়টা এক্কেবারে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।এখানে খুন আজ থেকে নয়, অনেকদিন আগে থেকেই হচ্ছে। তবে ঠিক কবে থেকে হচ্ছে বলতে পারব না। একটু থেমে আমি আবার বলতে শুরু করলাম, " গতকাল রাতে আমি যখন প্রথম ঐ ঘরটাই যাই তখন রক্তের ফোঁটা দেখেছিলাম। সেটা আদেও রক্ত কিনা তখন নিশ্চিত ছিলাম না। এছাড়াও একটা পায়ের ছাপও দেখেছিলাম।"
এতক্ষণে আমি এটুকু বুঝতে পেরেছি যে আমি যে সম্পূর্ণ নির্দোষ সেটা আমাকেই প্রমাণ করতে হবে কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব !!
চলছে .............
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ০৪/০১/২০২২নতুন রহস্য!