হিমু পরিবহণ ৪র্থ পর্ব
আমি ভয়ে ভয়ে খালুর ঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়ালাম। খালু খাটের মাঝখানে মেডিটেশনের ভঙ্গিতে প্রকান্ড একটা বডি দা নিয়ে বসে আছেন। তাহার নেত্র দ্বয় মুদিত। মনে হয় গভীর ধ্যান মগ্ন। তাকে অনেকটা গৌতম বুদ্ধের মত লাগছে তবে হাতে বডি দা থাকার কারণে কিছুটা কসাই কসাই ভাবও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি সামান্য একটু কাশি দিলাম। তাহার মুদিত চক্ষু দ্বয় হঠাত্ উন্মোচিত হইয়া আমার দিকে স্হির হইয়া রহিল। আমি হেসে বল্লাম খালুজান আসতে পারি মানে মে আই কাম ইন? তার মুখে কোন কথা নেই। আমি ধরে নিলাম মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ।
আমি ভিতরে ঢোকে হাসি মূখে দরজায় এক পাশে দাঁড়ালাম।
তিনি হঠাত্ নিরবতা ভঙ্গ করে আমার ডান দিকে বটি দা টা ছুঁড়ে মারলেন। বটি দা টা প্রচন্ড বেগে আমার পাশে এসে পড়ল। আমার
আত্মা ততক্ষণে খাঁচা ছাড়া। খালু গম্ভীর গলায় বল্লেন, হিমু দাটা টা নিয়ে এদিকে আস।
জ্বি খালুজান, আমার মুখে ভয় মিশ্রিত
বিণয়ী হাসি। আমার পাশে এসে বস।
জ্বি খালুজান। তুমিতো জান রাস্তার
একটা নেড়ী কুকুর
থেকে তোমাকে আমি বেশি ঘৃণা করি তারপরেও
আমার কাছে কেন এসেছ?
আসলে আপনিতো জানেন খালুজান
ঘৃণা এবং ভালোবাসার পরষ্পরের
প্রতি একটা অদ্ভুত আকর্ষণ
শক্তি আছে, সেই অদৃশ্য আকর্ষণ
শক্তি ই আমাকে আপনার
কাছে টেনে নিয়ে এসেছে।
ন্যাকামো মার্কা কথা রাখ এবার
আসল কথাটা বল, লবণ বেগমের
সাথে তোমার কি কথা হয়েছে। লবণ
বেগম কে তো চিনলাম না খালুজান।
তোমার খালার কথা বলছি। তার
এহেন নামকরণের হেতু? আমার
জীবনের প্রতি ভাঁজে ভাঁজে সে লবণ
ছিটিয়ে দিয়েছে তাই তার এ নামকরণ।
অতি উত্তম। তার বিশ্বাস
আমি পাগল হয়ে গেছি, তোমার
কি ধারণা? আমার
ধারণা আপনি পাগলের অভিনয়
করছেন। ঠিক ধরেছ, আমি চাই
আমার পাগলামীতে অতিষ্ঠ
হয়ে তোমার খালা এ বাড়ি ছেড়ে দিক।
আমার মনে হয়না এতে কাজ হবে।
হিমু। জ্বি, বলেন খালুজান। আমি ঠিক
করেছি আমি আরেকটা বিয়ে করব। এতো মহত্ চিন্তা খালুজান, আপনার মত সবাই
এ ধরণের উদ্যেগ নিলে দেশে অবিবাহিত
মেয়েদের সংখ্যা কমে যেত এবং এক
ধরণের ভারসাম্যবস্থা বিরাজ করত।
আমার বিয়ের ব্যপারে তোমাকে একটু
সাহায্য করতে হবে। এ
নিয়ে আপনি কোন চিন্তা করবেন
না খালুজান ঘটক পাখি ভাই সহ
ঢাকা শহরের যত ম্যারেজ
মিডিয়া রয়েছে সবার সাথেই আমার সু
সম্পর্ক আছে। ঠিক
আছে তবে তুমি তোমার কর্ম
নদে ঝাঁপিয়ে পড়। খালুজান আপনার
জন্য আমি কর্মনদ কেন কর্ম
সমুদ্রে ঝাঁপ দেব। খালুজান আপনার
কাছে হাজার খানি টাকা হবে? কেন?
