www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কন্যা বিদায় ( দ্বিতীয় খন্ড )

দুই মাস পর কন্যার চিঠি-
পরমপুজনীয় বাবা,মা লিপিকার শুরুতে,সহস্র প্রণাম রইলো,
তপু কে আদর,জ্যেঠু জ্যেঠাইমা,কাকু-কাকিমা'কে আমার শ্রদ্ধা বইলো।
বাড়ির অন্যরা সবায় কেমন আছেন,মাগো তুমি খাচ্ছো তো নিয়মিত প্রেসারের বড়ি,
তপু প্রাইভেটে যায় তো রীতিমত,বাবা বড়দার ছেলে দেয় তো হামাগুড়ি ?
অনেক দিন হয়ে গেলো ক্ষণ,শশুর বাড়ি মাগো, ধমনী জ্বলন্ত প্রলাপ কাঁদে নীরবে,
প্রশ্নের কৈফিয়ৎ কথার ঝটিকা আনে মূর্ত শিহরণ,সহিষ্ণু হৃদয় ভাসে,জটিল বিকারে।
বাবা গো,প্রথম রাতে যখন ননদিনী,শাশুড়ি,খুলে নিলো,আমার দেহের যত গহনা,
শোকাতুরা মনে ক্রূর হেসেছি,ঐক্যহীন বিশৃঙ্খলা দেখে,বিহ্বল বিমূঢ় জীবন মোহনা।
স্তব্ধ হয়ে আমি তোমারদের জামাই কে শুধায়,জীবনজিজ্ঞাসা'র নির্দেশে,
যার হাতে তুমি তুলে দিয়েছিলে আমার জীবন ভার সে যে রক্তচক্ষু পতি বেশে।
মদের বোতলে করে ঘেঁষাঘেঁষি,ইতর-গুন্ডা-পান্ডা বন্ধু'র যাতায়ত রুমে আনাগোনা,
লোলাভু দৃষ্টিতে তাকায় আমার শরীরের দিকে,আমি কিছু বলতেই পড়ে ষোল আনা।
পঞ্জিকাটি'তে কেন লিখেছিলো মাগো,জ্যোতিষীরাজ,বর্ষাভরা আঁখির বিশাল নদীতে,
খ্যাপা মেঘের মত ঝড়ায়,কষ্টের ঝড়,জীবন ব্যাকরণের প্রতিটি পাতাতে ।
মাগো তুমিযে দিয়েছিলো সখকরে সে শাড়ি'টি অস্তরবির সোনার কিরণের মত রূপ,
ননদিনী কাল চেয়ে বসলো,দেয়নি কেন আমি,পিঠ খানা হয়ে গেলো কত বড় স্তুপ।
কি করে দিই বলো,আছে কেবল সেই সম্ভল টি বাকি তো নিয়ে গেলো সব তারা,
দেবর টা আমায় একটু দয়া করে বৈকি,কিন্তু মাঝে মাঝে দেয় অশ্লীল ইশারা ।
বাবা গো,তোমাদের সম্মানকে সমীহ করে,কাছের প্রেম দূরে ঠেলে,নিলাম অচেনা বর,
থোপা থোপা মেঘেদের কণা আজ এই বুকে বিঁধেছে দানা,এই বুঝি কন্যার সংসার!!

ইতি
"হতভাগিনী অনামিকা"
রচনাকাল
৩০।০৫।২০১৪
ইউ এ ই ।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৬৬৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০২/০৬/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • কবি মোঃ ইকবাল ০২/০৬/২০১৪
    ২য় পার্টটা আরো ভালো লাগলো শিমুল ভাই।
    • শিমুল শুভ্র ০৪/০৬/২০১৪
      হে কবিতাপ্রেমী সাহিত্যমানবী কবিবন্ধু তোমার সুন্দর মন্তব্যে আমার মনটা ভরে গেলো ।অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য । ভালো থেকো নিরবধি।
 
Quantcast