www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ঘুমিয়েছে বিবেক

খোলা ডাষ্টবিন নাকে রুমাল
ছি ছি রব পড়ে যায় চারদিক,
অথচ তার উপর নির্ভর করে চলে কতশত প্রাণী-মানুষ
যারা পথের পাশের ঐ ডাষ্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খাঁয়।
পাশদিয়ে শো শো শব্দে চলে
প্লাটিনামের সিলভার কালার গাঁড়িগুলি,
খাবারের মান ভালো নয় বলে থাপ্পড় খায় ওয়েটার
স্বাদহীন একপ্লেট তাদের ভাগ্যে জোটেনা।

ঘরের সোফা পূরাতন পরিবর্তন করা চাই
নইলে ঘুমহীন রাত পার হবে,
ঘরে তোলা হয় লক্ষ টাকার আরামদায়ক বিছানা।
অথচ রাস্তার পাশে মাথার নীচে ইট দিয়ে
ভূমিহীন, ঘরহীন শান্তির ঘুম যায়
হাজারো দারিদ্রপিড়ীত হৃদয়বান জনতা
কোন বাঁধাতে তাদের সুখময় ঘুমখানি টোঁটেনা।

বৃষ্টির ফোটা পড়ে কাপড়ে ছোপ পড়েছে
কোথায় যেন মনে হচ্ছে রং চটেছেে
এ ধরণের কাপড় কি পরা যায়?
রাজশাহী সিল্ক আর মনিমুক্তাখচিত বাহারী ডিজাইন
চোখ ঝলমল জামদানী শাড়ি চাই,
তাও তো দশসেট তোলা আছে আলমারিতে
তাতে কি? ওসব সেকেলে চলে না, নতুন চাই নতুন।
অথচ বস্ত্রের অভাবে ছেড়া একখানি ভেজা শাড়ি
যখন বাংলার দুস্থ মা
একপ্রান্ত গায়ে জড়িয়ে অন্যপ্রান্ত রোদে শুকায়,
পাশে পড়ে থাকা দুগ্ধ শিশুটি ক্রন্দনরত,
নাঙ্গা শরীর তার, শীতে কাঁপছে দেহখানি
তাতেও অভিযোগহীন জীবনাতিপাত চলে
রেললাইন কিংবা ভাঙ্গনকূলের বস্তিবাসি মায়ের।

অবিচার, হিংসা-বিদ্বেষ, অনাহার, প্রবঞ্চনা
চারদিক চারকূল থৈথৈ,
আরো চাই, আরো পায়, সহস্র-লক্ষ- কোটি
আরো কই,
যার আছে একশত তার থেকে নাও,
যার মাত্র দশ তার কাছেও চাও
আমার টাকা-সম্পদ আমারটা দাও।
তুমি কোথায় রবে কেমনে সেটা একান্ত তোমার
মারতি-সুজুকি-টয়োটা আরো আরো দরকার আমার।
তাতে যদি যায় প্রাণ অজস্র যাকনা,
কে বাঁচলে আর কে মরলে তা ওদিক পড়ে থাকনা
আমার চাওয়া-পাওয়া পুরন হলেই যতেষ্ঠ।

বিশ্ব বিবেক ঘুমিয়ে তার
কে আর করবে বারণ
এটাই তো আসল কারণ,
তুমি যা বলবে সেটাই সঠিক
বিচার করার অধিকার আছে কার?
কষ্ট পাই এই ভেবে
উত্তরসূরিরা জীবনাতিপাত করবে কিভাবে,
যা কিছু হচ্ছে মিথ্যা ষোলআনা,
বিবেক তুমি জাগ্রত হও হাজারো না পাওয়ার মাঝে
উত্তরসূরিরা ভালো থাক তোমার ভালো কাজে।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৪৯৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/০৭/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast