আসুন নিজেকে একটু পরিবর্তন করি
কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক এই যুগে মানুষের চিন্তা-ধারার পরিবর্তন হয়েছে হাজার গুন। বর্তমানে আমরা বিলাসীতার বেড়াজালে আবদ্ধ। আমরা সর্বদা নিজের ভালোর পেছনে ছুটছি। অন্যের ভালো হওয়ার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এখন, স্বার্থপর মনষ্ক মানুষদের দ্বারাই যত সব অবৈধ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। একটা কথা আছে, " মানুষের চোখ থাকতেও সে অন্ধ"। আজ সত্যিই কথাটির পূর্নতা প্রকাশ পাচ্ছে। একদল খেয়ে না খেয়ে আর্তমানবতার সেবায় সর্বদা নিয়েজিত, আর একদল তা লুটপাটে ব্যস্ত।
আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি অনেক মানুষকে চিনলাম। সত্যিই আজ আমি হতবাক। একটি মানুষকে আপনি জানোয়ার বলবেন, তো আপনার সাথে তার মাড়ামারি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, সেই মানুষকেই আবার আপনি যদি বাঘের বাচ্চা বলেন, তো আপনাকে সে মাথায় করে নাচবে। কিন্তু, বোকা সেই মানুষটি কখনই বুঝলো না যে, বাঘই এ জগতের অন্যতম একটি জানোয়ার।
বর্তমানে মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না আর বাকা পথে সবারই আগ্রহ বেশি। সেজন্যেই একজন মদ বিক্রেতাকে কারো কাছে যেতে হয় না,আর দুধ বিক্রেতাকে বাজারে যেতে হয়। আমরা দুধ বিক্রেতাকে সর্বদা বলি দুধে পানি মেশাননি তো, অথচ মদে মানুষেরাই পানি মিশিয়ে খায়। কোনো নেতার কাছে যদি অভুক্ত, অসহায়, অনাথ একটি শিশু খাবারের জন্য হাত পাতে, তো অধিকাংশ মানুষই তাকে দূর করে তাড়িয়ে দেয় কিংবা হাজারো প্রশ্ন করে। অথচ, সেই আপনিই কনসার্ট কিংবা নাচ গানের জন্য হাজারো টাকা দিচ্ছেন।
এমন একটা পর্যায়ে আমরা এসেছি, যেখান থেকে আর বের হওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। আমাদের নৈতিকতার এতো পরিমান অবক্ষয় হয়েছে যে আমরা নিজেরা কখনোও কল্পনা করকে পারবো না। যেদিন আমরা মানবিক মুল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রকৃত কারন জানতে পারবো, সেদিনই আমরা উন্নতির একটা ধাপ পার করতে পারবো।
আপনি মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত মানুষকে স্মরণ করছেন আর মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালন করছেন। অথচ, আলোর দ্বারাই সর্বদা আলোকিত হয়, আর সেই মোমবাতির আলোটা নিভিয়ে আপনি আপনার আলোকিত ভবিষ্যত কামনা করছেন। আপনি কোনো কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন যে কাজটি করা সঠিক হবে কিনা? যদি আপনার বিবেক একটা বারের জন্যও হলেও বলে যে কাজটি করার যথার্থ হবে, তো আপনি নিঃসন্দেহে করতে পারেন। আমার প্রিয় স্যার জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,"একজন ব্যক্তি কখনোও ব্যক্তিত্ববান হতে পারে না, যতক্ষন না পর্যন্ত তার ব্যক্তিত্বকে সস্পূর্নভাবে মানবকল্যানে কাজে লাগাতে পারে"
আজকে আমি বাল্যবিবাহ বন্ধে তৎপর। অথচ, সে বাল্যবিবাহে আমার বাবার অবদানই বেশি। আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে, আজকে আপনি যদি একটি অপরাধের বিরোধিতা করতে যান, তবে আপনার পাশে হয়তো অনেক মানুষকেই পাবেন। কিন্তু, সঠিক সময়ে আপনি সেই মানুষদেরকে আপনি পাশে পাবেন না। এটাই বাস্তবতা। একজন নেতা মঞ্চে দাড়িয়ে জাতির কল্যানমূলক অনেক কাজের কথা বলে। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা যায় যে, জাতির অকল্যানকর সব কাজের পেছনেই তার ভূমিকাই অন্যতম।
তবে এখনোও হাজারো মানুষ বেঁচে আছে যাদের জন্য আজও মানবতা বেঁচে আছে। আজকে থেকে যদি আপনি নিজেকে সোচ্চার না করেন, তবে সেদিন আর বেশি দূরে নেই। আমাদের একটু পরিবর্তন দরকার। নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি সচেতন থাকি তো পরিবর্তন অবশ্যই সম্বব হবে। এখনই তো সময় পরিবর্তনের। তো আসুন, সবাই মিলে পরিবর্তন করি এই সমাজটাকে। সমাজের যাবতীয় অবৈধ কর্মকান্ড রুখে দেই।
তুমি যদি তরুণ
ঘুমিয়ে থাকো
জাতিকে জাগাবে কে?
তুমি যদি ক্লান্তিতে
বসে থাকো
হানাহানি থামাবে কে?
তুমি যদি হতাশ হয়ে
নিস্তব্ধ থাকো
স্বপ্ন দেখাবে কে?
তুমি যদি ভিতু হয়ে
লুকিয়ে থাকো
শান্তি ফিরাবে কে?
জাগ্রত হও, জাগ্রত হও
জেগে ওঠো হে বীর সেনানী
তুমি কি জানো না?
