www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নির্মেঘ বৃষ্টি

কত রাত ধরে যে বাইরে হাঁটছে খেয়াল নেই। নভেম্বরের আজ শেষ রাত। একটু আগেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিলো, তাই পিচঢালা কালো ভেজা পথ খুশিতে চিকচিক করছে। এ দেশে নভেম্বর মাসে বৃষ্টি হয়। তা-ও সে বৃষ্টি হয় এক আধটু! যারা অনেক বছর ধরে আজনবী হিসেবে এ দেশে আছেন, তাঁদের বলতে শোনা যায়, এ দেশে না-কি বৃষ্টির দেখাই মিলতো না। তাই বর্ষাপ্রধান বাংলাদেশের প্রবাসী বাঙালিদের মনে মনে চলতো বৃষ্টি বন্দনা। এখন সাহেলের মনটা এমন হয়ে গেছে যে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় কিছুই আর তাকে স্পর্শ করে না। আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে আর চেনেই না। অথচ এক বছর আগেও শরীরের যত্ন, চুলের যত্ন, স্বাস্থ্যের প্রতি কতই না যত্নবান ছিলো সে। সন্ধ্যার পর পরই ঈদগাহ মাঠে চলে যেতো জগিং আর ব্যায়ামের জন্যে। এখানে স্বাস্থ্যসচেতন আরও অনেক লোকেরই সমাগম ঘটে। দেখা মেলে ক্ষণিকের বন্ধুদের সাথে; যাদের সাথে এখানে আসার সুবাদে পরিচয়।

                   সাহেল দেখতে কতখানি সুদর্শন তা বিবেচনার বিষয়। তবে তার ব্যক্তিত্বে যে অপরিসীম আকর্ষক ক্ষমতা তা বলাই বাহুল্য। সাহেলের সামনে দাঁড়িয়ে তার কাজের ভুল ধরিয়ে দেয়ার সাহস নেই কারো। অথচ সমস্ত দিনে তার সমস্ত কাজই ভুলে ভরা। গতানুগতিক নিয়ম কানুন মেনে চলে না সে। অনেক রাতে রাত করে বাড়ি ফিরলেও, সে দেরি করে মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পেছনে নেই কোনো হেতু; যা দিয়ে তাকে কি-না নারী লিপ্সু ভোগ্য পুরুষ বলা চলে।কলেজ গেইট দিয়ে ঢুকামাত্র উৎসুক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষয়র্থী-কর্মচারীদের শত জোড়া চোখের দৃষ্টি মাড়িয়ে দ্রুত পায়ে পাড় হয়ে যায় সাহেল অস্বস্থিকর জায়গাগুলোন। তাকে অবাক চোখে দেখতে থাকা মানুষগুলোর প্রতি তার বিন্দুমাত্রও আগ্রহ নেই। তাই মাঝে মাঝে উৎসুক চোখগুলোকে হতাশ করে দিতে বিলম্বে আসে সাহেল। কলেজ গেইট বন্ধ থাকলেও, তা দেখার ব্যবস্থাটা করে নিতে বেগ পেতে হয় না তার। গেইট কীপারের সাথে ভালই সখ্যতা তার। একটা মোবাইল কল-ই যথেষ্ট। সাহেল স্যার-এর জন্য নির্দ্বিধায় খুলে দেয়া হয় বন্ধ থাকা কলেজ গেইট। বিলম্বে আসায় তার উপস্থিতি কার্ডে লাল কালির আঁচড় পড়লেও, তাতে করে সাহেলের ক্লাশ নেওয়ার মনোযোগ ভ্রষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে না। বিলম্বে আসা শিক্ষকটি ঠিকমত ক্লাশে ক্লাশ নিচ্ছে কি-না, তার পর্যবেক্ষকদের হতবাক করে দিয়ে দেখা গেল সেদিনের ক্লাশগুলোয় সাহেল আরও যত্ন নিয়ে পড়াচ্ছে। ভিউয়্যার গ্লাসের অপর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অধ্যক্ষ কিংবা প্রাধ্যক্ষকে হতবাক করে দেয়া অদ্ভুত শিক্ষকটি দেখা যায় সেদিন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রাণবন্ততার কেন্দ্রবিন্দু। সাহেলকে ঘিরে মুখরিত সমস্ত কলেজ ক্যাম্পাস।সাহেল নিজেই অবাক হয়, জীবনে এতটা পথ মাড়ালো সে, কত দেশে কত মানুষের সাথে বিচরণ তার, কিন্তু এখানে এভাবে তার স্থায়িত্ব আসবে, মন এমন গেঁথে যাবে কারও বিণি-সুতোর মালায়, ভাবনায়ও আসেনি কখনও। শুরুতে এ কলেজে তার অবস্থান ছিলো অন্যরকম। তিন তলার এক অন্ধকার শিক্ষক রুমে আরও চারজন সহকর্মীর সাথে বসতে হতো তাকে। কলেজের বাইরে থাকতে হতো এক ব্যাচেলর মেসে। যেখানে তাকে অভিযোজিত হতে হতো ভিন্ন ভাষা-ভাষি, ভিন্ন দেশীয় আরও কতক ব্যাচেলরদের সাথে। সহকর্মী কিংবা মেসে থাকা অন্যদের কাউকেই তেমন ভালো লাগতো না তার।নিছক সৌজন্যমূলক ব্যবহার দেখানোরও প্রয়োজন মনে করতো না সে, বা করতোও না। ভদ্রতা বলে যে শব্দটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লোকে সৌজন্য বজায় রেখে চলে, তা অনুসরণ করার বোধ হয় সাহেলের প্রয়োজন নেই। বরং তার কাছ থেকে ভদ্রতার অনেক গুণ শেখার আছে অনেকেরই। নতুবা সে মেয়ে আর নারী মহলে এত সমাদৃত হতো না। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের মাঝে তুঙ্গে থাকতো না তার নাম। অভিভাবক পুরুষেরা সাহেলের নিকট কারণে অকারণেই আসতো পছন্দ করে। তারা শুধু সাহেলকে পছন্দই না, অনুসরণও করেন। সাহেল এ কলেজে আছে ছয় বছর হলো। এ ছয় বছরে ছেলেদের এমনকি তার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে শিক্ষকদের পোশাক পরিচ্ছদে কেতাদুরস্ততা এসেছে। মেয়েরা পরিবর্তিত হয়েছে সচেতনতায়। নিজেকে মেজেঘঁষে সুন্দর করার মহা হাঙ্গামা সবার মাঝে। আর মহিলা সহকর্মীদের তো কথাই নেই। সাহেল কবে কার দিকে একটু তাকালো, কাকে দেখে মুচকি হাসলো, এইসব ছোট-খাটো বিষয়গুলিও মহিলা স্টাফরুমে আলোচনার প্রতিপাদ্য বিষয়।

