ঈদুল ফিতরের প্রকৃত আনন্দ
পবিত্র একটি উপলক্ষ এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের ঠিক দরোজার সামনে। অনেক ছোটবেলায় স্কুলের কোনো এক ক্লাসে আমার বই-এ পড়েছিলাম ‘নবিজীর প্রেম’ তাতে লেখা ছিল ‘আজ ঈদ মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ পথে পথে ছেলে মেয়েদের কলরব দলে দলে লোক ঈদগাহে যা”েছ, নামাজ পড়ছে, কোলাকোলি করছে। এমন সময় নবিজী দেখলেন ঈদগাহের এক কোণে বসে একটি ছেলে কাঁদছে। নবিজী তার কাছে গেলেন তার কষ্ট শোনলেন তাকে কোলে তুলে বাড়ি নিয়ে গেলেন। বাড়িতে নিয়ে নতুন জামা-কাপড় ও খাবার দিয়ে ছেলেটির দুঃখ দূর করার চেষ্টা করলেন।
আমাদের দেশেও একটি অংশ রয়েছে যাদের কাছে ঈদানন্দ মানেই হলো বেঁচে থাকার লড়াই, দু বেলা খাওয়ার সংগ্রাম। আজো রয়েছে দুঃখী ছেলেদের ভীড়। কিš‘ নবিজীতো নেই তাদেরকে কোলে তুলে নেওয়ার জন্য। আমরা কি পারিনা তাদের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করতে। তাদের মূখে একটু হাসি ফোঁটাতে। নতুন পোশাক, সুস্বাদু খাবার বা ঈদের অন্য আনন্দগুলো তাদের সাথে ভাগাভাগি করতে। আসুন না একটিবার ভাবি সেই সকল অসহায় ও দুঃখী মুখগুলোর কথা যাদের সাধ্য নেই একটি নতুন পোশাক ও সুস্বাদু খাবার কেনার একবার ভাবি সেই সব অসহায় পথশিশু, বৃদ্ধ নারী ও পুরুষের কথা যারা বঞ্চিত ও অবহেলিত। আসুন না হাসি ফোঁটাই এই অসহায় মানুষগুলোর মুখে। এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনটিতে এতগুলো দুঃখি মানুষকে পাশে রেখে আমরা কি পারবো আনন্দে কাটাতে।
প্রতি বৎসর দুইটি ঈদ আমাদের জীবনে নিয়ে আসে আনন্দের বন্যা। কিš‘ প্রতিটি মুসলমানের মন ও মননে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ও প্রভাব অনেক বেশি। পূর্ণ একমাস সিয়াম সাধনার পর এই উৎসব মুসলিম জাতির প্রতি সত্যিই মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও পুরস্কার। এই দিনে প্রতিটি মুসলমানের প্রেম, ভালবাসা, মমতা, আবেগ, অনুভূতি যেন ঈদের পবিত্র ও অনাবিল আনন্দে বিলীন হয়ে যায়। ঈদ আমাদের জীবনে শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং এটি একটি মহান ইবাদাত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়, এবং সকল শ্রেণী ও বয়সের নারী-পুরুষ ঈদের জামাতে শামিল হয়ে মহান প্রভুর শুকর আদায়ে সেজদায় নত হয়।
আজ আমাদের মাঝে এই আত্মজিজ্ঞাসা উত্থাপিত হওয়া প্রয়োজন যে, সত্যিই কি এই ঈদ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হবার কারণ হতে পেরেছে? আমরা কি ধনী-গরিব ছোট-বড় সকলে ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই আনন্দ উদযাপন করছি? যে মহান স্রষ্টা আমাদেরকে এই আনন্দের অনুমোদন দিয়েছেন আমরা কি জীবনের সর্বক্ষেত্রে সর্বদা তাঁকে স্মরণে রেখেছি? যে প্রিয় রাসূলের (সা.) সুন্নাত হিসাবে আমরা ঈদ পালন করছি, সে রাসূলের (সা.) অন্য সকল সুন্নাতের অনুসরণ কি আমরা করছি?
প্রতি ঈদেই সবাই সাধ্যানুযায়ী নতুন নতুন মডেলের সুন্দর সুন্দর পোষাক ক্রয় করে থাকে। আমরা কি কখনো ভাবি সে-সব ভাই-বোনদের কথা দারিদ্রের কষাঘাতে যাদের জীবন জর্জরিত। নতুন পোষাক কেনা দূরে থাক, পুরানো কোন ভাল পোষাকই তাদের নেই। বরং প্রতিদিনের অন্নের প্রয়োজনীয় যোগানও তাদের নেই। আমরা যারা স্বচছল তারা কি সামান্যতম হাসিও এদের মুখে ফোটাতে পারি না?
