www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

অপুর হাঁস


খুব সকালেই ঘুম ভাঙল অপুর। অবশ্য
এত সকালে তার ঘুম ভাঙার কথা নয়
কিন্তু আজ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটল।
গতকাল অপু তার চাচার
সাথে হাটে গিয়েছিল।
সে কথনো হাটে যায়নি তো গতকাল
হাটে যাবার পর সে তো একদম মুগ্ধ।
কত লোক যে হাটে এসেছে তার
ইয়ত্তা নেই। একলোক মাইক
বাজিয়ে মলম বিক্রি করছে। মাইক
থেকে জোরে আওয়াজ আসছে- যাদের
খোস পাঁচড়া, চুলকানি, আঙ্গুলের
চিপায়, রানে,
কানে খাউজানি আছে তারা আমার
পাগলা মলমটি ব্যবহার করুণ, একদম
গ্যারান্টি সহকারে মাত্র
সাতদিনে আপনি চুলকানি থেকে মুক্তি লাভ
করবেন। এটা বড় হারামজাদা রোগ!
তাছাড়া আমার কাছে আরেকটি ওষুধ
আছে ঈদুর ও তেলাপোকা মারার।
এটা খাওয়ার সাথে সাথে ঈদুর ও
তেলোপোকা জায়গায় জায়গায়
খাইলে জায়গায় ব্রেক! ঈদুর
তেলোপোকার আর নিস্তার নাই! অপু
খুব অবাক হয়ে ওষুধ বিক্রেতার
কথা গুলো শোনে। কিছু দূরেই একলোক
বাতের আংটি বিক্রি করছে।
তারপাশে একটি টেপ রেকর্ডার।
পুথি পড়ার মত একটা সুর আসছে-
সখিনার মার জরিনা. একটা তবে বাতের
আন্ডি একটা ধারণ করেন না। অপুর
হাসি পায়। হাটে অনেক ধরনের
গলি আছে। কোনটায় নানা রকম ফসল
যেমন- মরিচ, সরিষা, কালিজিরা.
ধনিয়া, পাট ইত্যাদি বিক্রি হচ্চে।
একপাশে মুদি দোকান.
আরেদিকে তরকারী ও হাঁস মুরগীর
বিক্রির স্থান. আরেক গলিতে মিষ্টির
দোকান ও কিছু ডিসপেনসারীর রয়েছে।
অপুর চাচা অপুকে নিয়ে মিষ্টির
দোকানে প্রবেশ করে। দোকানে গরম
জিলাপী ভাজা হচ্ছে।
দে আমগো কয়ডা গরম জিলাপি দে.
ভাতিজারে নিয়া আইছি. একটু
কড়া ভাজা দিছ।
মিষ্টি খেয়ে অপুরা চাল ডাল ও
তরিতরকারী ক্রয় করে। হঠাত্ অপুর
চোখ পড়ে যায় দুটি হাঁসের ছানার উপর।
অপু বায়না ধরে তাকে হাঁসের
বাচ্চা কিনে দিতে হবে। হাঁসের
বাচ্চা দিয়া আবার কি করবি?
বাড়িতে নিয়া পালুম। না বাবা দরকার
নাই, এমনি তো কত হাঁস
মুরগী আছে বাড়িতে। না আমারে এই
দুইডা কিইন্না দিতে হইব। কি জ্বালাই
ফালাইলি। এই যে ভাই দাম কত?
আশি টাহা। এত্ত দাম! চল্লিশ
টাহা পাইবা। বিক্রেতা মাথা চুলকায়।
পরে পঞ্চাশ টাকায় বিষয়টি সূরাহা হয়।
অপুর মূখে ছড়িয়ে পড়ে এক
চিলতে হাসি।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৮০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/০৩/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast