নিঝুম দ্বীপের নিঝুম পরী
- শিমুল শুভ্র
নিঝুম দ্বীপ,
আমি হাঁটিতেছি ক্ষণে,বসিতেছি রনে সন্ধ্যার নীরব ভুঞ্জনে,
ডাকিতেছে ঝিঁ ঝিঁ পোকা,মা ডাকিতেন আমি খোকা,
তবু আমি কেন এই বনে?
ক্লান্তির আবেশ যখনি ধরিলো দেহে ,
ভাবিলাম শীতল করিয়া লই,শিরা-উপশিরা শিরে,আধাটে চক্ষু মুদিলাম,
হঠাৎ নজরে পরিলো,কে যেন হাঁটিয়া যায়,
কে হাঁটিয়া যায় ? শুভ্র পরীর বেশে!!পরী আবছা হাসিলো,
কী অসম্ভব সুন্দর সংগীতরবে,অধরের প্রান্তে সে কি মধুরতা,
মিটিলো যেন পানীয় পিপাসা,ভাসাইয়া লইয়া গেলো বীণার সুরে,
অন্তরের ক্ষুধা,হারাইয়া গেলো,তাহার রূপের দাবদাহে।
করুণকোমল আভা,সতেজ করিয়া অঙ্গের সীমান্ত-প্রান্তে উদ্ভাসিয়া উঠিলো
এলোকেশী চুলের সুগন্ধে'র মৃণাল-পরশে।
আহ!!
"সে কি মনোহর রূপ,ঈষৎ হাসির স্তুপ
উজ্জ্বল সুধাপূর্ণ নবষ্ফুট পুষ্প জলের কুপ,
আমি যাহারে খুঁজি,দেখা দিলো বুঝি!!
চক্ষু পল্লবপ্রচ্ছায়া,বঙ্কিম গ্রীবা বৃন্ত নিরুপ"
আমার দু'ই নিমীলিত আঁখি ছুটিলো তাহারি পিছু লাগিয়া,
হালকা আঁধারে ভাসিয়া উঠিলো, অদূরে পদ্মা,গাছের ফাঁকে,হাসির বাঁকে,
মন কে করিয়া গেলো মন্থন,-
ধরা দিবে,দিবে মধুরতায়,আবেশ কাটিয়া কিন্তু ছলনার আদরিনী সেই
আরোহী মন,আবেগ বুঝে না ক্ষণ জ্বলন্ত অগ্নি শশী
মুখখানি তাহার প্রতিমা যেন,সুনিপুণ নাকের বাঁশি,
মধুমাখা বনে মুগ্ধপ্রাণ ক্ষণে কল্পনালহরী ষোড়শী,
কাড়িয়া লইয়া গেলে,ধ্যান টুকুন তুমি পরী আড়শী।
আমাকে অশান্ত করিয়া তুলিলো,অনন্ত ভুবনে,কেবলি চাহি তাহার কোমল দেহে,
কাছাকাছি আসিলো যেন অপার তিমিরে,আমায় ঘুরাইলো মোহে।
রাত্রি দ্বিপ্রহর হইয়া উঠিলো
আমি ক্লান্ত হইয়া অয়ি নিরভিমানিনী,স্বরুপে খড়ের কুটিরে উঠিলাম,শয্যা পাতিলাম,
ফুলেল স্বপ্নের যূথীবনে ভাবিতে লাগিলাম সে কি অপরূপা অবনীয় নারী!!
জনশূন্য গৃহছাদে আকাশের তলে আমি যেন উষ্ণ পরশ অনুভব করিলাম,
আমার দেহাগ্রে,তাহার দেহখানি পড়িয়া রহিয়াছে,
বড্ড ক্লান্ত যেন চাঁদবদন খানি,নির্মল নির্ঝর-প্রেমস্রোতে কাঁপাচ্ছে আমার অধর তরী,
কাঁপিত কন্ঠে আমি গোংড়াতে লাগিলাম,
জীবনের বনে যৌবনবসন্তে,মলয়বায়ু ফেলিয়াছে তাহার উতপ্ত নিশ্বাস আমার নাসারন্ধ্রে,
তাহার ভরাট মধুকর বক্ষ অঞ্চল আমার মুখাগ্রে ফেলিয়া কহিলো
"চুষিয়া লাও যৌবন ক্ষুধা' মিটিয়া লাও গৌরবের সুধা,
আমি যে তোমরি জীবনের যৌবনে অধিষ্ঠাত্রী দেবী"
হৃদয়কম্পন উঠিলো গুঞ্জরি,
আমি তাহাকে ছটা মারিলাম তাহার কামনার অনল তাপে পুড়িয়া,
নিদ্রা ভেঙ্গে অরণ্যশিয়রে যামিনী শয়নে কেবলি ছিলো তাহার ছলনা-
আমি তো থ' ভ্রমে নিথর হইয়া বসিলাম।
বিমুগ্ধ কুরঙ্গসম স্বপ্ন আমায় পাগল করিয়া তুলিলো,
বাসনার তীরে তোমারি সৌন্দর্যের তটে কম্পিত বকুলতলায়
স্বপ্নের বক্ষে,তলতল ছলছলে ললিত যৌবনে তোমার প্রতিক্ষায়।
রচনাকাল
২৮।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।
নিঝুম দ্বীপ,
আমি হাঁটিতেছি ক্ষণে,বসিতেছি রনে সন্ধ্যার নীরব ভুঞ্জনে,
ডাকিতেছে ঝিঁ ঝিঁ পোকা,মা ডাকিতেন আমি খোকা,
তবু আমি কেন এই বনে?
