সবার স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা চাই
আমরা সবাই জানি, সারা পৃথিবী আজ কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে । করোনা মহামারীর কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের জীবনে আজ নাভিশ্বাস অবস্থা । কাজ নাই, হাতে টাকা নাই, ঘরে খাবার নাই, মানুষ আজ দিশাহারা । করোনা মহামারীর এই সংকটকালীন সময়ে বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশের সরকার তার জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে । কিন্তু বিশ্বের বুকে একমাত্র হয়তো আমাদের দেশ-ই ব্যতিক্রম, যারা এই করোনা দুর্যোগের শুরু থেকেই একে নিয়ে হাসি তামাশা করছে, সাধারণ মানুষের জীবন-কে নিয়ে মশকরা করছে । বিশ্বের বুকে একমাত্র হয়তো আমাদের দেশের নেতারাই বলতে পেরেছেন, "আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ করোনা মুক্ত রয়েছে ।" এই ধরনের হাসি তামাশার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের গরীব গার্মেন্টস কর্মীদেরকে শত শত মাইল হাটিয়ে ঢাকায় এনে মারাত্মক এই করোনা ভাইরাস সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । যে গার্মেন্টস কর্মী কাজের আশায়, বকেয়া বেতনের আশায় পায়ে হেটে ঢাকায় ছুটে গিয়েছিল, তার কোনো আশা-প্রত্যাশাই পূরণ করেনি এই সরকার এবং মালিক পক্ষ । উল্টো সরকার মালিকদের পক্ষ নিয়ে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে । এই সরকার কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে । কিন্তু আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে মূল অঙ্গীকার ছিল, সাম্য মৈত্রী সামাজিক সুবিচার তার ধারে কাছেও নাই । সকল নাগরিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া থেকে সরকার যোজন যোজন দূরে সরে যাচ্ছে ।
করোনা সংক্রমণ একটি বৈশ্বিক মহামারী, ফলে এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সরকারি উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় খরচেই করতে হবে । সারাবিশ্বে যখন ফ্রী তে করোনা টেস্ট এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে, তখন আমাদের দেশে সরকার শুরু থেকে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নানা টালবাহনা করছে । প্রথমে ১টি ল্যাব এ পরীক্ষা করে । এখন ৬০/৬৫ ল্যাব এ পরীক্ষা হলেও কম নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হচ্ছে । যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা দরকার এবং প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন, তা না করে সরকার এখন করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে । সারাবিশ্বে যখন ফ্রী তে ব্যাপক পরিমাণে করোনা টেস্ট হচ্ছে, তখন আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা আছে কি না জানার জন্য ২০০-৫০০ টাকা ফী দিতে হচ্ছে । আর বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে আপনার আমার মতো গরীব নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষের কোনো জায়গা নাই । সেখানে চিকিৎসা নিয়ে রমরমা ব্যবসা করা হচ্ছে, এই সংকটময় করোনা কালীন সময়ে ও ।
করোনার কারণে মানুষ কাজ হারিয়ে রোজগারহীন হয়ে পড়েছে । খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যোগার করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে । সেখানে নতুন করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ, মরার উপর খাড়ার ঘা এর শামিল ।
সরকার এই দুঃসময়েও শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো জন-গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়নি, এগুলোকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে দেখছে, এগুলো থেকে মুনাফা লুট করার পায়তারা করছে ।
বাংলাদেশে যখন পিপিই-এর সংকটে ডাক্তার নার্স স্বাস্থ কর্মীরা মারা যাচ্ছেন, তখন ব্যক্সিমকো গ্রুপ ৬৫ লাখ পিপিই ইউরোপ আমেরিকায় রপ্তানি করছে ।
আজকে ছাত্র যুব-সমাজকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে । স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে । বিনামূল্যে সকল নাগরিকের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা দিতে হবে ।
করোনা সংক্রমণ একটি বৈশ্বিক মহামারী, ফলে এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সরকারি উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় খরচেই করতে হবে । সারাবিশ্বে যখন ফ্রী তে করোনা টেস্ট এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে, তখন আমাদের দেশে সরকার শুরু থেকে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নানা টালবাহনা করছে । প্রথমে ১টি ল্যাব এ পরীক্ষা করে । এখন ৬০/৬৫ ল্যাব এ পরীক্ষা হলেও কম নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হচ্ছে । যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা দরকার এবং প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন, তা না করে সরকার এখন করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে । সারাবিশ্বে যখন ফ্রী তে ব্যাপক পরিমাণে করোনা টেস্ট হচ্ছে, তখন আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা আছে কি না জানার জন্য ২০০-৫০০ টাকা ফী দিতে হচ্ছে । আর বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে আপনার আমার মতো গরীব নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষের কোনো জায়গা নাই । সেখানে চিকিৎসা নিয়ে রমরমা ব্যবসা করা হচ্ছে, এই সংকটময় করোনা কালীন সময়ে ও ।
করোনার কারণে মানুষ কাজ হারিয়ে রোজগারহীন হয়ে পড়েছে । খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যোগার করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে । সেখানে নতুন করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ, মরার উপর খাড়ার ঘা এর শামিল ।
সরকার এই দুঃসময়েও শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো জন-গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়নি, এগুলোকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে দেখছে, এগুলো থেকে মুনাফা লুট করার পায়তারা করছে ।
বাংলাদেশে যখন পিপিই-এর সংকটে ডাক্তার নার্স স্বাস্থ কর্মীরা মারা যাচ্ছেন, তখন ব্যক্সিমকো গ্রুপ ৬৫ লাখ পিপিই ইউরোপ আমেরিকায় রপ্তানি করছে ।
আজকে ছাত্র যুব-সমাজকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে । স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে । বিনামূল্যে সকল নাগরিকের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা দিতে হবে ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ০৯/১২/২০২১অসাধারণ লেখনী
-
জ্যোতি রমণ বিশ্বাস ০৩/০৭/২০২০আমাদের জীবন নিয়ে তারা খেলে, সুন্দর লেখা
-
ফয়জুল মহী ০২/০৭/২০২০Right