বরফ কুমারী
লঞ্চটা সবেমাত্র মেঘনা নদীতে এসে পড়ল। বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা। আমি লঞ্চের একপাশে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। শীতে আমার দুপািট দাঁত ঠক ঠক করে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করছে। তবুও শক্ত করে কম্বলটা জড়িয়ে রেখেছি। ওদিকে শীতের বুড়ি আমার মাথার পাশে বসে আছে। পিট পিট করে আমার দিকে তাকােচ্ছ। মাঝে মাঝে একটু নিঃশ্বাস নিতে মাথা তোলতেই সে তার ঠান্ডা হাত দিয়ে আমাকে জাপটে ধরছে। আস্ত পাঁজি একটা! ওদিকে ঘুম ও আসছে না। পাশে এক ষন্ডা মহিলা তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করছে। স্বামী বেচারা কাচুমাচু করে দু একটা জবাব দেবার চেষ্টা করছে তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা। আমি একবার কম্বল তোলে বল্লাম, আপা এই রাত দুপুরে কি শুরু করেছেন আপনারা? একটু থামবেন? কিসের থামাথামি,উল্টো বিরাশি মণ ওজনের একটি ধমক - আপনে কোন চেয়ারম্যান আইছেন এইহানে? আমার স্বামীরে আমি ধমকাই, আপনার এত জ্বলে ক্যান? আপনি আপনার স্বামীকে ধমকান না হয় পানিতে ফেলে দেন কিন্তু আমাকে ডিস্টার্ব করছেন কেন? এবার স্বামী বেচারার মূখে যেন কথার খই ফুটল -ঐ মিয়া আমগো স্বামী স্ত্রীর মাঝখানে আপনারে কেডা জুতা মুজা খোইলা ঢোকতে কইল? আমি তার দিকে তাকিয়ে বল্লাম - আপনি দেখছি কথাও জানেন, আমি তো ভাবছিলাম --।ঐ মিয়া আপনি কি ভাবছিলেন? চেঁচিয়ে ওঠে মহিলাটি। দেখলাম দুজনেই এখন এক হয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেঁপেছে। লক্ষণ খারাপ দেখে আবার কম্বল মুড়ি দিলাম ততক্ষণে শীতের বুড়ি আমার বারোটা বাজিয়ে দিয়ছে!
ঘুমে চোখটা বুজে এসেছিল হঠাৎ টিকেট চেকারের ডাকে ঘুম ভাঙে। আমি কম্বল ছেড়ে উঠতে বাবুল কেরানির সাথে চোখাচোখি। স্যার আপনে এইখানে? এই শীতে ডেকে শুইয়া আছেন। কি করব কেবিন সব বুকড তাই এখানেই বিছনা পাতলাম। আপনে এইডা কি কইলেন স্যার? আমার লগে দেহা করলেইতো পারতেন। চলেন চলেন আমার বিছনায় চলেন। না থাক এখানেই ভালো আছি। আপনের কোন কথা শোনতে চাইনা একখন চলেন আমার সাথে। ততক্ষণে ষন্ডা মার্কা মহিলটি ও তার বীর পুরুষ স্বামীটি আমার দিকে অদ্ভুত ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বাবুল কেরানীর পিছু নিলাম।
লঞ্চের মেশিনের কাছে কফিন সদৃশ্য একটি জায়গায় বাবুল কেরানীর সীট। স্যার একটু কষ্ট হইব, মেশিনের শব্দ, জায়গাও একটু কম তয় শীতের তন বাঁচলেন এইডাই লাভ। কি যে বলেন বাবুল ভাই ডেকের তুলনায় তো অনেক ভালো। তা ঠিক, তয় আরাম করেন স্যার আমি অহন যাই।আচ্ছা ঠিক আছে। ছিটিকিনিটা লাগিয়ে আমি একটু ঘুমনোর চেষ্টা করলাম। ঠিক কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম তাও ঠিক জানিনা হঠাৎ লোকজনের চিৎকার চেচাঁমেচিতে ঘুম ভেঙে গেল। ছিটকিনি খোলে বেরিয়ে আসতেই বাবুল কেরানীর সাথে দেখা। কি হয়েছে বাবুল ভাই এত শোরগোল কেন? স্যার কুয়াশার কারনে লঞ্চ চলতে পারতাছেনা তাই আপাতত একটা চরে লঞ্চ ভিরাআছে তাই এত চেচাঁমেচি। অ আচ্ছা। তা কতক্ষণ থাকবে এখান? তা ধরেন ঘন্টা দুয়েক। হুম, ঠিক আছে আমি ছাদটা একটি ঘুরে আসি।(চলবে)
ঘুমে চোখটা বুজে এসেছিল হঠাৎ টিকেট চেকারের ডাকে ঘুম ভাঙে। আমি কম্বল ছেড়ে উঠতে বাবুল কেরানির সাথে চোখাচোখি। স্যার আপনে এইখানে? এই শীতে ডেকে শুইয়া আছেন। কি করব কেবিন সব বুকড তাই এখানেই বিছনা পাতলাম। আপনে এইডা কি কইলেন স্যার? আমার লগে দেহা করলেইতো পারতেন। চলেন চলেন আমার বিছনায় চলেন। না থাক এখানেই ভালো আছি। আপনের কোন কথা শোনতে চাইনা একখন চলেন আমার সাথে। ততক্ষণে ষন্ডা মার্কা মহিলটি ও তার বীর পুরুষ স্বামীটি আমার দিকে অদ্ভুত ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বাবুল কেরানীর পিছু নিলাম।
লঞ্চের মেশিনের কাছে কফিন সদৃশ্য একটি জায়গায় বাবুল কেরানীর সীট। স্যার একটু কষ্ট হইব, মেশিনের শব্দ, জায়গাও একটু কম তয় শীতের তন বাঁচলেন এইডাই লাভ। কি যে বলেন বাবুল ভাই ডেকের তুলনায় তো অনেক ভালো। তা ঠিক, তয় আরাম করেন স্যার আমি অহন যাই।আচ্ছা ঠিক আছে। ছিটিকিনিটা লাগিয়ে আমি একটু ঘুমনোর চেষ্টা করলাম। ঠিক কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম তাও ঠিক জানিনা হঠাৎ লোকজনের চিৎকার চেচাঁমেচিতে ঘুম ভেঙে গেল। ছিটকিনি খোলে বেরিয়ে আসতেই বাবুল কেরানীর সাথে দেখা। কি হয়েছে বাবুল ভাই এত শোরগোল কেন? স্যার কুয়াশার কারনে লঞ্চ চলতে পারতাছেনা তাই আপাতত একটা চরে লঞ্চ ভিরাআছে তাই এত চেচাঁমেচি। অ আচ্ছা। তা কতক্ষণ থাকবে এখান? তা ধরেন ঘন্টা দুয়েক। হুম, ঠিক আছে আমি ছাদটা একটি ঘুরে আসি।(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রূপক বিধৌত সাধু ০৯/০১/২০১৫বানানে কিছু সমস্যা আছে । আর চরিত্রের কথাগুলো চিহ্নিত করে দিলে ভালো হতো । চালিয়ে যান ।
-
তুহিনা সীমা ০৮/০১/২০১৫হমম। এই বরফ শীতে একটু আইসক্রিম হলে বেশী ভালো হতো। চালিয়ে যান............
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৮/০১/২০১৫চলুক.......................................
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ০৮/০১/২০১৫খুব ভাল লাগল
-
অ ০৭/০১/২০১৫চলুক ।
অপেক্ষায় রইলাম ।