মিছে কেন কাব্য লিখি
বছর দুয়েক ধরে নিয়মিত কবিতা লেখার চেষ্টা করি। এই কবিতাগুলোর পরিধি বাংলাকবিতা.কম আরেকটি ফেসবুক পাতা পর্যন্ত।ঠিক কবিতা হয় কিনা বলতে পারিনা,শব্দখেলা বড্ড ভালো লাগে তাই হিজিবিজি লিখি। শান্ত নদীর জলে শুশুক দেখে পরাণ পাখি ঘূর্ণি দেয়-পাতাবদ্ধ করি এলোমেলো শব্দ। কেউ কেউ বলে কবিতা নিছক অলস মস্তিষ্কের কাজ তবু আমার তো আর কিছু নেই কবিতা ছাড়া। ফটাফট জটিল অঙ্ক কষে ফেলা-ও সাধ্যি আমার নেই,নেই মহাবিশ্ব নিয়ে লেকচার দেওয়ার মতো জটিল চিন্তা- বুদ্ধি কিন্তু শুধু তাই বলে তো লিখি না। বুকের মধ্যের এলোমেলো ঢেউ গুলো শহর শেষের শালবনে আছড়ে ফেলে আমিও একটু শান্তি পাই।সুনীলের মতো বলতে গেলে- "শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম।" এই সংসারে সবকিছুই কবিতা। লোকে যা বলে বলুক। হলামই বা অলস,রাষ্ট্র মোরে নাই বা দিলে ঠাঁই ।
মাঝেমধ্যে দু'একজন মুখ ফস্কে বলে ফেলে কবি। বড় পুলোক হয়। মাসে চান্দে কয়েকজনের সাড়া পাই। পেছনে হয়তো দু-একজন মৃদুমৃদু হাসে। ধৈর্য নিয়ে তাও সময় সময় প্রকাশ করি এলোমেলোভাবে। খ্যাতি চাই না,দুটো কথা বলতে চাই। গুরু জীবনানন্দ বলেছেন, "সকলেই কবি নয়,কেউ কেউ কবি।" তাই কেউ যখন ওই যে মুখ ফস্কে কবি বলে তখন একটু লজ্জাও হয়। বয়স এখনো আঠারো পেরোলো না,কিন্তু ধরার কোমল-ক্লান্ত ছায়ার বয়স তো নেহাত কম নয়। তাই সেই ছায়ায় মিশে গিয়ে আমিও বৃদ্ধত্ব বরণ করে "পাকাপাকা" কথা লিখি।বড়রা রাগ করলে করুক।
সময় সময় হাল ছেড়েও দিই। হাবিজাবি কি লিখি নিজেরই ভালো লাগেনা। আবার আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে । অশ্বত্থ তলায় পুরনো গন্ধ পাই। খাতাটা খুলে ধরে কলম নিই। পথ তো অনেক বড়,পাশেপাশে দেবদারু গাছ চলেছে তো চলেছে।কি জানি ছায়া দেয় নাকি শান্তনা।তবুও তো বেঁচে থাকার একটা নান্দনিক উপলব্ধি দেয় -তাইতো কবিতা এতো বৃহৎ একটা শিল্প। তাইতো কবিতার জন্য মধু তার মধুময় জীবন বিষিয়ে ফেলেছে। শুধু কি বিষিয়ে ফেলেছে? স্বর্গের সুরার পাত্রে করে রেখে গেছেন অমৃত।কবিরা যুগে যুগে জীবনের গভীরতম উপলব্ধি নিয়ে তবে শ্মশানে প্রবেশ করেছেন।এই অলসদের জন্য তবুও আজ পৃথিবীতে সৌন্দর্য আছে,বেঁচে থাকার বোধ আছে- প্রেম,বিরহ,বিদ্রোহ মিলেই তো নন্দনকানন। সেই নন্দনকাননের পরিচর্যাকারী মালি সকলই কেবল কাঙাল। হোক সে কাঙাল-জোৎস্না তো তার একার,ছোটখাটো আলোক কীটের খোঁজ তো শুধু সেই রাখে,সন্ধ্যাবেলার দূর আকাশে কী একটা যেন আছে -তোমরা তা দেখতে পাবে না,পাবে শুধুই কবি। কাব্য ছিল বলেই তো আজ জংলী পশু মানুষ হলে...
মাঝেমধ্যে দু'একজন মুখ ফস্কে বলে ফেলে কবি। বড় পুলোক হয়। মাসে চান্দে কয়েকজনের সাড়া পাই। পেছনে হয়তো দু-একজন মৃদুমৃদু হাসে। ধৈর্য নিয়ে তাও সময় সময় প্রকাশ করি এলোমেলোভাবে। খ্যাতি চাই না,দুটো কথা বলতে চাই। গুরু জীবনানন্দ বলেছেন, "সকলেই কবি নয়,কেউ কেউ কবি।" তাই কেউ যখন ওই যে মুখ ফস্কে কবি বলে তখন একটু লজ্জাও হয়। বয়স এখনো আঠারো পেরোলো না,কিন্তু ধরার কোমল-ক্লান্ত ছায়ার বয়স তো নেহাত কম নয়। তাই সেই ছায়ায় মিশে গিয়ে আমিও বৃদ্ধত্ব বরণ করে "পাকাপাকা" কথা লিখি।বড়রা রাগ করলে করুক।
সময় সময় হাল ছেড়েও দিই। হাবিজাবি কি লিখি নিজেরই ভালো লাগেনা। আবার আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে । অশ্বত্থ তলায় পুরনো গন্ধ পাই। খাতাটা খুলে ধরে কলম নিই। পথ তো অনেক বড়,পাশেপাশে দেবদারু গাছ চলেছে তো চলেছে।কি জানি ছায়া দেয় নাকি শান্তনা।তবুও তো বেঁচে থাকার একটা নান্দনিক উপলব্ধি দেয় -তাইতো কবিতা এতো বৃহৎ একটা শিল্প। তাইতো কবিতার জন্য মধু তার মধুময় জীবন বিষিয়ে ফেলেছে। শুধু কি বিষিয়ে ফেলেছে? স্বর্গের সুরার পাত্রে করে রেখে গেছেন অমৃত।কবিরা যুগে যুগে জীবনের গভীরতম উপলব্ধি নিয়ে তবে শ্মশানে প্রবেশ করেছেন।এই অলসদের জন্য তবুও আজ পৃথিবীতে সৌন্দর্য আছে,বেঁচে থাকার বোধ আছে- প্রেম,বিরহ,বিদ্রোহ মিলেই তো নন্দনকানন। সেই নন্দনকাননের পরিচর্যাকারী মালি সকলই কেবল কাঙাল। হোক সে কাঙাল-জোৎস্না তো তার একার,ছোটখাটো আলোক কীটের খোঁজ তো শুধু সেই রাখে,সন্ধ্যাবেলার দূর আকাশে কী একটা যেন আছে -তোমরা তা দেখতে পাবে না,পাবে শুধুই কবি। কাব্য ছিল বলেই তো আজ জংলী পশু মানুষ হলে...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেলিম রেজা সাগর ০৭/০৬/২০১৮ঠিক।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৭/০৫/২০১৮খুব ভাল।
ধন্যবাদ জানবেন।