www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আক্বীদায়ে হক্ব

বর্তমান সময়ে আমাদের তরুণ প্রজন্মের একটি অংশের মাঝে দেখা যাচ্ছে হঠাৎ ইসলামী মনোভাবের দৃঢ়তা। এতে কোনো সমস্যা নেই।আমরাও চাই মুসলমান এর সন্তান তার ধর্ম সম্পর্কে জানুক,আমল করুক। কিন্তু সমস্যাটা হয় তখন যখন তারা ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যায় নিজেদের অনুপ্রাণিত করছে,হয়ে যাচ্ছে কট্টর।অথচ ইসলামে কট্টরবাদের কোনো জায়গা আগেও ছিল না এখনও নেই। বাংলা ও বাঙালি যে ইসলাম কে শত শত বছর ধরে দেখে এসেছে, জেনে এসেছে,পালন করে এসেছে ও লালন করে চলেছে সেই ইসলাম হলো প্রেম ও সাম্যের ইসলাম, সংস্কৃতির ইসলাম। সেই ইসলামই হলো মক্কার ইসলাম,মদীনা ওয়ালার ইসলাম,সাহাবায়ে কেরাম এর ইসলাম।আর সেই ইসলাম কে এই বাংলায় নিয়ে এসেছেন হাজার হাজার ওলী-আউলিয়া ও হক্কানী পীর মাশায়েখ গণ।এখন প্রশ্ন উঠতে পারে
হক্কানী নয় আবার কারা?সেই প্রকৃত ইসলাম,প্রেম ও সাম্যের ইসলাম কে মানুষের সামনে বিকৃত করে উপস্থাপন করনে ওয়ালারা কারা?এই সব প্রশ্নের উত্তর হলো আক্বীদা।আক্বীদা তথা বিশ্বাস। হক্কানী তারাই,প্রেম ও সাম্যের ইসলাম বাংলায় এনেছে তারাই যাদের আক্বীদা হলো শুদ্ধ ও পবিত্র। আর সেই শুদ্ধ আক্বীদাই হলো "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত"।এই আক্বীদাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশনামা,এই আক্বীদাই সাহাবাদের আক্বীদা,মু'মীনের আক্বীদা।আর এই আক্বীদা না জানার কারনেই আজ তরুণ সমাজ ইসলাম এর অপব্যাখ্যায় নিজেদের অনুপ্রাণিত করছে।যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। ইসলাম আমাদের দেশ প্রেম,মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম,পশু প্রেম ইত্যাদি শিক্ষা দেয়।আর এই শিক্ষার দারস দেন ঐ সমস্ত ব্যক্তিরাই যারা সাহাবী ও ওলী-আউলিয়া,সূফী-দরবেশদের আক্বীদায় দীক্ষিত ।
তারা জিহাদ করে যুদ্ধের ময়দানে শুধু শত্রুর সাথে,তারা জিহাদ করে নিজের নফসের সাথে,জিহাদ করে শয়তানের সাথে। তারা ওয়াজের মঞ্চে বিদ্বেষ ছড়ায় না,তারা অমুসলিম কে দূরে ঠেলে দেয় না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে ঐ সমস্ত লোক গুলো কে আমরা দূর্বল করে দিচ্ছি, তাদের কে দূরে ঠেলে দিচ্ছি ওহাবীদের কথায়।এতে করে যারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়,সমাজে ফিতনা ছড়াতে চায়,যারা বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় প্রশ্নবিদ্ধ করে বাঙালিকে তার আমিত্ব থেকে উপড়ে ফেলতে চায় ওরা শক্তিশালী হচ্ছে, হচ্ছে সম্মানিত।ঐ নজদী আক্বীদায় বিশ্বাসীরা,খারেজীরা যুগে যুগে বিভিন্ন নাম নিয়ে উদয় হয়েছে এখন এই সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।ওরা ওদের ভ্রান্ত বিশ্বাস সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ক্রমাগত দিয়ে যাচ্ছে।ঐসব ভন্ড হুজুরদের মিস্টি কথায় সাধারণ জনগণ ভিজে যায়,ওদের ভক্ত হয়ে যায়। কারণ সাধারণের ইসলামী জ্ঞান খুবই নগণ্য।তারা হুজুর যা বলে তাই শতভাগ সত্য বলে মনে করে।ঐ বাতেল ফিরকারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওলী-আল্লাহদের বিরুদ্ধে মানুষ কে বিষিয়ে তোলে,মাজার ভেঙে ফেলার মতো দুঃসাহস দেখায় ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ ঐ মাজারেই প্রকৃত ইসলাম পাওয়া যায়। বাংলায় তাওহীদের নূর ঐ মাজার ওয়ালাই এনেছিলেন।আর তাঁদের দরবারে গেলে মানুষ বুঝে ফেলবে ভন্ড হুজুরদের ভন্ডামি। তাই তারা মানুষ কে মাজার বিমুখ করতে এত তৎপর।এসব থামাতে হবে,ওলী-আল্লাহদের প্রচারিত প্রকৃত ইসলাম কে মানুষের সামনে আনতে হবে,যারা সেই ইসলাম কে ধারন করে তাদের কে প্রোমোট করতে হবে, তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে সেই বার্তা। আমাদের জানার সময় এসেছে কে সত্য আর কে বাতেল ফিরকা তা যাচাই করে দেখার। কুরআন হাদীস অধ্যয়ন করার।আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলোয় আলোকিত হওয়ার।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৩৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৯/১২/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast