হিমুর বৈশাখ
আমি অনেকক্ষণ যাবত মাছ বাজারের
ভিতর একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে
উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরা ফিরা করছি।
মেসের বুয়া মানে বুয়া কমিটির
সভানেত্রী উরফে ময়নার মা, সেদিন
খুব করে ধরল।
- ভাইজান এইবার পহেলা বৈশাখে
কিন্তু ইলশা মাছ কিনন ই লাগব।
শোনে আমার ভিরমি খাওয়ার
যোগাড়। মৃগী রোগীদের মত মাথাটা
ভন ভন করতে লাগল।
- ইলিশ কিনতে গেলে আমি ফিনিশ
হয়ে যাব
- এই সব কতা কইয়েন না ভাইজান, বুয়া
কমিটির সভানেত্রী হিসাবে
আমারতো একটা মান সম্মান আছে।
হগলের বাড়িত ইলিশ পান্তা আর
মেসে খাইমু আলুর ভর্তা মান সম্মান কি
থাকব?
বুয়ার মান সম্মান রক্ষার্থে ইলিশ মাছ
কিনার মত একটা দুঃসাহসিক
অভিযানে নামতে বাধ্য হলাম। ইলিশ
মাছের দাম শোনে আমার হার্ট ফেল
করে করে অবস্থা।
- ভাইজান এক হালি, মাত্র বিশ হাজার
টেকা, নিয়া যান বেগম সাহেব খুশি
হইব।
এত কম দামি ইলিশ তোমার ভাবি
সাহেবার পছন্দ না, দেখি সামনে
বেশি দামের পাই কিনা। আচ্ছা ১ লক্ষ
টাকা হালি দামে ইলিশ পাওয়া
যাবে?
লোকটি অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে। মানুষের অবাক
দৃষ্টিপাত আমার বরাবরই প্রিয়।
ফোনটা বেজে উঠল বোধহয়। মাজেদা
খালার ফোন।
- হিমু তুই কই?
- খালা আমি এখন মাছ বাজারে। দুই
হালি ইলিশ মাছ কিনব, বাজেট দুই লক্ষ
টাকা।
- ফালতু কথা বন্ধ কর, পকেটে দুই পয়সা
নেই সে আবার দুই লাখ টাকায় ইলিশ
কিনবে।
- খালা অলরেডি কিনে ফেলেছি।
জীবিত ইলিশ। ব্যাটারা আমার
ব্যাগে বেদম লাফাচ্ছে।
- ওসব মাংকি পাংকি কথা রাখ, তোর
খালুর বদ হজম ওদিকে বাদলের
পাগলামি আবার বেড়েছে। একটা
বস্তির মেয়ের প্রেমে পড়েছে।
হিমুরে আমিতো শেষ।
- যেখান থেকে শেষ সেখান থেকেই
শুরু। তো মেয়েটা কেমন?
- বিশ্রী, আস্তা পানখোর, শোনেছি
তার নাকি একটা পানের দোকান
আছে।
- বাদল কি তবে পানের ব্যবসায় নেমে
পড়বে?
- হুম, হিমু তুই আমাকে একটা সু বুদ্ধি দে
- কোন চিন্তা করোনা আমি দেখছি
ব্যপারটা।
কথা শেষ। লোকটা এখনো আমার দিকে
অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার
চোখে পানি। আমি চমকে উঠলাম।
- ভাইজান কাছে আহেন
আমি তার কাছে গেলাম। সে ফিস
ফিস করে আমার কানে কানে বল্ল,
আমি জানি আপনার টাকা নাই।
আপনের কষ্ট আমি বুঝি। ইলিশ
মাছেরতো ম্যালা দাম তাই আপনেরে
দিতে পারলাম না তয় কিছু জাটকা
নিয়া যান, কোন টেকা লাগবনা, ধরেন
দুধের সাধ ঘোলে মিডান আরকি?
আমি ব্যাগটা নিয়ে নির্বোধের মত
দাঁড়িয়ে আছি। পাশে কয়েকজন
পুলিশকে দেখা যাচ্ছে। তারা
জাটকা মাছ আটক করছে। আমি দৌড়
দিব কিনা ভাবছি।
ভিতর একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে
উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরা ফিরা করছি।
মেসের বুয়া মানে বুয়া কমিটির
সভানেত্রী উরফে ময়নার মা, সেদিন
খুব করে ধরল।
- ভাইজান এইবার পহেলা বৈশাখে
কিন্তু ইলশা মাছ কিনন ই লাগব।
শোনে আমার ভিরমি খাওয়ার
যোগাড়। মৃগী রোগীদের মত মাথাটা
ভন ভন করতে লাগল।
- ইলিশ কিনতে গেলে আমি ফিনিশ
হয়ে যাব
- এই সব কতা কইয়েন না ভাইজান, বুয়া
কমিটির সভানেত্রী হিসাবে
আমারতো একটা মান সম্মান আছে।
হগলের বাড়িত ইলিশ পান্তা আর
মেসে খাইমু আলুর ভর্তা মান সম্মান কি
থাকব?
