www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

একটি সাদা গোলাপ

গ্রামের নাম কদমতলী। কিছু দূর যেতেই চোখে পড়ে পুরোনো আমলের বিশাল একটি জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়ির নিয়ম-কানুনই অন্য রকম। কদমতলী গ্রামে জমিদারের কথায় যেন সবকিছু চলে।  বাড়ির চারপাশে কমপক্ষে ২০ জন প্রহরী সারারাত জেগে জেগে বাড়ি পাহারা দেন। শুধু মাত্র দুপুর বেলা ১২ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সকলে একটু ঘুমান। কিন্তু ঐ সময় ও মূল গেটে ২ জন প্রহরী পাহারা দেন। চারপাশে পাচিল দ্বারা বেষ্ঠিত। বাড়ির ভিতরে জমিদার পরিবারের লোক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ নিষেধ। যদি অন্য কেউ বাড়ির ভিতর যেতে চাই তবে ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পাচিল টপকে যেতে হবে। কিন্তু যদি ধরা পড়ে তো নিস্তার নেই। জমিদার বাড়ির প্রধান জমিদার হলো গনেশ বাবু। দেখতে অনেকটা মহিশের মতো গায়ের রং কালো। গোফ যেন দুই পাশে দুটি তরবারী।তার বিনা অনুমতিতে যদি কেউ বাড়িতে প্রবেশ করে তো তার নিস্তার নেই। জমিদার বাড়ির কাছেই ছোট্ট একটি বাড়ি। ঐ বাড়িতে থাকে বিন্দু ও তার মা,বাবা। ছোট্ট একটি পরিবার। বিন্দুর বাবা একজন মাঝি। খুব সামান্য আয় তার।একদিন আয় হলে, দুইদিন আয় হয় না। মাঝে মাঝে না খেয়ে দিন কাঁটায়। অত্যান্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন চালাতে হয় তাদের। বিন্দু কদমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। অত্যন্ত মেধাবী সে, প্রতি শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করে। কখন ও না খেয়ে, কখন ও একটু জল খেয়ে সে স্কুলে যায়। তবু ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ দেয় না। স্কুলের একই শ্রেণীর ছাত্রী রেখা।সে সব সময় ক্লাসে ২য় স্থান অধিকার করে। বিন্দু ও রেখা খুব ভাল বন্ধু। তারা দুই জন সবসময় একসাথে পড়াশোনা করে, একই বেঞ্চে বসে,একই সঙ্গে খেলা করে। রেখার বাড়ি পালতলী গ্রামে, ঐ গ্রামের জমিদার বাড়ির মেয়ে রেখা। বিন্দুর মতো দরিদ্র পরিবারের ছেলে রেখার সাথে মিশবে,পড়বে, খেলা করবে, এটা তারা কখন ও ভালো চোখে দেখে না। বিন্দু ও রেখা অনেক ভালো বন্ধু। বাড়ির সকল ঘটনা,মজার সকল বিষয় তারা একে অন্যকে বলে। বিন্দু একদিন স্কুলে না এলে রেখা অনেক কষ্ট পায় রেখা একদিন স্কুলে না এলে বিন্দু অনেক কষ্ট পায়। রেখা বলে, বিন্দু আগামী ২৫ শে নভেম্বর আমাদের ৫ম শ্রেণীর পরিক্ষা শুরু। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি।  আমাদের নিয়ে সকলের অনেক আশা আমরা যেন ভাল ফলাফল করি। তাই আমাদের সমাপনী পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করতেই হবে। তুমি তো জান বিন্দু তোমার বাবা একজন মাঝি,কিন্তু তোমাকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করান। যেকোন মূল্যে তার সম্মান রাখতেই হবে তোমার। বিন্দু, ঠিক বলেছ। রেখা আমাদের খুব ভাল ফলাফল করতেই হবে।রেখা তুমি ও ভাল করে পড়ালেখা করবে, যেন আমাদের স্কুলে আমরা সবচেয়ে ভাল ফলাফল করতে পারি।আচ্ছা ঠিক আছে বিন্দু।স্কুল ছুটি হলো তাহলে এখন যাই। ও দাঁড়াও দাঁড়াও, আমাদের পরীক্ষা শেষ হবে ৫ই ডিসেম্বর। আর ৭ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আমার জন্মদিন।