                   কিন্তু সব মুশকিল যেন শুধু নায়লার ক্ষেত্রেই। শুরু থেকেই নায়লা যেন কোনভাবেই এ কলেজের শিক্ষকতায় না ঢুকতে পারে, তার সর্বাত্মক চেষ্টা সাহেল করেছে। তাতে সাহেল সাময়িক সময়ের জন্য সমালোচিত হলেও, উৎরে নিয়েছে খুব সহজেই, অভিনব কৌশল অবলম্বণ করে। সব বাঁধা ডিঙিয়ে নায়লা যখন কলেজটিতে শিক্ষকতায় অংশ নিলো, মন জয় করে নিলো ছাত্র-শিক্ষক-পরিষদ সকলের, শুরু হলো সাহেলের সূক্ষ্ম কারুময় চাল চলন। নায়লাকে দেখা মাত্রই এমন ভান করা বিষ্ময়ের চোখে তাকাতো, আর এমন ভাব করতো যেন নায়লার প্রেমে হাবু-ডুবু খাচ্ছে সে। কয়েকদিন দেখা না হয়ে যেদিন দেখা হতো, এমন করুণ মুখভঙ্গী করতো যে নায়লা বিহনে এতদিন সাহেল পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে বিরহে। কখনো হয়তোবা এমন ভান করতো যে অকস্মাৎ নায়লার গায়ে গা স্পর্শ লেগে যাচ্ছে, আর তা থেকে আকস্মিক ধাক্কা সামলাতে ছিটকে পড়ে গেছে সাহেল পারশ্ববর্তী দেয়ালের গায়ে। দেয়ালে বাড়ি খেয়ে সাহেল হয়তো ব্যথা পেয়েছে এই ভেবে সহানুভূতির দৃষ্টিতে সাহেলের দিকে তাকাতেই নায়লা দেখতো সাহেল তাকে চোখ টিপ মেরে মুচকি হেসে তার দিকেই এগিয়ে এসে আবার প্রচন্ড ব্যস্ত এমন ভাব করে হনহন করে ছুটে চলে যাচ্ছে অফিস কক্ষের দিকে। কিংবা নায়লাকে দেখে অভিভূত এমন ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাহেল অপলকে। কিন্তু নায়লাকে তবুও টলাতে পারেনি সাহেল, সাহেলও অনঢ় তার ভূমিকা থেকে। একে-একে চালিয়ে গেছে সে তার প্রচেষ্টা।দূর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্যবশত নায়লা তারই ডিপার্টমেন্টের আন্ডারে, আর সাহেল তার ডিপার্টমেন্টের বস। অফিসিয়াল অনেক কাজেই স্বাক্ষর নিতে যেতে হয় বসের কক্ষে। নায়লা মনে মনে পথ বের করে কিভাবে সাহেলের কক্ষে যাওয়া এড়ানো যায়। আর কিভাবে সাহেলকে এড়িয়েই কাজগুলো করে নেয়া যায়। নায়লার বিরুদ্ধে সাহেলের লিখা রিপোর্টের ভিত্তিতে উর্ধ্বতনের দেয়া শো-কজের কাগজটা হাতে নিয়ে নায়লা তাজ্জব হয়ে গেল। এ-ও কি সম্ভব পৃথিবীতে? মিথ্যের তো সীমা থাকা চাই! কেন এমন করছে সাহেল? তাকে যদি অপছন্দই তার, তবে কেন ভালোবাসা প্রকাশের এত ব্যগ্রতা? সাহেলের চোখের তারায় নায়লা তো ভালোবাসা বৈ ঘৃণা কখনই খুঁজে পায়না।