ঘটক পাখি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ
করতে হবে। আমার পাঞ্জাবির পকেট
থেকে নিয়ে যাও। জো হুকুম খালুজান।
ঘর থেকে বেরোতেই মাজেদা বেগম
ওরফে লবণ বেগম আমাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে গেল। হিমু বল
এবার কি খবর। খবর হল আমাকে কিছু
টাকা দাও একটা ছাগল কিনতে হবে।
কেন? তোমার নাম পরিবর্তন
উপলক্ষে একটা আকিকা দিতে হবে।
মানে কি? মানে তোমার নাম
মাজেদা বেগম থেকে লবণ বেগম
রাখা হয়েছে। কেন? কারন তুমি খালু
জানের কাটা ঘাঁয়ে প্রতিনিয়ত লবণের
ছিটা দিয়ে যাচ্ছ। এসব
কথা বলেছে তোকে? না খালু জান
শিঘ্রীই বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে কথাও
বলেছে। তো তুই কি বল্লি?
আমি তাকে সার্বিক সহযোগীতার
আশ্বাস দিয়েছি, ঘটক পাখি ভাইয়ের
কাছে যাওয়ার জন্য কিছু টাকাও নিয়েছি!
খবরদার হিমু তুই আর এক পাও
আগাবিনা বলে দিচ্ছি।
আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । তুই কিন্তু
ঘরের শত্রু বিভীষণের মত আচরণ
করছিস, মীর জাফর কোথাকার।
খালা আমার ভিজিট টা। কিসের ভিজিট?
এই মুহূর্তে বের হয়ে যা আমার
সামনে থেকে। জো হকুম।
আমি ভিতরে ঢোকে হাসি মূখে দরজায় এক পাশে দাঁড়ালাম।
তিনি হঠাত্ নিরবতা ভঙ্গ করে আমার ডান দিকে বটি দা টা ছুঁড়ে মারলেন। বটি দা টা প্রচন্ড বেগে আমার পাশে এসে পড়ল। আমার
আত্মা ততক্ষণে খাঁচা ছাড়া। খালু গম্ভীর গলায় বল্লেন, হিমু দাটা টা নিয়ে এদিকে আস।
জ্বি খালুজান, আমার মুখে ভয় মিশ্রিত
বিণয়ী হাসি। আমার পাশে এসে বস।
জ্বি খালুজান। তুমিতো জান রাস্তার
একটা নেড়ী কুকুর
থেকে তোমাকে আমি বেশি ঘৃণা করি তারপরেও
আমার কাছে কেন এসেছ?