গ্রামে আমাদের বাড়িতে আমরা আমার জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করবো। তুমি অবশ্যই আসবে কিন্তু? তোমাকে দাওয়াত রইল। তুমি অবশ্যই আসবে।তুমি না আসলে আমরা অনুষ্ঠান শুরু করব না। কিন্তু না, রেখা আমি আসতে পারব না।আমরা অনেক গরিব মানুষ, আমার বাবা একজন মাঝি। তোমাকে কিছু দেয়ার মতো টাকা আমাদের কাছে থাকে না। আমার বাবা যা আয় করেন তা দিয়ে আমাদের সংসারই চলে না। আর তারপর তোমার জন্মদিনে গেলে আমাকে তো কিছু নিতে হবে তাইনা? তার চেয়ে আমি যাব না তোমরা অনুষ্ঠান করো। আমি আসবো না। দেখ বিন্দু, তুমি আমার অনেক প্রিয় বন্ধু। তোমার কিছু আনতে হবে না, তুমি অবশ্যই আসবে। তুমি আসলে আমি অনেক খুশি হব।আমার জন্য কিছু আনতে হবে না। তবে আমার সাদা গোলাপ অনেক পছন্দ। যদি সম্ভব হয় একটি সাদা গোলাপ নিয়ে এসো। যাও, বাসায় যাও, ভাল করে পড়াশোনা কর। আমাদের পরীক্ষার বেশী বাকী নেই। হ্যা ঠিক বলেছো আমাদের এখন বাসায় গিয়ে ভাল করে পড়াশোনা করা উচিৎ ভালো ফলাফল করতেই হবে।এখন যাই, তুমি ও বাসায় গিয়ে পড়াশোনা কর এই বলে দুজন বাড়ির দিকে রওনা হলো। বিন্দু মনে মনে ভাবে স্কুলে ১ম স্থান অধিকার করতেই হবে। আর পরীক্ষার পরপরই তো রেখার জন্মদিন এবং যে কোন কিছুর বিনিময় রেখার জন্য একটি সাদা গোলাপ নিয়ে যেতেই হবে। আমার তো অর্থ কড়ি কিছুই নেই। টাকা দিয়ে কিনে আমি কিছু দিতে পারবো না। তাই যেকোন মূল্যে সাদা গোলাপ নিয়ে জন্মদিনে রেখাকে দিতেই হবে। কিন্তু সাদা গোলাপ কোথায় পাব ? সাদা গোলাপ তো একমাত্র জমিদার বাড়িতেই থাকতে পারে। গ্রামের অন্য কোথাও তো সাদা গোলাপ নেই। তাহলে কি সাদা গোলাপের জন্য আমাকে জমিদার বাড়িতেই যেতে হবে? না,না,জমিদার বাড়িতে তো জমিদার পরিবারের লোক ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারে না।তাছাড়া অন্য কেউ ঢুকলে  তার শাস্তি অনিবার্য। তাছাড়া আমি তো জানি না জমিদার বাড়িতে সাদা গোলাপ ফুল আছে কিনা। যাক এখন এসব বাদ। এখন বাড়িতে গিয়ে  পড়াশোনা করি। তার পরে তো রেখার জন্মদিন,তখন দেখা যাবে। আর মাঝে মাঝে খোঁজ রাখতে হবে কোথায় সাদা গোলাপ ফুল পাওয়া যায়। তবে আজ থেকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। তারপর থেকে বিন্দু ভাল  করে পড়াশোনা করতে লাগল। কিন্তু মাথায় একটি চিন্তা সাদা গোলাপ কোথায় পাওয়া যায়। জমিদারের প্রহরী বাঘাপর্বন তার একটি বিড়ি পেলে আর  কিছুই লাগে না।বিড়ি টানার সময় তার মন উদার হয়ে যায়। বিন্দু ভাবলো যে কোন মূল্যে বাঘাকে হাত করতে হবে। আর আমিতো জানি সে গোপাল বিড়ি অনেক পছন্দ করে। এত কিছু ভাবার মধ্যে ও বিন্দুর পড়াশোনার কোন কমতি ছিল না। তারা নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লাগল।আর অনেক কষ্টে দুটি টাকা যোগাড় করল এবং এক প্যাকেট বিড়ি কিনে তার ব্যাগে রাখলো।স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখে জমিদার বাবুর প্রহরী বাঘাপর্বন মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। আরে পর্বন দা তুমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছো কেন? কি হয়েছে?তোমার মন খারাপ? হ্যা!মন খারাপ তুই আমাকে ঐ দোকান থেকে একটি বিড়ি এনে দিতে পারিস? কি বিড়ি? গোপাল বিড়ি? হ্যা। আচ্ছা ঠিকাছে আমি এক্ষুনি যাচ্ছি। তুমি একটু বস আমি আসছি। আরে তুই এসে গেছিস এতো দূরে দোকান এত অল্প সময়ের মধ্যে তুই কিভাবে এলি। আরে পর্বন দা তোমার জন্য একটু দৌড়ে গেলাম, আর কি! এই নাও তোমার বিড়ি। আরে তোকে আমি একটি বিড়ি আনতে বলেছি আর তুই এক প্যাকেট নিয়ে এসেছিস। হ্যা! আমি জানি তোমার মন খারাপ থাকলে তুমি এক প্যাকেট বিড়ি এক জায়গায় বসে শেষ কর তাই আমি এক প্যাকেট নিয়ে এসেছি। বিন্দু তুই তো অনেক ভাল। তুই কি চাও। পর্বন দা শুনেছি জমিদার বাড়িতে নাকি অনেক গোলাপ গাছ আছে, আমাকে একটি সাদা গোলাপ দিবে? বিন্দু জমিদার বাড়িতে অনেক গোলাপ গাছ আছে ঠিকই,কিন্তু সাদা গোলাপ তো নেই। আছে লাল গোলাপ তুমি যদি লাল গোলাপ নিতে চাও তো আমি দিতে পারি। না পর্বন দা আমার একটি সাদা গোলাপ প্রয়োজন। আমি লাল গোলাপ নিব না। আচ্ছা, পর্বন দা সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো,আমি এখন বাসায় যায়। তুমি থাক। এই বলে বিন্দু চলে গেল। বিন্দুর পরীক্ষার আর ক দিন বাকি, সে ইতিমধ্যে বইয়ের পড়া শেষ করে ফেলেছে। পরীক্ষার জন্য বিন্দু প্রস্তুত। সে বিশ্বাস করে এখন পরীক্ষা দিলে সে ভাল ফলাফল করবে। প্রথম দিন ইংরেজি পরীক্ষা। বিন্দু ভাবে পরিক্ষা শেষ হলেই তো রেখার জন্মদিন কিন্তু সাদা গোলাপ তো যোগাড় করতে পারলাম না। সব জায়গায় খুজেছি কোথাও পেলাম না। রেখার কাছে শুনতে হবে ওদের বাড়ি কোন সাদা গোলাপ আছে কিনা? ওর তো সাদা গোলাপ অনেক পছন্দ। পরীক্ষা এসে গেছে, আজ ইংরেজি পরীক্ষা। বিন্দু পরীক্ষা দিতে গেল। পরীক্ষা দিল।পরীক্ষা শেষে রেখার সাথে দেখা তোমার পরীক্ষা কেমন হলো? ভালো, তোমার? ভালো, রেখা বলে বিন্দু তোমার মনে আছে তো পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার আমার জন্মদিন। হ্যা! আছে। রেখা ,সাদা গোলাপ তোমার তো অনেক পছন্দ তোমাদের বাড়িতে কি কোন সাদা গোলাপ ফুল গাছ আছে? ছিল না, কিন্তু আমি অনেক পছন্দ করি বলে আমার বড় বোন ইংল্যান্ড থেকে আমার জন্য একটি সাদা গোলাপ ফুল গাছ নিয়ে এসেছে। আর সেই গাছে একটি মাত্র সাদা গোলাপ ফুল ফুটেছে ঐ ফুল টাকে আমি অনেক ভালোবাসি। প্রতিদিন সকালে আমি ঐ ফুল টাকে অনেক আদর করি। রেখা তোমাদের বাড়ি কি কোন প্রহরি আছে নাকি? কেন? না এমনিতেই, আছে! আমাদের বাড়ি চল্লিশ জন প্রহরি আছে। তারা আমাদের বাড়িকে পাহারা দেন।আমার বাবা ঐ গ্রামের জমিদার। বাবার হুকুম অচেনা কেউ বাড়িতে প্রবেশ করলেই শাস্তি অনিবার্য। ঠিক আছে রেখা ভাল থাক আবার দেখা হবে।এভাবে আস্তে আস্তে পরিক্ষা সব গুলো শেষ হয়ে গেল।আগামিকাল রেখার জন্মদিন। বিন্দু এবার সিদ্ধান্ত নিল সে রেখার বাড়ি থেকে ঐ ফুলটি যে কোন মূল্যে চুরি করবে, এবং সেই ফুলটাই রেখার জন্মদিনে উপহার দেবে। সেই সিদ্ধান্ত মতো বিন্দু ও তার বন্ধু সিন্দু বুধবার সন্ধ্যায় রেখার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো ।পালতলী গ্রামের সবচেয়ে বড় বাড়ি জমিদার বাড়ির কাছে চলে এসেছে। তারা যুক্তি করতে করতে যাচ্ছে আমরা দূর থেকে খেয়াল রাখবো যখন প্রহরীরা রাত জাগতে  জাগতে ক্লান্ত হয়ে একটু ঘুমিয়ে পড়বে তখন বিন্দু দেয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করবে আর সিন্দু বাড়ির বাইরে থাকবে। সিদ্ধান্ত মতো তারা বাড়ির কাছেই একটি বনে অবস্থান নিল। সেখান থেকে তারা লক্ষ করতে লাগল প্রহরীরা কখন একটু ঘুমিয়ে পড়ে।
