অঙ্গীকার
১০ মিনিট হল অপেক্ষায় আছে অখিল, হঠাৎ পাশ হতে এক ছেলে হাত বারিয়ে বলল- হ্যালো, আমি রিহান।
অখিল- (মুচকি হেসে) হ্যালো।
রিহান- স্যরি, একটু দেরি হয়ে গেলো, চলেন পার্কের একটি ভাল জায়গা দেখে বসি।
অখিল- না-না ঠিক আছে, চলো।
বসে কিছুক্ষন চুপ থাকার পর রিহান বললে উঠল- তো, আপনি দেখতে বেশ!
অখিল হাসল। রিহান আরো যোগ করল- আপনার মনটাও অনেক ভাল।
এবার অখিল বলল- কি যে বল, আচ্ছা এসব বাদ-দাও, কি প্রুবলেম হল আবার তোমাদের মাঝে?
রিহান- কি আর বলব ভাইয়া, সে সব সময় ঝগড়ার মুডে থাকে, অনেক কেয়ার খুঁজে, সব কিছু ওর বেশি বেশি চাওয়া, বুঝেনা কখন কি অবস্থায় আছি।
অখিল- আমি শোনেছি সব অথৈ থেকে। আসলে ও একটু ওরকম, ছোট থেকে আমি তাকে দেখে আসছি, খুব ভাল ছাত্রী সে, শুধু পড়া লিখায় ব্যস্ত থাকত। ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে তার জীবনে প্রথম কেউ আসে, তুমি অবশ্যই শুনে থাকবে সে কাহিনী। যা হোক, ঐ ছেলেটার সাথে রিলেশন ব্রেক-আপ হবার পর সে খুব ভেঙ্গে পড়েছিল, তুমি অথৈ'র জীবনে আশির্বাদ হয়ে এসেছ। আশা করি সব ঠিক ঠাক সামলে নেবে!
রিহান মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো!
অখিল বলতে থাকল- তুমি সব জেনে তার সাথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছ, অথৈ তোমার সাথে আগের রিলেশনের থেকে বেশি সুখী, সে-ই বলেছে আমায়। তোমাদের মধ্যে বুঝা-পরা অনেক ভাল। গতকাল যে ঝগড়াটা হল, তা শুধুই দুর্ঘটনা জেনো। সত্যি বলতে সে তোমাকে হারাতে চাইনা। তাইতো আমাকে পাঠাল তোমার কাছে। ও তোমাকে স্যরি বলবে, ফোন অন করে ওকে কল দিও, যে কোন একজন কে তো প্রথম হাত বাড়াতে হবে, তাহলেই তো অন্য জন সাহস করবে! আসলে একটা রিলেশন ঠিকে থাকে মেনে নেয়া আর ভাল বুঝাপড়াতে। সবাই বলে ভালবাসা-বন্ধুত্বে নাকি স্যরি বলতে নেয়। আমি বলি মনের মানুষের কাছে স্যরি বলতে লজ্জা নেয়! ভালবাসার বিলাসিতা মেনে নেয়া আর ভুল শোধরানুই সাজে! আশা করি দুজন-ই তা উপলব্ধি করেছ!
রিহান- জ্বী ভাইয়া, আমি স্যরি, আসলে আমার জন্যই আপনাকে কষ্ট করে এতো দূর আনাল পাগলী টা! আমি আপনার কথা রাখব!
অখিল- খুশি হলাম, ওকে আজ আসি অনেক দেরি হয়ে গেলো।
ওঠে আসার সময় হ্যান্ডশেক করতে করতে রিহান বলে উঠল- আপনি অথৈ কে খুব ভালবাসতেন তাইনা ভাইয়া?
অখিল নিশ্চুপ গম্ভির মুখে তার দিকে চেয়ে একটু ঠুঁট টেনে হাসল।
রিহান আবার বলে উঠল- আপনি নাকি তা অথৈ কে কখনো বুঝতেও দেননি। আর যখন আপনি বলেছিলেন, (আসলে অথৈ জেনে নিয়েছিল) তখন নাকি অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল!
