মূহুর্তের প্রেম
হোয়াটস অ্যাপের প্রোফাইলে কখনোই তার কোনো ছবি দেয়া ছিলো না। তাকে বেশ কয়েকবার বলেছিলাম, 'একটা ছবি দিস।'
সে শুধু বলেছিলো, 'ভালো লাগে না রে।'
হঠাৎ সেদিন তার হয়তো ভালো লাগলো! প্রোফাইলে ছবি দেখলাম। কল্পনার কিশলয়গুলো নাড়া দিলো! সে আমার পূর্ব পরিচিতা, তাকে আগেও অনেকবারই দেখেছিলাম। কিন্তু তার রূপের মাধুর্য এভাবে কখনোই ছুঁয়ে দিতে পারে নি আমায়! তাকে লিখলাম, 'তোর ছবি দেখে ক্রাশ খেলাম! ...প্রেম করবি?'
সে অকপটে জানিয়ে দিলো, 'মানুষ টা তুই হলে করবো!'
আমি 'হু' বললাম। প্রেম হলো! 'তুই' সম্বোধন টা 'তুমি' রূপ নিলো!
আমি অনেক আগেই তার মুখে শুনেছি তার বালক বন্ধুর গল্প। অনেক পুরনো প্রেম, ভালোই চলছে। এর মাঝে আমিও ঢুকে গেলাম। ব্যপারটা একটু জটিল বটে!
রাতে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটিং এ দীর্ঘ সময় ধরে প্রেম করলাম তার সাথে। অতঃপর তার সাথে কথা বলতে চাইলাম, সে বললো, 'দশ মিনিট পরে বলি?'
বললাম, 'কেন?' সে দাঁত ব্রাশ করার কথা বলে চলে গেলো।
দশ মিনিট হওয়ার আগেই সে কল দিলো, কিছুটা উচ্ছ্বাসিত হয়ে রিসিভ করলাম। কিন্তু কথা থেমে গেলো! নৈপথ্যে তুই থেকে তুমি বলার বিশেষ লজ্জা! ফলশ্রুতিতে প্রথম কিছু মূহুর্ত কথার চেয়ে নিরবতায় কাটলো বেশিক্ষণ! তুমি থেকে আবার তুই দিয়ে কথা শুরু করতে হলো, ফলে প্রেম টা জমেছিল না। তাকে বললাম, 'গার্লফ্রেন্ডের মতো করে কথা বল!'
সে একটু মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বললো, 'সোনা...বলো...।'
আমি লজ্জা মিশ্রিত কণ্ঠে বললাম, 'তুমি কেমন আছো?'
-ভালো। তুমি?
-হু ভালো। কি করো তুমি বুড়ি ?
-শুয়ে আছি। তুমি?
-আমিও। তোমার সঙ্গে নিবা?
-হু...আসো!
আরোও অনেক কথা হলো। ততক্ষণে দুজনের লজ্জামিশ্রিত ভাবটা উধাও!
আমি তার কাছে গান শুনতে চাইলাম। সে বললো, 'এখন মনে নেই। কথা বলো, পরে শুনিও।'
আমি তাকে সময় দিলাম। এর মাঝে পড়াশুনা বিষয়ক কিছু কথা বার্তাও হয়ে গেলো। তারপর তার ঘুম জড়ানো কোমল ক্লান্ত কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীতের কিছু অংশ শোনালো, 'ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি ...এই সুরে কাছে-দূরে, জলে-স্থলে বাজায়...বাজায় বাঁশি ...ভালোবাসি ...'।
এরপর সে ঘুমাতে চাইলো, আমি আরেকটি গান গাইতে বললাম। আরও কিছু কথার ফাঁকে গান মনে করলো...গাইলো। আমি বিমুগ্ধ পুরুষ তার গানের কোনো কথাই বুঝতে চাইলাম না, শুধু তার নরম সুরের মাধুর্য উপলব্ধি করে চললাম!
এতক্ষণে তার দুচোখের ঘুম কিছুটা উধাও! সে ঘুমাতে চাচ্ছিল। তার সেই বালক বন্ধুর প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসলাম। আবার গল্প জমালো! তাদের পাঁচ বছরের প্রেমের কিছু রোমাঞ্চকর কাহিনী, কিছু স্বপ্নের কথা। আমি শুধু ধরিয়ে দিলাম, সে বলেই গেলো। আমি মুগ্ধ শ্রোতা। অথচ সে বলে কিনা, আমারই নাকি বেশি কথা বলা উচিৎ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন?'
সে উত্তর দিলো, 'তুমি তো আমার কবি। রোমান্টিক কথা তোমার মুখেই মানায়!'
আমি প্রশ্ন করলাম, 'রোমান্টিক অর্থ কী?'
সে অপারগতা জানালো।
রাত প্রায় দ্বিপ্রহর। আহা, রাত ফুরালেও কথা হয়তো ফুরাবে না! আমার চোখে ঘুমের ছিটেফোঁটাও নেই, তার চোখেও হয়তো। সেও আর ঘুমের প্রসঙ্গ তুলছে না। আমি শেষ টা টানতে চাইলাম। সে আবদার করে বসলো, 'আমার একটা নাম রাখো তুমি। এটা আমি বলার আগেই তোমার রাখা উচিৎ ছিলো। তুমি রাখো নি, তাই বললাম।'
আমি তো হতবাক! কি নাম রাখি? বললাম, 'আমি নাম রাখি মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করে। তোমার সঙ্গে তো আজই শুরু মাত্র।'
সে কিছুটা অভিযোগের সুরে বললো, 'তুমি আমাকে এখনো সম্পূর্ণ চিনতে পারো নি?'
ভেবে বললাম, 'তোমার অনেক জিদ, তোমার নাম বাহানা! এবার খুশি তো?'
-হু খুশি।
-ঠিক আছে বাহানা বুড়ি ঘুমাও।
-ঘুমাবো। তার আগে বলো।
-কী বলবো?
-ওইটা।
-কোনটা?
-সেইটা!
-তুমি আগে বলো।
-না তুমি আগে...
-তুমি ...
-তুমি, তুমি, তুমি ...রাগ করবো কিন্তু!
বাধ্য হয়ে বলতেই হলো, 'ভালোবাসি, ভালোবাসি...অনেক ভালোবাসি ...'
-কাকে?
-তোমাকে।
-ভালো করে সম্পূর্ণ বলো।
কঠিন কে সহজেই শাসন করা যায়। কিন্তু এ যে কোমল, একে শাসন করতে গেলে থেমে যাই! উল্টো সে চেপে বসে অধিকার আদায় করে নেয়, আমার করার কিছুই থাকে না। তাই সম্পূর্ণ টা বলতেই হলো। সেও আমাকে বললো।
ঘুমানো উচিৎ ভেবে বললাম, 'বাহানা বুড়ি, শুভ রাত্রি! শুভ বিদায়! ...আরোও কিছু একটা ছিলো, দিলাম না। এটা আমার কাছে নয়, তোমার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিও।'
সে কৌতুহলি কণ্ঠে বললো, 'কী?'
-কিছু না!
-বলো না কী?
-বলা যাবে না। লজ্জা লাগে!
-কিস?
-হু।
-আচ্ছা সব হলো, এটা বাকি থাকে কেন?
-না, এইটা শুধু তোমার বয়ফ্রেন্ডের জন্য।
-আরে সমস্যা নেই। তুমি আগে দাও, তারপর আমি।
-পারবো না লজ্জা লাগে!
অতঃপর শেষ টানতে গেলাম। এক ধরনের খারাপ লাগা অনুভব করলাম। একদিনের প্রেম, অনেক কথা। সবটাই হয়তো দুজনার অভিনয় ছিলো, তবু তো প্রেম! হয়তো সম্বোধন টা আবারো তুই হবে! আহা, বাংলা ভাষায় যদি আপনি আর তুই সম্বোধন টা না থাকতো! হয়তো তাকে আজীবন তুমি বলার অধিকার পেতাম! বললাম, 'আপনি ভালো থাকেন। তুমি ভালো থেকো। তুই ভালো থাক। বাহানা বুড়ি, শুভ রাত্রি! শুভ বিদায়! ...!'
শেষটায় সেই চুম্বন ছিলো! সেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটালো! চুম্বন যতটা না হেডফোন আর মুঠোফোনে স্পর্শ করলো, তার চেয়ে হয়তো বেশি স্পর্শ করলো দুটি হৃদয়! ফোন কেটে গেলো। প্রেমের নৈপথ্যে আজীবন ঘর বাঁধার প্রসঙ্গটা হয়তো অযৌক্তিক প্রমাণিত হলো!
সে শুধু বলেছিলো, 'ভালো লাগে না রে।'
হঠাৎ সেদিন তার হয়তো ভালো লাগলো! প্রোফাইলে ছবি দেখলাম। কল্পনার কিশলয়গুলো নাড়া দিলো! সে আমার পূর্ব পরিচিতা, তাকে আগেও অনেকবারই দেখেছিলাম। কিন্তু তার রূপের মাধুর্য এভাবে কখনোই ছুঁয়ে দিতে পারে নি আমায়! তাকে লিখলাম, 'তোর ছবি দেখে ক্রাশ খেলাম! ...প্রেম করবি?'