প্রহরীরা ও রাত জাগতে জাগতে ভোর রাত্রে একটু ঘুমিয়ে পড়ল। এমন সময় বিন্দু, সিন্দুকে বাইরে রেখে দেয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে লাফিয়ে পড়ল। লাফিয়ে পড়ার সাথে সাথে বাড়ির ভিতরে কুকুর ডেকে উঠল বিন্দু তাড়াতাড়ি যেয়ে গোলাপ ফুল ছিড়ে নিল। এদিকে কুকুরের ডাক শুনে প্রহরীরা সজাগ হয়ে গেল চার দিক থেকে ডাকাত ডাকাত শব্দ ভেসে আসতে লাগল। প্রহরীরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে ডাকাত ধরার জন্য। জমিদার ঘোষনা করলেন বাড়ির ভিতরে কোন ডাকাত প্রবেশ করে থাকলে  তাকে হত্যা কর আর বাইরে কাউকে পাওয়া গেলে তাকে আটক কর। কিন্তু বিন্দু কি ডাকাত? সে কী ডাকাতি করতে এসেছে? বাড়ির ভিতরে ফুল হাতে বিন্দুকে পাওয়া গেল। কিন্তু জমিদারের ঘোষনা মতো বাড়ির ভিতরে যাকে পাওয়া গেল তাকে হত্যা করা হলো। আর বাড়ির  বাইরে থেকে সিন্দু কে আটক করা হলো। চারদিক থেকে লোকজন দেখতে আসছে জমিদার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। জমিদার বাড়ির লোকজন ও সবাই দেখতে আসছে সকাল বেলা রেখা এল ডাকাত দেখতে। বিন্দুর হাতে একটি সাদা গোলাপ রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বিন্দুর হাত থেকে যেন সাদা গোলাপটি ফুটেছে। ফুলের প্রত্যেকটি পাপড়ি যেন তাকিয়ে আছে এবং বলছে HAPPY BIRTH DAY REKHA.রেখা বলে বিন্দু! আরে বিন্দু !তুমি কি তাহলে ডাকাত?তুমিই  ডাকাত? তুমি কি এসেছিলে ডাকাতি করতে? কি ডাকাতি করেছো তুমি? একটি সাদা গোলাপ? এই জন্য কি তুমি আমার কাছে শুনেছিলে? আমার বাড়ি সাদা গোলাপ আছে কিনা। পৃথিবী কি এতই নিষ্ঠুর যে,তোমাকে একটি ফুলের জন্য জীবন দিতে হলো। মানুষ কি এতই হিংস্র যে একটি ফুলের জন্য তোমার তাজা প্রান কেড়ে নিল। কই, তোমার ফুল তো তাকিয়ে আছে, তুমি ঘুমাচ্ছো কেন? আজ আমার জন্য তোমাকে মরতে হলো। আমি যদি তোমাকে সাদা গোলাপ আনতে না বলতাম তাহলে আজকে তোমাকে মরতে হতো না। তোমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী।  যে পৃথিবীতে মানুষকে একটি ফুলের জন্য প্রান দিতে হয় সে পৃথিবীতে আমি ও বাঁচতে চাই না। এই বলে রেখা প্রহরীর হাত থেকে ছুরি নিয়ে নিজের বুকে বসিয়ে দিল,এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। জমিদার বাড়ি স্তদ্ধ হয়ে গেল। সকলে নির্বাক চোখে তাকিয়ে রইল। সবাই যেন আজ নিরব হয়ে গেল। তারপর জমিদার অনুতপ্ত হলেন এবং ঘোষনা করলেন,যে পৃথিবীতে  মানুষ মানুষকে হত্যা করে সেই পৃথিবীতে বিধাতা শান্তি তুলে নেন। আজকে আমরা বিন্দুকে হত্যা করেছি, তাই বিধাতা হয়তো কষ্ট পেয়ে আমাদের রেখাকে কেড়ে নিয়েছেন। আজ থেকে জমিদার বাড়ি সকলের জন্য উন্মুক্ত। আজ থেকে আমরা সবাই সমান। আজ থেকে বিন্দু ও রেখার মত পরিবারের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। আজ থেকে আমরা সকলে মিলে মিশে থাকবো। যে হিংসা, হানাহানি, মারামারির জন্য বিন্দু ও রেখাকে প্রান দিতে হলো। সকল কিছুর বিনিময়ে আজ থেকে আমরা এগুলো থেকে মুক্ত থাকবো তাহলে বিন্দু ও রেখার আত্না শান্তি পাবে। কিছুদিন পরে বিন্দু ও রেখার স্কুলে ৫ম শ্রেণীর পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলো।বিন্দু ও রেখা দুজনই A+   পেয়ে স্কুলে ১ম হলো ঠিকই কিন্তু তখন তারা আর পৃথিবীতে রইল না।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১০১০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০৫/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সাঁঝের তারা ১৪/০৫/২০১৭
    ভাল গল্প।
 
Quantcast