ক্লান্তির আবেশ যখনি ধরিলো দেহে ,
ভাবিলাম শীতল করিয়া লই,শিরা-উপশিরা শিরে,আধাটে চক্ষু মুদিলাম,
হঠাৎ নজরে পরিলো,কে যেন হাঁটিয়া যায়,
কে হাঁটিয়া যায় ? শুভ্র পরীর বেশে!!পরী আবছা হাসিলো,
কী অসম্ভব সুন্দর সংগীতরবে,অধরের প্রান্তে সে কি মধুরতা,
মিটিলো যেন পানীয় পিপাসা,ভাসাইয়া লইয়া গেলো বীণার সুরে,
অন্তরের ক্ষুধা,হারাইয়া গেলো,তাহার রূপের দাবদাহে।
করুণকোমল আভা,সতেজ করিয়া অঙ্গের সীমান্ত-প্রান্তে উদ্ভাসিয়া উঠিলো
এলোকেশী চুলের সুগন্ধে'র মৃণাল-পরশে।
আহ!!
"সে কি মনোহর রূপ,ঈষৎ হাসির স্তুপ
উজ্জ্বল সুধাপূর্ণ নবষ্ফুট পুষ্প জলের কুপ,
আমি যাহারে খুঁজি,দেখা দিলো বুঝি!!
চক্ষু পল্লবপ্রচ্ছায়া,বঙ্কিম গ্রীবা বৃন্ত নিরুপ"
আমার দু'ই নিমীলিত আঁখি ছুটিলো তাহারি পিছু লাগিয়া,
হালকা আঁধারে ভাসিয়া উঠিলো, অদূরে পদ্মা,গাছের ফাঁকে,হাসির বাঁকে,
মন কে করিয়া গেলো মন্থন,-
ধরা দিবে,দিবে মধুরতায়,আবেশ কাটিয়া কিন্তু ছলনার আদরিনী সেই
আরোহী মন,আবেগ বুঝে না ক্ষণ জ্বলন্ত অগ্নি শশী
মুখখানি তাহার প্রতিমা যেন,সুনিপুণ নাকের বাঁশি,
মধুমাখা বনে মুগ্ধপ্রাণ ক্ষণে কল্পনালহরী ষোড়শী,
কাড়িয়া লইয়া গেলে,ধ্যান টুকুন তুমি পরী আড়শী।
আমাকে অশান্ত করিয়া তুলিলো,অনন্ত ভুবনে,কেবলি চাহি তাহার কোমল দেহে,
কাছাকাছি আসিলো যেন অপার তিমিরে,আমায় ঘুরাইলো মোহে।
রাত্রি দ্বিপ্রহর হইয়া উঠিলো
আমি ক্লান্ত হইয়া অয়ি নিরভিমানিনী,স্বরুপে খড়ের কুটিরে উঠিলাম,শয্যা পাতিলাম,
ফুলেল স্বপ্নের যূথীবনে ভাবিতে লাগিলাম সে কি অপরূপা অবনীয় নারী!!
জনশূন্য গৃহছাদে আকাশের তলে আমি যেন উষ্ণ পরশ অনুভব করিলাম,
আমার দেহাগ্রে,তাহার দেহখানি পড়িয়া রহিয়াছে,
বড্ড ক্লান্ত যেন চাঁদবদন খানি,নির্মল নির্ঝর-প্রেমস্রোতে কাঁপাচ্ছে আমার অধর তরী,
কাঁপিত কন্ঠে আমি গোংড়াতে লাগিলাম,
জীবনের বনে যৌবনবসন্তে,মলয়বায়ু ফেলিয়াছে তাহার উতপ্ত নিশ্বাস আমার নাসারন্ধ্রে,
তাহার ভরাট মধুকর বক্ষ অঞ্চল আমার মুখাগ্রে ফেলিয়া কহিলো
"চুষিয়া লাও যৌবন ক্ষুধা' মিটিয়া লাও গৌরবের সুধা,
আমি যে তোমরি জীবনের যৌবনে অধিষ্ঠাত্রী দেবী"
হৃদয়কম্পন উঠিলো গুঞ্জরি,
আমি তাহাকে ছটা মারিলাম তাহার কামনার অনল তাপে পুড়িয়া,
নিদ্রা ভেঙ্গে অরণ্যশিয়রে যামিনী শয়নে কেবলি ছিলো তাহার ছলনা-
আমি তো থ' ভ্রমে নিথর হইয়া বসিলাম।
বিমুগ্ধ কুরঙ্গসম স্বপ্ন আমায় পাগল করিয়া তুলিলো,
বাসনার তীরে তোমারি সৌন্দর্যের তটে কম্পিত বকুলতলায়
স্বপ্নের বক্ষে,তলতল ছলছলে ললিত যৌবনে তোমার প্রতিক্ষায়।
রচনাকাল
২৮।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জাভেদ আলী ০৭/০৬/২০১৪
-
নীলেশ ০৭/০৬/২০১৪বেশ সুন্দর লিখেছেন।
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৭/০৬/২০১৪চমৎকার লিখনী।
খুব ভালো লাগলো।
স্বপ্নে দেও গো কেন ধরা?
তোমার সৌন্দর্যে শুধু কি ভাগ- অধিকার ঐ প্রভুর একার ?
মর্ত বাসী আমরা যে সুন্দর পুজারি,
আমাদেরও আছে অধিকার তোমার দর্শন পাবার!
মিনতি তাই তুমি একপ্রহর মর্তে দেও গো ধরা!
তৃষ্ণার্ত হয়ে আছি সব সুন্দর পুজারি,
করছি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা প্রহর গুনে,
তোমা এক নজর দেখার মিছে আশায়।