ভুল প্রকাশনা নিয়ে সমসাময়িক সমালোচনা ও আমাদের ভাবনা
দেশব্যাপী বইছে শৈত্যপ্রবাহ চারিদিক কুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন। কুয়াশা ভেদ করে ডিমের কুসুমের মত সূর্যটা নিজেকে জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে। কম্বল মুড়ি দিয়ে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম আর বসে বসে বাল্যশিক্ষা ও আমাদের ছোটকালের প্রাইমারি ও নিম্ন মাধ্যমিক ক্লাসের 'আমার বই' পাঠ্য পুস্তিকের কিছু প্রবন্ধ ছড়া ও কবিতা পড়তেছিলাম। এগুলো পড়তে পড়তে কেমন জানি নস্টালজিক হয়ে গেছিলাম।
কি অসাধারণ লিখা উপহার দিয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, সুফিয়া কামাল, কালীপ্রসন্ন মজুমদার, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, জসিম উদ্দিন, যতীন্দ্রমোহন, বন্দে আলী মিয়া, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মদনমোহন, সুকুমার রায়, আহসান হাবীব, শামসুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, অতুল প্রসাদ, কামিনী রায়, জীবনানন্দ প্রমূখ কবিগণ। এদের লেখা আজও আমাদেরকে ধর্ম, মানবতা, আদর্শ, দেশপ্রেম ও মনুষত্ববোধ শিখায় এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়।
অথচ অবাক বিস্ময়ে অত্যন্ত দুঃখের সাথে অবলোকন করছি এই সমস্ত কবিদের প্রায় সকলকেই দেশদ্রোহী উন্মাদ বা কাফের ফতোয়া দিয়ে রেখেছে তথাকথিত নায়েবে রাসুল, উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীরা। যারা সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই প্রগতি ও অগ্রগতির অন্তরায় ছিল। মুক্ত চিন্তা চেতনা যে পথেই যাবে, যারাই করবে এই তথাকথিত গোষ্ঠী উল্টো পথে হাঁটবে এবং এর বিরোধিতা করবে। প্রকৃতপক্ষে ধর্ম তাদের মূল বিষয় নয় বরং প্রগতিকে ঠেকিয়ে দিয়ে মানুষকে অন্ধ করে রাখাই যেন তাদের মূল পরিকল্পনা। সারা পৃথিবী যেখানে আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। আকাশ পাতাল তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করছে মানবতার উন্নয়নে আর কি কি মহান সৃষ্টিকর্তা রেখে দিয়েছেন যা এখনো আমাদের অজানা। সেখানে এই গোষ্ঠী তথাকথিত ধর্মের দোহাই দিয়ে মানব সভ্যতাকে পিছনে টানছে।
একটা বইয়ে ভুল লিখা বা ভুল প্রকাশনা (হতে পারে সেটা ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত) অথবা সমসাময়িক কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষয়টিকে বিবেচনা করা যাবে না। এটা মানব সভ্যতার অগ্রগতির পথে সুদীর্ঘ কালের কলঙ্কময় আবর্জনা। ভুল হলে যেমন শুধরানোর সুযোগ থাকে আবার ইচ্ছাকৃত হলেও জড়িতদেরকে আইনের আওতায় এনে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।
আমাদেরকে এই আবর্জনার বিরুদ্ধে সজাগ হতে হবে এবং এর বিপরীতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে আর তাতেই সম্ভব হবে এক সুন্দর আদর্শ ন্যায় ভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মাণ। যেখানে একে অপরের প্রতি থাকবে শ্রদ্ধাবোধ। ভিন্নমত পথ ও ধর্মের অনুসারীদের প্রতি থাকবে সহনশীলতা এবং মুক্ত চিন্তা চেতনার সুস্থ চর্চা কেন্দ্র হবে আমাদের এই পৃথিবী যা থেকে লাভবান হবো ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
এই পৃথিবী হোক সকল সৃষ্টির এবং সকলের নিরাপদ ও সহ অবস্থানের সুন্দর এক আবাস ভূমি।
