পাত্রী সমাচার
বর সবুর করিতে পারিলেও বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না ।পুত্র বড় হইয়াছে, চাকুরী করিতেছে । সুতরাং তাহার বিবাহ সম্বন্ধে সচেতন পিতা মাতার উদ্গ্রীব হওয়াটায় স্বাভাবিক । কনের সন্ধানে পিতা ব্যতিব্যস্ত হইয়া পরিলেন। দুই একটা মেয়ে দেখা হইল বটে কিন্তু বরের পছন্দমতো হইল না। তাহার একই কথা লম্বা মেয়ে ছাড়া সে বিবাহ করিবে না । বরের পরিচয় দেওয়াটা অত্যাবশ্যক । সাতক্ষিরার ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের বড় ছেলে। ঢাকার একটি অর্থিক প্রতিষ্টানের পদস্থ কর্মকর্তা। গায়ের রং ফর্সা , উচ্চতা ৫ ফিট১০" । ছাত্র জীবনে অনেক মেয়ের নিদ্রাহীনতার কারণ । নাম ফিরোজ খান ।
পুত্রের পছন্দমতো পাত্রী না পাইয়া পিতা হতাশ হইয়া পড়িলেন । তিনি অালটিমেটাম জারি করিলেন, অাগামী ঈদের অাগে যদি পুত্র তাহার পছন্দমতো পাত্রী না অানিতে পারে তবে পিতার পছন্দের পাত্রিকেই বিবাহ করিতে হইবে । পুত্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়িল কেননা পিতা এক কথার লোক যাহা বলিয়াছেন ঠিক তাহাই করিবেন । তাই যে করেই হোক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেই স্বপ্নের রাজকুমারীকে খুঁজিয়া বের করিতে হইবে ।
তাহার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজান সিনহা ও অলিদ ঠাকুরের পরামর্শে রুটিন করিয়া প্রতিদিন অফিস শেষে শপিং মল সহ যেখানে অধিক সংখক ললনার জমায়েত ঘটে সে সব যায়গায় ডু মারিতে লাগিল।
ঈদ প্রায় অাসন্ন। শপিং মল গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। অাজ কি ভাগ্য সুপ্রসন্ন হইবে ? এমন ভাবনা ভাবিতে ভাবিতে নীলক্ষেত অতিক্রম করিয়া রাফিন প্লাজা পিছনে ফেলিয়া বলাকা সিনেমা হলের সামনে গিয়ে উপস্থিত হইল ফিরোজ খান। সেখান থেকে খানিক দূরে নিউমার্কেট ওভার ব্রিজ্রের নিচে দৃষ্টিপাত করিবা মাত্রই তাহার দিলমে লাড্ডু ফাটিতে লাগিল । দীর্ঘাঙ্গী এক রমনী দাড়িয়ে, সম্মুখভাগ দৃষ্টিগোচর না হইলেও পশ্চাৎভাগ দর্শনেই তার মনের অাকাশে এক ঝাঁক রঙিন প্রজাপতি উড়িল । অানন্দে ভ্রু কম্পিত হইতে লাগিল, নিশ্বাসের গতি বাড়িয়া গেল । দ্রুত সামনে এগোতে লাগিল সে । এইতো সেই ললনা, যাকে সে খুঁজছে । রমনীর দিঘল চুলের খোপা যেন খোপা নয় কোন এক গৃহস্তের অতিযত্নে গড়া শৈল্পিক খরের গাদা!। চওড়া পৃষ্ঠদেশ থেকে নিতম্ব যেন সমতলে গড়ে তোলা অসমতল অর্গানিক চা বাগান । তার মনের মধ্যে সেই গানের স্বর বাজিতে লাগিল, "কমরের দোলায় যেন সাগরের ঢেউ......" । রমনীর সৌন্দর্য অবলোকন করিতে করিতে সে কল্পনার রাজ্যে গমন করিল । তাহার কল্পনা নিউমার্কেটের জনাকীর্ণ ফুটপাত থেকে সোহরাওয়ার্দী-রমনা পার্ক অতিক্রম করিয়া মিরপুরে তাহার ফুফাতো ভাই হেলালের ফ্লাটে গিয়ে পৌছিল । সে কল্পনা অারো শাণিত হইল, নিবির ছায়াঘেরা এক বাগান বাড়িতে এক ঝাঁক নাতি-নাতনি পরিবেষ্টিত হাস্যোজ্জ্বল পিতা-মাতাকে দেখিয়া তাহার চিত্ত নাচিয়া উঠিল । হটাৎ দক্ষিণ বাহুতে কোন কিছুর গুতোই স্বম্ভিত ফিরিয়া পাইল ফিরোজ খান । "অ্যাই সোনাভাই অামার, দশ ট্যাকা দে " ঝাঁজাল কন্ঠে বলিল সেই রমনী ! কল্পনার সাদা মেঘ অার কাশফুলের জগৎ থেকে ধপাস করিয়া বুড়িগঙ্গার জলে পড়িল ফিরোজ খান । ক্লিন শেভড রমনীর মুখপানে চাহিয়া তাহার মুখখানা ফ্যাকাশে হইয়া গেল । অতিদ্রুত পকেট থেকে ৫০ টাকার একখানা নোট বাহির করিয়া সেই রমনীর হাতে গুজিয়া দিয়া দ্রুতগতিতে প্রস্থান করিয়া সিটিবাসে চাপিয়া বসিল । মোবাইলখানা কানে ধরিয়া পিতাকে তাহাদের পছন্দসই পাত্রী নির্বাচন করিয়া বিবাহের অায়োজন করিতে বলিলেন । দীর্ঘাঙ্গী রমনী বিবাহের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটিল ।