আসলে আপনিতো জানেন খালুজান
ঘৃণা এবং ভালোবাসার পরষ্পরের
প্রতি একটা অদ্ভুত আকর্ষণ
শক্তি আছে, সেই অদৃশ্য আকর্ষণ
শক্তি ই আমাকে আপনার
কাছে টেনে নিয়ে এসেছে।
ন্যাকামো মার্কা কথা রাখ এবার
আসল কথাটা বল, লবণ বেগমের
সাথে তোমার কি কথা হয়েছে। লবণ
বেগম কে তো চিনলাম না খালুজান।
তোমার খালার কথা বলছি। তার
এহেন নামকরণের হেতু? আমার
জীবনের প্রতি ভাঁজে ভাঁজে সে লবণ
ছিটিয়ে দিয়েছে তাই তার এ নামকরণ।
অতি উত্তম। তার বিশ্বাস
আমি পাগল হয়ে গেছি, তোমার
কি ধারণা? আমার
ধারণা আপনি পাগলের অভিনয়
করছেন। ঠিক ধরেছ, আমি চাই
আমার পাগলামীতে অতিষ্ঠ
হয়ে তোমার খালা এ বাড়ি ছেড়ে দিক।
আমার মনে হয়না এতে কাজ হবে।
হিমু। জ্বি, বলেন খালুজান। আমি ঠিক
করেছি আমি আরেকটা বিয়ে করব। এতো মহত্ চিন্তা খালুজান, আপনার মত সবাই
এ ধরণের উদ্যেগ নিলে দেশে অবিবাহিত
মেয়েদের সংখ্যা কমে যেত এবং এক
ধরণের ভারসাম্যবস্থা বিরাজ করত।
আমার বিয়ের ব্যপারে তোমাকে একটু
সাহায্য করতে হবে। এ
নিয়ে আপনি কোন চিন্তা করবেন
না খালুজান ঘটক পাখি ভাই সহ
ঢাকা শহরের যত ম্যারেজ
মিডিয়া রয়েছে সবার সাথেই আমার সু
সম্পর্ক আছে। ঠিক
আছে তবে তুমি তোমার কর্ম
নদে ঝাঁপিয়ে পড়। খালুজান আপনার
জন্য আমি কর্মনদ কেন কর্ম
সমুদ্রে ঝাঁপ দেব। খালুজান আপনার
কাছে হাজার খানি টাকা হবে? কেন?
ঘটক পাখি ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ
করতে হবে। আমার পাঞ্জাবির পকেট
থেকে নিয়ে যাও। জো হুকুম খালুজান।
ঘর থেকে বেরোতেই মাজেদা বেগম
ওরফে লবণ বেগম আমাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে গেল। হিমু বল
এবার কি খবর। খবর হল আমাকে কিছু
টাকা দাও একটা ছাগল কিনতে হবে।
কেন? তোমার নাম পরিবর্তন
উপলক্ষে একটা আকিকা দিতে হবে।
মানে কি? মানে তোমার নাম
মাজেদা বেগম থেকে লবণ বেগম
রাখা হয়েছে। কেন? কারন তুমি খালু
জানের কাটা ঘাঁয়ে প্রতিনিয়ত লবণের
ছিটা দিয়ে যাচ্ছ। এসব
কথা বলেছে তোকে? না খালু জান
শিঘ্রীই বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে কথাও
বলেছে। তো তুই কি বল্লি?
আমি তাকে সার্বিক সহযোগীতার
আশ্বাস দিয়েছি, ঘটক পাখি ভাইয়ের
কাছে যাওয়ার জন্য কিছু টাকাও নিয়েছি!
খবরদার হিমু তুই আর এক পাও
আগাবিনা বলে দিচ্ছি।
আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । তুই কিন্তু
ঘরের শত্রু বিভীষণের মত আচরণ
করছিস, মীর জাফর কোথাকার।
খালা আমার ভিজিট টা। কিসের ভিজিট?
এই মুহূর্তে বের হয়ে যা আমার
সামনে থেকে। জো হকুম।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০২/১০/২০১৪জাস্ট কন্টিনিউ..................
-
জে.এন. হৃদয় (পাগল-মানব) ১৮/০৭/২০১৪ভাল হয়েছে, কিন্তু ভাইয়া হুমায়ুন আহমেদকে লেখায় খুঁজে পেলাম না ।
-
কবি মোঃ ইকবাল ১৫/০৭/২০১৪খুব ভালো লাগলো।।।
-
আবু সঈদ আহমেদ ১৫/০৭/২০১৪এত Enter দেয়ার দরকার ছিলনা। ভালো ল্গেছে ।
-
মাহমুদ নাহিদ ১৫/০৭/২০১৪valo laglo but aktu boro hoye gese lekhata.
-
সামসুল আলম দোয়েল ১৫/০৭/২০১৪চলতে থাক