নবজাগরণ ও সমাজ
অনেক আগেই রবার্ট ক্লাইভ দাবার চালে মাত করেছে
এ দেশীয় মির্জাফার আর সিরাজ মরেছে
নাটকের দল চলে গেছে লেবেডফের হাত ধরে
এসেছে ব্যাপটিস্ট মিশনারি বাংলার ঘরে।
বাংলা ভাষার ইংরেজি প্রভাত তখন উদীয়মান
তার মাঝেই ব্রাহ্ম সমাজে দৃঢ় চেতা রাজা রামমোহন।
ধীরে ধীরে বিদ্যাসাগরকে লোকে মানুষ পরিচয় করছে
তখনও কুলীন বেশি বহুবিবাহে কিশোরীরা মরছে।
বাল্যবিবাহ রোধ করেই বিদ্যাসাগর হয়নি ক্ষান্ত
বর্ণপরিচয় লিখে বাংলার বৃক্ষ রোপণে বীজ বপণ করেই শান্ত।
অলসতা ছেড়ে বাবুদের যেই শিক্ষিত করা হচ্ছে,
ডিরোজিও দল মাতাল হয়ে সমাজে ঘুরছে ফিরছে।
অক্ষর কুমার দত্ত, প্যারীচাঁদ মিত্রের সেই কলকাতা
বনেদিয়ানা না ইংরেজের কেরানি চাটুকারিতা – কেউ জানে না।
মাইকেল হয়ে মধুসূদন বিদেশে সনেট লিখেও নিঃস্ব
বিদ্যাসাগরকে চিঠি লিখল বলেই বাঙালিরা নাটক কি তা জানল বিশ্ব।
বুড়ো শালিখের মাথায় রো – সমাজের জলজ্যান্ত উদাহরণ
কিভাবে সেই সময়ের শিক্ষিত সমাজ করেছে সকল বরণ।
১৮৫৭ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল
সেই শিক্ষাঙ্গনে রবি ঠাকুর কি বাংলায় পা দিল?
বাংলার বৃক্ষ গঠনে বঙ্কিমবাবুর বিশাল অবদান
সাহিত্য জগতে অমূল্য রত্ন তিনি করলেন প্রদান।
কিঞ্চিত্কর কিছু কথা সাহিত্যিক নারী ব্রতী হয়ে
শরত্চন্দ্র বাংলা ভাষায় সমাজকে আনল চেতনা রাজ্য বয়ে।
সেই পথেই ছোট গল্প থেকে উপন্যাস, নাটকে রবীন্দ্রনাথ
নিয়ে এলো বাংলা ও বাঙালির নতুন প্রভাত।
তারই মাঝে মন জগতে যিনি রাম তিনি কৃষ্ণ বিপ্লব ঘটিয়েছে
নরেনকে বিবেকানন্দ ও সিস্টার নিবেদিতারা পথ হেটেছে।
ইতিহাসে মনীষীদের নবজাগরণ ভালো লাগে
চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, চৈতন্যযুগে বৈষ্ণবপদ ঠাকুরদেবতা ছিল আগে।
সংস্কৃতির উদ্বোধন হয়েছে উনিশ শতকের নবজাগরিত সময়
সাধারণ ঘরে নারীরা পেয়েছে পর্দা সীন অভয়।
সমাজের বুকে তথাকথিত বাবুদের দর্প হয়েছে চূর্ণ,
বাংলা ভাষায় প্রতিফলিত হয়েছে সাহিত্যদর্শন সম্পূর্ণ।
বিজ্ঞান চেতনায় স্যার আশুতোষের হাত ধরে সতেন- সাহা বিশ্বকে দেখালো পথ
বাংলা জীবনে জয়গান নিয়ে বিপ্লবীদের চলল জয়রথ।
এখনও আমরা পেরিয়ে আসিনি সেই যুগের অন্ধকার
কেমন ছিল সমাজ... কেন অবহেলিত শৈশব নারীর আকার!