আনন্দের এ শুভদিনে আমাদের সে সকল বুজুর্গ ভাই-বোনদের কথাও স্মরণ করা উচিৎ, মৃত্যু যাদেরকে এ জগত থেকে না ফেরার জগতে নিয়ে গেছেন। সেখানে তারা পার্থিব জীবনে নিজেদের কৃতকর্মের ফলাফল ভোগ করছে। এই দিনে তাদেরকে ভুলে না গিয়ে আমাদের উচিৎ আল¬াহর কাছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা। ঈদ উৎসব পালনকালে সেই সব ভাই-বোনদের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা কঠিন পীড়ায় অসু¯’ হয়ে বাড়ীতে কিংবা হাসপাতালে পড়ে আছে। ব্যথা, যন্ত্রণা ও মানসিক পীড়নে ঈদের আনন্দ তাদের মাটি হয়ে গিয়েছে। আমাদের উচিৎ আল¬াহ যে সু¯’তা ও নিরাপত্তার অশেষ নিয়ামতের উপর আমাদেরকে রেখেছেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করা এবং এ সকল রোগাক্রান্তদের আরোগ্য লাভের জন্যে দোয়া করা এবং সম্ভব হলে তাদের শুশ্রষা করা। আমাদের সকলের এই দোয়া করা উচিৎ যে, নবিজীর(সা.) সুন্নত অনুযায়ী আমরা যেন আমাদের সাধ্যানুযায়ী গৃহহীন, বিধবা, এতীম, বিপদগ্রস্ত ও দুঃখি মানুষের সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি।
এই রমজানে আমাদের অনেককেই হয়তো আল¬াহ সামর্থ্য দিয়েছেন রোজা রাখা, দান করা ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তাঁর ইবাদাত পালনের। কিš‘ ইবাদাতের এ ভরা মৌসুমেও আমাদের এমন অনেক ভাই-বোন রয়েছেন পাপের সাগরে যারা আকন্ঠ নিমজ্জিত, পার্থিব জীবনের মরিচিকাসম তামাশায় মগ্ন হয়ে যারা জীবনের প্রকৃত কর্তব্য ভুলে গিয়েছে। আমরা কি এদেরকে স্রষ্টার সুন্দর সরল পথের দিকে আহবান করেছি? মহান রাববুল আলামীনের কাছে এদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করেছি? ঈদুল ফিতর এসব প্রশ্নের সুন্দর জবাব খুঁজে পেতে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।
পবিত্র মাস রমজান ছিল মূলত: আমাদের জন্য তাকওয়া অর্জনের প্রশিক্ষণ লাভের মাস, সর্বপ্রকার ইবাদাতে অভ্য¯’ হওয়ার মাস, ঈমান মযবুত করার মাস, প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মহান চরিত্রে বিভূষিত হওয়ার মাস, কুরআনের মর্ম উপলব্ধি করে জীবনকে সর্বক্ষেত্রে কুরআনমুখী করার মাস। একটি মাস ধরে আমরা যারা নিজেদেরকে এভাবে পরিচালনার জন্য চেষ্টা করেছি, মাসটি অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে যদি তা ভুলে যাই এবং আল¬াহর ইবাদাত ও আনুগত্য থেকে দুরে সরে যাই, তাহলে তা কুতটুকু সঙ্গত হবে? মূলত: যারা ভাবে যে, রমজান মাসে ইবাদাত করাই যথেষ্ট, তাদের সে ভাবনা অসঙ্গত ও ভুল।
আল¬াহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
‘‘মৃত্যু আসা পর্যন্ত তোমার রবের ইবাদাত করতে থাক’’। [সূরা আল-হিজর: ৯৯]
বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনার কারনে এবারের এই উৎসব এক ভিন্ন আমেজে পালন করতে হবে। ইতিমধ্যেই রমজানের দিনগুলো কাটছে কোন প্রকার আড়ম্বর ছাড়াই। ইফতার পার্টির দৌড়ঝাপ নেই, ফুটপাতে ইফতারি বিক্রির পসরা সাজানো নেই ও বিপনিবিতান গুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতা শূন্যতা। এই পরিস্থিতিতে পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা ও সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে দিনগুলোকে সাজিয়ে তুলবো। এটাই হোক আমাদের এবারের ঈদের নতুন সংযোজন।