*****
২২ জানুয়ারি ২০২৩
কি অসাধারণ লিখা উপহার দিয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, সুফিয়া কামাল, কালীপ্রসন্ন মজুমদার, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, জসিম উদ্দিন, যতীন্দ্রমোহন, বন্দে আলী মিয়া, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মদনমোহন, সুকুমার রায়, আহসান হাবীব, শামসুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, অতুল প্রসাদ, কামিনী রায়, জীবনানন্দ প্রমূখ কবিগণ। এদের লেখা আজও আমাদেরকে ধর্ম, মানবতা, আদর্শ, দেশপ্রেম ও মনুষত্ববোধ শিখায় এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়।
অথচ অবাক বিস্ময়ে অত্যন্ত দুঃখের সাথে অবলোকন করছি এই সমস্ত কবিদের প্রায় সকলকেই দেশদ্রোহী উন্মাদ বা কাফের ফতোয়া দিয়ে রেখেছে তথাকথিত নায়েবে রাসুল, উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীরা। যারা সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই প্রগতি ও অগ্রগতির অন্তরায় ছিল। মুক্ত চিন্তা চেতনা যে পথেই যাবে, যারাই করবে এই তথাকথিত গোষ্ঠী উল্টো পথে হাঁটবে এবং এর বিরোধিতা করবে। প্রকৃতপক্ষে ধর্ম তাদের মূল বিষয় নয় বরং প্রগতিকে ঠেকিয়ে দিয়ে মানুষকে অন্ধ করে রাখাই যেন তাদের মূল পরিকল্পনা। সারা পৃথিবী যেখানে আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। আকাশ পাতাল তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করছে মানবতার উন্নয়নে আর কি কি মহান সৃষ্টিকর্তা রেখে দিয়েছেন যা এখনো আমাদের অজানা। সেখানে এই গোষ্ঠী তথাকথিত ধর্মের দোহাই দিয়ে মানব সভ্যতাকে পিছনে টানছে।
একটা বইয়ে ভুল লিখা বা ভুল প্রকাশনা (হতে পারে সেটা ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত) অথবা সমসাময়িক কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষয়টিকে বিবেচনা করা যাবে না। এটা মানব সভ্যতার অগ্রগতির পথে সুদীর্ঘ কালের কলঙ্কময় আবর্জনা। ভুল হলে যেমন শুধরানোর সুযোগ থাকে আবার ইচ্ছাকৃত হলেও জড়িতদেরকে আইনের আওতায় এনে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।
আমাদেরকে এই আবর্জনার বিরুদ্ধে সজাগ হতে হবে এবং এর বিপরীতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে আর তাতেই সম্ভব হবে এক সুন্দর আদর্শ ন্যায় ভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মাণ। যেখানে একে অপরের প্রতি থাকবে শ্রদ্ধাবোধ। ভিন্নমত পথ ও ধর্মের অনুসারীদের প্রতি থাকবে সহনশীলতা এবং মুক্ত চিন্তা চেতনার সুস্থ চর্চা কেন্দ্র হবে আমাদের এই পৃথিবী যা থেকে লাভবান হবো ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
এই পৃথিবী হোক সকল সৃষ্টির এবং সকলের নিরাপদ ও সহ অবস্থানের সুন্দর এক আবাস ভূমি।
*****
২২ জানুয়ারি ২০২৩
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২৪/০১/২০২৩বাস্তব সম্মত সুমনের লেখা। যদি আল্ কুরআনের বিধানের আলোকে সমাজ গড়া যায় তাহলে আপনার সুচিন্তার একটি সমাজ বা পরিবেশ পাওয়া সম্ভব। মানব রচিত বিধান দিয়ে একটি সুখি সমাজ গড়া সম্ভব নয়। আপনার এই সুচিন্তার সাথে একমত প্রিয়জন। শুভ কামনা রইলো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/০১/২০২৩ভাল লিখেছেন।
ধর্মান্ধরা সবখানে না-বুঝে গোলযোগসৃষ্টি করে।