আমার মা
আমার মা একজন অনেক বড় মনোবিজ্ঞানি ছিলেন। যখন আমি বসতেও শিখিনি হাত-পা ছোড়াছুড়ি দেখে ঠিক বুঝে যেতেন আমি কি চাই। আর তৎক্ষণাৎ কোনো কার্পণ্য না করে আমার চাহিদা মেটাতে বসে যেতেন।
আমার মা একজন অনেক বড় শিক্ষিকা ছিলেন। যখন আমি অক্ষর চিনতাম না তখন আমাকে আদর্শ লিপি পড়াতেন আর চক সিলেট দিয়ে অ আ ক খ ১ ২ শেখাতেন। এখন যত বড় বই-ই পড়ি আমি অবাক হয়ে দেখি আমার মায়ের শিখানো সেই অক্ষরের বাইরে কিছুই নাই।
আমার মা একজন অনেক বড় ডাক্তার ছিলেন। দুনিয়ার তাবৎ ডাক্তারেরা যার ওষুধ দিতে পারে না আমার মা তা অবলিলায় দিতে পারতেন। যখন প্রচণ্ড মনোযন্ত্রনায় অস্থির থাকতাম আমার মা কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেন।
আমার মা একজন অনেক বড় মাপের সেবিকা ছিলেন। যখন আমি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতাম তখন তার হুঁশ উড়ে যেত। পরম যত্নে সুজি পায়েশ ও পথ্য খাইয়ে খুব অল্প সময়ে আমাকে সুস্থ করে তুলতেন।
আমার মা একজন অনেক বড় রাঁধুনী ছিলেন। তার কাছে এখনকার মত এত রান্না শিক্ষার বই ও ইউটিউবের ছড়াছড়ি ছিল না। এত মসলার ব্যবহারও জানতেন না তিনি। তবুও তার হাতের জাদুর ছোঁয়ায় অল্প খরচে সব খাবার স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় হয়ে উঠতো।
আমার মা একজন অনেক বড় ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন। পুরানো কাপড় কেটে আমাকে নানান ধরনের পোশাক বানিয়ে দিতেন আবার নিজ হাতের নিপুন কাজে আরামদায়ক রংবেরঙের বাহারি নকশি কাঁথা সেলাই করে দিতেন।
আমার মা একজন সৎ ধার্মিক দয়ালু ধৈর্যশীলা আমার প্রেরণা নিরাপদ আশ্রয় ও নিঃশর্ত ভালবাসার মূর্ত প্রতীক ছিলেন। আমার সকল সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনা প্রেরণা ও অর্জনে তাঁর ওপরে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কাউকে দেখি না।
মা আজও তোমার ছেলে চারিদিকে হাত পা ছোড়াছুড়ি করে। আজও বড় বড় বই পড়ে অনেক ডিগ্রি নিয়েও তোমার আদর্শ লিপি খুঁজে। এতোটুকু ঘুমের জন্য যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে বিছানায় ছটফট করে। আজও প্রকৃতির নিয়মে নানান ধরনের অসুস্থতায় ভোগে। ডাক্তারের বারণ সত্ত্বেও সেই সুস্বাদু খাবার খেতে মন চায়। শুধু তুমি নেই আর নেই তোমার সেই স্নেহ মমতা ভালোবাসা।
*****
রচনা কাল: ২৯ আগষ্ট ২০২২
আমার মা একজন অনেক বড় শিক্ষিকা ছিলেন। যখন আমি অক্ষর চিনতাম না তখন আমাকে আদর্শ লিপি পড়াতেন আর চক সিলেট দিয়ে অ আ ক খ ১ ২ শেখাতেন। এখন যত বড় বই-ই পড়ি আমি অবাক হয়ে দেখি আমার মায়ের শিখানো সেই অক্ষরের বাইরে কিছুই নাই।
আমার মা একজন অনেক বড় ডাক্তার ছিলেন। দুনিয়ার তাবৎ ডাক্তারেরা যার ওষুধ দিতে পারে না আমার মা তা অবলিলায় দিতে পারতেন। যখন প্রচণ্ড মনোযন্ত্রনায় অস্থির থাকতাম আমার মা কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেন।
আমার মা একজন অনেক বড় মাপের সেবিকা ছিলেন। যখন আমি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতাম তখন তার হুঁশ উড়ে যেত। পরম যত্নে সুজি পায়েশ ও পথ্য খাইয়ে খুব অল্প সময়ে আমাকে সুস্থ করে তুলতেন।
আমার মা একজন অনেক বড় রাঁধুনী ছিলেন। তার কাছে এখনকার মত এত রান্না শিক্ষার বই ও ইউটিউবের ছড়াছড়ি ছিল না। এত মসলার ব্যবহারও জানতেন না তিনি। তবুও তার হাতের জাদুর ছোঁয়ায় অল্প খরচে সব খাবার স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় হয়ে উঠতো।
আমার মা একজন অনেক বড় ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন। পুরানো কাপড় কেটে আমাকে নানান ধরনের পোশাক বানিয়ে দিতেন আবার নিজ হাতের নিপুন কাজে আরামদায়ক রংবেরঙের বাহারি নকশি কাঁথা সেলাই করে দিতেন।
আমার মা একজন সৎ ধার্মিক দয়ালু ধৈর্যশীলা আমার প্রেরণা নিরাপদ আশ্রয় ও নিঃশর্ত ভালবাসার মূর্ত প্রতীক ছিলেন। আমার সকল সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনা প্রেরণা ও অর্জনে তাঁর ওপরে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কাউকে দেখি না।
মা আজও তোমার ছেলে চারিদিকে হাত পা ছোড়াছুড়ি করে। আজও বড় বড় বই পড়ে অনেক ডিগ্রি নিয়েও তোমার আদর্শ লিপি খুঁজে। এতোটুকু ঘুমের জন্য যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে বিছানায় ছটফট করে। আজও প্রকৃতির নিয়মে নানান ধরনের অসুস্থতায় ভোগে। ডাক্তারের বারণ সত্ত্বেও সেই সুস্বাদু খাবার খেতে মন চায়। শুধু তুমি নেই আর নেই তোমার সেই স্নেহ মমতা ভালোবাসা।
*****
রচনা কাল: ২৯ আগষ্ট ২০২২
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০২/০৯/২০২২সুন্দর লেখা,ভালো লাগলো।
-
অভিজিৎ হালদার ০১/০৯/২০২২খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ০১/০৯/২০২২একজন মা সবই করতে পারেন!
-
ফয়জুল মহী ৩১/০৮/২০২২মূল্যবান ভাবনার সুন্দর লেখা।