বাসর বিভ্রাট
বাসর বিভ্রাট
বাসর ঘরের দরজায় খিল পড়িবা মাত্রই চারিদিকে কেমন সুনসান নিরবতা নামিয়া অাসিল । ভালোভাবে দরজাটা বন্ধ কিনা তা পরীক্ষা করিয়া দুই হস্তে অতি সাবধানে পাগড়ীখান খুলিয়া পাঞ্জাবি খুলিতে গিয়েই বাধিল বিপত্তি । বোতাম না খুলিয়াই মাথার উপর দিয়ে টানিয়া তুলিতে অাটকা পড়িল। কি বিচ্ছিরি অবস্থা, দম বন্ধ হইবার উপক্রম। অনেক কষ্টে এই বিপদ হইতে উদ্ধার পাইয়া হাফ ছাড়িয়া বাঁচিলেন জাহিদ ভাই । মুখ মন্ডল ঘেমে একাকার। ডানে ফিরিয়া নববধুর পানে দৃষ্টিপাত করিতেই ঘামের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়া গেল । লজ্জায় শ্যামলা মুখখানি লাল হইয়া উঠিল। নববধু মিটিমিটি হাসিতেছে । যেন কটাক্ষ করিয়া বলিতেছে, যে নিজের পাঞ্জাবি খুলিতে পারেনা সে অাবার অামার বস্ত্রহরণ করিবে কেমনে?
খানিক ইতস্তত করিয়া ফ্যানের ভলিউম ফুলস্পিডে ছাড়িয়া দিয়ে সটান হইয়া শুইয়া পড়িলেন জাহিদ ভাই । অতিশয় ক্লান্ত । ক্লান্ত হবেন নাইবা কেন ? গত কয়েক দিনের শারীরিক, মানসিক চাপ এতো লোকের অাপ্যায়নের তত্ত্বাবধান যে তাকে নিজেই করতে হয়েছিল । নববধুও কম ক্লান্ত নন, সারাদিন অলংকার অার প্রসাধনীর অাতিসজ্জে পুতুল সাজিয়া বসিয়া থাকিয়া নিজেই জীবন্ত প্রতিমায় পরিণত হইয়াছেন। বরের এমন অাচরণে শুধু অবাকই হইলেন না ইষৎ বিরক্তও হইলেন বটে। বাধ্য হইয়া নব বধুও চুপিসারে বরের বাঁম পাশ ঘেষিয়া শুইয়া পড়িলেন । ঘুমন্ত বরের মুখপানে চাহিয়া অাকাশ-পাতাল ভাবিতে ভাবিতে নববধুও ঘুমাইয়া পড়িল ।
কিছুক্ষণ অতিবাহিত হইতেই নারী কণ্ঠের এক তীব্র অার্তনাদে পুরো বাড়ি প্রকম্পিত হইয়া উঠিল । জাহিদ ভাইয়ের প্রবল নাসিকা গর্জনে ভীত হইয়া চিৎকার করিয়া নববধু অজ্ঞান হইয়া গেল । হতভম্ব হইয়া লাফাইয়া উঠিলেন জাহিদ ভাই । কি ঘটিয়াছে তাহা জানিবার অাগ্রহ জাগিলেও কেহই বাসর ঘরের দিকে ধাবমান হইবার সাহস দেখাইলেন না । পুরো বাড়ি জুরেই নানান জল্পনা -কল্পনা চলিতে লাগিল । এই জল্পনা শেষ অবধি জাহিদ ভাইয়ের জনৈক কবিরাজ বন্ধুর হারবাল বটিকাতে গিয়া ঠেকিল ।
এদিকে জাহিদ ভাই উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বধুর মুখমন্ডলে জলের ঝাপটা দিতেই জ্ঞান ফিরিয়া অাসিল । নববধু ফ্যালফ্যাল করিয়া তাকিয়া রহিল । কিছুই হয়নাই বলিয়া অাশ্বস্ত করিতে লাগিলেন জাহিদ ভাই । তাহার মনের অাকাশে কালো মেঘের অানাগোনা শুরু হইল । গত বছর প্রথম বাসর রাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিল । সেবারও একই ভাবে নববধু ফিট হইয়া গিয়েছিল যার ফলাফল অাজকের দ্বিতীয় বাসর । হায় কপাল ! প্রথম স্ত্রীর মতো নববধুও একই ব্যামোতে অাক্রান্ত , নিজের মন্দ ভাগ্যকে ভর্ৎসনা করিতে করিতে অাবারো তিনি ঘুমের রাজ্যে গমন করিলেন । অনাগত ভবিতব্যের ভাবনায় অাচ্ছন্ন নববধু প্রমাদ গুনতে লাগিল ।
বাসর ঘরের দরজায় খিল পড়িবা মাত্রই চারিদিকে কেমন সুনসান নিরবতা নামিয়া অাসিল । ভালোভাবে দরজাটা বন্ধ কিনা তা পরীক্ষা করিয়া দুই হস্তে অতি সাবধানে পাগড়ীখান খুলিয়া পাঞ্জাবি খুলিতে গিয়েই বাধিল বিপত্তি । বোতাম না খুলিয়াই মাথার উপর দিয়ে টানিয়া তুলিতে অাটকা পড়িল। কি বিচ্ছিরি অবস্থা, দম বন্ধ হইবার উপক্রম। অনেক কষ্টে এই বিপদ হইতে উদ্ধার পাইয়া হাফ ছাড়িয়া বাঁচিলেন জাহিদ ভাই । মুখ মন্ডল ঘেমে একাকার। ডানে ফিরিয়া নববধুর পানে দৃষ্টিপাত করিতেই ঘামের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়া গেল । লজ্জায় শ্যামলা মুখখানি লাল হইয়া উঠিল। নববধু মিটিমিটি হাসিতেছে । যেন কটাক্ষ করিয়া বলিতেছে, যে নিজের পাঞ্জাবি খুলিতে পারেনা সে অাবার অামার বস্ত্রহরণ করিবে কেমনে?