অখিল আবার তার দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল!
রিহান- অথৈ আপনাকে খুব বিশ্বাস করে, খুব ভাল বন্ধু মানে। আসলেই, অথৈ সৌভাগ্যবান!
অখিল- (মুচকি হেসে) হ্যাঁ, তোমার মত কেউ তো পেল!
রিহান- না না সে জন্য নয়, আপনার মতো কেউ তাকে ভালবাসে বলে।
অখিল- রিহান, বাদ দাও ওসব কথা… ভাল থেকো!
রিহান- ওকে ভাইয়া। ভাইয়া আরেকটা কুয়াইশন।
অখিল- করো।
রিহান- ভাইয়া এভাবেও ভালবাসা যায়? আপনার কথা অথৈ থেকে অনেক শুনেছি। শুনার পর হতে, অনেক বার আপনাকে দেখতে চেয়েছি! আচ্ছা ভাইয়া, নিঃস্বার্থ ভালবেসে কি পান?
অখিল- রিহান, হয়তো তোমাদের কাছে ভালবাসা মানে, একটু বেশি কেয়ার, একটু বেশি আবেগ, একটু বেশি কাছা-কাছি পাশা-পাশি, চিরজীবন একসাথে বাঁচা এবং একসাথে মরার অঙ্গীকার! কিন্তু আমি ভালবাসা মানে অতসব বুঝিনা, আমি ভালবাসা মানে বুঝি প্রিয়ো মুখ গুলোর ভাল চাওয়া!
এ বলে অখিল তার পথে হাঁটা শুরু করল_______ তার যে একায় পাড়ি দিতে হবে আরো অনেকটা পথ!
অখিল- (মুচকি হেসে) হ্যালো।
রিহান- স্যরি, একটু দেরি হয়ে গেলো, চলেন পার্কের একটি ভাল জায়গা দেখে বসি।
অখিল- না-না ঠিক আছে, চলো।
বসে কিছুক্ষন চুপ থাকার পর রিহান বললে উঠল- তো, আপনি দেখতে বেশ!
অখিল হাসল। রিহান আরো যোগ করল- আপনার মনটাও অনেক ভাল।
এবার অখিল বলল- কি যে বল, আচ্ছা এসব বাদ-দাও, কি প্রুবলেম হল আবার তোমাদের মাঝে?
রিহান- কি আর বলব ভাইয়া, সে সব সময় ঝগড়ার মুডে থাকে, অনেক কেয়ার খুঁজে, সব কিছু ওর বেশি বেশি চাওয়া, বুঝেনা কখন কি অবস্থায় আছি।
অখিল- আমি শোনেছি সব অথৈ থেকে। আসলে ও একটু ওরকম, ছোট থেকে আমি তাকে দেখে আসছি, খুব ভাল ছাত্রী সে, শুধু পড়া লিখায় ব্যস্ত থাকত। ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে তার জীবনে প্রথম কেউ আসে, তুমি অবশ্যই শুনে থাকবে সে কাহিনী। যা হোক, ঐ ছেলেটার সাথে রিলেশন ব্রেক-আপ হবার পর সে খুব ভেঙ্গে পড়েছিল, তুমি অথৈ'র জীবনে আশির্বাদ হয়ে এসেছ। আশা করি সব ঠিক ঠাক সামলে নেবে!
রিহান মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো!
অখিল বলতে থাকল- তুমি সব জেনে তার সাথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছ, অথৈ তোমার সাথে আগের রিলেশনের থেকে বেশি সুখী, সে-ই বলেছে আমায়। তোমাদের মধ্যে বুঝা-পরা অনেক ভাল। গতকাল যে ঝগড়াটা হল, তা শুধুই দুর্ঘটনা জেনো। সত্যি বলতে সে তোমাকে হারাতে চাইনা। তাইতো আমাকে পাঠাল তোমার কাছে। ও তোমাকে স্যরি বলবে, ফোন অন করে ওকে কল দিও, যে কোন একজন কে তো প্রথম হাত বাড়াতে হবে, তাহলেই তো অন্য জন সাহস করবে! আসলে একটা রিলেশন ঠিকে থাকে মেনে নেয়া আর ভাল বুঝাপড়াতে। সবাই বলে ভালবাসা-বন্ধুত্বে নাকি স্যরি বলতে নেয়। আমি বলি মনের মানুষের কাছে স্যরি বলতে লজ্জা নেয়! ভালবাসার বিলাসিতা মেনে নেয়া আর ভুল শোধরানুই সাজে! আশা করি দুজন-ই তা উপলব্ধি করেছ!
রিহান- জ্বী ভাইয়া, আমি স্যরি, আসলে আমার জন্যই আপনাকে কষ্ট করে এতো দূর আনাল পাগলী টা! আমি আপনার কথা রাখব!
অখিল- খুশি হলাম, ওকে আজ আসি অনেক দেরি হয়ে গেলো।
ওঠে আসার সময় হ্যান্ডশেক করতে করতে রিহান বলে উঠল- আপনি অথৈ কে খুব ভালবাসতেন তাইনা ভাইয়া?
অখিল নিশ্চুপ গম্ভির মুখে তার দিকে চেয়ে একটু ঠুঁট টেনে হাসল।
রিহান আবার বলে উঠল- আপনি নাকি তা অথৈ কে কখনো বুঝতেও দেননি। আর যখন আপনি বলেছিলেন, (আসলে অথৈ জেনে নিয়েছিল) তখন নাকি অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল!
অখিল আবার তার দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল!
রিহান- অথৈ আপনাকে খুব বিশ্বাস করে, খুব ভাল বন্ধু মানে। আসলেই, অথৈ সৌভাগ্যবান!
অখিল- (মুচকি হেসে) হ্যাঁ, তোমার মত কেউ তো পেল!
রিহান- না না সে জন্য নয়, আপনার মতো কেউ তাকে ভালবাসে বলে।
অখিল- রিহান, বাদ দাও ওসব কথা… ভাল থেকো!
রিহান- ওকে ভাইয়া। ভাইয়া আরেকটা কুয়াইশন।
অখিল- করো।
রিহান- ভাইয়া এভাবেও ভালবাসা যায়? আপনার কথা অথৈ থেকে অনেক শুনেছি। শুনার পর হতে, অনেক বার আপনাকে দেখতে চেয়েছি! আচ্ছা ভাইয়া, নিঃস্বার্থ ভালবেসে কি পান?
অখিল- রিহান, হয়তো তোমাদের কাছে ভালবাসা মানে, একটু বেশি কেয়ার, একটু বেশি আবেগ, একটু বেশি কাছা-কাছি পাশা-পাশি, চিরজীবন একসাথে বাঁচা এবং একসাথে মরার অঙ্গীকার! কিন্তু আমি ভালবাসা মানে অতসব বুঝিনা, আমি ভালবাসা মানে বুঝি প্রিয়ো মুখ গুলোর ভাল চাওয়া!
এ বলে অখিল তার পথে হাঁটা শুরু করল_______ তার যে একায় পাড়ি দিতে হবে আরো অনেকটা পথ!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিপ্লব সিংহ ০৪/০৪/২০১৪রহমান ভাই, গল্পটি ভালো ফুটিয়ে তুলেছেন।ভালো লাগল।
-
এফ সাকি ২৭/০৩/২০১৪খুব ভাল!প্রকৃত ভালোবাসা তো এরকমই হওয়া চাই।লেখায় বানানের দিকে খেয়াল রাখলে আরো সুন্দর হত।যেমন প্রুবলেম নয় প্রবলেম অথবা বাংলায় সমস্যা লেখা যেত।সে তোমাকে হারাতে চাইনা নয় চায় না।এরপরও কতগুলো নেই এর স্থলে নেয় হয়ে গেছে।আশা করি খেয়াল রাখবে।