ইসলামি শিক্ষা ও প্রকৃত মুসলমান
সকল প্র্রকার ধারনা ও বাস্তবতার পরেও, মানুষ অন্যকে মূল্যায়ন করে তার আচরণের দ্বারা, তার বিশ্বাসের দ্বারা নয়। সুতরাং, কে মুসলিম আর কে নয় এটা বুঝার জন্য একজনের বিশ্বাসের সাথে সাথে তার আচরণেও এর প্রতিফলন থাকতে হবে। সাধারণভাবে বলা যায় একজন মুসলমান হল সে, যে স্বাধীনভাবে ঘোষণা করে যে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বার্তাবাহক। কিন্তু এটি হল ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার প্রথম ধাপ।
এবার আসি একজন মুসলমানের মৌলিক বৈশিষ্টে। আমাদের নবী করিম (সাঃ) একজন মুসলমানকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবেঃ যার হাত এবং কথা থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ। সহজভাবে বলা যায় একজন সত্যিকারের স্বাধীন মুসলমান কোন মুসলমান অথবা অ-মুসলমান কারও মৌখিক অথবা শারিরীক ভাবে ক্ষতি করতে পারে না।
কেউ যদি আন্তরিকভাবে ইসলামকে জানার চেষ্টা করে সে দেখবে যে, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভে সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের একটি চুক্তি আছে। ইসলাম তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সামাজিক ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক এবং এর অনুসারীরা ভিন্নমতের অনুসারীদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করে তার উপর অনেক গুরুত্ব দেয়। বেশীরভাগ ইসলামি শিক্ষাই পরিবেশ, সমাজ, পিতামাতা, সন্তান, স্বামী বা স্ত্রী, দুঃখি ও দরিদ্রের প্রতি একজনের ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়ে। আদর্শগতভাবে একজন মুসলমানকে সকল বিষয়েই অন্যের চেয়ে উত্তম হওয়া উচিৎ। আমাদের মহানবী (সাঃ) বলেছেন: ধর্ম হল আপনি অন্যের সাথে কি আচরণ করবেন তার পথ। কিন্তু ইসলামের এই অনিন্দ সুন্দর ও সহজ শিক্ষাকে আজকাল অনেক মুসলমান কেন অনুসরণ করছে না? গত কয়েক বছরে কিছু সংখ্যক মুসলিম ইসলামের নামে নরহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ও অপহরণের মত জঘন্য পৈশাচিকতা ও নৃশংসতা চালাতে চেষ্টা করছে। তাদের দাবী তারা ইসলামের মূল শিক্ষার অনুসারী।
কিন্তু বাস্তবতা হল তারা বাহ্যিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। তারা বিশেষ কিছু কাজের উদ্যেশ্যে নিয়োজিত যা ইসলামের মূল আদর্শের বিপরীত। তারা ইসলাম এবং এর অনুসারীদের সম্বন্ধে জনমনে একটি মন্দ বা নেতিবাচক ধারনার জন্ম দিচ্ছে। এর মাধ্যমে এরা কেবল অ-মুসলিমদেরকেই তাদের নিশানা করছে না বরং এদের গোড়ামি ও ভ্রান্তমতের অনুসরণ না করা সাধারণ মুসলিমদেরকেও তাদের নিশানায় পরিনত করছে। তারা এটা বুঝতে চায় না যে একজন ভাল মুসলমান হওয়া খুব সহজ। দুর্ভাগ্যবশত, এতে সমালোচকেরা চতুর্দিকে ইসলামকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে যেন নতুন প্রজন্ম ইসলামকে কেবল একটি প্রতিহিংসা পরায়ণ ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করে।
মুসলিম বিশ্ব জুড়ে এই পারস্পরিক সংঘর্ষের বিষয়টি আমাদের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। কেন আমরা এই নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা থামাতে পারছি না? ইসলাম আমাদেরকে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সহঅবস্থানের শিক্ষা দিয়েছে। আমাদেরকে ভিন্ন মতাবলম্বিদের সঙ্গে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে শিক্ষা দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এমনকি সামান্যতম মত পার্থক্যের জন্যও এক উম্মত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে একত্রে বসবাস করতে প্রস্তুত নই বা করতে পারছি না। এটি ইসলামের সত্যিকারের শিক্ষা নয়।
পৃথিবীতে ইসলামি সাম্রাজ্যের আধিপত্যের যুগে মুসলিম পন্ডিতেরা ভিন্নমতাবলম্বি বিজ্ঞানী ও পন্ডিতদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে কোন সমস্যা বোধ করত না। সম্ভবত এ কারনেই বাগদাদ, দামেস্ক এবং কায়রোর মত শহর গুলোকে শিক্ষানগরী বলা হতো। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী মুসলিম শাসকের অধীনে অ-মুসলিমেরা ও নিরাপদ ও সুরক্ষিত ছিল।
আমাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, মুসলিম বিশ্বের বাইরেও মুসলমানেরা নিজেদের উপযোগী করে বসবাস করছে। সেখানে তারা সমাজের অংশ হিসাবে নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস বজায় রেখে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারে। একজন মুসলমান অফিস, বাসস্থান, মসজিদ অথবা নিজের পছন্দ মতো যেকোন স্থানে ইবাদত করতে পারেন। রমজান মাসে একজন মুসলমান বিনা ব্যতিক্রমে রোজা পালন করতে পারেন এমনকি এ বিষয়ে কেউ জানতেও পারে না। এবং সে বিনাব্যতিক্রমে যাকাতও প্রদান করতে পারে।
বস্তুত, ইসলাম এমন কোন ধর্ম নয় যা সামাজিক পরিব্যপ্তিতে একজনের স্বাধীন চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে। আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রাচ্য এবং প্রাশ্চাত্ত্য সকল স্থানে সর্বস্তরে সকলের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা বিদ্যমান আছে। এক্ষেত্রে সর্বত্র মুসলমানদের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু উগ্রপন্থী মুসলমান বিভিন্ন স্থানে ধর্মের নামে রক্তপাত ঘটাচ্ছে বা ঘটানোর চেষ্টা করছে যার সঙ্গে ইসলামের বিন্দু পরিমান সম্পর্ক নাই। এগুলো কোন কোন বিপথগামী ও উগ্রপন্থী ধর্মীয় সংঘটনের নেতার ভুল পরিচালনা, যারা বিশ্ব জুড়ে তাদের ভ্রান্তমত বল পূর্বক অন্যের উপর চাপাতে চায় এবং তা শুধু অ-মুসলমানদের উপরই নয় বরং মুসলমানদের উপরও চাপানোর চেষ্টা করে।
আমাদের সকলের এসকল বিপথগামী ও উগ্রপন্থী যারা নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে দাবী করে তাদের এসমস্ত অনৈসলামিক কর্মকান্ডের নিন্দা করা উচিৎ। আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলামের মূল অনুসারী হবার দাবীর আড়ালে তারা কেবল আমাদের সকলের প্রিয় পবিত্র ধর্ম ইসলামেরই ক্ষতি করছে। আমাদের সকলের উচিৎ সর্বত্র প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এদের হেদায়াতের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে বিনীত ভাবে দোয়া করা। আমাদেরকে এটিও মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী একজন ভাল মুসলমান হিসাবে সবার আগে আমাদেরকে অবস্যই একজন ভাল মানুষ হতে হবে।
তথ্যঃ দি মুসলিম টাইমস
এবার আসি একজন মুসলমানের মৌলিক বৈশিষ্টে। আমাদের নবী করিম (সাঃ) একজন মুসলমানকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবেঃ যার হাত এবং কথা থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ। সহজভাবে বলা যায় একজন সত্যিকারের স্বাধীন মুসলমান কোন মুসলমান অথবা অ-মুসলমান কারও মৌখিক অথবা শারিরীক ভাবে ক্ষতি করতে পারে না।
কেউ যদি আন্তরিকভাবে ইসলামকে জানার চেষ্টা করে সে দেখবে যে, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভে সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের একটি চুক্তি আছে। ইসলাম তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সামাজিক ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক এবং এর অনুসারীরা ভিন্নমতের অনুসারীদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করে তার উপর অনেক গুরুত্ব দেয়। বেশীরভাগ ইসলামি শিক্ষাই পরিবেশ, সমাজ, পিতামাতা, সন্তান, স্বামী বা স্ত্রী, দুঃখি ও দরিদ্রের প্রতি একজনের ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়ে। আদর্শগতভাবে একজন মুসলমানকে সকল বিষয়েই অন্যের চেয়ে উত্তম হওয়া উচিৎ। আমাদের মহানবী (সাঃ) বলেছেন: ধর্ম হল আপনি অন্যের সাথে কি আচরণ করবেন তার পথ। কিন্তু ইসলামের এই অনিন্দ সুন্দর ও সহজ শিক্ষাকে আজকাল অনেক মুসলমান কেন অনুসরণ করছে না? গত কয়েক বছরে কিছু সংখ্যক মুসলিম ইসলামের নামে নরহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ও অপহরণের মত জঘন্য পৈশাচিকতা ও নৃশংসতা চালাতে চেষ্টা করছে। তাদের দাবী তারা ইসলামের মূল শিক্ষার অনুসারী।
