ভালবাসার ব্যাকরণ
আজ বাজার হতে ফিরার সময় মিনু-দি'ও একি CNG করে ফিরছিল। দুহাতে দুটো থলে ভর্তি বাজার, শ্যাম বর্ণ গায়ের রং, মাথায় সিঁদুর হাতে সাখা। নাক-কান খালি। ২৭ বছরের এ যুবতি দিন রাত পরিশ্রম করলেও কখনো তার চোখে মুখে ক্লান্তি ভর করেনা।
এ দু-তিন গ্রামের ঘরের কাজে সব বাড়িতে তার ডাক পড়ে, এসব করেই যা পায় তা দিয়েই সংসার চালায় মেয়েটি। CNG হতে নেমে ভাড়া চুকিয়ে দোকানে বসে থাকা তার পঙ্গু স্বামীকে কাঁধে করে ঘরে ফিরছে। ভাবা যায় এ স্বামী ৬মাস আগে পর্যন্ত এ মেয়েটির উপর অমানবিক অত্যাচার করত। মেয়েটি মুখ ফুটে কখনো প্রতিবাদ করেনি। সয়ে গেছে মুখ বুজে। এখন যখন সে স্বামিটি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছে- সে প্রতিদিনের মত ঘর পবিত্র করে পুঁজো ভগবানকে দিলেও মাথা স্বামীর পায়ে ঠেকিয়ে রোজ বের হয়।
"এই বুঝি ভালবাসা। যার কোন ব্যাকরণ নেই। তার প্রতিবাদের ভাষা নেই- নেই প্রতিশোধের নেশা।"
এ দু-তিন গ্রামের ঘরের কাজে সব বাড়িতে তার ডাক পড়ে, এসব করেই যা পায় তা দিয়েই সংসার চালায় মেয়েটি। CNG হতে নেমে ভাড়া চুকিয়ে দোকানে বসে থাকা তার পঙ্গু স্বামীকে কাঁধে করে ঘরে ফিরছে। ভাবা যায় এ স্বামী ৬মাস আগে পর্যন্ত এ মেয়েটির উপর অমানবিক অত্যাচার করত। মেয়েটি মুখ ফুটে কখনো প্রতিবাদ করেনি। সয়ে গেছে মুখ বুজে। এখন যখন সে স্বামিটি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছে- সে প্রতিদিনের মত ঘর পবিত্র করে পুঁজো ভগবানকে দিলেও মাথা স্বামীর পায়ে ঠেকিয়ে রোজ বের হয়।
"এই বুঝি ভালবাসা। যার কোন ব্যাকরণ নেই। তার প্রতিবাদের ভাষা নেই- নেই প্রতিশোধের নেশা।"
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ্রীতরুণ গিরি ০৬/০৯/২০১৫
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ০৫/০৯/২০১৫স্বামী দেবতার সমান !
একটি সুন্দর হৃদয়স্পর্শী কাহিনী লেখার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
এটা না দেখালে কি স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা দেখান যেত না ?