দাঁতের ব্যথায় বাঁশের বাঁধ
কেউ একজন শক্ত পেয়ারা কামড় দিয়ে 'উফ্' বলে চিত্কার দিয়ে বলল, 'দাঁত ভাঙছে রে দাঁত ভাঙছে'! আর সবাই ছুটলো হাঁতে বাঁশ নিয়ে বাঁধ নিমার্ণ করার জন্য! মানুষ কতটুকু বেয়াকুব হলে, কতটুকু অন্ধ হলে এরূপ কান নিয়েছে চিলে শুনে চিলের পিছু ছুটে যায়! একবার কানে হাত দিয়েও দেখেনা যে, কানটা আসলেই আছে কিনা!! পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে হুমায়ূন আজাদের একটি চমকপ্রদ, শিশুদের জন্য আদর্শ নির্দেশনামূলক "বই" নামক ছড়াটি নাকি ইসলাম বিরোধী!! অর্থা এখানে নাকি ছড়ার ভাষায় মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ট ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন শরীফ পড়া বন্ধ করতে বলা হয়েছে! কিছুদিন ধরে দেখছি কিছু অজ্ঞ মৌলভী তাদের অজ্ঞতার বলে এই ছড়ার বিরুদ্ধে, এই ছড়াকারের (হুমায়ূন
আজাদ) বিরুদ্ধে পথে পথে মানববন্ধন করছে। যত সব উদ্ভট যুক্তি দাঁড় করিয়ে অজ্ঞতা ছড়িয়ে দিচ্ছে চতুর্পাশে।। ভাবলে সত্যি অবাক
হয়ে যাই....!!!
"যে বই তোমায় দেখায় ভয়
সেগুলো কোন বই ই নয়
সে বই তুমি পড়বে না।
যে বই তোমায় অন্ধ করে
যে বই তোমায় বন্ধ করে
সে বই তুমি ধরবে না।"
পুরো কবিতার মধ্যে এই ছয় লাইনেই তাদের যত আপত্তি। তাদের ভাষ্যমতে,
-পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র কুরআন-ই নাকি মানুষকে সর্বদা ভয়ের মধ্যে রাখে। আর কবি এই বইকেই পড়তে মানা করেছেন তথা ইসলামের বিরোধীতা করেছেন! এই উদ্ভট যুক্তির বিপক্ষে আমি বলতে চাই, কুরআন শরীফ কি ভয় পাওয়ার মতো কোন গ্রন্থ?? ইসলামের কোথাও কি কুরআনকে ভয় পেতে বলা হয়েছে? নাকি বলা হয়েছে একে শ্রদ্ধা করতে, এক সম্মান করতে কুরআন শরীফকে ভয় পেলে মানুষ কুরআনের দেখানো পথে চলবে কিভাবে?? কুরআনকে ভয় পেতে নেই, একে ভালোবেসে বুকে আগলে রাখতে হয়। তাহলেই-না মানুষ সফলকামী হবে। আর এটাই তো সত্য তাই
না??
এবার আসি "যে বই তোমায় অন্ধ করে/ যে বই তোমায় বন্ধ করে/সে বই তুমি ধরবে না"
-এখন আপনারাই বলুন, কুরআন শরীফ কি এ পর্যন্ত কাউকে অন্ধকরেছে? কারো জীবনের গতিকে কি বন্ধ করেছে?? নাকি কুরআনের জ্ঞানে মানুষের জ্ঞান চক্ষু খুলে গিয়েছে! মানুষের বোধ শক্তি জাগ্রত হয়েছে! মানুষ আজ কুরআনের দেখানো পথে চলে জীবনকে আলোকিত করছে, ইসলামের সত্য ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে।। অথচ তারা কিভাবে কোন যুক্তি দিয়ে বলল যে, এই কবিতা ইসলাম বিরোধী?? এই চমকপ্রদ, শিশুদের আদর্শ নির্দেশনামূলক কবিতার মূলভাব পড়লে শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবে যে,
-কোন কোন বই আছে, যেগুলো সুন্দর ও শুভ চিন্তাভাবনার কথা
বলে। আমাদের মনে জ্বালিয়ে দেয় শুভ ভাবনার প্রদীপ। আমাদের মনের ভিতরের স্বার্থপরতা ও মন্দ চিন্তাকে দূর করতে সাহায্য করে। সেসব বই পড়তে বলা হয়েছে।। আবার, এমন কিছু বইয়ো আছে, যেগুলো মনকে ক্ষুদ্র করে মনকে আরো স্বার্থপর করে তোলে। যার কারণে মন হয় ঈর্ষা ও হিংসায় জর্জরিত। সেসব বই পড়তে মানা করা হয়েছে।। এতসুন্দর নির্দেশনামূলক একটি কবিতাকে কিছু লোক অজ্ঞতার অসহায়ত্বে এবং মূর্খতার চরম বিভ্রান্তিতে পড়ে কি থেকে কি বানিয়ে ফেলেছে।।
তাদের জন্যই বলতে হয়-
"হে প্রভু, জ্ঞান দাও তাদের, হেদায়েত দান কর এবং জ্ঞান নয়ন খুলিয়া দিয়া সঠিক পথে চলার এবং চালানোর তাওফিকদান কর।
আমীন।।
আজাদ) বিরুদ্ধে পথে পথে মানববন্ধন করছে। যত সব উদ্ভট যুক্তি দাঁড় করিয়ে অজ্ঞতা ছড়িয়ে দিচ্ছে চতুর্পাশে।। ভাবলে সত্যি অবাক
হয়ে যাই....!!!