       নায়লার মনে পড়ে, সবাইকে অবাক করে দিয়েছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে শিক্ষকদের মিটিংএ। নায়লার এমন প্রশংসা সে করেছিলো যে পরদিন থেকে সব সহকর্মীরাই নায়লাকে দেখে মুখ টিপে হাসছিল। এ এক অস্বস্থিকর ব্যাপার বটে।শালিশ বোর্ডে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন ছাড়াও উপস্থিত বয়োজ্যষ্ঠ শিক্ষকমণ্ডলী। নায়লা আর সাহেল পাশাপাশি তীর্যকমুখী হয়ে বসা। নায়লার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিয়েছে সাহেল। নায়লা না-কি সাহেলকে অপমান করেছে, অশ্রাব্য গালি-গালাজ করেছে। জিভ দেখিয়ে, পা দেখিয়ে, দুহাতের বুড়ো আঙুল উঁচু করে না-কি নায়লা সাহেলকে বলেছে, বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সাহেলকে নায়লা মানে না। মানবেও না। অবাস্তব! অবিশ্বাস্য সব কথাবার্তা লিখা সে এক অভিনব চিঠি। এর কি জবাব দেবে নায়লা? নায়লা বুঝতে পারছে সাহেল আঁট-ঘাট বেঁধেই রিপোর্টটা তৈরি করেছে। কর্ত্তৃপক্ষ রায় দিলো নায়লাকে ক্ষমা চাইতে হবে সাহেলের কাছে। অথচ বাস্তবে ঘটেছে তার উল্টো। এলোমেলো ও দায়িত্বহীন বিধায় সাহেলকে ল্যাব-এ বসতে না দিয়ে নায়লাকে বসানো হয়েছিলো। আর কূট-কৌশলে সাহেল অন্য দরজা খুলে আগেই বসেছিলো ল্যাব কক্ষে। সেখানে প্রবেশ করে বাতি নিভিয়ে ভেতর থেকে দরজা লক করা সাহেলকে দেখা যায়নি ভিওয়্যার গ্লাস ভেদ করে। আর অন্যদিনের মত সেদিনও নায়লা ল্যাবে ঢুকা মাত্রই হৈ-চৈ বাঁধিয়ে দিয়েছিলো সাহেল এই বলে যে, এই ল্যাবে সাহেলেরই বসার কথা এবং আগে থেকেই বসতো, নায়লা ঢুকে তাকে বিরক্ত করেছে, অশ্রাব্য গালিগালাজ ও দূর্ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাহেল একবারও প্রকৃত সত্যটা বলেনি যে, সে নিজেই নায়লাসহ তাঁর স্টুডেন্টদের ল্যাব থেকে বের হয়ে যেতে আদেশ করেছে। ল্যাব এ নায়লাকে সে প্রেক্টিক্যাল সম্পন্ন করতে দেয়নি। নায়লাকে ল্যাব থেকে বহিঃস্কার করেছে সাহেল। সাহেলের প্রতিটি পদক্ষেপ আর আচরণেই ক্ষুব্ধ নায়লা। হতবাকও। প্রতিক্ষেত্রেই নায়লার মনে হয়েছে, এসবের মানে কি? কেন এমন করছে সাহেল? নায়লাতো অবিবাহিতাও নয়, সুন্দরীও নয় যে, তার সাথে সাহেলের মত সুদর্শন যুবক এভাবে প্রেমখেলায় মেতে উঠবে? নায়লা সত্যি কোন কারন খুঁজে পায় না এসবের!

