বালিকার জীবন
- শিমুল শুভ্র
(শৈশব)
ভ্রুন থেকে মাংসল হয় ধীরে ধীরে, হাড়ের সূক্ষ স্নিগ্ধ পটভূমি,
মায়ের সনাতন বৃন্দাবনে,গর্ভধারন, দশ মাস দশ দিনের জমি।
আযব দুনিয়ায়,স্রষ্টার লীলাখেলা,ভুমিষ্ঠে কেঁদে জানায় নিমন্ত্রণ,
রবির কিরণের হাসিতে,জগৎ প্লাবনে হেসে বালিকার আগমন।
উলুধ্বনি,আর আযানের মধুর সুরে ভোলায়, প্রাণের পরশমণি,
দিক দিগন্তে নির্ঝর নির্ভর কত গিরিচূড়া, হাসিতে মুক্তার খনি।
(কৈশোর)
দুরন্তপনা, ধিঙ্গি মেয়ে দুষ্ট, পুতুল খেলার ছলে, কাঁপাচ্ছে ভূধর,
গাছে চড়ে বেড়ায়,পাখিরছানা মাতায় কোঠরে উৎপাত ঘরদ্বার।
লিপিষ্টিক মুখে হাসে মিষ্টি লাল হাসন,মানেনা কারো বাঁধা,শাসন,
সুরের বচন মুখে, চুল উড়ায় তন মন, মায়ের আঁচলে ক্ষনে ক্ষণ।
পড়ার টেবিলে মন বসায়না ঘুনাক্ষরে,চপল বালিকা চলে হন হন,
লাল ফিতায় বেনী বাঁধে,খোঁপায় শাপলা কোষে, কাশবন শনশন।
(যৌবন)
নৃত্যের ছন্দে, যৌবন কাঁদে, পরিপূর্ণ মধুকর মৌচাকের পাহাড়,
লাল টিপের রূপেগদগদ মুখখানা,উর্বর উরসপরশি,মূর্ছিত বাহার।
সর্বরূপের উপমা উপকরণ, ঘূর্ণিবায়ু ঘেরা অপরূপ রূপের ছবি,
ভাষাভাষিতে আজ হার মেনেছি সাহিত্যকল্পে আমি সেই কবি।
(প্রেম)
আবেগ মনে, প্রাণের টানে, উদ্ভাসিলো প্রেম, মায়াবী মনপিঞ্জরে,
হৃদি-পুরে এখন উচ্ছল সুখের নিবাস, সুর্য চন্দ্র গ্রহ ,যুগান্তরে।
কুমারী-বুকের স্নিগ্ধ রাঙা আলো তীর পড়েছে তার চোখে,মুখে,
অধর খানি যেন মৃত্যুঞ্জয়ী,অকলঙ্কিত রথে, ভাসছে সুনিল সুখে।
(বিয়ে)
বাবা ঠিক করেছেন বিয়ে, বন্ধুর ছেলের সনে,বালিকা নিরুপায়,
ক্ষণে ক্ষণে ওঠে বুকে বেদনাশ্রু, নির্মম কষ্টেরা ও যেন অসহায়।
মহাকাল প্রেমের খর নেত্রজ্বালা ধ্বক-ধ্বক প্রিয়তম হারানোর সুর,
রিক্ত প্রাণ তিক্ত সুখে কাঁদে, নিঃস্বতায়, জীবনের পথ যে বহুদূর।
সাহস সঞ্চার ক্ষুর্ণ বুকে,ভয়ে প্রেমিকের কথা,হয়নি বাবা কে বলা,
আঁচল মুছে,নীরবে কেঁদেছে,রাত জেগে,অচেনা কন্ঠে দিলো মালা।
(যায় যায় দিন)
পথেরধারে,মৃত্যু-ঘন আঁখিজলে,এক পথিক ভাসাচ্ছে,সর্বনাশী তরী,
চুলগুলো খুব জটাধারী, পাগলবেশী, জীর্ণ-বস্ত্রধারী, উন্মাদ সঞ্চারী।
বালিকা নয়ন জলে,বক্ষ ভাসালো,খাখা নীলকষ্টে,ভাষাহীন সংকলন,
সোহাগিনীর,গায়ে সাদা থান দেখে, হঠাৎ প্রেমিকের পরলোক গমন।
দিনের শেষে মাস পুরিয়ে,দশ মাস দশ দিনের কাঙ্খিত অপেক্ষা ক্ষণ
আরেকটি শিশু জন্ম নিবে,বালিকার কোলজুড়ে স্বামীচিহ্ন,তবুওশ্রাবণ।
রচনাকাল
০১।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।
(শৈশব)
ভ্রুন থেকে মাংসল হয় ধীরে ধীরে, হাড়ের সূক্ষ স্নিগ্ধ পটভূমি,
মায়ের সনাতন বৃন্দাবনে,গর্ভধারন, দশ মাস দশ দিনের জমি।
