বরফ কুমারী ৩য় পর্ব
রাত কটা বলা ঠিক মশকিল। আমি ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে। চারদিকে ঘন কুয়াশা। লঞ্চের ছাদ শিশিরে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ছাদ থেকে নিচে খেয়াল করলাম লঞ্চটা যেখানে ভিরে আছে তার পাশেই একটি চায়ের দোকান। ভাবলাম নিচ থেকে একটু চা খেয়ে আসি। আমি তাড়াহুরো করে নিচে নামলাম। কিন্তু একি চায়ের দোকানটা বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু একটু আগেও তো খোলা দেখলাম। আমি হতাশ ভাবে চারপাশে তাকালাম। দেখলাম এক লোক আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
-স্যার চা খাইবেন?
- চা খাওয়ার জন্যই এসেছিলাম কিন্তু দোকানতো বন্ধ।
- কোন সমস্যা নাই, আমি আপনেরে চা খাওয়ামু।
- কিন্তু আপনি কে? এত রাতে এখানে কি করেন?
- এত বড় দুনিয়ায় কত মানুষ আহে যায়। আপনে কয়জনরে চিনেন?
- তা ঠিক কিন্তু আপনে আমাকে চা খাওয়াবেন কেন?
- কে কারে খাওয়াইতে পারে সব উপরালার ইচ্ছা। লঞ্চ ছাড়তে দেরী হইব এই ফাঁকে লন আপনে।
লোকটা একটা অর্থপূর্ণ হাসি দিল। সেই হাসিতে কি ছিল আমি জানিনা। আমি লোকটার পিছু নিলাম। হাটছি তো হাটছি। মনে হচ্ছে আমি যেন কত কাল আগের কোথায় ও চলে যাচ্ছি। একটা সময় মনে হল আমি আর হাটছিনা বরং লোকটি আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ঘন কুয়াশায় মিশে যাচ্ছি।
-স্যার চা খাইবেন?
- চা খাওয়ার জন্যই এসেছিলাম কিন্তু দোকানতো বন্ধ।
- কোন সমস্যা নাই, আমি আপনেরে চা খাওয়ামু।
- কিন্তু আপনি কে? এত রাতে এখানে কি করেন?
- এত বড় দুনিয়ায় কত মানুষ আহে যায়। আপনে কয়জনরে চিনেন?
- তা ঠিক কিন্তু আপনে আমাকে চা খাওয়াবেন কেন?
- কে কারে খাওয়াইতে পারে সব উপরালার ইচ্ছা। লঞ্চ ছাড়তে দেরী হইব এই ফাঁকে লন আপনে।
লোকটা একটা অর্থপূর্ণ হাসি দিল। সেই হাসিতে কি ছিল আমি জানিনা। আমি লোকটার পিছু নিলাম। হাটছি তো হাটছি। মনে হচ্ছে আমি যেন কত কাল আগের কোথায় ও চলে যাচ্ছি। একটা সময় মনে হল আমি আর হাটছিনা বরং লোকটি আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ঘন কুয়াশায় মিশে যাচ্ছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
ধন্যবাদ ।