নববর্ষের দুঃখ
"আজ রাত বারোটায় শুরু হইছে নতুন বছর। একটা বছর গিয়ে আরেকটা সংখ্যা আসল। আজ রাত থেকে অনেকে আমাকে ম্যাসেজ কিংবা ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সেব্যাপারে পরে আসছি। আজ আমরা অনেকে জানি না কখন বাঙ্গাব্দ তথা বাংলা সাল শুরু হয়? অনেকে জানে রাত ১২টায়, অনেক জানে সূর্যদয়ের সাথে। কেউ জেনে কিংবা কেউ না জেনে আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে নববর্ষ পালন করে। মুষ্টিমেয় বাদে এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও অনেকে এটা নিয়ে ভাবি না, অর্থাৎ শোকতাপ নেই। কিন্তু এটার ফল যে শোষিত ভাবধারার এটা আমাদের অগোচরে। বাঙালীর ঐতিহ্য তথা ইতিহাসে রেয়েছে সহস্রাব্দীর শোষণ নিপীড়ন এর কথা, আমাদের ব্যাকুলতা। যা আমরা মঙ্গলশোভা যাত্রায় প্রদর্শন করি। বাঙ্গালী তথা এই হিমালয়ের কোল ঘেসা আদিবাসী প্রথম আর্যদের শোষণ বঞ্জনার শিকার। এবং কালে কালে মুঘল-ব্রিটিশ-পাকিস্তান প্রযন্ত আমাদের শোষণ করেছে? তর পরেও মুক্তি পেয়েছি মুক্তির আন্দোলন তথা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে? এই শোষণ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এই এলাকার আদিবাসীগণ প্রকৃতিক শক্তির আশ্রয় চাইতে লাগল। এবং ধর্মব্যবসায় জনপ্রিয় হল। বিভিন্ন ধর্মের পসরা দেখতে পেলাম। কখনো কোনো ব্যক্তি কখনোবা জীবজন্তু কখনোবা একটু ভিন্ন প্রকৃতির কল্পনা নির্ভর বস্তু। যখন যাকে মনে হত তার কাছপ সাহায্য প্রার্থনা করত। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অনেক প্লাকার্ড করা হয় তাদের ছবি এঁকে। বাঙ্গালীর শোষিত রক্তবহন করে আমরা আজন্ম ক্রীতদাস থেকে গেলাম। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পরও। নব্বইএর দশকে তৎকালীন স্বৈরশাসক হু ম এরশাদ বাংলা পঞ্জিকায় লিপিয়ার যোগ করে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ 'র নেতৃত্বে এ কমিটি দিয়ে সম্পাদনা করান এবং সম্রাট আকবর এর ধারা তথা বাংলার চিরায়ত ধারা থেকে স্বরে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে বাংলা পঞ্জিকা শুরু হয়। অর্থাৎ রাত ১২টায় আমাদের দিন শুরু হয়। আর চিরায়ত ধারা সূর্যদয়ের সাথে দিন শুরু এর বিলোপ ঘটে। কিন্তু বাংলা ও বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়নট বর্ষবরণ করে সূর্যদয়ের সাথে প্রভাতে। যখন কিনা ২প্রহর চলে যায়। এবং শেষ করে সন্ধ্যায় যেন ঐতিহ্য মেনে শূন্য মাঠে কোনো নেতার বক্তব্য যার কোনো ভিত্তি নেই। আজ সারাদেশে সচেতন নাগরিক মহলে এ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু নিয়ে কাজ করলেও