শৈশবের সেই অভ্যাস
শৈশবের সেই অভ্যাস
-সৈয়দ শরীফ
-
কিছু কিছু অভ্যাস যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে;
টিকে থাকে তা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
বেঁচে থাকার অভ্যাসের সাথে আরও অনেক অভ্যাসই তো ভর করে মানুষের মাঝে।
তেমন কিছু অভ্যাস আমারও ছিলো-
কিন্তু এখন সেই অভ্যাসগুলো মৃত্যুবরণ করেছে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো বলে।
-
সে অনেক বছর আগের কথা-
-
প্রতিদিন সকালে সূর্যালোক পৃথিবী ছোঁবার পূর্বক্ষণে বয়ে যেতো যখন এক মৃদু নভস্বান,
সেই দুর্লভ-নভস্বানক্ষণে অবুঝ শিশুদের মতো মোরগ ও পাখিদের কণ্ঠছড়ানো কান পেতে উপভোগ করাটাও একটি অভ্যাস ছিলো আমার।
সূর্য্যটা যখন মাথায় চড়ে বসতো, সেই মুহূর্তটাতে পুকুরে গিয়ে ইচ্ছেমত ডোবানোটাও প্রতিদিনকার অভ্যাস তো ছিলোই, সেই সাথে মাছ ধরার নেশা ছিলো আমার অসামাল।
মাছ ধরতে ধরতে সন্ধ্যা নেমে যেতো, তবুও বিরতি ঘটতো না এই অভ্যাসটির।
সন্ধ্যার ভৌতিক আঁধার কেড়ে নিতো যখন সূর্যের সমস্ত আলো, তখন দেখা যেতো ভূতুমপ্যাঁচাদের অগ্নিচক্ষু, আর শোনা যেতো ভয়ঙ্গকর ডাক !
ভয়ে জলদি করে উঠে বিরতি ঘটাতাম সেই মাছ ধরার অভ্যাসটির।
হাটতে হাটতে বাসায় ফেরার পথে ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে ইচ্ছেমতো চ্যাঁচাতো ঝিঁঝিঁদের দল-
আর জোনাকিরা উড়ে বেড়াতো তাদের গর্ভে আলো নিয়ে-
আমি ঝিঁঝিঁদের চ্যাঁচামেচি শোনা আর জোনাকিদের আলো ছড়ানো দেখাটাও প্রতিদিনকার অভ্যাস করে নিয়েছিলাম।
বাসায় ফিরে মায়ের হাতে ভাত খেয়ে তাঁর কোলে ঘোমানোটা তো ছিলো আমার আমৃত্যু অভ্যাস !
কিন্তু এখন আর এই অভ্যাসেরা কথা বলে না-
জীবনটার মাঝে ছড়ায় না কোনো রঙিনআলো।
ধূসর বর্ণের অভ্যাস নিয়েই কাটাতে হচ্ছে জীবনের বাকিটা পথ।
-সৈয়দ শরীফ
-
কিছু কিছু অভ্যাস যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে;
টিকে থাকে তা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
বেঁচে থাকার অভ্যাসের সাথে আরও অনেক অভ্যাসই তো ভর করে মানুষের মাঝে।
তেমন কিছু অভ্যাস আমারও ছিলো-
কিন্তু এখন সেই অভ্যাসগুলো মৃত্যুবরণ করেছে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো বলে।
-
সে অনেক বছর আগের কথা-
-
প্রতিদিন সকালে সূর্যালোক পৃথিবী ছোঁবার পূর্বক্ষণে বয়ে যেতো যখন এক মৃদু নভস্বান,
সেই দুর্লভ-নভস্বানক্ষণে অবুঝ শিশুদের মতো মোরগ ও পাখিদের কণ্ঠছড়ানো কান পেতে উপভোগ করাটাও একটি অভ্যাস ছিলো আমার।
সূর্য্যটা যখন মাথায় চড়ে বসতো, সেই মুহূর্তটাতে পুকুরে গিয়ে ইচ্ছেমত ডোবানোটাও প্রতিদিনকার অভ্যাস তো ছিলোই, সেই সাথে মাছ ধরার নেশা ছিলো আমার অসামাল।
মাছ ধরতে ধরতে সন্ধ্যা নেমে যেতো, তবুও বিরতি ঘটতো না এই অভ্যাসটির।
সন্ধ্যার ভৌতিক আঁধার কেড়ে নিতো যখন সূর্যের সমস্ত আলো, তখন দেখা যেতো ভূতুমপ্যাঁচাদের অগ্নিচক্ষু, আর শোনা যেতো ভয়ঙ্গকর ডাক !
ভয়ে জলদি করে উঠে বিরতি ঘটাতাম সেই মাছ ধরার অভ্যাসটির।
হাটতে হাটতে বাসায় ফেরার পথে ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে ইচ্ছেমতো চ্যাঁচাতো ঝিঁঝিঁদের দল-
আর জোনাকিরা উড়ে বেড়াতো তাদের গর্ভে আলো নিয়ে-
আমি ঝিঁঝিঁদের চ্যাঁচামেচি শোনা আর জোনাকিদের আলো ছড়ানো দেখাটাও প্রতিদিনকার অভ্যাস করে নিয়েছিলাম।
বাসায় ফিরে মায়ের হাতে ভাত খেয়ে তাঁর কোলে ঘোমানোটা তো ছিলো আমার আমৃত্যু অভ্যাস !
কিন্তু এখন আর এই অভ্যাসেরা কথা বলে না-
জীবনটার মাঝে ছড়ায় না কোনো রঙিনআলো।
ধূসর বর্ণের অভ্যাস নিয়েই কাটাতে হচ্ছে জীবনের বাকিটা পথ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সন্দীপ মন্ডল ২৯/০৬/২০১৬Valo likhechhen
-
অঙ্কুর মজুমদার ২৮/০৬/২০১৬vlo