শিক্ষার আলো সর্বস্তরে পাইনা তখন আলো,
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় লাগত খুব ভালো।
যুক্তির যুগ এসেছিল তাও অনেক যুদ্ধ করে
গোড়া বাঙালি বসেছিল প্রাচীন রুজিকে ধরে।
জানতে হলে পুরুষতন্ত্র, বিশেষত যেতে হবে ইংরেজ দেশে
কি চিন্তা চেতনে তারা এসেছিল.. রাখতে চেয়েছিল কেরানি বেশে।
শিক্ষার নামে প্রহসন.. সে তো আজও তাই,
তবু এই পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাই।
সমাজ যা ছিল আগে আজও তাই আছে,
মুষ্টিমেয় পুরুষের হাতে বড়লোক রাজনীতি সমাদর বাংলার কাছে।
তবু আমরাই বিবেচক একবিংশ শতকে
নবজাগরণের পথ ধরেই সেরার শিরোপা দিলাম মনীষীদের মস্তকে।
এ দেশীয় মির্জাফার আর সিরাজ মরেছে
নাটকের দল চলে গেছে লেবেডফের হাত ধরে
এসেছে ব্যাপটিস্ট মিশনারি বাংলার ঘরে।
বাংলা ভাষার ইংরেজি প্রভাত তখন উদীয়মান
তার মাঝেই ব্রাহ্ম সমাজে দৃঢ় চেতা রাজা রামমোহন।
ধীরে ধীরে বিদ্যাসাগরকে লোকে মানুষ পরিচয় করছে
তখনও কুলীন বেশি বহুবিবাহে কিশোরীরা মরছে।
বাল্যবিবাহ রোধ করেই বিদ্যাসাগর হয়নি ক্ষান্ত
বর্ণপরিচয় লিখে বাংলার বৃক্ষ রোপণে বীজ বপণ করেই শান্ত।
অলসতা ছেড়ে বাবুদের যেই শিক্ষিত করা হচ্ছে,
ডিরোজিও দল মাতাল হয়ে সমাজে ঘুরছে ফিরছে।
অক্ষর কুমার দত্ত, প্যারীচাঁদ মিত্রের সেই কলকাতা
বনেদিয়ানা না ইংরেজের কেরানি চাটুকারিতা – কেউ জানে না।
মাইকেল হয়ে মধুসূদন বিদেশে সনেট লিখেও নিঃস্ব
বিদ্যাসাগরকে চিঠি লিখল বলেই বাঙালিরা নাটক কি তা জানল বিশ্ব।
বুড়ো শালিখের মাথায় রো – সমাজের জলজ্যান্ত উদাহরণ
কিভাবে সেই সময়ের শিক্ষিত সমাজ করেছে সকল বরণ।
১৮৫৭ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল
সেই শিক্ষাঙ্গনে রবি ঠাকুর কি বাংলায় পা দিল?
বাংলার বৃক্ষ গঠনে বঙ্কিমবাবুর বিশাল অবদান
সাহিত্য জগতে অমূল্য রত্ন তিনি করলেন প্রদান।
কিঞ্চিত্কর কিছু কথা সাহিত্যিক নারী ব্রতী হয়ে
শরত্চন্দ্র বাংলা ভাষায় সমাজকে আনল চেতনা রাজ্য বয়ে।
সেই পথেই ছোট গল্প থেকে উপন্যাস, নাটকে রবীন্দ্রনাথ
নিয়ে এলো বাংলা ও বাঙালির নতুন প্রভাত।
তারই মাঝে মন জগতে যিনি রাম তিনি কৃষ্ণ বিপ্লব ঘটিয়েছে
নরেনকে বিবেকানন্দ ও সিস্টার নিবেদিতারা পথ হেটেছে।
ইতিহাসে মনীষীদের নবজাগরণ ভালো লাগে
চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, চৈতন্যযুগে বৈষ্ণবপদ ঠাকুরদেবতা ছিল আগে।
সংস্কৃতির উদ্বোধন হয়েছে উনিশ শতকের নবজাগরিত সময়
সাধারণ ঘরে নারীরা পেয়েছে পর্দা সীন অভয়।
সমাজের বুকে তথাকথিত বাবুদের দর্প হয়েছে চূর্ণ,
বাংলা ভাষায় প্রতিফলিত হয়েছে সাহিত্যদর্শন সম্পূর্ণ।
বিজ্ঞান চেতনায় স্যার আশুতোষের হাত ধরে সতেন- সাহা বিশ্বকে দেখালো পথ
বাংলা জীবনে জয়গান নিয়ে বিপ্লবীদের চলল জয়রথ।
এখনও আমরা পেরিয়ে আসিনি সেই যুগের অন্ধকার
কেমন ছিল সমাজ... কেন অবহেলিত শৈশব নারীর আকার!
শিক্ষার আলো সর্বস্তরে পাইনা তখন আলো,
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় লাগত খুব ভালো।
যুক্তির যুগ এসেছিল তাও অনেক যুদ্ধ করে
গোড়া বাঙালি বসেছিল প্রাচীন রুজিকে ধরে।
জানতে হলে পুরুষতন্ত্র, বিশেষত যেতে হবে ইংরেজ দেশে
কি চিন্তা চেতনে তারা এসেছিল.. রাখতে চেয়েছিল কেরানি বেশে।
শিক্ষার নামে প্রহসন.. সে তো আজও তাই,
তবু এই পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাই।
সমাজ যা ছিল আগে আজও তাই আছে,
মুষ্টিমেয় পুরুষের হাতে বড়লোক রাজনীতি সমাদর বাংলার কাছে।
তবু আমরাই বিবেচক একবিংশ শতকে
নবজাগরণের পথ ধরেই সেরার শিরোপা দিলাম মনীষীদের মস্তকে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল মান্নান মল্লিক ২১/০৫/২০১৫পড়ে খুব ভাল লাগলো কবি, এমন আরোও আশা করছি
-
রইস উদ্দিন খান আকাশ ২১/০৫/২০১৫অসাধারণ,
-
সাইদুর রহমান ২০/০৫/২০১৫খুব ভালো লাগলো।