     কাল থেকে কলেজে প্রমোশন টেষ্ট শুরু। তাই সব শিক্ষকরাই ব্যস্ত সিট-প্ল্যান তৈরিতে। ডিউটি রোষ্টার অনুযায়ী সিট ল্যাবেল লাগানো আর তার জন্য প্রতি কক্ষে ডেস্ক, চেয়ার, টেবিল সাজানোতে মগ্ন অন্যদের মত নায়লাও। নাহ, সে তার জন্য নির্ধারিত কক্ষটি খুঁজে পাচ্ছে না এখনও। এক তলা থেকে অন্য তলা, এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং ঘুরছে নায়লা হন্যে হয়ে। তীব্র শিস বেজে চলেছে আশে পাশের কোন একটি কক্ষ থেকে। এত চমৎকার সে শিস! প্রবল ঔৎসুক্যে সেদিকে এগুচ্ছে নায়লা। কেন যে এগুচ্ছে, নায়লা তা নিজেও জানে না। তবে যে শিস বাজিয়ে এমন চমৎকার সুর তুলেছে, সে যে যেমন তেমন কেউ নয়, নায়লা তা বুঝতে পারছে। কারণ হলো, শিস দেয়া সেই সুর শুনে নায়লা আলোড়িত হচ্ছে। শ্লথ হয়ে আসছে তার চলার গতি। এর কারণ কি হতে পারে? রোমান্টিসিজম!?

      কক্ষটির দরোজার কাছে যেতেই প্রচণ্ড এক ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে গেলো নায়লার হাতের পার্স, গ্লুু-স্টিক, মার্কার, সিট ল্যাবেল বক্স আর তার সাথে কিছু একটা...। অসাঢ় হাতের মুঠোয় এক এক করে জিনিষগুলো পুড়ে দিচ্ছে সাহেল। জিনিষগুলোর সাথে সাথে প্রতিবার একটু একটু করে ছুঁয়ে যাচ্ছে সাহেলের স্পর্শ নায়লার হাতে। স্পর্শ-ঝংকারে বেজে ওঠলো যেন গ্র্যাণ্ড পিয়ানোর রীড। অবনত দৃষ্টিতে দাড়িয়ে থাকা নায়লার চোখের পাতা চুঁইয়ে নেমে আসা গোলাপী আভা সমস্ত গাল ছুঁয়ে এনে দিয়েছে এক অনন্য ব্যঞ্জনা! দুহাতের তালুতে আড়াল করে ধরে রাখা প্রদীপের আলোকে একান্ত নিজের করে দেখার মত অনুভূতিতে, নির্নিমেষ চেয়ে আছে সাহেল। নিজেকে সংযত করে বাম দিকের তপ্ত গালটাকে দোপাট্টার আঁচলে ঢেকে চলে যাওয়ার জন্যে ঘুরে দাঁড়াতেই পেছন থেকে বেজে ওঠলো আবার সাহেলের শিস!

      নিঃশ্বব্দে নেমে গেল নায়লা সিঁড়ি বেয়ে। পেছনে পড়ে রইলো সাহেলের দৃষ্টির সম্মোহক কূহক। যা কিনা দহনে পোড়ালেও সীমা অতিক্রম করার মতো উত্তেজিত করে না। বরং নির্মেঘ বৃষ্টির জল সিঞ্চনে অভিসিক্ত হয় পোড়া মাটি, দগ্ধ মন। দূরে কোথাও অনন্ত বেজে চলে সাহেলের শিস। সিটি বাজিয়ে মিলিয়ে যায় দূরের গন্তব্যে ছুটে চলা ট্রেনের ধোঁয়া। জীবন থেমে থাকে না।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৮৫১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৭/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অসাধারণ
  • পরশ ২৩/০৭/২০১৬
    সুন্দর
  • nice golpo
  • প্রিয় ১৭/০৭/২০১৬
    ভাবটি ভাল,তবে লেখন শৈলী আরো সুন্দর করতে হবে।
  • সজীব ১৩/০৭/২০১৬
    good
  • পড়েছি। আর গল্প মাত্র একবার পড়েই মন্তব্য করা ঠিক নয়।
  • পরশ ১৩/০৭/২০১৬
    সুন্দর
  • Wow! a long narrative....::::
    • সঞ্চারিণী ১৩/০৭/২০১৬
      Thanks!:D
 
Quantcast