উপরোক্ত আলেচনার আলোকে আমরা যদি আমাদের কর্তব্য কাজে তৎপর হতে পারি তাহলেই আমার বিশ্বাস আমাদের ঈদুল ফিতরের এ মহোৎসব অর্থবহ ও সার্থক হবে। আমরা ঈদুল ফিতরের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। সকলকে ঈদ মুবারাক
****
আমাদের দেশেও একটি অংশ রয়েছে যাদের কাছে ঈদানন্দ মানেই হলো বেঁচে থাকার লড়াই, দু বেলা খাওয়ার সংগ্রাম। আজো রয়েছে দুঃখী ছেলেদের ভীড়। কিš‘ নবিজীতো নেই তাদেরকে কোলে তুলে নেওয়ার জন্য। আমরা কি পারিনা তাদের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করতে। তাদের মূখে একটু হাসি ফোঁটাতে। নতুন পোশাক, সুস্বাদু খাবার বা ঈদের অন্য আনন্দগুলো তাদের সাথে ভাগাভাগি করতে। আসুন না একটিবার ভাবি সেই সকল অসহায় ও দুঃখী মুখগুলোর কথা যাদের সাধ্য নেই একটি নতুন পোশাক ও সুস্বাদু খাবার কেনার একবার ভাবি সেই সব অসহায় পথশিশু, বৃদ্ধ নারী ও পুরুষের কথা যারা বঞ্চিত ও অবহেলিত। আসুন না হাসি ফোঁটাই এই অসহায় মানুষগুলোর মুখে। এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনটিতে এতগুলো দুঃখি মানুষকে পাশে রেখে আমরা কি পারবো আনন্দে কাটাতে।
প্রতি বৎসর দুইটি ঈদ আমাদের জীবনে নিয়ে আসে আনন্দের বন্যা। কিš‘ প্রতিটি মুসলমানের মন ও মননে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ও প্রভাব অনেক বেশি। পূর্ণ একমাস সিয়াম সাধনার পর এই উৎসব মুসলিম জাতির প্রতি সত্যিই মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও পুরস্কার। এই দিনে প্রতিটি মুসলমানের প্রেম, ভালবাসা, মমতা, আবেগ, অনুভূতি যেন ঈদের পবিত্র ও অনাবিল আনন্দে বিলীন হয়ে যায়। ঈদ আমাদের জীবনে শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং এটি একটি মহান ইবাদাত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়, এবং সকল শ্রেণী ও বয়সের নারী-পুরুষ ঈদের জামাতে শামিল হয়ে মহান প্রভুর শুকর আদায়ে সেজদায় নত হয়।
আজ আমাদের মাঝে এই আত্মজিজ্ঞাসা উত্থাপিত হওয়া প্রয়োজন যে, সত্যিই কি এই ঈদ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হবার কারণ হতে পেরেছে? আমরা কি ধনী-গরিব ছোট-বড় সকলে ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই আনন্দ উদযাপন করছি? যে মহান স্রষ্টা আমাদেরকে এই আনন্দের অনুমোদন দিয়েছেন আমরা কি জীবনের সর্বক্ষেত্রে সর্বদা তাঁকে স্মরণে রেখেছি? যে প্রিয় রাসূলের (সা.) সুন্নাত হিসাবে আমরা ঈদ পালন করছি, সে রাসূলের (সা.) অন্য সকল সুন্নাতের অনুসরণ কি আমরা করছি?
প্রতি ঈদেই সবাই সাধ্যানুযায়ী নতুন নতুন মডেলের সুন্দর সুন্দর পোষাক ক্রয় করে থাকে। আমরা কি কখনো ভাবি সে-সব ভাই-বোনদের কথা দারিদ্রের কষাঘাতে যাদের জীবন জর্জরিত। নতুন পোষাক কেনা দূরে থাক, পুরানো কোন ভাল পোষাকই তাদের নেই। বরং প্রতিদিনের অন্নের প্রয়োজনীয় যোগানও তাদের নেই। আমরা যারা স্বচছল তারা কি সামান্যতম হাসিও এদের মুখে ফোটাতে পারি না?
আনন্দের এ শুভদিনে আমাদের সে সকল বুজুর্গ ভাই-বোনদের কথাও স্মরণ করা উচিৎ, মৃত্যু যাদেরকে এ জগত থেকে না ফেরার জগতে নিয়ে গেছেন। সেখানে তারা পার্থিব জীবনে নিজেদের কৃতকর্মের ফলাফল ভোগ করছে। এই দিনে তাদেরকে ভুলে না গিয়ে আমাদের উচিৎ আল¬াহর কাছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা। ঈদ উৎসব পালনকালে সেই সব ভাই-বোনদের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা কঠিন পীড়ায় অসু¯’ হয়ে বাড়ীতে কিংবা হাসপাতালে পড়ে আছে। ব্যথা, যন্ত্রণা ও মানসিক পীড়নে ঈদের আনন্দ তাদের মাটি হয়ে গিয়েছে। আমাদের উচিৎ আল¬াহ যে সু¯’তা ও নিরাপত্তার অশেষ নিয়ামতের উপর আমাদেরকে রেখেছেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করা এবং এ সকল রোগাক্রান্তদের আরোগ্য লাভের জন্যে দোয়া করা এবং সম্ভব হলে তাদের শুশ্রষা করা। আমাদের সকলের এই দোয়া করা উচিৎ যে, নবিজীর(সা.) সুন্নত অনুযায়ী আমরা যেন আমাদের সাধ্যানুযায়ী গৃহহীন, বিধবা, এতীম, বিপদগ্রস্ত ও দুঃখি মানুষের সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি।
এই রমজানে আমাদের অনেককেই হয়তো আল¬াহ সামর্থ্য দিয়েছেন রোজা রাখা, দান করা ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তাঁর ইবাদাত পালনের। কিš‘ ইবাদাতের এ ভরা মৌসুমেও আমাদের এমন অনেক ভাই-বোন রয়েছেন পাপের সাগরে যারা আকন্ঠ নিমজ্জিত, পার্থিব জীবনের মরিচিকাসম তামাশায় মগ্ন হয়ে যারা জীবনের প্রকৃত কর্তব্য ভুলে গিয়েছে। আমরা কি এদেরকে স্রষ্টার সুন্দর সরল পথের দিকে আহবান করেছি? মহান রাববুল আলামীনের কাছে এদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করেছি? ঈদুল ফিতর এসব প্রশ্নের সুন্দর জবাব খুঁজে পেতে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।
পবিত্র মাস রমজান ছিল মূলত: আমাদের জন্য তাকওয়া অর্জনের প্রশিক্ষণ লাভের মাস, সর্বপ্রকার ইবাদাতে অভ্য¯’ হওয়ার মাস, ঈমান মযবুত করার মাস, প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মহান চরিত্রে বিভূষিত হওয়ার মাস, কুরআনের মর্ম উপলব্ধি করে জীবনকে সর্বক্ষেত্রে কুরআনমুখী করার মাস। একটি মাস ধরে আমরা যারা নিজেদেরকে এভাবে পরিচালনার জন্য চেষ্টা করেছি, মাসটি অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে যদি তা ভুলে যাই এবং আল¬াহর ইবাদাত ও আনুগত্য থেকে দুরে সরে যাই, তাহলে তা কুতটুকু সঙ্গত হবে? মূলত: যারা ভাবে যে, রমজান মাসে ইবাদাত করাই যথেষ্ট, তাদের সে ভাবনা অসঙ্গত ও ভুল।
আল¬াহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
‘‘মৃত্যু আসা পর্যন্ত তোমার রবের ইবাদাত করতে থাক’’। [সূরা আল-হিজর: ৯৯]
বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনার কারনে এবারের এই উৎসব এক ভিন্ন আমেজে পালন করতে হবে। ইতিমধ্যেই রমজানের দিনগুলো কাটছে কোন প্রকার আড়ম্বর ছাড়াই। ইফতার পার্টির দৌড়ঝাপ নেই, ফুটপাতে ইফতারি বিক্রির পসরা সাজানো নেই ও বিপনিবিতান গুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতা শূন্যতা। এই পরিস্থিতিতে পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা ও সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে দিনগুলোকে সাজিয়ে তুলবো। এটাই হোক আমাদের এবারের ঈদের নতুন সংযোজন।
উপরোক্ত আলেচনার আলোকে আমরা যদি আমাদের কর্তব্য কাজে তৎপর হতে পারি তাহলেই আমার বিশ্বাস আমাদের ঈদুল ফিতরের এ মহোৎসব অর্থবহ ও সার্থক হবে। আমরা ঈদুল ফিতরের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। সকলকে ঈদ মুবারাক
****
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১৩/০৫/২০২০চরম বাস্তবতার নিখুঁত প্রকাশ
-
পি পি আলী আকবর ১৩/০৫/২০২০ভালো