সে অকপটে জানিয়ে দিলো, 'মানুষ টা তুই হলে করবো!'
আমি 'হু' বললাম। প্রেম হলো! 'তুই' সম্বোধন টা 'তুমি' রূপ নিলো!
আমি অনেক আগেই তার মুখে শুনেছি তার বালক বন্ধুর গল্প। অনেক পুরনো প্রেম, ভালোই চলছে। এর মাঝে আমিও ঢুকে গেলাম। ব্যপারটা একটু জটিল বটে!
রাতে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটিং এ দীর্ঘ সময় ধরে প্রেম করলাম তার সাথে। অতঃপর তার সাথে কথা বলতে চাইলাম, সে বললো, 'দশ মিনিট পরে বলি?'
বললাম, 'কেন?' সে দাঁত ব্রাশ করার কথা বলে চলে গেলো।
দশ মিনিট হওয়ার আগেই সে কল দিলো, কিছুটা উচ্ছ্বাসিত হয়ে রিসিভ করলাম। কিন্তু কথা থেমে গেলো! নৈপথ্যে তুই থেকে তুমি বলার বিশেষ লজ্জা! ফলশ্রুতিতে প্রথম কিছু মূহুর্ত কথার চেয়ে নিরবতায় কাটলো বেশিক্ষণ! তুমি থেকে আবার তুই দিয়ে কথা শুরু করতে হলো, ফলে প্রেম টা জমেছিল না। তাকে বললাম, 'গার্লফ্রেন্ডের মতো করে কথা বল!'
সে একটু মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বললো, 'সোনা...বলো...।'
আমি লজ্জা মিশ্রিত কণ্ঠে বললাম, 'তুমি কেমন আছো?'
-ভালো। তুমি?
-হু ভালো। কি করো তুমি বুড়ি ?
-শুয়ে আছি। তুমি?
-আমিও। তোমার সঙ্গে নিবা?
-হু...আসো!
আরোও অনেক কথা হলো। ততক্ষণে দুজনের লজ্জামিশ্রিত ভাবটা উধাও!
আমি তার কাছে গান শুনতে চাইলাম। সে বললো, 'এখন মনে নেই। কথা বলো, পরে শুনিও।'
আমি তাকে সময় দিলাম। এর মাঝে পড়াশুনা বিষয়ক কিছু কথা বার্তাও হয়ে গেলো। তারপর তার ঘুম জড়ানো কোমল ক্লান্ত কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীতের কিছু অংশ শোনালো, 'ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি ...এই সুরে কাছে-দূরে, জলে-স্থলে বাজায়...বাজায় বাঁশি ...ভালোবাসি ...'।
এরপর সে ঘুমাতে চাইলো, আমি আরেকটি গান গাইতে বললাম। আরও কিছু কথার ফাঁকে গান মনে করলো...গাইলো। আমি বিমুগ্ধ পুরুষ তার গানের কোনো কথাই বুঝতে চাইলাম না, শুধু তার নরম সুরের মাধুর্য উপলব্ধি করে চললাম!
এতক্ষণে তার দুচোখের ঘুম কিছুটা উধাও! সে ঘুমাতে চাচ্ছিল। তার সেই বালক বন্ধুর প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসলাম। আবার গল্প জমালো! তাদের পাঁচ বছরের প্রেমের কিছু রোমাঞ্চকর কাহিনী, কিছু স্বপ্নের কথা। আমি শুধু ধরিয়ে দিলাম, সে বলেই গেলো। আমি মুগ্ধ শ্রোতা। অথচ সে বলে কিনা, আমারই নাকি বেশি কথা বলা উচিৎ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন?'
সে উত্তর দিলো, 'তুমি তো আমার কবি। রোমান্টিক কথা তোমার মুখেই মানায়!'
আমি প্রশ্ন করলাম, 'রোমান্টিক অর্থ কী?'
