ঈদের নতুন পোশাক ওমাংস নিয়ে ফেরা হলো না
ঈদের সময় ভালো রোজগারের আশায় রিকশা চালাতে বগুড়া থেকে রাজধানী ঢাকায় গিয়েছিলেন আবদুল জলিল (৪৫)। প্রত্যাশা অনুযায়ী রোজগারও করেছেন। ওই টাকায় পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনেছিলেন। অভাবের সংসারে খরচ করার জন্য রোজগার থেকে চার হাজার টাকা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ঈদের দিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে পাঁচ কেজি গরুর মাংসও জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু এই সামান্য জিনিস নিয়েও বাড়ি ফিরতে পারলেন না আবদুল জলিল। ছিনতাইকারী সবকিছু নিয়ে গেছে। সঙ্গে প্রাণও।
ঈদের পরদিন গতকাল বুধবার ভোরে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি-নামাজগড় সড়কের করনেশন ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন কাটনারপাড়া এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হন আবদুল জলিল। তাঁর সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনা নতুন পোশাক, কোরবানির মাংস আর চার হাজার টাকা নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। নিহত আবদুল জলিল বগুড়ার কাহালু উপজেলার পীরাপাট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের সন্ধ্যায় নৈশকোচে রওনা দিয়েছিলেন বগুড়ার পথে। গতকাল ভোরে বগুড়ার সাতমাথায় কোচ থেকে নেমে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু শহরের দত্তবাড়ি-নামাজগড় সড়কের করনেশন ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের পাশে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। আবদুল জলিলের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র কেড়ে নিতে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ও পিঠে একের পর এক আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে জামাই এমাদুল ইসলাম বলেন, রিকশা চালিয়ে ভালো উপার্জনের আশায় এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে ঢাকা গিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুর। ঈদের দিন বাড়িতে মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, রিকশা চালিয়ে হাজের চারেক টাকা জমিয়েছেন। পরিবারের সবার জন্য নতুন জামাকাপড় কিনেছেন। বাসাবাড়ি ঘুরে কেজি পাঁচেক মাংসও পেয়েছেন। অথচ এর জন্য তাঁকে খুন হতে হলো।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ছিনতাইকারীরা সামান্য কিছু টাকা আর কোরবানির মাংসের জন্যই রিকশাচালক আবদুল জলিলকে খুন করেছে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ে জামাই এমাদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা
ঈদের পরদিন গতকাল বুধবার ভোরে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি-নামাজগড় সড়কের করনেশন ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন কাটনারপাড়া এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হন আবদুল জলিল। তাঁর সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনা নতুন পোশাক, কোরবানির মাংস আর চার হাজার টাকা নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। নিহত আবদুল জলিল বগুড়ার কাহালু উপজেলার পীরাপাট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের সন্ধ্যায় নৈশকোচে রওনা দিয়েছিলেন বগুড়ার পথে। গতকাল ভোরে বগুড়ার সাতমাথায় কোচ থেকে নেমে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু শহরের দত্তবাড়ি-নামাজগড় সড়কের করনেশন ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের পাশে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। আবদুল জলিলের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র কেড়ে নিতে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ও পিঠে একের পর এক আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে জামাই এমাদুল ইসলাম বলেন, রিকশা চালিয়ে ভালো উপার্জনের আশায় এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে ঢাকা গিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুর। ঈদের দিন বাড়িতে মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, রিকশা চালিয়ে হাজের চারেক টাকা জমিয়েছেন। পরিবারের সবার জন্য নতুন জামাকাপড় কিনেছেন। বাসাবাড়ি ঘুরে কেজি পাঁচেক মাংসও পেয়েছেন। অথচ এর জন্য তাঁকে খুন হতে হলো।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ছিনতাইকারীরা সামান্য কিছু টাকা আর কোরবানির মাংসের জন্যই রিকশাচালক আবদুল জলিলকে খুন করেছে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ে জামাই এমাদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আনিসা নাসরীন ১৬/০৯/২০১৬হায়রে ঈদ