বরফ কুমারী ৪র্থ পর্ব
যখন ঘোর কাটল তখন আমি একটি বিশাল প্রাসাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। অদ্ভুত সুন্দর প্রাসাদ। স্বচ্ছ কাঁচের মত। মনে হচ্ছে পুরো প্রাসাদটি বরফ কেটে বানানো। প্রাসাদের জানালার কার্নিশে মোমের আলো জ্বলছে। মোমের আলো বরফের উপরে প্রতিফলিত হয়ে চমত্কার ভাবে বিকিরণ করছে যেন রঙ ধনুর সাত রঙ! আমি মুগ্ধ হয়ে প্রাসাদের দিকে তাকিয়ে আছি। এমন সময় কেউ একজন দৌড়ে আমার কাছে আসল। তার গায়ে রাজকীয় প্রহরীর পোষাক। সে যেন দূর্বোধ ভাষায় কিছু একটা বলছে কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি তার সব কথা বুঝতে পারছি এবং সাবলীলভাবে তার কথার উত্তর দিচ্ছি।
- হে বরফ কুমার আপনি কোথায় ছিলেন এত দিন? রাজ্যের সবাই আপনার চিন্তায় অস্থির। ওদিকে বরফ কুমারীতো কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে গেছে তার কি রোগ হয়েছে কে জানে? কোন ঔষুধ পথ্যতে কাজ হচ্ছেনা।
- রাজ্যের আর কি খবর?
- সব ই ভালো কিন্তু বরফ কুমারীর রোগ সবাইকে অস্থির করে তোলেছে।
- কোথায় বরফ কুমারী? আমাকে নিয়ে চল তার কাছে।
- হ্যা, তাই চলুন বরফ কুমার।
আমি ধীর পদক্ষেপে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করলাম। মুহুর্তেই কিছু লাল নীল বরফ কুচি আমার পায়ে এসে আছড়ে পড়ল। বরফ কুচি গুলো থেকে আলো ঠিকরে বের হচ্ছিল। আমি বরফ কুচি গুলোর ভিতর দিয়ে আরো সামনে এগিয়ে গেলাম। দেয়ালে দেয়ালে মোমদানি গুলোতে আলো জ্বলছে। আলো বিকীর্ণ হয়ে যেন রংধনুর সাত রং হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি মুগ্ধ হয়ে সব কিছু অবলোকন করছি। একটা সময় আমার সাথে আগত প্রহরি থেমে গেল। - বরফ কুমার আমি আর যেতে পারব না। আর কয়েকটি পর্দা পার হলেই আপনি বরফ কুমারীকে দেখতে পাবেন। এ পথ টুকুও আপনাকে একাই যেতে হবে। এবার আমায় বিদায় দিন। আমি হাসি মুখে আগত প্রহরীকে বিদায় জানালাম। পর্দার পর পর্দা পার হয়ে আমি সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। একটা অজানা মিষ্টি গান আমার কানে অনুরণিত হচ্ছে। কে গাইছে এ গান তা আমার জানা নেই। একটা সময় একটা বড় দরজায় এসে আমার যাত্রা থেমে যায়। বরফের বাহারি কারুকার্যে দরজাটি সাজানো। মুগ্ধতার আবেশে আমি দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। স্বচ্ছ কাঁচের মত বরফের খাটে ঘুমিয়ে আছে বরফ কুমারী। তার কপোল বেয়ে যেন গোলাবি রং ঝরে পড়ছে। পরম নির্ভরতায় সে ঘুমিয়ে আছে। আহা ঘুমাক বেচারী! স্বর্গ দ্বার বেয়ে আসা স্বর্গীয় ঘুম।
- হে বরফ কুমার আপনি কোথায় ছিলেন এত দিন? রাজ্যের সবাই আপনার চিন্তায় অস্থির। ওদিকে বরফ কুমারীতো কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে গেছে তার কি রোগ হয়েছে কে জানে? কোন ঔষুধ পথ্যতে কাজ হচ্ছেনা।
- রাজ্যের আর কি খবর?
- সব ই ভালো কিন্তু বরফ কুমারীর রোগ সবাইকে অস্থির করে তোলেছে।
- কোথায় বরফ কুমারী? আমাকে নিয়ে চল তার কাছে।
- হ্যা, তাই চলুন বরফ কুমার।
আমি ধীর পদক্ষেপে প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করলাম। মুহুর্তেই কিছু লাল নীল বরফ কুচি আমার পায়ে এসে আছড়ে পড়ল। বরফ কুচি গুলো থেকে আলো ঠিকরে বের হচ্ছিল। আমি বরফ কুচি গুলোর ভিতর দিয়ে আরো সামনে এগিয়ে গেলাম। দেয়ালে দেয়ালে মোমদানি গুলোতে আলো জ্বলছে। আলো বিকীর্ণ হয়ে যেন রংধনুর সাত রং হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি মুগ্ধ হয়ে সব কিছু অবলোকন করছি। একটা সময় আমার সাথে আগত প্রহরি থেমে গেল। - বরফ কুমার আমি আর যেতে পারব না। আর কয়েকটি পর্দা পার হলেই আপনি বরফ কুমারীকে দেখতে পাবেন। এ পথ টুকুও আপনাকে একাই যেতে হবে। এবার আমায় বিদায় দিন। আমি হাসি মুখে আগত প্রহরীকে বিদায় জানালাম। পর্দার পর পর্দা পার হয়ে আমি সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। একটা অজানা মিষ্টি গান আমার কানে অনুরণিত হচ্ছে। কে গাইছে এ গান তা আমার জানা নেই। একটা সময় একটা বড় দরজায় এসে আমার যাত্রা থেমে যায়। বরফের বাহারি কারুকার্যে দরজাটি সাজানো। মুগ্ধতার আবেশে আমি দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। স্বচ্ছ কাঁচের মত বরফের খাটে ঘুমিয়ে আছে বরফ কুমারী। তার কপোল বেয়ে যেন গোলাবি রং ঝরে পড়ছে। পরম নির্ভরতায় সে ঘুমিয়ে আছে। আহা ঘুমাক বেচারী! স্বর্গ দ্বার বেয়ে আসা স্বর্গীয় ঘুম।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৮/০১/২০১৫অসাধারন গল্প ভালো হয়েছে