সে অপারগতা জানালো।
রাত প্রায় দ্বিপ্রহর। আহা, রাত ফুরালেও কথা হয়তো ফুরাবে না! আমার চোখে ঘুমের ছিটেফোঁটাও নেই, তার চোখেও হয়তো। সেও আর ঘুমের প্রসঙ্গ তুলছে না। আমি শেষ টা টানতে চাইলাম। সে আবদার করে বসলো, 'আমার একটা নাম রাখো তুমি। এটা আমি বলার আগেই তোমার রাখা উচিৎ ছিলো। তুমি রাখো নি, তাই বললাম।'
আমি তো হতবাক! কি নাম রাখি? বললাম, 'আমি নাম রাখি মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করে। তোমার সঙ্গে তো আজই শুরু মাত্র।'
সে কিছুটা অভিযোগের সুরে বললো, 'তুমি আমাকে এখনো সম্পূর্ণ চিনতে পারো নি?'
ভেবে বললাম, 'তোমার অনেক জিদ, তোমার নাম বাহানা! এবার খুশি তো?'
-হু খুশি।
-ঠিক আছে বাহানা বুড়ি ঘুমাও।
-ঘুমাবো। তার আগে বলো।
-কী বলবো?
-ওইটা।
-কোনটা?
-সেইটা!
-তুমি আগে বলো।
-না তুমি আগে...
-তুমি ...
-তুমি, তুমি, তুমি ...রাগ করবো কিন্তু!
বাধ্য হয়ে বলতেই হলো, 'ভালোবাসি, ভালোবাসি...অনেক ভালোবাসি ...'
-কাকে?
-তোমাকে।
-ভালো করে সম্পূর্ণ বলো।
কঠিন কে সহজেই শাসন করা যায়। কিন্তু এ যে কোমল, একে শাসন করতে গেলে থেমে যাই! উল্টো সে চেপে বসে অধিকার আদায় করে নেয়, আমার করার কিছুই থাকে না। তাই সম্পূর্ণ টা বলতেই হলো। সেও আমাকে বললো।
ঘুমানো উচিৎ ভেবে বললাম, 'বাহানা বুড়ি, শুভ রাত্রি! শুভ বিদায়! ...আরোও কিছু একটা ছিলো, দিলাম না। এটা আমার কাছে নয়, তোমার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিও।'
সে কৌতুহলি কণ্ঠে বললো, 'কী?'
-কিছু না!
-বলো না কী?
-বলা যাবে না। লজ্জা লাগে!
-কিস?
-হু।
-আচ্ছা সব হলো, এটা বাকি থাকে কেন?
-না, এইটা শুধু তোমার বয়ফ্রেন্ডের জন্য।
-আরে সমস্যা নেই। তুমি আগে দাও, তারপর আমি।
-পারবো না লজ্জা লাগে!
অতঃপর শেষ টানতে গেলাম। এক ধরনের খারাপ লাগা অনুভব করলাম। একদিনের প্রেম, অনেক কথা। সবটাই হয়তো দুজনার অভিনয় ছিলো, তবু তো প্রেম! হয়তো সম্বোধন টা আবারো তুই হবে! আহা, বাংলা ভাষায় যদি আপনি আর তুই সম্বোধন টা না থাকতো! হয়তো তাকে আজীবন তুমি বলার অধিকার পেতাম! বললাম, 'আপনি ভালো থাকেন। তুমি ভালো থেকো। তুই ভালো থাক। বাহানা বুড়ি, শুভ রাত্রি! শুভ বিদায়! ...!'
শেষটায় সেই চুম্বন ছিলো! সেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটালো! চুম্বন যতটা না হেডফোন আর মুঠোফোনে স্পর্শ করলো, তার চেয়ে হয়তো বেশি স্পর্শ করলো দুটি হৃদয়! ফোন কেটে গেলো। প্রেমের নৈপথ্যে আজীবন ঘর বাঁধার প্রসঙ্গটা হয়তো অযৌক্তিক প্রমাণিত হলো!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ জামশেদ আলম ১৬/০১/২০১৬Awesome
-
মোঃ জামশেদ আলম ১৬/০১/২০১৬Awsome
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৪/০১/২০১৬পড়লাম, শুভেচ্ছা বন্ধু ।
-
ধ্রুব রাসেল ১২/০১/২০১৬শিস দা,,,,! এ কি রচনা করেছ তুমি? আমার হৃদয় ছেদিত হয়ে হোয়াটস অ্যাপের মুহূর্তে হারিয়ে গিয়েছে ক্ষণিকের জন্য। এরকম ঘটনা যদি আমার ক্ষেত্রে বাস্তবে ঘটত......! আহা। অনেক ভাল লিখেছ। আরো চাই।
-
দেবব্রত সান্যাল ০৮/০১/২০১৬এর মধ্যে গল্পটা কোথায় ? গল্প করা আর গল্প লেখা এক নয়। এ ধরনের বর্ণনাতে গল্প দাঁড়ায় না।