কিন্তু বাস্তবতা হল তারা বাহ্যিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। তারা বিশেষ কিছু কাজের উদ্যেশ্যে নিয়োজিত যা ইসলামের মূল আদর্শের বিপরীত। তারা ইসলাম এবং এর অনুসারীদের সম্বন্ধে জনমনে একটি মন্দ বা নেতিবাচক ধারনার জন্ম দিচ্ছে। এর মাধ্যমে এরা কেবল অ-মুসলিমদেরকেই তাদের নিশানা করছে না বরং এদের গোড়ামি ও ভ্রান্তমতের অনুসরণ না করা সাধারণ মুসলিমদেরকেও তাদের নিশানায় পরিনত করছে। তারা এটা বুঝতে চায় না যে একজন ভাল মুসলমান হওয়া খুব সহজ। দুর্ভাগ্যবশত, এতে সমালোচকেরা চতুর্দিকে ইসলামকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে যেন নতুন প্রজন্ম ইসলামকে কেবল একটি প্রতিহিংসা পরায়ণ ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করে।
মুসলিম বিশ্ব জুড়ে এই পারস্পরিক সংঘর্ষের বিষয়টি আমাদের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। কেন আমরা এই নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা থামাতে পারছি না? ইসলাম আমাদেরকে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সহঅবস্থানের শিক্ষা দিয়েছে। আমাদেরকে ভিন্ন মতাবলম্বিদের সঙ্গে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে শিক্ষা দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এমনকি সামান্যতম মত পার্থক্যের জন্যও এক উম্মত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে একত্রে বসবাস করতে প্রস্তুত নই বা করতে পারছি না। এটি ইসলামের সত্যিকারের শিক্ষা নয়।
পৃথিবীতে ইসলামি সাম্রাজ্যের আধিপত্যের যুগে মুসলিম পন্ডিতেরা ভিন্নমতাবলম্বি বিজ্ঞানী ও পন্ডিতদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে কোন সমস্যা বোধ করত না। সম্ভবত এ কারনেই বাগদাদ, দামেস্ক এবং কায়রোর মত শহর গুলোকে শিক্ষানগরী বলা হতো। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী মুসলিম শাসকের অধীনে অ-মুসলিমেরা ও নিরাপদ ও সুরক্ষিত ছিল।
আমাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, মুসলিম বিশ্বের বাইরেও মুসলমানেরা নিজেদের উপযোগী করে বসবাস করছে। সেখানে তারা সমাজের অংশ হিসাবে নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস বজায় রেখে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারে। একজন মুসলমান অফিস, বাসস্থান, মসজিদ অথবা নিজের পছন্দ মতো যেকোন স্থানে ইবাদত করতে পারেন। রমজান মাসে একজন মুসলমান বিনা ব্যতিক্রমে রোজা পালন করতে পারেন এমনকি এ বিষয়ে কেউ জানতেও পারে না। এবং সে বিনাব্যতিক্রমে যাকাতও প্রদান করতে পারে।
বস্তুত, ইসলাম এমন কোন ধর্ম নয় যা সামাজিক পরিব্যপ্তিতে একজনের স্বাধীন চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে। আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রাচ্য এবং প্রাশ্চাত্ত্য সকল স্থানে সর্বস্তরে সকলের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা বিদ্যমান আছে। এক্ষেত্রে সর্বত্র মুসলমানদের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু উগ্রপন্থী মুসলমান বিভিন্ন স্থানে ধর্মের নামে রক্তপাত ঘটাচ্ছে বা ঘটানোর চেষ্টা করছে যার সঙ্গে ইসলামের বিন্দু পরিমান সম্পর্ক নাই। এগুলো কোন কোন বিপথগামী ও উগ্রপন্থী ধর্মীয় সংঘটনের নেতার ভুল পরিচালনা, যারা বিশ্ব জুড়ে তাদের ভ্রান্তমত বল পূর্বক অন্যের উপর চাপাতে চায় এবং তা শুধু অ-মুসলমানদের উপরই নয় বরং মুসলমানদের উপরও চাপানোর চেষ্টা করে।
আমাদের সকলের এসকল বিপথগামী ও উগ্রপন্থী যারা নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে দাবী করে তাদের এসমস্ত অনৈসলামিক কর্মকান্ডের নিন্দা করা উচিৎ। আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলামের মূল অনুসারী হবার দাবীর আড়ালে তারা কেবল আমাদের সকলের প্রিয় পবিত্র ধর্ম ইসলামেরই ক্ষতি করছে। আমাদের সকলের উচিৎ সর্বত্র প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এদের হেদায়াতের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে বিনীত ভাবে দোয়া করা। আমাদেরকে এটিও মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী একজন ভাল মুসলমান হিসাবে সবার আগে আমাদেরকে অবস্যই একজন ভাল মানুষ হতে হবে।
তথ্যঃ দি মুসলিম টাইমস
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৮/০৭/২০২৪অনবদ্য
-
মোহাম্মদ এনামুল হক ১৩/০৩/২০১৫এ ধরনের লেখা আরো আশা করি ভাই
অনেক শুভেচ্ছা রইল । -
স্বপন রোজারিও(১) ০৪/০৩/২০১৫ভাল মানুষ হওয়া খুবই জরুরী।
-
অ ০৩/০৩/২০১৫সুন্দর পোস্ট ।
-
মোহাম্মদ রফিক ০৩/০৩/২০১৫একজন মুসলমান নিজের অধিকারের জন্য যেমন সচেতন হবেন তেমনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্যের অধিকারের জন্যও সচেতন থাকবেন। মুসলমানের কাজ হচ্ছে সমাজের সকল পর্যায় থেকে অন্যায়-অত্যাচার-অবিচার-দূর্ণীতি-সুদ-ঘুষ-জেনা-ব্যভিচার-জুলুম নির্মূল করে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালানো। সেটা হতে হবে অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক উপায়ে। আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা মুসলমানেরা হলে সর্বত্তম জাতি- তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য, তোমরা ভাল কাজের আদেশ করবে অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে।” তিনি আরো বলেন, সামাজিক ন্যায় বিচার সুপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও। কিন্তু অনেকেই আছেন তারা এই কাজ করতে গিয়ে উগ্রপন্থার আশ্রয় নেয় যা মোটেই সঠিক নয়। ইসলামে কট্টর পন্থার কোন স্থান নাই। অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা তো দূরের কথা একটি মন্দ কথাও বলা যাবে না। ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্য যুদ্ধের ময়দানেও কাউকে আঘাত করা যাবে না। যারা সন্ত্রাসী- উগ্রবাদী তারা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে দূরে। সত্যিকার ইসলামের সাথে কোন জঙ্গিবাদের উগ্রবাদের সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক নাই। সাথে সাথে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে ইসলামী সাম্যবাদ ও ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা কাজ করছে তাদেরকে ঢালাও ভাবে জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদ বলা যাবে না। ইসলামের শত্রু মিত্র জ্ঞান আমাদের থাকতে হবে। ইসরাঈলী নৃসংসতা ও হত্যাযজ্ঞকে আমরা জঙ্গীবাদী বলি না তবে ফিলিস্তিনের ছোট ছোট বালকের ইট পাথরের প্রতিবাদকে জঙ্গীবাদী বলে থাকি। আমাদের বিরুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের শেখানো গালী আমরা নিজেদেরকে দেই কিনা তাও ভাবতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই দোয়াই করি আল্লাহ যেন আমাদের ইসলামের সঠিক বুঝ দান করেন।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৩/০৩/২০১৫চমৎকার ...।অনেক ভালো লাগলো............
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৩/০৩/২০১৫একমত পোষন করলাম।