বুয়ার মান সম্মান রক্ষার্থে ইলিশ মাছ
কিনার মত একটা দুঃসাহসিক
অভিযানে নামতে বাধ্য হলাম। ইলিশ
মাছের দাম শোনে আমার হার্ট ফেল
করে করে অবস্থা।
- ভাইজান এক হালি, মাত্র বিশ হাজার
টেকা, নিয়া যান বেগম সাহেব খুশি
হইব।
এত কম দামি ইলিশ তোমার ভাবি
সাহেবার পছন্দ না, দেখি সামনে
বেশি দামের পাই কিনা। আচ্ছা ১ লক্ষ
টাকা হালি দামে ইলিশ পাওয়া
যাবে?
লোকটি অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে। মানুষের অবাক
দৃষ্টিপাত আমার বরাবরই প্রিয়।
ফোনটা বেজে উঠল বোধহয়। মাজেদা
খালার ফোন।
- হিমু তুই কই?
- খালা আমি এখন মাছ বাজারে। দুই
হালি ইলিশ মাছ কিনব, বাজেট দুই লক্ষ
টাকা।
- ফালতু কথা বন্ধ কর, পকেটে দুই পয়সা
নেই সে আবার দুই লাখ টাকায় ইলিশ
কিনবে।
- খালা অলরেডি কিনে ফেলেছি।
জীবিত ইলিশ। ব্যাটারা আমার
ব্যাগে বেদম লাফাচ্ছে।
- ওসব মাংকি পাংকি কথা রাখ, তোর
খালুর বদ হজম ওদিকে বাদলের
পাগলামি আবার বেড়েছে। একটা
বস্তির মেয়ের প্রেমে পড়েছে।
হিমুরে আমিতো শেষ।
- যেখান থেকে শেষ সেখান থেকেই
শুরু। তো মেয়েটা কেমন?
- বিশ্রী, আস্তা পানখোর, শোনেছি
তার নাকি একটা পানের দোকান
আছে।
- বাদল কি তবে পানের ব্যবসায় নেমে
পড়বে?
- হুম, হিমু তুই আমাকে একটা সু বুদ্ধি দে
- কোন চিন্তা করোনা আমি দেখছি
ব্যপারটা।
কথা শেষ। লোকটা এখনো আমার দিকে
অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার
চোখে পানি। আমি চমকে উঠলাম।
- ভাইজান কাছে আহেন
আমি তার কাছে গেলাম। সে ফিস
ফিস করে আমার কানে কানে বল্ল,
আমি জানি আপনার টাকা নাই।
আপনের কষ্ট আমি বুঝি। ইলিশ
মাছেরতো ম্যালা দাম তাই আপনেরে
দিতে পারলাম না তয় কিছু জাটকা
নিয়া যান, কোন টেকা লাগবনা, ধরেন
দুধের সাধ ঘোলে মিডান আরকি?
আমি ব্যাগটা নিয়ে নির্বোধের মত
দাঁড়িয়ে আছি। পাশে কয়েকজন
পুলিশকে দেখা যাচ্ছে। তারা
জাটকা মাছ আটক করছে। আমি দৌড়
দিব কিনা ভাবছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মিজান রহমান ২৭/০৫/২০১৫দারুন !!!!!!
-
অ ২৯/০৪/২০১৫ভালই হয়েছে ।
-
সহিদুল ইসলাম ২৯/০৪/২০১৫হা হা হা, মজার হইছে, একেবারে অরিজিনাল হিমু..!
-
তরীকুল ইসলাম সৈকত ২৮/০৪/২০১৫শেষের টুইষ্টটা ভাল ছিল। তবে কিছু কিছু ব্যাপার নিয়ে সবার হাত আসে না। গল্পের লেখনি ভালো ছিল। তবে হিমু না হয়ে অন্য কেউ হলে আর সুপাঠ্য হতো।
শুভ কামনা রইলো। -
সবুজ আহমেদ কক্স ২৮/০৪/২০১৫মুগ্ধকর