পুত্রের পছন্দমতো পাত্রী না পাইয়া পিতা হতাশ হইয়া পড়িলেন । তিনি অালটিমেটাম জারি করিলেন, অাগামী ঈদের অাগে যদি পুত্র তাহার পছন্দমতো পাত্রী না অানিতে পারে তবে পিতার পছন্দের পাত্রিকেই বিবাহ করিতে হইবে । পুত্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়িল কেননা পিতা এক কথার লোক যাহা বলিয়াছেন ঠিক তাহাই করিবেন । তাই যে করেই হোক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেই স্বপ্নের রাজকুমারীকে খুঁজিয়া বের করিতে হইবে ।
তাহার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজান সিনহা ও অলিদ ঠাকুরের পরামর্শে রুটিন করিয়া প্রতিদিন অফিস শেষে শপিং মল সহ যেখানে অধিক সংখক ললনার জমায়েত ঘটে সে সব যায়গায় ডু মারিতে লাগিল।
ঈদ প্রায় অাসন্ন। শপিং মল গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। অাজ কি ভাগ্য সুপ্রসন্ন হইবে ? এমন ভাবনা ভাবিতে ভাবিতে নীলক্ষেত অতিক্রম করিয়া রাফিন প্লাজা পিছনে ফেলিয়া বলাকা সিনেমা হলের সামনে গিয়ে উপস্থিত হইল ফিরোজ খান। সেখান থেকে খানিক দূরে নিউমার্কেট ওভার ব্রিজ্রের নিচে দৃষ্টিপাত করিবা মাত্রই তাহার দিলমে লাড্ডু ফাটিতে লাগিল । দীর্ঘাঙ্গী এক রমনী দাড়িয়ে, সম্মুখভাগ দৃষ্টিগোচর না হইলেও পশ্চাৎভাগ দর্শনেই তার মনের অাকাশে এক ঝাঁক রঙিন প্রজাপতি উড়িল । অানন্দে ভ্রু কম্পিত হইতে লাগিল, নিশ্বাসের গতি বাড়িয়া গেল । দ্রুত সামনে এগোতে লাগিল সে । এইতো সেই ললনা, যাকে সে খুঁজছে । রমনীর দিঘল চুলের খোপা যেন খোপা নয় কোন এক গৃহস্তের অতিযত্নে গড়া শৈল্পিক খরের গাদা!। চওড়া পৃষ্ঠদেশ থেকে নিতম্ব যেন সমতলে গড়ে তোলা অসমতল অর্গানিক চা বাগান । তার মনের মধ্যে সেই গানের স্বর বাজিতে লাগিল, "কমরের দোলায় যেন সাগরের ঢেউ......" । রমনীর সৌন্দর্য অবলোকন করিতে করিতে সে কল্পনার রাজ্যে গমন করিল । তাহার কল্পনা নিউমার্কেটের জনাকীর্ণ ফুটপাত থেকে সোহরাওয়ার্দী-রমনা পার্ক অতিক্রম করিয়া মিরপুরে তাহার ফুফাতো ভাই হেলালের ফ্লাটে গিয়ে পৌছিল । সে কল্পনা অারো শাণিত হইল, নিবির ছায়াঘেরা এক বাগান বাড়িতে এক ঝাঁক নাতি-নাতনি পরিবেষ্টিত হাস্যোজ্জ্বল পিতা-মাতাকে দেখিয়া তাহার চিত্ত নাচিয়া উঠিল । হটাৎ দক্ষিণ বাহুতে কোন কিছুর গুতোই স্বম্ভিত ফিরিয়া পাইল ফিরোজ খান । "অ্যাই সোনাভাই অামার, দশ ট্যাকা দে " ঝাঁজাল কন্ঠে বলিল সেই রমনী ! কল্পনার সাদা মেঘ অার কাশফুলের জগৎ থেকে ধপাস করিয়া বুড়িগঙ্গার জলে পড়িল ফিরোজ খান । ক্লিন শেভড রমনীর মুখপানে চাহিয়া তাহার মুখখানা ফ্যাকাশে হইয়া গেল । অতিদ্রুত পকেট থেকে ৫০ টাকার একখানা নোট বাহির করিয়া সেই রমনীর হাতে গুজিয়া দিয়া দ্রুতগতিতে প্রস্থান করিয়া সিটিবাসে চাপিয়া বসিল । মোবাইলখানা কানে ধরিয়া পিতাকে তাহাদের পছন্দসই পাত্রী নির্বাচন করিয়া বিবাহের অায়োজন করিতে বলিলেন । দীর্ঘাঙ্গী রমনী বিবাহের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটিল ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোমেন রায় ০৮/১০/২০১৭ভাষা মন ছুঁয়ে যায়।।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৬/১০/২০১৭ধন্যবাদ,সুনিপুন লেখনী,অনন্যসাধারণ।
-
ফয়জুল মহী ০৫/১০/২০১৭সুনিপুন লেখনী,অনন্যসাধারণ
-
অমিত শমূয়েল সমদ্দার ০৫/১০/২০১৭ভাল গল্প। সুন্দর প্রকাশ
-
আজাদ আলী ০৫/১০/২০১৭Very nice.