হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
অভিমান ভুলে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা আরেকবার বাঁশি বাজিয়েছিল
বিনিময়ে কেউ তাকে কিছু দিবে এমনটা বলেনি
কেউ তাকে দেয়নি স্বর্ণমুদ্রার প্রতিশ্রুতি
যেমনটা দিয়েছিল ঈদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এক মেয়র।
সে এখন এসব লোভের ঊর্ধ্বে।
একটা ছোট্ট দেশ
দেশটার পতাকায় লাল সূর্য
পতাকার চারপাশে সবুজ জমিন।
লিউনার্দো ভিঞ্চি, পাবলো নেরুদা, শেলী, কীটস
যত রূপ একেছে তুলির আচড়ে
তার সবটুকুও যেন মিশে আছে এ ছোট্ট দেশে।
শান্ত নদি, পাহাড়, সুন্দরবন, গোলপাতা, মায়া হরিণ
কিংবা দূরন্ত বাঘ, ইলিশ, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা
সে দেশে এক কবি ছিল
জীবনানন্দ দাশ
কি আশ্চর্য মমতায় সে ভালোবেসেছিল
নাটোরের বনলতা সেন, কলমি ফুল, বট, জারুল, শাপলা -শালুক, ভোরের শালিক।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার লোভ হল খুব
নকশিকাঁথার মাঠের গল্প শোনে
আউল বাউল এ ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালীর দেশে
অবশেষে অভিমান ভেঙে দাঁড়ায় এসে।
এ সবুজ প্রান্তরে!
চাঁদেরও যেমন কলংক থাকে
প্রদীপের নিচে আঁধার
তেমনি সে পেল সবুজে ঘেরা দেশে
হাজার পথের মতের এক বিভক্ত সমাজ।
ধর্মের নামে, তন্ত্রের নামে, মন্ত্রের নামে, স্বাধীনতার নামে
ইতিহাসের বিকৃতির নামে
প্রতিশোধ পরায়ণ এক লোভী জনগোষ্ঠী!
যে জাতী এক হলে
পৃথিবীর ইতিহাসে হতে পারত নতুন যুগের সূচনা
অথচ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দুই জার্মানি এক হয়েছে
কোরিয়াও হতে পারে এক
কিন্তু এ জাতী কবে এক হবে?
অতঃপর হ্যামিলন বাঁশিওয়ালা বাঁশিতে নতুন সুর তোলে।
সে সুরে বিভক্ত জাতীর প্রতিজনের কানে কানে
কে যেন বলে গেল
পায়ের নিচে মাটি না থাকলে দাঁড়াবে কোথায়?
স্বাধীনতা চলে গেলে লুকাবে কোথায়?
চেয়ে দেখ লিবিয়া, ইরাক, আফগান, মিশর, সিরিয়া
বিভক্ত সমাজের নমুনা দেখ
ঝগড়ার বিষ বৃক্ষের ফল দেখ
এক হও এক হও
কে আছে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতির সামনে চোখ রাঙায়?
বিনিময়ে কেউ তাকে কিছু দিবে এমনটা বলেনি
কেউ তাকে দেয়নি স্বর্ণমুদ্রার প্রতিশ্রুতি
যেমনটা দিয়েছিল ঈদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এক মেয়র।
সে এখন এসব লোভের ঊর্ধ্বে।
একটা ছোট্ট দেশ
দেশটার পতাকায় লাল সূর্য
পতাকার চারপাশে সবুজ জমিন।
লিউনার্দো ভিঞ্চি, পাবলো নেরুদা, শেলী, কীটস
যত রূপ একেছে তুলির আচড়ে
তার সবটুকুও যেন মিশে আছে এ ছোট্ট দেশে।
শান্ত নদি, পাহাড়, সুন্দরবন, গোলপাতা, মায়া হরিণ
কিংবা দূরন্ত বাঘ, ইলিশ, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা
সে দেশে এক কবি ছিল
জীবনানন্দ দাশ
কি আশ্চর্য মমতায় সে ভালোবেসেছিল
নাটোরের বনলতা সেন, কলমি ফুল, বট, জারুল, শাপলা -শালুক, ভোরের শালিক।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার লোভ হল খুব
নকশিকাঁথার মাঠের গল্প শোনে
আউল বাউল এ ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালীর দেশে
অবশেষে অভিমান ভেঙে দাঁড়ায় এসে।
এ সবুজ প্রান্তরে!
চাঁদেরও যেমন কলংক থাকে
প্রদীপের নিচে আঁধার
তেমনি সে পেল সবুজে ঘেরা দেশে
হাজার পথের মতের এক বিভক্ত সমাজ।
ধর্মের নামে, তন্ত্রের নামে, মন্ত্রের নামে, স্বাধীনতার নামে
ইতিহাসের বিকৃতির নামে
প্রতিশোধ পরায়ণ এক লোভী জনগোষ্ঠী!
যে জাতী এক হলে
পৃথিবীর ইতিহাসে হতে পারত নতুন যুগের সূচনা
অথচ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দুই জার্মানি এক হয়েছে
কোরিয়াও হতে পারে এক
কিন্তু এ জাতী কবে এক হবে?
অতঃপর হ্যামিলন বাঁশিওয়ালা বাঁশিতে নতুন সুর তোলে।
সে সুরে বিভক্ত জাতীর প্রতিজনের কানে কানে
কে যেন বলে গেল
পায়ের নিচে মাটি না থাকলে দাঁড়াবে কোথায়?
স্বাধীনতা চলে গেলে লুকাবে কোথায়?
চেয়ে দেখ লিবিয়া, ইরাক, আফগান, মিশর, সিরিয়া
বিভক্ত সমাজের নমুনা দেখ
ঝগড়ার বিষ বৃক্ষের ফল দেখ
এক হও এক হও
কে আছে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতির সামনে চোখ রাঙায়?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৭/০৮/২০১৮হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখনি। ধন্যবাদ বন্ধু ।
-
Tanju H ০৬/০৮/২০১৮সুন্দর!
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৬/০৮/২০১৮অসাধারণ।