"যে বই তোমায় দেখায় ভয়
সেগুলো কোন বই ই নয়
সে বই তুমি পড়বে না।
যে বই তোমায় অন্ধ করে
যে বই তোমায় বন্ধ করে
সে বই তুমি ধরবে না।"
পুরো কবিতার মধ্যে এই ছয় লাইনেই তাদের যত আপত্তি। তাদের ভাষ্যমতে,
-পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র কুরআন-ই নাকি মানুষকে সর্বদা ভয়ের মধ্যে রাখে। আর কবি এই বইকেই পড়তে মানা করেছেন তথা ইসলামের বিরোধীতা করেছেন! এই উদ্ভট যুক্তির বিপক্ষে আমি বলতে চাই, কুরআন শরীফ কি ভয় পাওয়ার মতো কোন গ্রন্থ?? ইসলামের কোথাও কি কুরআনকে ভয় পেতে বলা হয়েছে? নাকি বলা হয়েছে একে শ্রদ্ধা করতে, এক সম্মান করতে কুরআন শরীফকে ভয় পেলে মানুষ কুরআনের দেখানো পথে চলবে কিভাবে?? কুরআনকে ভয় পেতে নেই, একে ভালোবেসে বুকে আগলে রাখতে হয়। তাহলেই-না মানুষ সফলকামী হবে। আর এটাই তো সত্য তাই
না??
এবার আসি "যে বই তোমায় অন্ধ করে/ যে বই তোমায় বন্ধ করে/সে বই তুমি ধরবে না"
-এখন আপনারাই বলুন, কুরআন শরীফ কি এ পর্যন্ত কাউকে অন্ধকরেছে? কারো জীবনের গতিকে কি বন্ধ করেছে?? নাকি কুরআনের জ্ঞানে মানুষের জ্ঞান চক্ষু খুলে গিয়েছে! মানুষের বোধ শক্তি জাগ্রত হয়েছে! মানুষ আজ কুরআনের দেখানো পথে চলে জীবনকে আলোকিত করছে, ইসলামের সত্য ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে।। অথচ তারা কিভাবে কোন যুক্তি দিয়ে বলল যে, এই কবিতা ইসলাম বিরোধী?? এই চমকপ্রদ, শিশুদের আদর্শ নির্দেশনামূলক কবিতার মূলভাব পড়লে শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবে যে,
-কোন কোন বই আছে, যেগুলো সুন্দর ও শুভ চিন্তাভাবনার কথা
বলে। আমাদের মনে জ্বালিয়ে দেয় শুভ ভাবনার প্রদীপ। আমাদের মনের ভিতরের স্বার্থপরতা ও মন্দ চিন্তাকে দূর করতে সাহায্য করে। সেসব বই পড়তে বলা হয়েছে।। আবার, এমন কিছু বইয়ো আছে, যেগুলো মনকে ক্ষুদ্র করে মনকে আরো স্বার্থপর করে তোলে। যার কারণে মন হয় ঈর্ষা ও হিংসায় জর্জরিত। সেসব বই পড়তে মানা করা হয়েছে।। এতসুন্দর নির্দেশনামূলক একটি কবিতাকে কিছু লোক অজ্ঞতার অসহায়ত্বে এবং মূর্খতার চরম বিভ্রান্তিতে পড়ে কি থেকে কি বানিয়ে ফেলেছে।।
তাদের জন্যই বলতে হয়-
"হে প্রভু, জ্ঞান দাও তাদের, হেদায়েত দান কর এবং জ্ঞান নয়ন খুলিয়া দিয়া সঠিক পথে চলার এবং চালানোর তাওফিকদান কর।
আমীন।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৭/০৫/২০১৬
তবে আর একটু ছন্দময় চাই।