চিরায়ত ধারার বঙ্গাব্দে ফেরার কথা তোলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর জন্য ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা সন লেখার রীতি চালু করলেও বাংলা ভাষার চর্চা ও লালন এই বিদ্যাপীঠ বাংলা সন তথা বঙ্গাব্দকে চিরায়ত ধারায় নেওয়ার কোনো গরজ নেই। আমরা যদি বাংলাভাষাকে সর্বস্তরে চালু করতে চাই আমাদের কি বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করার কিংবা গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই? আর আন্তর্জাতিক রীতি দিয়ে আমরা কি পেয়েছি? কিন্তু যা হারিয়েছি কিংবা ভুল করেছি তা কম নয়। আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠকুরকে দুবার জন্ম দিয়েছি, নজরুল কেও দুবার বার জন্মদিয়েছি এর তালিকা বলতে গেলে মহাকাব্য রচিত হবে। আমরা পেরেছি কারণ আমরা বাঙ্গালী। আজন্ম ক্রীতদাস আমরা নিজভূমে পরবাসী। আমাদের জমির মালিক আমরা নই। তাই আমরা পেরেছি। কিন্তু এখন সভ্যতা এগিয়েছে আরো। আমরা আধুনিক অতিআধুনিক হচ্ছি। জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাচ্ছি, আমরা আমাদের ভাষাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছি তাছাড়া ভাষাভাষীর দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে কিন্তু আমরা আমাদের ভাষার ইতিহাস ভাষার ঐতিহ্যর কিংবা ভাষার মর্যাদার পাশাপাশি বাংলা সন কে চিরায়ত সনাতন ধারায় নিতে পারব কি? সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।"
আজ রাত বারোটায় শুরু হইছে নতুন বছর। একটা বছর গিয়ে আরেকটা সংখ্যা আসল।
আজ রাত থেকে অনেকে আমাকে ম্যাসেজ কিংবা ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সেব্যাপারে পরে আসছি।
আজ আমরা অনেকে জানি না কখন বাঙ্গাব্দ তথা বাংলা সাল শুরু হয়? অনেকে জানে রাত ১২টায়, অনেক জানে সূর্যদয়ের সাথে।
কেউ জেনে কিংবা কেউ না জেনে আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে নববর্ষ পালন করে। মুষ্টিমেয় বাদে এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও অনেকে এটা নিয়ে ভাবি না, অর্থাৎ শোকতাপ নেই।
কিন্তু এটার ফল যে শোষিত ভাবধারার এটা আমাদের অগোচরে। বাঙালীর ঐতিহ্য তথা ইতিহাসে রেয়েছে সহস্রাব্দীর শোষণ নিপীড়ন এর কথা, আমাদের ব্যাকুলতা। যা আমরা মঙ্গলশোভা যাত্রায় প্রদর্শন করি। বাঙ্গালী তথা এই হিমালয়ের কোল ঘেসা আদিবাসী প্রথম আর্যদের শোষণ বঞ্জনার শিকার। এবং কালে কালে মুঘল-ব্রিটিশ-পাকিস্তান প্রযন্ত আমাদের শোষণ করেছে? তর পরেও মুক্তি পেয়েছি মুক্তির আন্দোলন তথা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে?