খানিক ইতস্তত করিয়া ফ্যানের ভলিউম ফুলস্পিডে ছাড়িয়া দিয়ে সটান হইয়া শুইয়া পড়িলেন জাহিদ ভাই । অতিশয় ক্লান্ত । ক্লান্ত হবেন নাইবা কেন ? গত কয়েক দিনের শারীরিক, মানসিক চাপ এতো লোকের অাপ্যায়নের তত্ত্বাবধান যে তাকে নিজেই করতে হয়েছিল । নববধুও কম ক্লান্ত নন, সারাদিন অলংকার অার প্রসাধনীর অাতিসজ্জে পুতুল সাজিয়া বসিয়া থাকিয়া নিজেই জীবন্ত প্রতিমায় পরিণত হইয়াছেন। বরের এমন অাচরণে শুধু অবাকই হইলেন না ইষৎ বিরক্তও হইলেন বটে। বাধ্য হইয়া নব বধুও চুপিসারে বরের বাঁম পাশ ঘেষিয়া শুইয়া পড়িলেন । ঘুমন্ত বরের মুখপানে চাহিয়া অাকাশ-পাতাল ভাবিতে ভাবিতে নববধুও ঘুমাইয়া পড়িল ।
কিছুক্ষণ অতিবাহিত হইতেই নারী কণ্ঠের এক তীব্র অার্তনাদে পুরো বাড়ি প্রকম্পিত হইয়া উঠিল । জাহিদ ভাইয়ের প্রবল নাসিকা গর্জনে ভীত হইয়া চিৎকার করিয়া নববধু অজ্ঞান হইয়া গেল । হতভম্ব হইয়া লাফাইয়া উঠিলেন জাহিদ ভাই । কি ঘটিয়াছে তাহা জানিবার অাগ্রহ জাগিলেও কেহই বাসর ঘরের দিকে ধাবমান হইবার সাহস দেখাইলেন না । পুরো বাড়ি জুরেই নানান জল্পনা -কল্পনা চলিতে লাগিল । এই জল্পনা শেষ অবধি জাহিদ ভাইয়ের জনৈক কবিরাজ বন্ধুর হারবাল বটিকাতে গিয়া ঠেকিল ।
এদিকে জাহিদ ভাই উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বধুর মুখমন্ডলে জলের ঝাপটা দিতেই জ্ঞান ফিরিয়া অাসিল । নববধু ফ্যালফ্যাল করিয়া তাকিয়া রহিল । কিছুই হয়নাই বলিয়া অাশ্বস্ত করিতে লাগিলেন জাহিদ ভাই । তাহার মনের অাকাশে কালো মেঘের অানাগোনা শুরু হইল । গত বছর প্রথম বাসর রাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিল । সেবারও একই ভাবে নববধু ফিট হইয়া গিয়েছিল যার ফলাফল অাজকের দ্বিতীয় বাসর । হায় কপাল ! প্রথম স্ত্রীর মতো নববধুও একই ব্যামোতে অাক্রান্ত , নিজের মন্দ ভাগ্যকে ভর্ৎসনা করিতে করিতে অাবারো তিনি ঘুমের রাজ্যে গমন করিলেন । অনাগত ভবিতব্যের ভাবনায় অাচ্ছন্ন নববধু প্রমাদ গুনতে লাগিল ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সাইদ লিপু ২৯/০৯/২০১৭নাসিকা গর্জনে অক্কা। হা হা হা
-
Tanju H ২৯/০৯/২০১৭অনেক চমৎকার লেখনী
-
তাবেরী ২৯/০৯/২০১৭বেশ।ভাল
-
আজাদ আলী ২৯/০৯/২০১৭হি হি হি
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৯/০৯/২০১৭হা হা