লক্ষ শহীদেরা,
মোদের করে গেছে ঋণী।
আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি অনেক মানুষকে চিনলাম। সত্যিই আজ আমি হতবাক। একটি মানুষকে আপনি জানোয়ার বলবেন, তো আপনার সাথে তার মাড়ামারি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, সেই মানুষকেই আবার আপনি যদি বাঘের বাচ্চা বলেন, তো আপনাকে সে মাথায় করে নাচবে। কিন্তু, বোকা সেই মানুষটি কখনই বুঝলো না যে, বাঘই এ জগতের অন্যতম একটি জানোয়ার।
বর্তমানে মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না আর বাকা পথে সবারই আগ্রহ বেশি। সেজন্যেই একজন মদ বিক্রেতাকে কারো কাছে যেতে হয় না,আর দুধ বিক্রেতাকে বাজারে যেতে হয়। আমরা দুধ বিক্রেতাকে সর্বদা বলি দুধে পানি মেশাননি তো, অথচ মদে মানুষেরাই পানি মিশিয়ে খায়। কোনো নেতার কাছে যদি অভুক্ত, অসহায়, অনাথ একটি শিশু খাবারের জন্য হাত পাতে, তো অধিকাংশ মানুষই তাকে দূর করে তাড়িয়ে দেয় কিংবা হাজারো প্রশ্ন করে। অথচ, সেই আপনিই কনসার্ট কিংবা নাচ গানের জন্য হাজারো টাকা দিচ্ছেন।
এমন একটা পর্যায়ে আমরা এসেছি, যেখান থেকে আর বের হওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। আমাদের নৈতিকতার এতো পরিমান অবক্ষয় হয়েছে যে আমরা নিজেরা কখনোও কল্পনা করকে পারবো না। যেদিন আমরা মানবিক মুল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রকৃত কারন জানতে পারবো, সেদিনই আমরা উন্নতির একটা ধাপ পার করতে পারবো।
আপনি মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত মানুষকে স্মরণ করছেন আর মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালন করছেন। অথচ, আলোর দ্বারাই সর্বদা আলোকিত হয়, আর সেই মোমবাতির আলোটা নিভিয়ে আপনি আপনার আলোকিত ভবিষ্যত কামনা করছেন। আপনি কোনো কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন যে কাজটি করা সঠিক হবে কিনা? যদি আপনার বিবেক একটা বারের জন্যও হলেও বলে যে কাজটি করার যথার্থ হবে, তো আপনি নিঃসন্দেহে করতে পারেন। আমার প্রিয় স্যার জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,"একজন ব্যক্তি কখনোও ব্যক্তিত্ববান হতে পারে না, যতক্ষন না পর্যন্ত তার ব্যক্তিত্বকে সস্পূর্নভাবে মানবকল্যানে কাজে লাগাতে পারে"
আজকে আমি বাল্যবিবাহ বন্ধে তৎপর। অথচ, সে বাল্যবিবাহে আমার বাবার অবদানই বেশি। আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে, আজকে আপনি যদি একটি অপরাধের বিরোধিতা করতে যান, তবে আপনার পাশে হয়তো অনেক মানুষকেই পাবেন। কিন্তু, সঠিক সময়ে আপনি সেই মানুষদেরকে আপনি পাশে পাবেন না। এটাই বাস্তবতা। একজন নেতা মঞ্চে দাড়িয়ে জাতির কল্যানমূলক অনেক কাজের কথা বলে। কিন্তু, পরবর্তীতে দেখা যায় যে, জাতির অকল্যানকর সব কাজের পেছনেই তার ভূমিকাই অন্যতম।
তবে এখনোও হাজারো মানুষ বেঁচে আছে যাদের জন্য আজও মানবতা বেঁচে আছে। আজকে থেকে যদি আপনি নিজেকে সোচ্চার না করেন, তবে সেদিন আর বেশি দূরে নেই। আমাদের একটু পরিবর্তন দরকার। নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি সচেতন থাকি তো পরিবর্তন অবশ্যই সম্বব হবে। এখনই তো সময় পরিবর্তনের। তো আসুন, সবাই মিলে পরিবর্তন করি এই সমাজটাকে। সমাজের যাবতীয় অবৈধ কর্মকান্ড রুখে দেই।
তুমি যদি তরুণ
ঘুমিয়ে থাকো
জাতিকে জাগাবে কে?
তুমি যদি ক্লান্তিতে
বসে থাকো
হানাহানি থামাবে কে?
তুমি যদি হতাশ হয়ে
নিস্তব্ধ থাকো
স্বপ্ন দেখাবে কে?
তুমি যদি ভিতু হয়ে
লুকিয়ে থাকো
শান্তি ফিরাবে কে?
জাগ্রত হও, জাগ্রত হও
জেগে ওঠো হে বীর সেনানী
তুমি কি জানো না?
লক্ষ শহীদেরা,
মোদের করে গেছে ঋণী।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আজাদ আলী ০২/১০/২০১৭সামাজিকতার বিন্যাসে অসাধারন লেখনি আপনার। অনেক অনেক শুভ কামনা লেখক মহাশয়কে।
-
কামরুজ্জামান সাদ ০১/১০/২০১৭Good Article
-
আব্দুল হক ০১/১০/২০১৭নিজের ভূল কেউ বড় করে দেখনা, ধন্যবাদ!
-
Tanju H ০১/১০/২০১৭অসাধারন লিখা।।বিশেষ করে শেষ কিছু লাইন পড়ে অনেক মুগ্ধ।।শুভেচ্ছা রইল।।
-
সাঁঝের তারা ০১/১০/২০১৭ভাল কথা