এই শোষণ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এই এলাকার আদিবাসীগণ প্রকৃতিক শক্তির আশ্রয় চাইতে লাগল। এবং ধর্মব্যবসায় জনপ্রিয় হল। বিভিন্ন ধর্মের পসরা দেখতে পেলাম। কখনো কোনো ব্যক্তি কখনোবা জীবজন্তু কখনোবা একটু ভিন্ন প্রকৃতির কল্পনা নির্ভর বস্তু। যখন যাকে মনে হত তার কাছপ সাহায্য প্রার্থনা করত। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অনেক প্লাকার্ড করা হয় তাদের ছবি এঁকে।
বাঙ্গালীর শোষিত রক্তবহন করে আমরা আজন্ম ক্রীতদাস থেকে গেলাম। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পরও। নব্বইএর দশকে তৎকালীন স্বৈরশাসক হু ম এরশাদ বাংলা পঞ্জিকায় লিপিয়ার যোগ করে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ 'র নেতৃত্বে এ কমিটি দিয়ে সম্পাদনা করান এবং সম্রাট আকবর এর ধারা তথা বাংলার চিরায়ত ধারা থেকে স্বরে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে বাংলা পঞ্জিকা শুরু হয়। অর্থাৎ রাত ১২টায় আমাদের দিন শুরু হয়। আর চিরায়ত ধারা সূর্যদয়ের সাথে দিন শুরু এর বিলোপ ঘটে। কিন্তু বাংলা ও বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়নট বর্ষবরণ করে সূর্যদয়ের সাথে প্রভাতে। যখন কিনা ২প্রহর চলে যায়। এবং শেষ করে সন্ধ্যায় যেন ঐতিহ্য মেনে শূন্য মাঠে কোনো নেতার বক্তব্য যার কোনো ভিত্তি নেই।
আজ সারাদেশে সচেতন নাগরিক মহলে এ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু নিয়ে কাজ করলেও চিরায়ত ধারার বঙ্গাব্দে ফেরার কথা তোলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর জন্য ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা সন লেখার রীতি চালু করলেও বাংলা ভাষার চর্চা ও লালন এই বিদ্যাপীঠ বাংলা সন তথা বঙ্গাব্দকে চিরায়ত ধারায় নেওয়ার কোনো গরজ নেই। আমরা যদি বাংলাভাষাকে সর্বস্তরে চালু করতে চাই আমাদের কি বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করার কিংবা গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই? আর আন্তর্জাতিক রীতি দিয়ে আমরা কি পেয়েছি? কিন্তু যা হারিয়েছি কিংবা ভুল করেছি তা কম নয়। আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠকুরকে দুবার জন্ম দিয়েছি, নজরুল কেও দুবার বার জন্মদিয়েছি এর তালিকা বলতে গেলে মহাকাব্য রচিত হবে। আমরা পেরেছি কারণ আমরা বাঙ্গালী। আজন্ম ক্রীতদাস আমরা নিজভূমে পরবাসী। আমাদের জমির মালিক আমরা নই। তাই আমরা পেরেছি।
কিন্তু এখন সভ্যতা এগিয়েছে আরো। আমরা আধুনিক অতিআধুনিক হচ্ছি। জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাচ্ছি, আমরা আমাদের ভাষাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছি তাছাড়া ভাষাভাষীর দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে কিন্তু আমরা আমাদের ভাষার ইতিহাস ভাষার ঐতিহ্যর কিংবা ভাষার মর্যাদার পাশাপাশি বাংলা সন কে চিরায়ত সনাতন ধারায় নিতে পারব কি?
সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
শুভ নববর্ষ।
আজ রাত বারোটায় শুরু হইছে নতুন বছর। একটা বছর গিয়ে আরেকটা সংখ্যা আসল।
আজ রাত থেকে অনেকে আমাকে ম্যাসেজ কিংবা ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সেব্যাপারে পরে আসছি।
আজ আমরা অনেকে জানি না কখন বাঙ্গাব্দ তথা বাংলা সাল শুরু হয়? অনেকে জানে রাত ১২টায়, অনেক জানে সূর্যদয়ের সাথে।
কেউ জেনে কিংবা কেউ না জেনে আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে নববর্ষ পালন করে। মুষ্টিমেয় বাদে এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও অনেকে এটা নিয়ে ভাবি না, অর্থাৎ শোকতাপ নেই।
কিন্তু এটার ফল যে শোষিত ভাবধারার এটা আমাদের অগোচরে। বাঙালীর ঐতিহ্য তথা ইতিহাসে রেয়েছে সহস্রাব্দীর শোষণ নিপীড়ন এর কথা, আমাদের ব্যাকুলতা। যা আমরা মঙ্গলশোভা যাত্রায় প্রদর্শন করি। বাঙ্গালী তথা এই হিমালয়ের কোল ঘেসা আদিবাসী প্রথম আর্যদের শোষণ বঞ্জনার শিকার। এবং কালে কালে মুঘল-ব্রিটিশ-পাকিস্তান প্রযন্ত আমাদের শোষণ করেছে? তর পরেও মুক্তি পেয়েছি মুক্তির আন্দোলন তথা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে?
