পাট সোনালী আঁশ
করোনার কারণে বর্তমানে লাখ লাখ লোক বেকার হয়ে পড়ছেন । তার ওপর রাষ্ট্রায়ত্ত মিল কারখানাগুলো বন্ধ করা হলে শ্রমিকরা যাবে কোথায়? পরিবার-স্বজন নিয়ে বাধ্য হয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না ।
ছোট বেলা থেকে শুনেছি, পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল, একে সোনালী আঁশ ও বলা হয় । এই পাট-শিল্পের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরে, হাজারো শ্রমিকের দুই বেলার খাবার জোটে ।
পাট এবং পাটকল বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত । স্বাধীনতার পর দেশে মোট ৭৭টি পাটকল ছিল । গত ৪৯ বছরে শাসক শ্রেণির দুর্নীতি ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে গৃহীত ভুলনীতির কারণে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ প্রায় ৫০টির বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে ।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোর্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ।
“অথচ সারা দুনিয়ায় এখন পলিথিনসহ কেমিক্যাল দ্রব্য বর্জনের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়ছে । আর এদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত পাটকলগুলো বন্ধের ষড়যন্ত্র হচ্ছে ।”
সরকার পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেনি । এতে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার বেকার হয়ে যাবে । শ্রমিকদের জীবন অচল করে অর্থনীতি সচল করা সম্ভব না ।
পাটকল বেসরকারি খাতে চলে গেলে সব শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে; কারণ যারা কারখানা লিজ নিবেন তারা তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করবেন ।
আগামী দু’মাস পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুটমিল পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে বলে পাট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি এরই মধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছে । সারাদেশে পাটকলের সঙ্গে প্রায় তিন কোটি মানুষের রুটিরুজি জড়িত । পাটকল বন্ধ করলে তাদের পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে ।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল ও লুট করে নিজেদের পকেট ভরা ও বিদেশে পাচার করার আয়োজন পাটকল শ্রমিকরা মানবে না। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মানবে না । ইতিমধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের জোয়ার বইছে, শ্রমিকরা অনশণ শুরু করেছে । সরকার অবিলম্বে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আমাদের শ্রমিক ভাইদের পাশে দাঁড়াতে হবে ।
ছোট বেলা থেকে শুনেছি, পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল, একে সোনালী আঁশ ও বলা হয় । এই পাট-শিল্পের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরে, হাজারো শ্রমিকের দুই বেলার খাবার জোটে ।
পাট এবং পাটকল বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত । স্বাধীনতার পর দেশে মোট ৭৭টি পাটকল ছিল । গত ৪৯ বছরে শাসক শ্রেণির দুর্নীতি ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে গৃহীত ভুলনীতির কারণে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ প্রায় ৫০টির বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে ।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোর্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ।
“অথচ সারা দুনিয়ায় এখন পলিথিনসহ কেমিক্যাল দ্রব্য বর্জনের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়ছে । আর এদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত পাটকলগুলো বন্ধের ষড়যন্ত্র হচ্ছে ।”
সরকার পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেনি । এতে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার বেকার হয়ে যাবে । শ্রমিকদের জীবন অচল করে অর্থনীতি সচল করা সম্ভব না ।
পাটকল বেসরকারি খাতে চলে গেলে সব শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে; কারণ যারা কারখানা লিজ নিবেন তারা তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করবেন ।
আগামী দু’মাস পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুটমিল পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে বলে পাট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি এরই মধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছে । সারাদেশে পাটকলের সঙ্গে প্রায় তিন কোটি মানুষের রুটিরুজি জড়িত । পাটকল বন্ধ করলে তাদের পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে ।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল ও লুট করে নিজেদের পকেট ভরা ও বিদেশে পাচার করার আয়োজন পাটকল শ্রমিকরা মানবে না। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মানবে না । ইতিমধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের জোয়ার বইছে, শ্রমিকরা অনশণ শুরু করেছে । সরকার অবিলম্বে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আমাদের শ্রমিক ভাইদের পাশে দাঁড়াতে হবে ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ০৯/১২/২০২১অনন্য লেখনশৈলী
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৭/২০২০কমনীয় ভাবনায় সৃজনশীল লেখা।