মাঝির ভাগ্য
শিমুল শুভ্র
ও মাঝি যেও না গো,পশ্চিমে মেঘেরা তীব্র জয়োৎসবে মত্ত,
প্রলয়ংকরী,ক্ষিপ্ত কালো সন্ধ্যার্চনী,দুর্নমিত মেঘে মূঢ় অস্তিত্ব।
পবন মূর্ছনায় বিপ্রগগণ, উচ্ছৃঙ্খল আস্ফালন যে,ভৈরব নদী,
মন বীণা আজ কেন সায় দেয় না, সমুদ্র বিদ্রোহী সাজে যদি।
মাঝি হাস্যে কল্লোলে হারিকেন দীপ জ্বেলে,প্রার্থনা প্রভুর করি,
ভয় পেয়ো না ওগো সোনাবউ, সুন্দরী আজ ফিরবো তরি ঘরি।
চুমু রেখা এঁকে দিলো মাঝি, প্রিয়তমার উজ্জল ললাট জুড়ে,
মুর্ত শিহরণে কেঁপে উঠলো মন,মাঝির সমুদ্রেরি গর্জন তরে।
কল্লোলনাদিনী,বিশাল গঙ্গায়,মাঝি তুলে দিলো,ধর্ম তরী পাল,
আবছা আঁধারে তীক্ষ্ণ বজ্র নামলো,এক সমুদ্র কন্যা বেসামাল।
মাঝি বৈঠা ঘুরিয়ে, টেনে তুলে নিলো, কন্যা সুতাহীন অসহায়,
এলোকেশী ভেজা চুলে বক্ষ ঢাকলো,বিবস্ত্র আকর্ষিয়া নিরুপায়।
মাথার পাগড়ি খুলে দিলো মাঝি, কন্যার লজ্জা সংবরণের পথ,
আবরণ ভেদী হয়ে ওঠে কন্যা ফিরে পেলো,জীবনে বাঁচার সাধ।
প্রলয়ের বিপর্যয়ে মাঝি মনস্থির করলো,ফিরে যাবে নদী তীরে,
প্রাণের সোহাগিনীকে একাকি রেখে এসেছে, ছনে ঘেরা কুটিরে।
বৈঠার পর বৈঠা ধেয়ে,মাঝি যেই দিলো তীরের গবাক্ষে নঙ্গোর,
নিষ্ঠুর ঝড়মূর্তিবৎ উলট পালট করে গেলো,চেনা সুরের কন্ঠস্বর।
ছনে ঘেরা কুটির খানি ভাসিয়ে নিলো,চূর্ণিয়া গেল মাঝির প্রাণ,
গূঢ়চারী,গম্ভীর দহন, উন্মাদ তরঙ্গ, প্রিয়তমাহীন ভাঙ্গা আসমান।
রচনাকাল
০৮।০৫।২০১৪
ইউ এ ই ।
ও মাঝি যেও না গো,পশ্চিমে মেঘেরা তীব্র জয়োৎসবে মত্ত,
প্রলয়ংকরী,ক্ষিপ্ত কালো সন্ধ্যার্চনী,দুর্নমিত মেঘে মূঢ় অস্তিত্ব।
পবন মূর্ছনায় বিপ্রগগণ, উচ্ছৃঙ্খল আস্ফালন যে,ভৈরব নদী,
মন বীণা আজ কেন সায় দেয় না, সমুদ্র বিদ্রোহী সাজে যদি।
মাঝি হাস্যে কল্লোলে হারিকেন দীপ জ্বেলে,প্রার্থনা প্রভুর করি,
ভয় পেয়ো না ওগো সোনাবউ, সুন্দরী আজ ফিরবো তরি ঘরি।
চুমু রেখা এঁকে দিলো মাঝি, প্রিয়তমার উজ্জল ললাট জুড়ে,
মুর্ত শিহরণে কেঁপে উঠলো মন,মাঝির সমুদ্রেরি গর্জন তরে।
কল্লোলনাদিনী,বিশাল গঙ্গায়,মাঝি তুলে দিলো,ধর্ম তরী পাল,
আবছা আঁধারে তীক্ষ্ণ বজ্র নামলো,এক সমুদ্র কন্যা বেসামাল।
মাঝি বৈঠা ঘুরিয়ে, টেনে তুলে নিলো, কন্যা সুতাহীন অসহায়,
এলোকেশী ভেজা চুলে বক্ষ ঢাকলো,বিবস্ত্র আকর্ষিয়া নিরুপায়।
মাথার পাগড়ি খুলে দিলো মাঝি, কন্যার লজ্জা সংবরণের পথ,
আবরণ ভেদী হয়ে ওঠে কন্যা ফিরে পেলো,জীবনে বাঁচার সাধ।
প্রলয়ের বিপর্যয়ে মাঝি মনস্থির করলো,ফিরে যাবে নদী তীরে,
প্রাণের সোহাগিনীকে একাকি রেখে এসেছে, ছনে ঘেরা কুটিরে।
বৈঠার পর বৈঠা ধেয়ে,মাঝি যেই দিলো তীরের গবাক্ষে নঙ্গোর,
নিষ্ঠুর ঝড়মূর্তিবৎ উলট পালট করে গেলো,চেনা সুরের কন্ঠস্বর।
ছনে ঘেরা কুটির খানি ভাসিয়ে নিলো,চূর্ণিয়া গেল মাঝির প্রাণ,
গূঢ়চারী,গম্ভীর দহন, উন্মাদ তরঙ্গ, প্রিয়তমাহীন ভাঙ্গা আসমান।
রচনাকাল
০৮।০৫।২০১৪
ইউ এ ই ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৪/০৭/২০১৪বেশ সুন্দর ভাবনায় লিখা। শুভেচ্ছা কবি।
-
তাপস চট্টোপাধ্যায় ০৪/০৭/২০১৪ভাল লেগেছে। চালিএ জান
-
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ ০৪/০৭/২০১৪দুর্দান্ত !
-
Mahfuza Sultana ০৪/০৭/২০১৪ভাল লাগলো ।
-
আবু সাহেদ সরকার ০৪/০৭/২০১৪খুব সুন্দর একটি লেখনি। ভালো লাগলো পড়ে কবি বন্ধু।
-
দেবকুমার দাস ০৪/০৭/২০১৪ভাললাগল । ফিরে আসব।
-
এইচ রহমান ০৪/০৭/২০১৪awesomwe....খুব খুব ভাল লাগল..