এই শোষণ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এই এলাকার আদিবাসীগণ প্রকৃতিক শক্তির আশ্রয় চাইতে লাগল। এবং ধর্মব্যবসায় জনপ্রিয় হল। বিভিন্ন ধর্মের পসরা দেখতে পেলাম। কখনো কোনো ব্যক্তি কখনোবা জীবজন্তু কখনোবা একটু ভিন্ন প্রকৃতির কল্পনা নির্ভর বস্তু। যখন যাকে মনে হত তার কাছপ সাহায্য প্রার্থনা করত। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অনেক প্লাকার্ড করা হয় তাদের ছবি এঁকে।
বাঙ্গালীর শোষিত রক্তবহন করে আমরা আজন্ম ক্রীতদাস থেকে গেলাম। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পরও। নব্বইএর দশকে তৎকালীন স্বৈরশাসক হু ম এরশাদ বাংলা পঞ্জিকায় লিপিয়ার যোগ করে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ 'র নেতৃত্বে এ কমিটি দিয়ে সম্পাদনা করান এবং সম্রাট আকবর এর ধারা তথা বাংলার চিরায়ত ধারা থেকে স্বরে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে বাংলা পঞ্জিকা শুরু হয়। অর্থাৎ রাত ১২টায় আমাদের দিন শুরু হয়। আর চিরায়ত ধারা সূর্যদয়ের সাথে দিন শুরু এর বিলোপ ঘটে। কিন্তু বাংলা ও বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়নট বর্ষবরণ করে সূর্যদয়ের সাথে প্রভাতে। যখন কিনা ২প্রহর চলে যায়। এবং শেষ করে সন্ধ্যায় যেন ঐতিহ্য মেনে শূন্য মাঠে কোনো নেতার বক্তব্য যার কোনো ভিত্তি নেই।
আজ সারাদেশে সচেতন নাগরিক মহলে এ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু নিয়ে কাজ করলেও চিরায়ত ধারার বঙ্গাব্দে ফেরার কথা তোলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর জন্য ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা সন লেখার রীতি চালু করলেও বাংলা ভাষার চর্চা ও লালন এই বিদ্যাপীঠ বাংলা সন তথা বঙ্গাব্দকে চিরায়ত ধারায় নেওয়ার কোনো গরজ নেই। আমরা যদি বাংলাভাষাকে সর্বস্তরে চালু করতে চাই আমাদের কি বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করার কিংবা গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই? আর আন্তর্জাতিক রীতি দিয়ে আমরা কি পেয়েছি? কিন্তু যা হারিয়েছি কিংবা ভুল করেছি তা কম নয়। আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠকুরকে দুবার জন্ম দিয়েছি, নজরুল কেও দুবার বার জন্মদিয়েছি এর তালিকা বলতে গেলে মহাকাব্য রচিত হবে। আমরা পেরেছি কারণ আমরা বাঙ্গালী। আজন্ম ক্রীতদাস আমরা নিজভূমে পরবাসী। আমাদের জমির মালিক আমরা নই। তাই আমরা পেরেছি।
কিন্তু এখন সভ্যতা এগিয়েছে আরো। আমরা আধুনিক অতিআধুনিক হচ্ছি। জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাচ্ছি, আমরা আমাদের ভাষাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছি তাছাড়া ভাষাভাষীর দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে কিন্তু আমরা আমাদের ভাষার ইতিহাস ভাষার ঐতিহ্যর কিংবা ভাষার মর্যাদার পাশাপাশি বাংলা সন কে চিরায়ত সনাতন ধারায় নিতে পারব কি?
সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
শুভ নববর্ষ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জসিম উদ্দিন জয় ১৪/০৪/২০১৭শুভ কামনা রইলো
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৪/০৪/২০১৭খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা।অনেক ধন্যবাদ।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৪/০৪/২০১৭অভিনন্দন!!!