আযব দুনিয়ায়,স্রষ্টার লীলাখেলা,ভুমিষ্ঠে কেঁদে জানায় নিমন্ত্রণ,
রবির কিরণের হাসিতে,জগৎ প্লাবনে হেসে বালিকার আগমন।
উলুধ্বনি,আর আযানের মধুর সুরে ভোলায়, প্রাণের পরশমণি,
দিক দিগন্তে নির্ঝর নির্ভর কত গিরিচূড়া, হাসিতে মুক্তার খনি।
(কৈশোর)
দুরন্তপনা, ধিঙ্গি মেয়ে দুষ্ট, পুতুল খেলার ছলে, কাঁপাচ্ছে ভূধর,
গাছে চড়ে বেড়ায়,পাখিরছানা মাতায় কোঠরে উৎপাত ঘরদ্বার।
লিপিষ্টিক মুখে হাসে মিষ্টি লাল হাসন,মানেনা কারো বাঁধা,শাসন,
সুরের বচন মুখে, চুল উড়ায় তন মন, মায়ের আঁচলে ক্ষনে ক্ষণ।
পড়ার টেবিলে মন বসায়না ঘুনাক্ষরে,চপল বালিকা চলে হন হন,
লাল ফিতায় বেনী বাঁধে,খোঁপায় শাপলা কোষে, কাশবন শনশন।
(যৌবন)
নৃত্যের ছন্দে, যৌবন কাঁদে, পরিপূর্ণ মধুকর মৌচাকের পাহাড়,
লাল টিপের রূপেগদগদ মুখখানা,উর্বর উরসপরশি,মূর্ছিত বাহার।
সর্বরূপের উপমা উপকরণ, ঘূর্ণিবায়ু ঘেরা অপরূপ রূপের ছবি,
ভাষাভাষিতে আজ হার মেনেছি সাহিত্যকল্পে আমি সেই কবি।
(প্রেম)
আবেগ মনে, প্রাণের টানে, উদ্ভাসিলো প্রেম, মায়াবী মনপিঞ্জরে,
হৃদি-পুরে এখন উচ্ছল সুখের নিবাস, সুর্য চন্দ্র গ্রহ ,যুগান্তরে।
কুমারী-বুকের স্নিগ্ধ রাঙা আলো তীর পড়েছে তার চোখে,মুখে,
অধর খানি যেন মৃত্যুঞ্জয়ী,অকলঙ্কিত রথে, ভাসছে সুনিল সুখে।
(বিয়ে)
বাবা ঠিক করেছেন বিয়ে, বন্ধুর ছেলের সনে,বালিকা নিরুপায়,
ক্ষণে ক্ষণে ওঠে বুকে বেদনাশ্রু, নির্মম কষ্টেরা ও যেন অসহায়।
মহাকাল প্রেমের খর নেত্রজ্বালা ধ্বক-ধ্বক প্রিয়তম হারানোর সুর,
রিক্ত প্রাণ তিক্ত সুখে কাঁদে, নিঃস্বতায়, জীবনের পথ যে বহুদূর।
সাহস সঞ্চার ক্ষুর্ণ বুকে,ভয়ে প্রেমিকের কথা,হয়নি বাবা কে বলা,
আঁচল মুছে,নীরবে কেঁদেছে,রাত জেগে,অচেনা কন্ঠে দিলো মালা।
(যায় যায় দিন)
পথেরধারে,মৃত্যু-ঘন আঁখিজলে,এক পথিক ভাসাচ্ছে,সর্বনাশী তরী,
চুলগুলো খুব জটাধারী, পাগলবেশী, জীর্ণ-বস্ত্রধারী, উন্মাদ সঞ্চারী।
বালিকা নয়ন জলে,বক্ষ ভাসালো,খাখা নীলকষ্টে,ভাষাহীন সংকলন,
সোহাগিনীর,গায়ে সাদা থান দেখে, হঠাৎ প্রেমিকের পরলোক গমন।
দিনের শেষে মাস পুরিয়ে,দশ মাস দশ দিনের কাঙ্খিত অপেক্ষা ক্ষণ
আরেকটি শিশু জন্ম নিবে,বালিকার কোলজুড়ে স্বামীচিহ্ন,তবুওশ্রাবণ।
রচনাকাল
০১।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সফিউল্লাহ আনসারী ১০/০৭/২০১৪
-
মোঃ আল-আমিন ১০/০৭/২০১৪আজ একটি সর্ট ফিল্ম দেখিছি। সর্ট ফিল্ম এর নাম “বাস্তবতার কবিতা”। ধন্যবাদ ভালবাসার কবি
-
আবু সাহেদ সরকার ১০/০৭/২০১৪সুন্দর রচনাবলীর ধারা কবি বন্ধু।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ১০/০৭/২০১৪চমৎকার একেছো জামাইবাবু। জোস জোস জোস। দারুন লাগল।
.ভাল লাগল !