নিহারিকা -২য় পর্ব
নিহারিকা দ্বিতীয়বারের মতো সশব্দে হেসে নিলো আবার। এরপর নেমে আসে নিরবতা।দুজনেই চুপচাপ। কিছুক্ষণ পর নিহারিকা জিজ্ঞেস করে
-রাতুল সাহেব, ঘুম আসছে আপনার?
- না না,এমনিতে চোখ বন্ধ করে রেখেছি।বলুন না তারপর কি হলো?
-আমি তখন এস.এস.সি পাশ করেছি মাত্র,যখন জানতে পারলাম নিজের আপন বলতে আমারও কেউ একজন আছে,আমি এতিম না।
-আমি ঠিক বুঝলাম না নিহারিকা?
-আমার ছোট বেলার স্মৃতি কিছুই মনে নেই।যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে এস.এস.সি পাশ করা অবধি একটা অনাথ আশ্রমের তত্ত্বাবধানেই ছিলাম।এতটুকু সময়ে যখনি আমার মা বাবার খোঁজ নিতাম, উনারা বলতো তারা নাকি মারা গিয়েছেন দুজনেই।আমিও আর বেশি কিছু জানার আগ্রহ দেখাতাম না।কিন্তু,আমার রেজাল্ট আসার কিছুদিন পর হঠাৎ আশ্রমের অফিসে আমাকে ডাকা হলো।আমি গিয়ে দেখি আমাদের কেয়ারটেকার আপার সামনের চেয়ারে বেশ গম্ভীর এক ভদ্রলোক বসে আছেন। বেশভূষা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ভদ্রলোক অনেক ধনী মানুষ। আপা আমাকে কাছে ডেকে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।বললেন - "উনিই তোমার বাবা,নিহারিকা।১৩ বছর আগে উনিই তোমাকে এখানে রেখে গিয়েছিলেন, এখন তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছেন।" আমি বিশ্বাস করতে চাইলাম না।আমার বাড়াবাড়িতে আপা অনেক খুঁজে ১৩ বছর আগের ফাইলটা খুলে আমাকে দেখালেন।ভদ্রলোকের তথ্যের সাথে ফাইলের তথ্য মিলিয়ে দেখি সব ঠিকঠাক আছে।তাও বাধ সাধলাম আমি।চিৎকার করে বলতে লাগলাম- "উনি যদি আমার বাবা হয়েই থাকেন,তাহলে এতবছর আমাকে তা জানানো হয়নি কেন আর তিনিই বা কেন আমাকে নিতে আসেননি?" আচমকা ভদ্রলোক আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরলেন।তারপর এতবছরের সমস্থ কিছুর জন্য আমার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে লাগলেন।কান্না জড়ানো গলায় বলেছিলেন-" মা,তুই আমাকে ক্ষমা করে দে।আমি অভাবের কারণে তোকে রেখে গিয়েছিলাম।আজ আমার সব কিছু আছে।আমি আমার রাজকন্যাকে তার প্রাসাদে নিয়ে যেতে এসেছি। আমাকে ফিরিয়ে দিস না মা।" জীবনে প্রথম বার কারো মুখে মা ডাক শুনে নিজের পরিবার ফিরে পাওয়ার লোভে ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে এলাম তার সাথে।
নিহারিকা কথা বন্ধ করে গ্লাস হাতে নিয়ে পানি খেয়ে নিলো কিছুটা।রাতুল সাহের দিকে গ্লাস বাড়িয়ে দিতেই উনি হাতে নিয়ে এক নিঃশ্বাসে সবটুকু পানি খেয়ে নিলেন।এবার দুজনেই চুপচাপ।নিহারিকা লাইট বন্ধ করে টেবিল ল্যাম্প টা জ্বালিয়ে দিলো।পাশের রুমগুলো থেকে খুব বিচ্ছিরী রকমের আওয়াজ আসছে।অথচ দুজনেরই তাতে মনোনিবেশ নেই।........
-রাতুল সাহেব, ঘুম আসছে আপনার?
- না না,এমনিতে চোখ বন্ধ করে রেখেছি।বলুন না তারপর কি হলো?
-আমি তখন এস.এস.সি পাশ করেছি মাত্র,যখন জানতে পারলাম নিজের আপন বলতে আমারও কেউ একজন আছে,আমি এতিম না।
-আমি ঠিক বুঝলাম না নিহারিকা?
-আমার ছোট বেলার স্মৃতি কিছুই মনে নেই।যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে এস.এস.সি পাশ করা অবধি একটা অনাথ আশ্রমের তত্ত্বাবধানেই ছিলাম।এতটুকু সময়ে যখনি আমার মা বাবার খোঁজ নিতাম, উনারা বলতো তারা নাকি মারা গিয়েছেন দুজনেই।আমিও আর বেশি কিছু জানার আগ্রহ দেখাতাম না।কিন্তু,আমার রেজাল্ট আসার কিছুদিন পর হঠাৎ আশ্রমের অফিসে আমাকে ডাকা হলো।আমি গিয়ে দেখি আমাদের কেয়ারটেকার আপার সামনের চেয়ারে বেশ গম্ভীর এক ভদ্রলোক বসে আছেন। বেশভূষা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ভদ্রলোক অনেক ধনী মানুষ। আপা আমাকে কাছে ডেকে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।বললেন - "উনিই তোমার বাবা,নিহারিকা।১৩ বছর আগে উনিই তোমাকে এখানে রেখে গিয়েছিলেন, এখন তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছেন।" আমি বিশ্বাস করতে চাইলাম না।আমার বাড়াবাড়িতে আপা অনেক খুঁজে ১৩ বছর আগের ফাইলটা খুলে আমাকে দেখালেন।ভদ্রলোকের তথ্যের সাথে ফাইলের তথ্য মিলিয়ে দেখি সব ঠিকঠাক আছে।তাও বাধ সাধলাম আমি।চিৎকার করে বলতে লাগলাম- "উনি যদি আমার বাবা হয়েই থাকেন,তাহলে এতবছর আমাকে তা জানানো হয়নি কেন আর তিনিই বা কেন আমাকে নিতে আসেননি?" আচমকা ভদ্রলোক আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরলেন।তারপর এতবছরের সমস্থ কিছুর জন্য আমার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে লাগলেন।কান্না জড়ানো গলায় বলেছিলেন-" মা,তুই আমাকে ক্ষমা করে দে।আমি অভাবের কারণে তোকে রেখে গিয়েছিলাম।আজ আমার সব কিছু আছে।আমি আমার রাজকন্যাকে তার প্রাসাদে নিয়ে যেতে এসেছি। আমাকে ফিরিয়ে দিস না মা।" জীবনে প্রথম বার কারো মুখে মা ডাক শুনে নিজের পরিবার ফিরে পাওয়ার লোভে ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে এলাম তার সাথে।
নিহারিকা কথা বন্ধ করে গ্লাস হাতে নিয়ে পানি খেয়ে নিলো কিছুটা।রাতুল সাহের দিকে গ্লাস বাড়িয়ে দিতেই উনি হাতে নিয়ে এক নিঃশ্বাসে সবটুকু পানি খেয়ে নিলেন।এবার দুজনেই চুপচাপ।নিহারিকা লাইট বন্ধ করে টেবিল ল্যাম্প টা জ্বালিয়ে দিলো।পাশের রুমগুলো থেকে খুব বিচ্ছিরী রকমের আওয়াজ আসছে।অথচ দুজনেরই তাতে মনোনিবেশ নেই।........
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।