রত্নার জীবন
শিমুল শুভ্র
ওরে এক্ষনিই বরপক্ষ এলো বলে,কে কোথায় আছিস কই তোরা,
ঘর সাজা, টেবিল সাজা, বিছানা গোছা,রেখে যা ফুলের তোড়া।
কুসুমকাননের সদ্য ফুল নিয়ে আয়,গুজে দে আমার রত্না'র খোপায়,
রাজপুত্র দেখে খুশি হবে
রত্না'র রূপে আমার রূপাই।
নিন বেয়ায়মশাই, মিষ্টিমুখ করুন, মুখে তুলে নিন,দীনদুয়ারী ঘরে
মা হারা রত্না আমার বড়ই অভাগা, রাখবেন আপনার মত করে।
চিন্তা নেই মশাই,রত্না মা আমার আপন কুঠিরে থাকবে রানী হয়ে,
কেবল যে গুলো কথা ছিলো
ছেলের সম্মানে,কথা না নড়ে।
ঢাক,ঢোল,সানাইয়ের তালে নতুন বউ রত্না,চললো বাবাকে ছেড়ে,
মায়ার বন্ধনে অশ্রুবাষ্পথরে কেঁদে,জীবনের প্রয়োজনে স্বামীর ঘরে ।
অশ্রুনদীতে ভাসিও না বাবা,টুটিয়া মর্মপাথরে তীব্র অগ্নি দহন জ্বলে,
রত্না আমার জীবন সাথী
খেয়াল রাখবো প্রতি পলে।
অর্ধনিশীথে অপেক্ষায় রত্না দীপ জ্বেলে বসে আছে বাসর বিছানায়
নীরবে কাঁদে নিভৃতে ভাসে আঁখিজলে,যখন পতি এলো মদ্যপানীয়ায়।
রত্না'র প্রশ্নে হুঙ্কার দিয়ে উঠে, স্বামী তাচ্ছিল্ল্যের সাথে মারে কষে চড়,
দ্বিধাকম্পিত মুখে গদগদ
রত্না শরীর করে না নড়বড়।
যৌতুকের দাবি অহরহ, শ্বশুর দেয় নিষ্ঠুর নিদারুণ ভাষার প্রকাশ,
নিত্যনূতন বাহানা সাজিয়ে, চলে তীক্ষ্ণ জিহ্বা প্রসারি ভাঙ্গে মনাকাশ ।
উতপ্ত গিরির শিখরে রত্না পেটে সন্তান নিয়ে ক্লান্তহৃদয়ের হাহাকার,
পিচ্ছল ঘনপঙ্কিল সংকটছায়াশঙ্কিল,মৌনতায় নির্মম নিষ্ঠুর নিরাকার।
রচনাকাল
২৮।০৩।২০১৪
ইউ এ ই ।
ওরে এক্ষনিই বরপক্ষ এলো বলে,কে কোথায় আছিস কই তোরা,
ঘর সাজা, টেবিল সাজা, বিছানা গোছা,রেখে যা ফুলের তোড়া।
কুসুমকাননের সদ্য ফুল নিয়ে আয়,গুজে দে আমার রত্না'র খোপায়,
রাজপুত্র দেখে খুশি হবে
রত্না'র রূপে আমার রূপাই।
নিন বেয়ায়মশাই, মিষ্টিমুখ করুন, মুখে তুলে নিন,দীনদুয়ারী ঘরে
মা হারা রত্না আমার বড়ই অভাগা, রাখবেন আপনার মত করে।
চিন্তা নেই মশাই,রত্না মা আমার আপন কুঠিরে থাকবে রানী হয়ে,
কেবল যে গুলো কথা ছিলো
ছেলের সম্মানে,কথা না নড়ে।
ঢাক,ঢোল,সানাইয়ের তালে নতুন বউ রত্না,চললো বাবাকে ছেড়ে,
মায়ার বন্ধনে অশ্রুবাষ্পথরে কেঁদে,জীবনের প্রয়োজনে স্বামীর ঘরে ।
অশ্রুনদীতে ভাসিও না বাবা,টুটিয়া মর্মপাথরে তীব্র অগ্নি দহন জ্বলে,
রত্না আমার জীবন সাথী
খেয়াল রাখবো প্রতি পলে।
অর্ধনিশীথে অপেক্ষায় রত্না দীপ জ্বেলে বসে আছে বাসর বিছানায়
নীরবে কাঁদে নিভৃতে ভাসে আঁখিজলে,যখন পতি এলো মদ্যপানীয়ায়।
রত্না'র প্রশ্নে হুঙ্কার দিয়ে উঠে, স্বামী তাচ্ছিল্ল্যের সাথে মারে কষে চড়,
দ্বিধাকম্পিত মুখে গদগদ
রত্না শরীর করে না নড়বড়।
যৌতুকের দাবি অহরহ, শ্বশুর দেয় নিষ্ঠুর নিদারুণ ভাষার প্রকাশ,
নিত্যনূতন বাহানা সাজিয়ে, চলে তীক্ষ্ণ জিহ্বা প্রসারি ভাঙ্গে মনাকাশ ।
উতপ্ত গিরির শিখরে রত্না পেটে সন্তান নিয়ে ক্লান্তহৃদয়ের হাহাকার,
পিচ্ছল ঘনপঙ্কিল সংকটছায়াশঙ্কিল,মৌনতায় নির্মম নিষ্ঠুর নিরাকার।
রচনাকাল
২৮।০৩।২০১৪
ইউ এ ই ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিজয় রায় ০৭/০৯/২০১৪শিমুলদাদা ভাল লাগল আপনার রত্নার অগোছাল কথাগুল
-
শিমুদা ০২/০৯/২০১৪রত্নার জীবনের করুন কাহিনী, ভাল লেগেছে।
-
আশিস চৌধুরী ০২/০৯/২০১৪কবিতায় নিদারুণ সত্য তুলে ধরেছেন,এ তো সমাজে চলছেই।
আমার শুভেচ্ছা জানবেন। -
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০২/০৯/২০১৪বেশ লাগল তো।
-
চূড়ান্ত ০২/০৯/২০১৪ভালোই লিখেছেন। এর জন্য কি করা যায়? রত্নার কথাই ধরুন,তার বাবাই কিন্তু যৌতুকে তার বিয়ে দিয়েছে। যেখানে এই ঘটনা হর-হামেশাই ঘটছে, সেখানে এতটুকুও সচেতন হচ্ছে না। ভাবা যায়? তাই নিজের জীবন-সঙ্গী নিজেরই বেছে নেওয়া উচিত।