অনুভূতি
বাপরে বাপ! সারাদিন আজ যা ধকল গেল। মাথাটা ঝিম ধরে আছে। মুখে বিড়বিড় করতে করতে লিফটে চড়লেন শাহেদ। শীতকালে অফিস থেকে বের হতেই সন্ধ্যা নামে। রাস্তায় নেমেই একটা সিগারেট মুখে গুজে রিকশা ডাকলো।
- ওই খালি যাবে? মোল্লা পাড়া।
রিকশায় বসে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বাসার পাশের গলিতে পৌঁছে চোখ পড়লো বন্ধু রিপনের উপর।
- কিরে রিপন অন্ধকার গলিতে কি করিস?
রিপন কোন জবাব না দিয়ে সিগারেটের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।
শাহেদ রিকশাওয়ালাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে দিয়ে রিপনকে বললো, সিগারেট খাবি খা, ওসব বাজে জিনিস ছাড় না, গাঁজা-মদ আমাদের ধর্মে হারাম। তুই হাজী বাড়ির ছেলে, মোল্লা পাড়ায় বাড়ি - ইসলামের মান ডুবাস না। রিপন সিগারেটের নিঃশেষ হয়ে যাওয়া টুকরো টা পায়ে পিষতে পিষতে বললো, এই যা যা - যত্তসব ফেরেশতা, ঘুষের টাকায় পাঁচতলা হাঁকিয়েছিস,ঘুষ হালাল-না, গাঁজা-মদ হারাম....
শাহেদ রিপনের মিখের কথা শেষ না হতেই বাসার দিকে জোর কদমে পা বাড়ালো। কয়েক কদম হাটঁতেই গরম অনুভব হওয়ায় গায়ের ব্লেজার খুলে হাতে নিলো।
বাসার গেটে পৌঁছাতেই দেখলো গেট জুড়ে শুয়ে আছে একজন মানুষ। মাথার চুল ও পরনের কাপড় দেখে মনে হলো মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষ-পাগল। খালি গায়ে হাঁটুর কাছে মাথা গুঁজে শুয়ে আছে।
-এই ওঠ,ওঠ। গেট জুড়ে শুয়ে আছে। শালা যত উটকো ঝামেলা আমাকেই দেখতে হয়....। গলা হাঁকিয়ে কিছু গালিও পড়লো শাহেদ। ততক্ষণে পাগল লোকটি শাহেদের হাতে থাকা ব্লেজার ছো মেরে নিয়ে ভো দৌড় দিলো। শাহেদ কিছুদূর দৌড়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলো।
পাগল শব্দটা কেমন যেন গোলমেলে। কোথায় যেন গোলমাল। কিসের পাগল? অনুভূতিহীন একজন মানুষ। অনুভূতি না থাকলে শীত লাগে কেন? অনুভূতি-এটা আবার গুলিয়ে যাচ্ছে। অনুভূতি সবার থাকে কিন্তু একরকম নয়। এক রকম হলে রিপন গাঁজা-মদ খেয়ে শরীরের অত্যাচার করছে, মৃত্যুর দিকে ঝুঁকছে - এটা ও বোঝে না? ভাবনায় ছেদ পড়লো। কলিং বেল চাপতেই দরজা খুলে দিলো আদরের একমাত্র ছেলে সুমন। বাবার মুখ ভার দেখে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী একমাত্র ছেলেটিও মুখ কাঁচুমাচু করে মাকে ডাকতে শুরু করলো।
- ওই খালি যাবে? মোল্লা পাড়া।
রিকশায় বসে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বাসার পাশের গলিতে পৌঁছে চোখ পড়লো বন্ধু রিপনের উপর।
- কিরে রিপন অন্ধকার গলিতে কি করিস?
রিপন কোন জবাব না দিয়ে সিগারেটের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।
শাহেদ রিকশাওয়ালাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে দিয়ে রিপনকে বললো, সিগারেট খাবি খা, ওসব বাজে জিনিস ছাড় না, গাঁজা-মদ আমাদের ধর্মে হারাম। তুই হাজী বাড়ির ছেলে, মোল্লা পাড়ায় বাড়ি - ইসলামের মান ডুবাস না। রিপন সিগারেটের নিঃশেষ হয়ে যাওয়া টুকরো টা পায়ে পিষতে পিষতে বললো, এই যা যা - যত্তসব ফেরেশতা, ঘুষের টাকায় পাঁচতলা হাঁকিয়েছিস,ঘুষ হালাল-না, গাঁজা-মদ হারাম....
শাহেদ রিপনের মিখের কথা শেষ না হতেই বাসার দিকে জোর কদমে পা বাড়ালো। কয়েক কদম হাটঁতেই গরম অনুভব হওয়ায় গায়ের ব্লেজার খুলে হাতে নিলো।
বাসার গেটে পৌঁছাতেই দেখলো গেট জুড়ে শুয়ে আছে একজন মানুষ। মাথার চুল ও পরনের কাপড় দেখে মনে হলো মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষ-পাগল। খালি গায়ে হাঁটুর কাছে মাথা গুঁজে শুয়ে আছে।
-এই ওঠ,ওঠ। গেট জুড়ে শুয়ে আছে। শালা যত উটকো ঝামেলা আমাকেই দেখতে হয়....। গলা হাঁকিয়ে কিছু গালিও পড়লো শাহেদ। ততক্ষণে পাগল লোকটি শাহেদের হাতে থাকা ব্লেজার ছো মেরে নিয়ে ভো দৌড় দিলো। শাহেদ কিছুদূর দৌড়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলো।
পাগল শব্দটা কেমন যেন গোলমেলে। কোথায় যেন গোলমাল। কিসের পাগল? অনুভূতিহীন একজন মানুষ। অনুভূতি না থাকলে শীত লাগে কেন? অনুভূতি-এটা আবার গুলিয়ে যাচ্ছে। অনুভূতি সবার থাকে কিন্তু একরকম নয়। এক রকম হলে রিপন গাঁজা-মদ খেয়ে শরীরের অত্যাচার করছে, মৃত্যুর দিকে ঝুঁকছে - এটা ও বোঝে না? ভাবনায় ছেদ পড়লো। কলিং বেল চাপতেই দরজা খুলে দিলো আদরের একমাত্র ছেলে সুমন। বাবার মুখ ভার দেখে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী একমাত্র ছেলেটিও মুখ কাঁচুমাচু করে মাকে ডাকতে শুরু করলো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৮/০২/২০২০অনন্য ।
-
sudipta chowdhury ২৯/১২/২০১৯Best feeling is "love feelings"
-
কুয়াশা ২৫/১২/২০১৯অসাধারণ
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ১৯/১২/২০১৯শুভেচ্ছা রইলো
-
স্বপ্নীল মিহান ১৫/১২/২০১৯সুন্দর লিখনি
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১০/১২/২০১৯চমৎকার অনুভূতি অনুভূত হলো |
-
নুর হোসেন ১০/১২/২০১৯দারুন লিখেছেন!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৯/১২/২০১৯আচ্ছা। বেশ তো!