চলন্ত আলোর রহস্য
গ্রামের এক প্রান্তে বিস্তীর্ণ প্রান্তর , তারপরেই সুবর্ণরেখা নদী | সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে , আকাশের আলো নিভু নিভু | পাখিরা ফিরে যাচ্ছে নিজেদের বাসায় ,
সূর্যদেব বিশ্রামার্থে ধীরে ধীরে আত্মগোপন করছেন , সুবর্ণরেখার অতল বক্ষে তারই প্রস্তুতি চলছে ! কি অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা এই সময়ের , এক কথায় অনির্বচনীয় !
তারই মধ্যে বাঁশের মাচায় গ্রামের কতিপয় ছেলে ছোকরার দল খোশগল্প করছে ! আজ গ্রামের বাড়িতে এসেছে শহুরে ছেলে তন্ময় | সে ও ওদের সঙ্গে যোগদান করেছে | গল্প , ঠাট্টা , ইয়ার্কি , মস্করা সবই চলছে | অনতিদূরে সুবর্ণরেখা নদীর উপর একটা সাঁকো আছে | এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সবাই চমকে উঠল !
সাঁকোর উপর সাদা শাড়ী পরিহিত একটা আলো জ্বলছে , নিভছে , এগিয়ে গিয়ে আবার জ্বলছে আবার নিভছে | সবাই খুব অবাক , কেউ কেউ রাম রাম করতে শুরু করল | সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে | মিজানুর , সাফিন আর ইমরান বলল চল তো দেখে আসি ! এ ভূতের একটা হেস্তনেস্ত করে তবে ছাড়ব !
পল্লব আর বাবান বলল না বাবা এ নির্ঘাত ভূতের কাণ্ডকারখানা , আমরা যাবো না !
তন্ময় বলল চলো আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো !
সাঁকোর উপর চারজন সেই আলোকে লক্ষ্য করে দৌড়াতে লাগল | তখন দেখা গেল আলোটাও পূর্বাপেক্ষা বেশী গতিতে ছুটছে !
যাইহোক পড়িমরি করে ছুটে শেষে আলোকে ধরা হল !
একজন সাদা শাড়ী পরা মহিলা .....
তার মাথায় একটা হাঁড়ি , হাঁড়িতে আগুন জ্বলছে , আর মহিলা মাঝে মাঝে ডান হাতে করে ধুনোজাতীয় কিছু হাঁড়ির আগুনে ছুঁড়ে দিচ্ছে ! দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে সাদা শাড়ী পরা ভূত আর রহস্যময় আগুন !
" কেন করছিলে এরকম ? ভয় দেখাচ্ছিলে কেন ? "
" বাবু আমি গ্রাম পেরিয়ে এক লোকের বাড়িতে গিয়ে তাকে সময় দিই ! বিনিময়ে কিছু টাকা পাই "
" বাবু আমি খুব গরীব ! খেতে পাই না ! তাই এইসব করতে হয় "
" ঠিক আছে তুমি তার বাড়িতে যাবে কিন্তু ভয় দেখিও না "
" ভয় দেখাতাম কি সাধে ! যাতে গ্রামের লোক ভয় পেয়ে এদিক পানে না আসে তার ব্যবস্থা করেছিলাম "
" বেশ আমরা কাউকে বলব না , কিন্তু এরকমভাবে ভৌতিক চলাফেরা বন্ধ করো "
তারপর থেকে আর সেই চলন্ত আলোটা দেখা যায় না !
(শেষ )
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে )
সূর্যদেব বিশ্রামার্থে ধীরে ধীরে আত্মগোপন করছেন , সুবর্ণরেখার অতল বক্ষে তারই প্রস্তুতি চলছে ! কি অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা এই সময়ের , এক কথায় অনির্বচনীয় !
তারই মধ্যে বাঁশের মাচায় গ্রামের কতিপয় ছেলে ছোকরার দল খোশগল্প করছে ! আজ গ্রামের বাড়িতে এসেছে শহুরে ছেলে তন্ময় | সে ও ওদের সঙ্গে যোগদান করেছে | গল্প , ঠাট্টা , ইয়ার্কি , মস্করা সবই চলছে | অনতিদূরে সুবর্ণরেখা নদীর উপর একটা সাঁকো আছে | এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সবাই চমকে উঠল !
সাঁকোর উপর সাদা শাড়ী পরিহিত একটা আলো জ্বলছে , নিভছে , এগিয়ে গিয়ে আবার জ্বলছে আবার নিভছে | সবাই খুব অবাক , কেউ কেউ রাম রাম করতে শুরু করল | সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে | মিজানুর , সাফিন আর ইমরান বলল চল তো দেখে আসি ! এ ভূতের একটা হেস্তনেস্ত করে তবে ছাড়ব !
পল্লব আর বাবান বলল না বাবা এ নির্ঘাত ভূতের কাণ্ডকারখানা , আমরা যাবো না !
তন্ময় বলল চলো আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো !
সাঁকোর উপর চারজন সেই আলোকে লক্ষ্য করে দৌড়াতে লাগল | তখন দেখা গেল আলোটাও পূর্বাপেক্ষা বেশী গতিতে ছুটছে !
যাইহোক পড়িমরি করে ছুটে শেষে আলোকে ধরা হল !
একজন সাদা শাড়ী পরা মহিলা .....
তার মাথায় একটা হাঁড়ি , হাঁড়িতে আগুন জ্বলছে , আর মহিলা মাঝে মাঝে ডান হাতে করে ধুনোজাতীয় কিছু হাঁড়ির আগুনে ছুঁড়ে দিচ্ছে ! দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে সাদা শাড়ী পরা ভূত আর রহস্যময় আগুন !
" কেন করছিলে এরকম ? ভয় দেখাচ্ছিলে কেন ? "
" বাবু আমি গ্রাম পেরিয়ে এক লোকের বাড়িতে গিয়ে তাকে সময় দিই ! বিনিময়ে কিছু টাকা পাই "
" বাবু আমি খুব গরীব ! খেতে পাই না ! তাই এইসব করতে হয় "
" ঠিক আছে তুমি তার বাড়িতে যাবে কিন্তু ভয় দেখিও না "
" ভয় দেখাতাম কি সাধে ! যাতে গ্রামের লোক ভয় পেয়ে এদিক পানে না আসে তার ব্যবস্থা করেছিলাম "
" বেশ আমরা কাউকে বলব না , কিন্তু এরকমভাবে ভৌতিক চলাফেরা বন্ধ করো "
তারপর থেকে আর সেই চলন্ত আলোটা দেখা যায় না !
(শেষ )
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুজিত মান্না ১০/১১/২০১৬সুন্দর
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ০৮/০৬/২০১৬ভালো লাগল
-
পরশ ০৮/০৬/২০১৬চ্মতকার
-
পরশ ০৭/০৬/২০১৬ভাল
-
নীরব ঘোষ জয় ০৬/০৬/২০১৬ভাল চেষ্টা
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৬/০৬/২০১৬দারুন প্রয়াশ!!!!