আমরা বরং ব্রোথেলে ফিরে যাই
জীবনকে হাতের তালুতে নিয়ে দেখেছিলাম,
হাউ লেইম দা লাইফ ইজ!
খড় কুঁড়োর মতো একটু বাতাসেই
উড়ে যাওয়া যার স্বভাব,
আমরা তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখি!
জানেন দাদা,
বন্ধুর কোষ্টিও-
হাতের তালুতে রেখে দেখেছিলাম,
বন্ধুরাও কম প্রতারক নয়,
আর প্রেমিকা?
তার কথা তো নাই বা বললাম,
নীলাকেতো আপনি চিনতেনই,
হাল্কা রঙের শাড়ি পড়া
যে মেয়েটি প্রায় আমার পাশে থাকত,
হাতে হাত রেখে হাঁটত,
যার বসত এখন ঐ অট্টালিকায়,
যার এখন কোটিপতি স্বামী,
মনে আছে আপনার?
তবে তার একটা ভালো গুণ ছিল,
সে ভালো স্বপ্ন দেখাতো,
আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না
তার স্বপ্নগুলো বাস্তবের মতোই মনে হত,
আর বাবা?
পঞ্চাশের পর বেশ কিছুদিন
বেকার ঘুরে বেড়িয়েছিল,
তারপর—
জীবনের কোনো মানে খুঁজে না পেয়ে
মরে পড়েছিল একদিন,
অবশ্য বেঁচে থেকেও বা কি হতো!
ব্রোথেলে যান নিশ্চয়?
আমিও যাই,
নীলার সাথে তো ব্রোথেলের পথেই প্রথম দেখা,
নীলাকে,মনে আছে আপনার?
যে আমার প্রেমিকা ছিল,
আপনার পাশের দোকানের দর্জি মামা এখন আছে?
তার সেলাই করা শার্ট দিয়ে
বাবা শেষ জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছিলেন,
লোকটিকে আমার দেখার খুব ইচ্ছে ছিল,
বাবা নাকি প্রায় তার সাথে
সুখ দুঃখের গল্প করতেন,
তার ঠিকানা পেলে বলবেন।
আর বাবার সাইকেল-
এখনো আছে,
মা’কে নীলার কথা বলেছিলাম একবার,
নীলাকে তো মনে আছে তো আপনার?
যে এক প্রতারক ছিল—-
মায়ের কথা আগে কখনো বলেছি আপনাকে?
বলিনি হয়তো বা,
তাহলে শুনুন,
মা-
জীবন সমন্ধে যার ছিল উচ্চ কিছু ধারণা,
সেও একদিন গলায় ফাঁস দিলো,
বিশ্বাস করুন-
সেদিন মাকে অনেক গালাগাল করেছি,
আর জীবন—
সে আমাদের জন্য না।
আপনার ছোট ছেলেটা,যে গতকাল মারা গেল,
কী যেন নাম ছিল ওর—?
চোখের জল ফেলে কি হবে দাদা?
রাখুন ওসব,
ঐ যে ব্রোথেলের ঘণ্টা পড়ে এল,
চলুন,আমরা বরং ব্রোথেলে ফিরে যাই।
হাউ লেইম দা লাইফ ইজ!
খড় কুঁড়োর মতো একটু বাতাসেই
উড়ে যাওয়া যার স্বভাব,
আমরা তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখি!
জানেন দাদা,
বন্ধুর কোষ্টিও-
হাতের তালুতে রেখে দেখেছিলাম,
বন্ধুরাও কম প্রতারক নয়,
আর প্রেমিকা?
তার কথা তো নাই বা বললাম,
নীলাকেতো আপনি চিনতেনই,
হাল্কা রঙের শাড়ি পড়া
যে মেয়েটি প্রায় আমার পাশে থাকত,
হাতে হাত রেখে হাঁটত,
যার বসত এখন ঐ অট্টালিকায়,
যার এখন কোটিপতি স্বামী,
মনে আছে আপনার?
তবে তার একটা ভালো গুণ ছিল,
সে ভালো স্বপ্ন দেখাতো,
আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না
তার স্বপ্নগুলো বাস্তবের মতোই মনে হত,
আর বাবা?
পঞ্চাশের পর বেশ কিছুদিন
বেকার ঘুরে বেড়িয়েছিল,
তারপর—
জীবনের কোনো মানে খুঁজে না পেয়ে
মরে পড়েছিল একদিন,
অবশ্য বেঁচে থেকেও বা কি হতো!
ব্রোথেলে যান নিশ্চয়?
আমিও যাই,
নীলার সাথে তো ব্রোথেলের পথেই প্রথম দেখা,
নীলাকে,মনে আছে আপনার?
যে আমার প্রেমিকা ছিল,
আপনার পাশের দোকানের দর্জি মামা এখন আছে?
তার সেলাই করা শার্ট দিয়ে
বাবা শেষ জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছিলেন,
লোকটিকে আমার দেখার খুব ইচ্ছে ছিল,
বাবা নাকি প্রায় তার সাথে
সুখ দুঃখের গল্প করতেন,
তার ঠিকানা পেলে বলবেন।
আর বাবার সাইকেল-
এখনো আছে,
মা’কে নীলার কথা বলেছিলাম একবার,
নীলাকে তো মনে আছে তো আপনার?
যে এক প্রতারক ছিল—-
মায়ের কথা আগে কখনো বলেছি আপনাকে?
বলিনি হয়তো বা,
তাহলে শুনুন,
মা-
জীবন সমন্ধে যার ছিল উচ্চ কিছু ধারণা,
সেও একদিন গলায় ফাঁস দিলো,
বিশ্বাস করুন-
সেদিন মাকে অনেক গালাগাল করেছি,
আর জীবন—
সে আমাদের জন্য না।
আপনার ছোট ছেলেটা,যে গতকাল মারা গেল,
কী যেন নাম ছিল ওর—?
চোখের জল ফেলে কি হবে দাদা?
রাখুন ওসব,
ঐ যে ব্রোথেলের ঘণ্টা পড়ে এল,
চলুন,আমরা বরং ব্রোথেলে ফিরে যাই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৭/০৮/২০১৮
ধন্যবাদ,শুভেচ্ছা নিবেন।